Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুহতারাম ইলম ও জিহাদ ভাইয়ের কাছে একটি জিজ্ঞাসা ।

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুহতারাম ইলম ও জিহাদ ভাইয়ের কাছে একটি জিজ্ঞাসা ।

    মুহতারাম ইলম ও জিহাদ ভাইয়ের কাছে একটি জিজ্ঞাসা । মুহতারাম ভাইয়ের অনুগ্রহের আশা রাখি ।

    আমি ও এক ভাইয়ের মাঝে ব্যবসা নিয়ে কথোপকথন ।
    আমি: السلام عليكم ভাই। কেমন আছেন ভাই ?
    ভাই: و عليكم السلام ... الحمد لله
    আমি: ভাই, আমি কিছু টাকা জমিয়েছি । এই টাকা দিয়ে কিছু করতে চাচ্ছি। কি করতে পারি ?
    ভাই: কি করবে তা তো তোমার টাকার উপর নির্ভর করবে । তবে একটা পদ্ধতি আছে তুমি সেভাবে টাকা লাগাতে পার ।
    আমি: কি পদ্ধতি?
    ভাই: আমার একজন পরিচিত লোক আছে, তুমি তাকে তোমার টাকা দিবে আর সে তোমাকে বছরে ১৫% লাভ দিবে । অর্থাৎ তুমি তাকে ১ লাখ টাকা দিলে, সে তোমাকে বছর শেষে ১৫ হাজার টাকা লাভ দিবে । আর তোমার ১ লাখ টাকা ঠিক থাকবে । বছর শেষে ১৫ হাজার টাকা না নিলে, এই ১৫ হাজার টাকা ১ লাখের সাথে যোগ হয়ে তোমার আসল ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা হবে, আর সামনের বছর সে তোমাকে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকার উপর ভিত্তি করে লাভ দিবে । এবং যখন তুমি চাইবে তখন সে তোমার মূলধন দিয়ে দিবে । বাদ বাকী এক মাস আগে জানিয়ে রাখলে তার জন্য সহজ হবে ।
    আমি: এক লাখ টাকায় ১৫% হলে ১৫ হাজার, এটা কি ফিক্সড নাকি এক লাখ টাকা তারা ব্যবসায় লাগাবে, তা থেকে যা লাভ হবে, সেই লাভের ১৫% দেয়? কোনটা?
    ভাই: না না, এটা ফিক্সড ।
    আমি: ফিক্সড হলে কি আর জায়েজ থাকে ? যে ব্যবসায় লাভ-ক্ষতির ভয় নাই সে ব্যবসা কি জায়েজ থাকে ?
    ভাই: বিষয়টা তুমি বুঝ নাই । মনে কর তুমি ১ লাখ টাকার মাল কিনে কোন এক দোকানদ্বারের কাছে সেই মাল ১৫% লাভে বিক্রি করে দিলে । আর সেই দোকানদ্বার তোমাকে বছর শেষে তোমার টাকা পরিশোধ করবে । বিষয়টা এমন
    আমি: سبحان الله ... আচ্ছা... ভাই বিষয়টা নিয়ে একটু চিন্তা-ভাবনা করি ... তারপর যোগাযোগ করবো إن شاء الله
    ভাই: আচ্ছা ঠিক আছে ... আবার দেখা হবে إن شاء الله
    আমি: السلام عليكم
    ভাই: و عليكم السلام
    আমি এখন জানতে চাই, এমনটা কি জায়েজ হবে ? জায়েজ হলে কেমন পর্যায়ের জায়েজ ? এর মাঝে কি তাক্বওয়া আছে ?
    হে পরাক্রমশালী শক্তিধর! কৃপণতা আর কাপুরুষতা থেকে আশ্রয় চাই সর্বক্ষণ।

  • #2
    আফ্রিদি ভাইজান,, [ ফিকহী বিষয়গুলো ইলম ও জিহাদ উত্তর প্রদান করবেন আশাকরি ] বাকী এ ধরনের লেনদেনে অনেক সময় পুরো টাকাটা গচ্চা যায়।
    اللهم انی اسلک الهدی والتفی والعفافی والغناء

    Comment


    • #3
      নির্দিষ্ট কোন বিজ্ঞজনের কাছে মাসআলা চাওয়ার সাথে সাথে অন্য আলেম-উলামাদের জন্যও অপশন খোলা রাখা ভালো। কারণ, হয়তো তিনি ব্যস্ত আছেন বা সফরে আছেন।
      অন্য বিজ্ঞজনরাও ফতোয়া দেওয়ার যোগ্যতা রাখেন।
      জাঝাকাল্লাহ।

