মসজিদে জামাত স্বল্প পরিসরে এবং সেটাকে লোক নির্ধারণ করে দেয়ার ব্যাপারে ইসলাম কী বলে সেটা জানতে চাই ভাইদের নিকট!!!
Announcement
Collapse
No announcement yet.
শরয়ী বিধান কী???
Collapse
X
-
প্রিয় ভাই, এব্যাপারে ইতোমধ্যে শায়েখ তামীম আল আদনানী হা. একটি বয়ানে বিস্তারিত না হলেও সংক্ষেপে কিছু ইঙ্গিত দিয়েছেন। যেমন: বাড়াবাড়ি থেকে বেঁচে থাকা। এক হাদিসে বলা হয়েছে:يَسِّرَا وَلاَ تُعَسِّرَا، وَبَشِّرَا وَلاَ تُنَفِّرَا সহজ করো, কঠোরতা আরোপ করো না; সুসংবাদ দিও, বিমুখ করো না। (সহীহ বুখারী, হাদীস ৩০৩৮)
আরেক হাদীছে বলা হয়েছে: ان الله يحب أن تقبل رخصه كما يحب العبد مغفرة ربه আল্লাহ তায়ালা তার দেয়া বিশেষ ছাড়সমূহ বান্দা গ্রহণ করলে খুশি হন যেমন আল্লাহ্ ক্ষমা করে দিলে বান্দা খুশি হয়।(তাবরানী৭৬৬১)
তাই বর্তমান এই পরিস্থিতিটা একটা বড় ওযর হিসেবেই বিবেচনার মত।
ভাইয়েরা আরো বিস্তারিত বলবেন ইনশাআল্লাহ। ভাইদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
-
জামাতে নামায পড়া শায়ায়েরে ইসলামের অন্তর্ভুক্ত। অধিকাংশ আলেমদের মতানুযায়ী জামাতে নামায পড়া ওয়াজিব। হানাফী মাযহাবও এটাই (দেখুন, বাহরুল রায়েক, ১/৩৬৫ বাদায়েউস সানায়ে, ১/১৫৫ ফতোয়া শামী, ১/৫৫২ ফাতহুল কাদীর, ১/৩৪৫ ফাতহুল বারী, ২/১২৬ মুগনী, ২/১৩০) তাই করোনার ভয়ে জামাত বন্ধ করে দেয়া, স্বল্পপরিসরে জামাত করতে দেয়া কোনটাই জায়েয নেই।
তাছাড়া ইসলাম আসবাবগ্রহণের ক্ষেত্রে মধ্যমপন্থার প্রতি উৎসাহিত করে। (সুনানে ইবনে মাযাহ, হাদিস ২১৪৪ ফাতহুল বারী, ১০/১৯০ হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগা, ২/১৪২ ) আর জামাত বন্ধ করে দেয়া আসবাবগ্রহণের ক্ষেত্রে প্রান্তিকতার অন্তর্ভুক্ত।
তবে উযরের কারণে জামাতে শরিক না হওয়া জায়েয। তাই যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তারা জামাতে শরিক না হতে পারেন। বরং অন্যদের ক্ষতি হতে বাঁচানোর জন্য এমনটা করাই বাঞ্ছনীয়। এ ব্যাপারে মুফতি আবুল হাসান আব্দুল্লাহ হাফিযাহুল্লাহুর ফতোয়া দাওয়ায় এসেছিল। নিচের লিংক থেকে দেখতে পারেন
হযরতের এ কথাটি প্রণিধানযোগ্য:- “পৃথিবীর অতীত ইতিহাসে এমন মহামারির উপস্থিতি কম নয়। কিন্ত মহামারির কারণে জুমা, জামাত এবং মসজিদ বন্ধ হওয়ার প্রশ্নটি এবারই প্রথম।”الجهاد محك الإيمان
জিহাদ ইমানের কষ্টিপাথর
Comment
Comment