বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। আসসালামু আলাইকুম। দাওয়াহ ইলাল্লাহ ফোরামে আপনাকে স্বাগতম।
আপনার আসল ইমেইল এড্রেস দিয়ে এখানে আইডি খুলবেন না। আগে আসল ইমেইল আইডী দিয়ে থাকলে সেটাও পরিবর্তন করুন।
পাসওয়ার্ড ও ইমেইল এড্রেস পরিবর্তনের জন্য Settings - Edit Email and Password এ ক্লিক করুন।
আমাদের বর্তমান আইপি এড্রেসঃ https://82.221.139.185
***
বাংলা না দেখা গেলে, এখানে ক্লিক করুন
*****
ফোরামে সদস্য হতে চাইলে এখানে রেজিষ্টার করুন
*****
ফোরামের অনিওন এড্রেসঃ dawah4m4pnoir4ah.onion
*****
ভাইদের কাছে আমার জিজ্ঞাসা যে,ক্বেউ নিজেকে আত্মশুদ্ধ করতে চাইলে তার জন্য কোন পীরের কাছে যাওয়া আবশ্যক কিনা?? এ ব্যাপারে শরীয়ত কী বলে??
দলিলের আকারে জানালে ভালো হতো।
আবশ্যক হলেও সেটা আগের যামানার কথা ৷ কিন্তু বর্তমান যামানার পির-মুরিদ থেকে দূরে থাকাই উত্তম হবে ৷ কারণ বর্তমান যামানার পির-মুরিদগণ মুরজিয়া আকিদায় বিশ্বাসি হয় ৷ যদি কোথাও হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজেরে মক্কি,আল্লামা কাশমিরি,কাসেম নানুতুবি যারা কুফুরি আকিদা সম্পার্কে উম্মাহকে সঠিক দিকনির্দেশনা দিতেন ৷ যারা এক দিকে খানকায় থাকতেন অপর দিকে বিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতেন ৷ যাদের আলোচনায় কোন প্রকার অপব্যাখ্য থকে না এমন পির পান তাহলে সেখানে যেতে পারেন ৷ তবে আশা করি এমন পিরের অস্তিত্ব কোথাও নেই ৷ একটা জিনিস মনে রাখবেন! জিহাদ বিষয়ক যে কোন কথা মুজাহিদ উমারাদের কাছ থেকে নিবেন ৷ যদি কোথাও পিরের কথার সাথে মুজাহিদদের কথার বৈপরিত্ত দেখা যায় তবে মুজাহিদদের কথাকে প্রাধান্য দিবেন ৷ কারণ মুজাহীদগণই হচ্ছেন সর্বযুগের শ্রেষ্ট পির ৷
"জিহাদ ঈমানের একটি অংশ ৷"-ইমাম বোখারী রহিমাহুল্লাহ
আসলে আমি সোজাসাপ্টা এটাই বলি, পীর-মুরিদির কোন অস্তিত্ব ইসলামে নেই। এগুলো ফালতু জিনিস। এর সবচেয়ে বড় দলিল হল, আব্দুল কাদির জিলানী রহ. ও মাইনুদ্দীন চিশতী রহ.দের পূর্ব পর্যন্ত ইসলামের ইতিহাসে কোন পীর-মুরিদির অস্তিত্ব দেখা যায় না।
মিথ্যাবাদী ধোঁকাবাজরা উস্তাদ-ছাত্র এর সাথে তুলনা করে পীর-মুরিদি প্রমাণ করার অপচেষ্টা করে। অথচ আমরা আমাদরে চারপাশে স্পষ্টভাবেই পীর-মুরিদি ও ছাত্র-উস্তাদের অবস্থার মাঝে ঢের পার্থক্য দেখতে পাচ্ছি। খালি সুবিধার সময় ছাত্র-উস্তাদ এর অবস্থার সাথে মিলিয়ে দলিল দেয়। কিন্তু বাস্তব অবস্থা ছাত্র-উস্তাদ থেকে বহু ব্যবধান।
একজন হক পির চিহ্নিত করার পদ্ধতি কী হবে, এ সম্পর্কে আমাদের আকাবিরগণ স্পষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন। তারা এর জন্য কিছু মানদণ্ড জানিয়েছেন। যে এসব মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হবে, সে হক পির হিসেবে বিবেচিত হবে। আর যে এসব মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হবে না, সে হক পির হিসেবে বিবেচিত হবে না। আমরা এখানে কয়েকটি মানদণ্ডের কথা উল্লেখ করব।
১. পিরের কোনো কথা শরিয়তবিরোধী হবে না।