      Comment


      • #4
        Originally posted by abu ayman al mahrus View Post
        নির্দিষ্ট কোন বিজ্ঞজনের কাছে মাসআলা চাওয়ার সাথে সাথে অন্য আলেম-উলামাদের জন্যও অপশন খোলা রাখা ভালো। কারণ, হয়তো তিনি ব্যস্ত আছেন বা সফরে আছেন।
        অন্য বিজ্ঞজনরাও ফতোয়া দেওয়ার যোগ্যতা রাখেন।
        জাঝাকাল্লাহ।
        উত্তম পরামর্শ । অবশ্যই অন্য বিজ্ঞজনরাও ফতোয়া দেওয়ার যোগ্যতা রাখেন এবং তাদের অনুগ্রহের আশাও রাখি । শুকরান ভাই আমার ।
        হে পরাক্রমশালী শক্তিধর! কৃপণতা আর কাপুরুষতা থেকে আশ্রয় চাই সর্বক্ষণ।

        Comment


        • #5
          Originally posted by forsan313 View Post
          আফ্রিদি ভাইজান,, [ ফিকহী বিষয়গুলো ইলম ও জিহাদ উত্তর প্রদান করবেন আশাকরি ] বাকী এ ধরনের লেনদেনে অনেক সময় পুরো টাকাটা গচ্চা যায়।
          গচ্চা শব্দটি নতুন শিখলাম । সুতরাং অনেক অনেক শুকরিয়া ভাই আমার । আমি আপনার কাছে ঋণী হয়ে গেলাম । কেননা মুহতারাম সাহাবী আলী (রদ্বী) বলেছেন:
          أنا عبد من علمني حرفا واحدا ، إن شاء أعتق
          অর্থাৎ, যিনি আমাকে একটি অক্ষর শিখিয়েছে আমি তার দাস, তিনি ইচ্ছা করলে তবে আমি মুক্তি পাবো ।


          সুতরাং ভাই আমার আমাকে মুক্তি দিন ।
          আর উত্তম পরামর্শ দান করার জন্য جزاك الله خيرًا
          হে পরাক্রমশালী শক্তিধর! কৃপণতা আর কাপুরুষতা থেকে আশ্রয় চাই সর্বক্ষণ।

          Comment


          • #6
            Originally posted by আফ্রিদি View Post
            উত্তম পরামর্শ । অবশ্যই অন্য বিজ্ঞজনরাও ফতোয়া দেওয়ার যোগ্যতা রাখেন এবং তাদের অনুগ্রহের আশাও রাখি । শুকরান ভাই আমার ।
            ব্যাংকের সুদও উল্লিখিত পদ্ধতিতে নেওয়া হয়।
            মূলতঃ আপনার দেওয়া টাকার পরিমানের উপর নির্ভর করে পার্সেন্টিস নির্ধারণ করলে তা সুদ হবে। এবং আপনি যে লেনদেনের কথা উল্লেখ করেছেন তা সুদী কারবারের অন্তর্ভুক্ত হবে। এভাবে বছর বছর বাড়তে থাকলে সেটাকেই বলা হয় চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ। যা পবিত্র কোরআনে আল্লাহ নিষেধ করেছেন।
            সঠিক পদ্ধতি হলো, লভ্যাংশের উপর পার্সেন্টিস নির্ধারণ করতে হয়। যা লাভ হবে তার পার্সেন্টিস হিসেবে চুক্তি অনুসারে বণ্টন হবে। লাভ হলে উভয়ে পাবে। ক্ষতিগ্রস্ত হলে উভয়কেই তা বহন করতে হবে।

            Comment


            • #7
              অবশ্যই জায়েয। ফিকহের পরিভাষায় একে বাইয়ে মুরাবাহা বলে। এতে কোনো সমস্যা নেই।

              শরীয়তের নিজস্ব মানদণ্ড রয়েছে। যার আলোকে হুকুম সাব্যস্ত হয়। ফকীহগণ যার বাহক। কারো মনে না ধরলেই নিষিদ্ধ বলার সুযোগ নেই।

              বি. দ্র. দলীল উল্লেখ সময় সাপেক্ষ হওয়াতে উল্লেখ করছি না। কারো প্রয়োজন হলে নিকটবর্তী কোনো দারুল ইফতায় যোগাযোগ করুন।

