Announcement

Collapse
No announcement yet.

নামাজ কায়েম করার অর্থ কী ?

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • নামাজ কায়েম করার অর্থ কী ?

    আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু
    মুহতারাম প্রিয় ভাই আমার জানার বিষয় হল :
    নামাজ কায়েম করার অর্থ কী ?
    এখানে উল্লেখ্য যে, ফাযায়েলে আমালে নামাজ কায়েমের অর্থ বলতে বলা হয়েছে, “ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, নামাজ কায়েম করার অর্থ হইল, উহার রুকু ও সেজদা সঠিকভাবে আদায় করে, পুরোপুরি আল্লাহর দিকে রুজু থাকে এবং অত্যন্ত খুশু সহকারে নামায পড়ে। ” (ফাযায়েলে আমাল- অনুবাদ মুফতী মুহাম্মদ উবাইদুল্লাহ, দারুল কিতাব,পৃষ্ঠা : ১৪৮।
    কিন্তু আমি মনে করি কোন হুকুম বা বিধান কায়েম করার অর্থ হল ঐ হুকুম বা বিধান মানতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গকে বাধ্য করতে পারা এবং ঐ হুকুম বা বিধান না মানলে শাস্তি প্রয়োগ করার ব্যবস্থা করতে পারা।
    এসো জিহাদ শিখি

  • #2
    মাশাআল্লাহ,,।
    অনেক সুন্দর একটি প্রশ্ন করেছেন।
    আল্লাহ আপনার সহায় হন,আমিন।
    ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

    Comment


    • #3
      উত্তর:
      ওয়াআলাইকুমুস সালাম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ

      ফাযায়েলে আমলে নামায কায়েমের যে অর্থ করা হয়েছে তাও সঠিক। এটি নামায কায়েমের একটি স্তর।

      আর দ্বিতীয় স্তর হল উম্মতের মাঝে নামায কায়েম করা। অর্থাৎ রাষ্ট্রীয়ভাবে নামায কায়েমের ইনতিজাম করা। তদারকি করা। যারা নামায পড়বে না তাদের বাধ্য করা। যারা নামায ছেড়ে দেবে তাদের উপর শাস্তি কায়েম করা।

      ব্যক্তিগতভাবে খুশু খুজুর সাথে সুন্নত মুস্তাহাবসহ নামায পড়া সকলের দায়িত্ব। এটি ব্যক্তিগত নামায কায়েম। আর শাসকদের অতিরিক্ত দায়িত্ব হলো, রাষ্ট্রীয়ভাবে জনসাধারণের উপর নামায কায়েম করা।

      শাসকদের এ উভয় দায়িত্বের কথা হাদিসে এসেছে। এর কোন একটির ব্যতিক্রম হলে কিতালের মাধ্যমে হলেও অপসারণ করে দিতে বলা হয়েছে। ইমাম মুসলিম রহ. বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,

      سَتَكُونُ أُمَرَاءُ فَتَعْرِفُونَ وَتُنْكِرُونَ فَمَنْ عَرَفَ بَرِئَ وَمَنْ أَنْكَرَ سَلِمَ وَلَكِنْ مَنْ رَضِىَ وَتَابَعَ. قَالُوا أَفَلاَ نُقَاتِلُهُمْ قَالَ : لاَ مَا صَلَّوْا.

      “অচিরেই এমন আমীরদের উদ্ভব ঘটবে যাদের কিছু কাজ তোমরা ভাল দেখবে আর কিছু কাজ মন্দ। যে ব্যক্তি তাদের স্বরূপ চিনতে পারল সে মুক্তি পেল। যে ব্যক্তি প্রতিবাদ করল সে নিরাপদ রইল। কিন্তু যে তাদের প্রতি সন্তুষ্ট থাকল এবং তাদের অনুসরণ করল (সে ক্ষতিগ্রস্ত হল)। সাহাবায়ে কেরাম আরজ করলেন, আমরা কি তাদের বিরুদ্ধে লড়বো না? তিনি উত্তর দেন, না! যতদিন তারা নামায পড়তে থাকে।” –সহীহ *মুসলিম: ৪৯০৬