আজকাল অনেক পির বেরিয়েছে, যারা বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন মজলিসে, উদ্ধত ভঙ্গিতে শরিয়তবিরোধী কথাবার্তা বলে থাকেন। তাদের এহেন শরিয়তবিরোধী কথা শুনতে পেলে মুরিদদের মধ্যে অদম্য জযবা জেগে ওঠে। তারা হুংকার তুলে আকাশ-বাতাস কাঁপিয়ে ফেলে। মুরিদদের সংখ্যাধিক্য দেখে সৃষ্ট অহংবোধের কারণে পিরকে তার শরিয়তবিরোধী কথাবার্তা সম্পর্কে সতর্ক করা হলেও তিনি আর সতর্ক হন না। বরং নিজের পক্ষে বিভিন্ন উদ্ভট যুক্তি ও ব্যাখ্যা দাঁড় করানোর অপপ্রয়াস চালাতে থাকেন। উপরন্তু সতর্ককারীদেরকে তাচ্ছিল্য করেন, বিভিন্ন সময়ে সুযোগ পেলেই তাদের অপমানকর করেন।
২. পিরের সকল আকিদা বিশুদ্ধ হবে।
সুতরাং যেসব পির হুলুল, ইত্তিহাদ, ওয়াহদাতুল উজুদ, শিরক ফিল হাকিমিয়্যাহ, ডেমোক্রেসি, ন্যাশনালিজম এবং কিতালবিরোধী আকিদা রাখে, তারা কখনোই হক পির হতে পারে না। একজন মানুষ একই সময়ে পিরও হবে, আবার ডেমোক্রেটিকও হবে; পিরও হবে, আবার ন্যাশনালিস্টও হবে; পিরও হবে, আবার কিতালবিরোধী অবস্থানও জানান দেবে – এটা কখনোই হওয়ার নয়।
৩. পির দীনের মাসায়িল সম্পর্কে স্বচ্ছ জ্ঞান রাখবেন। শরিয়ত সম্পর্কে অজ্ঞ হবেন না।
সুতরাং যেসব পির ফরজ বিধানকে প্রত্যাখ্যান করে, হালালকে হারাম বা হারামকে হালাল হিসেবে উপস্থাপন করে, শরিয়তের বিভিন্ন বিধানের অপব্যাখ্যা করে, বিভিন্ন দলিল (আদতে শুবহা তথা বিভ্রম) উপস্থাপন করে ভুল বিধান উদঘাটন করে, জাকাতের টাকাকে সাধারণ দানের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলে, সুদ-ঘুষের টাকা এবং হারাম সম্পদকেও ভুলভাল হিলা-তাবিল করে বৈধ বানিয়ে ফেলে, তারা কখনো হক পির হতে পারে না।
৪. পিরকে মুহাক্কিক আলিমগণ ও অধিকাংশ হকপন্থী মানুষ ভালো বলবে।
সুতরাং যে পিরকে মুহাক্কিক আলিমগণ এবং অধিকাংশ তাওহিদবাদী হকপন্থী মানুষ ভালো বলবে না, বরং তার স্পষ্ট পদস্খলনের কারণে সমালোচনা করবে, সে কখনো হক পির হতে পারে না।
৫. পিরের সাহচর্যে দীনের প্রতি ভালোবাসা বাড়বে এবং দীন পালনের আকর্ষণ সৃষ্টি হবে।
সুতরাং যে পিরের সাহচর্যে দীনের প্রতি ভালোবাসা বাড়ার পরিবর্তে পার্থিব বিভিন্ন মতবাদের প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি হবে, যার সাহচর্যে অবৈধ উপায়ে ক্ষমতায় আরোহণ করার বাসনা বৃদ্ধি পাবে, যার সাহচর্যে দীন পালনের আকর্ষণ সৃষ্টি হওয়ার পরিবর্তে দীনের বিভিন্ন ফরজে আইন বিধান পালনের প্রতি ভীতি ও শঙ্কা সৃষ্টি হবে, সে কখনো হক পির হতে পারে না।
৬. পির সাহেব জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সুন্নাহর অনুসারী হবেন। নিজের ভক্ত ও মুরিদগণকে প্রতিটি কাজে সুন্নাহর অনুসরণের জোর তাগিদ দেবেন।
সুতরাং যে পির জীবনের কোনো ক্ষেত্রে, উদাহরণস্বরূপ রাজনৈতিক ক্ষেত্রে, সুন্নাহর অনুসারী না হয়ে দীনের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে নবোদ্ভাবিত বিভিন্ন কুফরি, শিরকি ও বিদআতি মতবাদের অনুসারী ও প্রচারক হবেন, নিজের ভক্ত ও মুরিদদেরকেও সুন্নাহর অনুসরণের পরিবর্তে সেসব শিরকি, কুফরি ও বিদআতি মতাদর্শ অনুসরণের জোর তাগিদ দেবেন, এমনকি কেউ সুন্নাহর অনুসরণ করতে চাইলে তাকে তাচ্ছিল্য করবেন এবং অবাঞ্ছিত ঘোষণা দেবেন, তিনি কখনো হক পির হতে পারেন না।