              Comment


              • #8
                যে ভাই লাভ লোকসান ভাগাভাগির পন্থা উল্লেখ করেছেন সেটা মুযারাবা। কিন্তু এটাই একমাত্র শরয়ী লেনদেন নয়।

                Comment


                • #9
                  Originally posted by sunni jihaadi View Post
                  অবশ্যই জায়েয। ফিকহের পরিভাষায় একে বাইয়ে মুরাবাহা বলে। এতে কোনো সমস্যা নেই।

                  শরীয়তের নিজস্ব মানদণ্ড রয়েছে। যার আলোকে হুকুম সাব্যস্ত হয়। ফকীহগণ যার বাহক। কারো মনে না ধরলেই নিষিদ্ধ বলার সুযোগ নেই।

                  বি. দ্র. দলীল উল্লেখ সময় সাপেক্ষ হওয়াতে উল্লেখ করছি না। কারো প্রয়োজন হলে নিকটবর্তী কোনো দারুল ইফতায় যোগাযোগ করুন।
                  সম্মানিত সুন্নী জিহাদী ভাই আপনি ভালো আছেন ?আপনাকে অনেক দিন পর পেয়েছি । এখানে কথা হল১) যে টাকা দিবে তার টাকার কোন ক্ষতির আশংকা থাকছে না আর সুদের মধ্যেও যে টাকা দেয় তার টাকার কোন ক্ষতি হবার আশংকা থাকে না অথচ ব্যবসার মধ্যে যে টাকা দেয় তার মূলধনে ক্ষতি হবার আশংকা রয়েছে সুতরাং এখানে যদি মূলধনের কোন ধরনের ক্ষতি হয় তাহলে এই ক্ষতিপূরণ বহন করতে হচ্ছে যে টাকাটি গ্রহন করেছে অথচ যে টাকাটি গ্রহন করেছে শরীয়তের আলোকে তার কোন ক্ষতিপূরণ বহনের কোন কথা নয় ।এখন যদি এখানে সে ক্ষতিপূরণ বহন করে থাকে তাহলে ইহা কি অন্যায় হবে না এবং এটি সুদ হবে না? ২) এখানে লভ্যাংশ নির্ধারিত করে দেওয়া হয়েছে সুতরাং সে যদি উক্ত পরিমাণ লাভ করতে না পারে তাহলে তো যে মূলধন গ্রহন করেছে সে নিজের পক্ষ থেকে লভ্যাংশ আদায় করে দিচ্ছে এবং এটি সে কিসের বিনিময়ে দিচ্ছে এটার উঃ দিন।যদি এই ধরনের কোন ক্ষতি না হয় তখন ধরা যাক এটি সুদি কারবার হল না । কিন্তু এই ধরনের শর্ত করার আর্থ কি দাঁড়ায় যদি এটি সুদ না হয় তাহলে কেনই বা এই ধরনের শর্ত করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিল।

                  Comment


                  • #10
                    Originally posted by sunni jihaadi View Post
                    অবশ্যই জায়েয। ফিকহের পরিভাষায় একে বাইয়ে মুরাবাহা বলে। এতে কোনো সমস্যা নেই।

                    শরীয়তের নিজস্ব মানদণ্ড রয়েছে। যার আলোকে হুকুম সাব্যস্ত হয়। ফকীহগণ যার বাহক। কারো মনে না ধরলেই নিষিদ্ধ বলার সুযোগ নেই।

                    বি. দ্র. দলীল উল্লেখ সময় সাপেক্ষ হওয়াতে উল্লেখ করছি না। কারো প্রয়োজন হলে নিকটবর্তী কোনো দারুল ইফতায় যোগাযোগ করুন।
                    শুকরিয়া ভাই
                    আমি বেশ কিছুদিন আগে এই বিষয়ে আমার উস্তাদের সাথেও কথা বলেছিলাম তিনিও আমাকে আপনার মতই উত্তর দিয়েছিলেন
                    তিনি এটাও বলেছেন যে, এটা ভাল পর্যায়ের জায়েজ ও এতে তাক্বওয়াও আছে
                    আমার উস্তাদের কথাটা আপনার কথার মাধ্যমে আরও শক্ত হল অনেক অনেক শুকরিয়া ভাই

                    আপনার মূল্যবান সময় মাঝে মাঝে আমাদের দিবেন বলে আশা রাখি আল্লাহ তায়ালা আপনার সমস্ত কাজকে সহজ করে দিন আমীন
                    হে পরাক্রমশালী শক্তিধর! কৃপণতা আর কাপুরুষতা থেকে আশ্রয় চাই সর্বক্ষণ।

