মুসলিম ভূখন্ড রক্ষায় প্রতিরক্ষামূলক জিহাদ বা রক্ষণাত্মক জিহাদ। এ জিহাদের ক্ষেত্রে কোনও ধরণের শর্ত না থাকার বিষয়টি একেবারে স্পষ্ট। বরং এক্ষেত্রে প্রত্যেকের জন্য নিজ নিজ সাধ্যানুযায়ী প্রতিরক্ষা করা এবং প্রতিহত করা ওয়াজিব। এমনকি সন্তান পিতার কাছে, স্ত্রী স্বামীর কাছে, ঋণগ্রহীতা ঋণদাতার কাছেও অনুমতি নিবে না। অথচ এদের প্রত্যেকে (অর্থাৎ পিতা, স্বামী, ঋণদাতা) অনুমতি প্রদানের ক্ষেত্রে ইমামের চেয়েও বেশি হকদার। এরপরও আমরা দেখি যে, এমন পরিস্থিতিতে তাদের হকও রহিত হয়ে যায়। কেননা তখন পরিস্থিতি এতটাই সঙ্কটপূর্ণ যে, জিহাদ ব্যাপকভাবে প্রত্যেকের উপরই ফরয হয়ে যায়। সুতরাং এক্ষেত্রে অনুমতিরই কোনো বিষয় নেই, ইমাম পাওয়া যাওয়ার বিষয় তো আরও দূরের কথা। শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ. (মৃত্যু: ৭২৮ হি.) বলেন-
قال شيخ الإسلام ابن تيمية في [الفتاوى المصرية: 4/ 508]: (أما قتال الدفع عن الحرمة والدين فواجب إجماعا فالعدو الصائل الذي يفسد الدين والدنيا لا شيء أوجب بعد الإيمان من دفعه فلا يشترط له شرط بل يدفع بحسب الإمكان). وقال أيضا: (وإذا دخل العدو بلاد الإسلام فلا ريب أنه يجب دفعه على الأقرب فالأقرب إذ بلاد الإسلام بمنزلة البلدة الواحدة وأنه يجب النفير إليها بلا إذن والد ولا غريم).
“দ্বীন ও দ্বীনের সম্মান রক্ষার্থে প্রতিরক্ষামূলক লড়াই সমস্ত ওলামায়ে কেরামের ইজমা মতে ওয়াজিব। সুতরাং যে আগ্রাসী শত্রু মুসলমানদের দ্বীন-দুনিয়া বিনাশ করার লক্ষ্যে হামলা করে, -ঈমানের পর- তাকে প্রতিহত করার চেয়ে বড় কোনো ওয়াজিব বিধান ইসলামে নেই। সুতরাং এ ধরণের কিতালের ক্ষেত্রে কোনো শর্তই প্রযোজ্য হবে না, বরং প্রত্যেকে নিজ নিজ সাধ্য অনুযায়ী তা প্রতিহত করবে।” [আল ফাতাওয়াল মিসরিয়্যাহ: ৪/৫০৮] তিনি আরও বলেন, “শত্রু যখন কোনো মুসলিম ভূখন্ডে ঢুকে পড়ে তখন নিঃসন্দেহে সবচেয়ে নিকটতম অঞ্চলের লোকদের উপর তাকে প্রতিহত করা ওয়াজিব হয়ে যায়। এভাবে পর্যায়ক্রমে যারা কাছাকাছি তাদের উপর ওয়াজিব হতে থাকে। কেননা মুসলমানদের সমস্ত ভূখন্ড একটি ভূখন্ডের হুকুমে। আর সেই পরিস্থিতিতেই ‘নফীরে আম’ ওয়াজিব হয়ে যায়, তখন পিতা বা ঋণদাতারও অনুমতি নিতে হয় না।”
[الفتاوى المصرية: 4/ 508]:
قال شيخ الإسلام ابن تيمية في [الفتاوى المصرية: 4/ 508]: (أما قتال الدفع عن الحرمة والدين فواجب إجماعا فالعدو الصائل الذي يفسد الدين والدنيا لا شيء أوجب بعد الإيمان من دفعه فلا يشترط له شرط بل يدفع بحسب الإمكان). وقال أيضا: (وإذا دخل العدو بلاد الإسلام فلا ريب أنه يجب دفعه على الأقرب فالأقرب إذ بلاد الإسلام بمنزلة البلدة الواحدة وأنه يجب النفير إليها بلا إذن والد ولا غريم).
“দ্বীন ও দ্বীনের সম্মান রক্ষার্থে প্রতিরক্ষামূলক লড়াই সমস্ত ওলামায়ে কেরামের ইজমা মতে ওয়াজিব। সুতরাং যে আগ্রাসী শত্রু মুসলমানদের দ্বীন-দুনিয়া বিনাশ করার লক্ষ্যে হামলা করে, -ঈমানের পর- তাকে প্রতিহত করার চেয়ে বড় কোনো ওয়াজিব বিধান ইসলামে নেই। সুতরাং এ ধরণের কিতালের ক্ষেত্রে কোনো শর্তই প্রযোজ্য হবে না, বরং প্রত্যেকে নিজ নিজ সাধ্য অনুযায়ী তা প্রতিহত করবে।” [আল ফাতাওয়াল মিসরিয়্যাহ: ৪/৫০৮] তিনি আরও বলেন, “শত্রু যখন কোনো মুসলিম ভূখন্ডে ঢুকে পড়ে তখন নিঃসন্দেহে সবচেয়ে নিকটতম অঞ্চলের লোকদের উপর তাকে প্রতিহত করা ওয়াজিব হয়ে যায়। এভাবে পর্যায়ক্রমে যারা কাছাকাছি তাদের উপর ওয়াজিব হতে থাকে। কেননা মুসলমানদের সমস্ত ভূখন্ড একটি ভূখন্ডের হুকুমে। আর সেই পরিস্থিতিতেই ‘নফীরে আম’ ওয়াজিব হয়ে যায়, তখন পিতা বা ঋণদাতারও অনুমতি নিতে হয় না।”
[الفتاوى المصرية: 4/ 508]:
Comment