৭. পিরের সাথে আত্মশুদ্ধির সম্পর্ক স্থাপনকারীদের অধিকাংশই বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণভাবে শরিয়তের অনুসারী হবে।
সুতরাং যে পিরের সাথে আত্মশুদ্ধির সম্পর্ক স্থাপনকারীদের অধিকাংশই কোনো ক্ষেত্রে শরিয়তের বিধানকে থোড়াই কেয়ার করবে, কুরআন-সুন্নাহর নির্দেশ ও নির্দেশনাকে বাদ দিয়ে পিরের কথাকেই স্বতন্ত্র শরিয়ত হিসেবে জ্ঞান করবে এবং পিরের বাতিল কথার পক্ষেও অসার তাবিল দাঁড় করাবে, বাহ্যিকভাবে ও অভ্যন্তরীণভাবে মুহাম্মাদি শরিয়ত ধারণ করার পরিবর্তে আব্রাহাম লিংকন বা প্রমুখের শরিয়তকে ধারণ করবে, সেই পির কখনো হক পির হতে পারে না। লেখকঃবিশিষ্ট আলেম ও দাঈ
ভাইদের কাছে প্রশ্ন ছিলো পীরের কাছে যাওয়া আবশ্যক কিনা?? আত্বশুদ্ধির জন্য।
পির-মুরিদির অস্তিত্বই শরিয়াতে নেই তাহলে কিভাবে আপনি পির-মুরিদ খুজে পাবেন ৷ যাওয়ার জন্য'ত আগে জিনিসটির অস্তিত্ব থাকা লাগবে ৷ বিস্তারিত উত্তরের জন্য "সালাহউদ্দিন আইয়্যূবী" ভাইয়ের কমেন্টের দিকে খেয়াল করলে পেয়ে যাবেন ৷
"জিহাদ ঈমানের একটি অংশ ৷"-ইমাম বোখারী রহিমাহুল্লাহ
নেককার ব্যক্তিদের সোহবত কাম্য হওয়া তো সুপ্রমাণিত বিষয়। তেমনিভাবে কোন আমলের জন্য বাইয়াত নেয়াকেও শায়েখ আব্দুল কাদির (ফাক্কাল্লাহু আসরাহু) আলউমদা কিতাবে সুন্নাহ ও সাহাবীদের আমলের ভিত্তিতে বৈধ প্রমাণ করেছেন। তবে তাসাউউফের সূচনাই হলো, শিয়াবাদ থেকে, এজন্যই তাসাউফের সকল তরীকা আবু বকর-উমরের পরিবর্তে আলী রহ. এর সাথে গিয়ে মিলে। এব্যাপারে ইবনে খালদুন রহ. তার প্রসিদ্ধ মুকাদ্দমায় বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। তেমনিভাবে মুরিদ হওয়াকে জরুরী মনে করা, মুরীদ হওয়ার পর শরীয়তের খেলাফ বিষয়াদিতেও পীরের আনুগত্য করা, প্রচুর পরিমানে মওযু হাদিস বর্ণনা করা, এধরণের অনেক খারাবীই তাসাউ্উফে রয়েছে। তাছাড়া পূর্ববর্তী সূফীগণ কিছু কিছু বিষয়ে শরিয়তের খেলাফ কাজকর্ম ও চিন্তাভাবনা লালন করলেও বাস্তবে তারা যাহিদ ও মুজাহিদ ছিলেন, কিন্তু বর্তমানে পীরদের অধিকাংশই দুনিয়ালোভী, বিলাসী, জিহাদ বিরোধী। তাই পীর-মুরিদির অস্তিত্ব তো এমনিতেই শরীয়তে নেই, আর বর্তমানের পীরদের যে হালত তাই তাদের থেকে শতহাত দূরে থাকাই নিরাপদ। তবে নেককার ব্যক্তি বিশেষকরে নেককার আলেমগণের সোহবতে যাওয়া যেতে পারে, তেমনিভাবে কোন দুনিয়াবিরাগী ও জিহাদকে সমর্থনকারী (বা অন্তত বিরোধীতা করে না এমন) পীর পাওয়া গেলে বাইয়াত হওয়া ব্যতীত তার সোহবতও গ্রহণ করা যেতে পারে। যেমন আরবরা মুরিদ হওয়া ব্যতীত বিভিন্ন শায়েখদের সোহবত গ্রহণ করে, তাদের সাথে সম্পর্ক রাখে, এব দ্বারা তাদের ইমান-আমলে উন্নতি হয়।
ভাইদের কাছে আমার জিজ্ঞাসা যে,ক্বেউ নিজেকে আত্মশুদ্ধ করতে চাইলে তার জন্য কোন পীরের কাছে যাওয়া আবশ্যক কিনা?? এ ব্যাপারে শরীয়ত কী বলে??
দলিলের আকারে জানালে ভালো হতো।
আত্মশুদ্ধি শরিয়ত সম্মত ভাবে যেভাবে করা যায় সে ভাবেই করতে হবে এটি পিরের কাছে যাওয়ার সাথে নির্দিষ্ট নয়।তবে নেককার লোকদের সহবত অবশ্যই প্রয়োজন কারন দ্বীনের সবকিছুই সহবতের উপর নির্ভরশীল
Comment