                    Comment


                    • #11
                      إِنَّمَا الْأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ
                      নিঃসন্দেহে সমস্ত কাজ নিয়তের উপর নির্ভরশীল ।
                      হে পরাক্রমশালী শক্তিধর! কৃপণতা আর কাপুরুষতা থেকে আশ্রয় চাই সর্বক্ষণ।

                      Comment


                      • #12
                        ---------------------

                        Comment


                        • #13
                          মডারেট ভাইদের কাছে আবেদন! কমেন্ট এপ্রুভ করার আগে ফতোয়ার জবাবমূলক কমেন্টগুলো একটা যাচাই করলে ভালো হয়। কারণ, অনেক কমেন্ট দেখতে পাচ্ছি যা কমেন্টকারীদের জ্ঞানের পরিধির পরিচয় বহন করে।
                          কেউ কেউ তো হারামকে পর্যন্ত হালাল বানিয়ে দিচ্ছে।
                          কেউ বলতে পারেন, এটা তো মতভেদপূর্ণ মাসআলা হতে পারে। অতএব ভিন্ন ভিন্ন ফতোয়া আসতেই পারে।
                          তবে স্মরণ রাখা চাই! আলোচিত মাসআলা মতভেদপূর্ণ নয়। বরং একথায় সখল উলামায়ে কেরাম একমত।

                          Comment


                          • #14
                            @sunni jihaadi ভাইয়ের কমেন্টের "মুরাবাহা" শব্দটি দিয়ে "মাসিক আলকাউছার" পত্রিকায় সার্চ করি তো ফলাফল
                            https://www.alkawsar.com/bn/search/?...A6%B9%E0%A6%BE

                            আমি এগুলো থেকে দুইটি পড়েছি
                            1. হযরত মাওলানা মুফতী মুহাম্মাদ তকী উছমানী-এর ঢাকা সফর ইসলামী ব্যাংকিং বিষয়ে তাঁর বিভিন্ন বক্তব্যের সারসংক্ষেপ ও প্রাসঙ্গিক কিছু কথা

                            2. ইসলামী ব্যাংকিং : প্রাসঙ্গিক কিছু কথা-২

                            আপনারাও পড়ে নিতে পারেন ।
                            Last edited by Munshi Abdur Rahman; 02-16-2022, 03:44 PM.
                            হে পরাক্রমশালী শক্তিধর! কৃপণতা আর কাপুরুষতা থেকে আশ্রয় চাই সর্বক্ষণ।

                            Comment


                            • #15
                              যে সকল ভাইরা খেয়াল না করেই… আমাকে ও আমার উত্তরকে…!

                              আলোচ্য লেনদেনে নগদ টাকা দেয়া হয় না। বিনিয়োগকারীর পক্ষ থেকে নগদ পণ্য কিনে গ্রাহকের নিকট বাকিতে লাভে বিক্রি করা হয়। এখন যদি লাভ টা ক্রয় মূল্যের উপর পার্সেন্ট হিসেবে বসানো হয়, তাহলে মুরাবাহা বলে। সহজতার জন্য এটাই বেশী করা হয়। আর যদি পার্সেন্ট হিসাব না করেই লাভ নির্ধারণ করা হয়, তাহলে মুসাওয়ামা বলে। এটাও বৈধ।

                              হ্যাঁ, মুরাবাহার পদ্ধতিতে অনেক ক্ষেত্রে বাড়তি যে কাজ করা হয় তা হল, বিনিয়োগকারী নিজে পণ্য না কিনে গ্রাহককে উকিল বানায় কিনার জন্য (ওয়াকীল বিশ শিরা)। এ ক্ষেত্রে গ্রাহক কিনার পর পণ্য নিজের কাছে রেখে দিলে বৈধ হবে না। বরং বিনিয়োগকারী বা তার প্রতিনিধির কবজায় তুলে দিয়ে পুনরায় গ্রাহক হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।


                              দয়া করে প্রশ্ন ভাল করে পড়ুন। সঠিক পন্থায় ইলম অর্জন করুন। আফ্রিদী ভাইয়ের দেয়া লিংক থেকেও উপকৃত হতে পারেন। সব কিছুতে ফোরাম ও চিন্তা নির্ভর না হয়ে নিকটবর্তী আহলে ইলম ও দারুল ইফতার শরণাপন্ন হন। এটাই আমাদের বড়দের নির্দেশনা।

                              Comment

                              Working...
                              X