      অন্য হাদিসে ইরশাদ করেন,

      خِيَارُ أَئِمَّتِكُمُ الَّذِينَ تُحِبُّونَهُمْ وَيُحِبُّونَكُمْ وَيُصَلُّونَ عَلَيْكُمْ وَتُصَلُّونَ عَلَيْهِمْ وَشِرَارُ أَئِمَّتِكُمُ الَّذِينَ تُبْغِضُونَهُمْ وَيُبْغِضُونَكُمْ وَتَلْعَنُونَهُمْ وَيَلْعَنُونَكُمْ. قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَفَلاَ نُنَابِذُهُمْ بِالسَّيْفِ فَقَالَ: لاَ مَا أَقَامُوا فِيكُمُ الصَّلاَةَ. صحيح مسلم: 4910

      “তোমাদের মধ্যে উত্তম শাসক হলো তারা, যাদেরকে তোমরা ভালোবাসবে এবং তারাও তোমাদেরকে ভালোবাসবে, তোমরা তাদের জন্য দোয়া করবে তারাও তোমাদের জন্য দোয়া করবে। আর তোমাদের মধ্যে নিকৃষ্ট শাসক হলো তারা, যাদেরকে তোমরা অপছন্দ করবে এবং তারাও তোমাদেরকে অপছন্দ করবে, যাদেরকে তোমরা লা’নত করবে এবং তারাও তোমাদেরকে লা’নত করবে। সাহাবায়ে কেরাম আরজ করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা কি তরবারি দ্বারা তাদের মোকাবেলা করবো নাতিনি উত্তর দেন: না! যতদিন তারা তোমাদের মাঝে নামায কায়েম করতে থাকে।” –সহীহ মুসলিম: ৪৯১০


      প্রথম হাদিসে বলা হয়েছে, “যতদিন তারা নামায পড়তে থাকে”। এটি ব্যক্তিগত নামায কায়েম।

      দ্বিতীয় হাদিসে বলা হয়েছে, “যতদিন তারা তোমাদের মাঝে নামায কায়েম করতে থাকে”। এটি রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা। শায়খ হারিস বিন গাজি আননাজজারি রহ. বলেন,

      ويقيم الإمام الصلاة بأمر الناس بها والدعوة إليها وتعليمها، وأن يقوم نظام الدولة على مراعاة الصلاة

      “জনসাধারণকে নামাযের আদেশ দেয়া, নামাযের প্রতি আহ্বান করা এবং নামায শিক্ষা দেয়ার মাধ্যমে নামায কায়েম করবে। রাষ্ট্রের নেজাম ও নীতি হবে নামাযের তদারকি ও ইহতিমাম।” –আলমুজায ফি আহকামিল ইমারা: ৯

      এ উভয়টি শাসকদের উপর ফরয। এর কোনো একটি ব্যতিক্রম হলে তাকে অপসারণ করে দিতে হবে, যেমন কুফরে বাওয়াহ পাওয়া গেলে অপসারণ করতে হয়। কাযি ইয়ায রহ. বলেন,

      أجمع العلماءُ على أن الإمامةَ لا تنعقد لكافر وعلى أنه لو طرأ عليه الكفرُ انعزل. وكذا لو ترك إقامة الصلوات والدعاء إليها اهـ

      “উলামায়ে কেরাম সবাই একমত যে, কোনো কাফেরকে খলিফা নিযুক্ত করলে সে খলিফা হবে না এবং খলিফা যদি কাফের হয়ে যায় তাহলে সে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অপসারিত হবে এমনিভাবে শাসক যদি নামায প্রতিষ্ঠা করা ও নামাযের দিকে আহবান করা ছেড়ে দেয় তাহলেও।” -শরহে নববি আলা সহিহ মুসলিম ১২/২২৯

      Comment


      • #4
        মাশাআল্লাহ,,
        খুব সুন্দর ভাবে বিষয়টি উপস্থাপন করেছেন।
        আল্লাহ তা'আলা আপনার ইলমকে আরো বৃদ্ধি করে দিন,,
        আমিন
        মুমিনের একটাই স্লোগান,''হয়তো শরীয়াহ''নয়তো শাহাদাহ''

        Comment


        • #5
          আলহামদু লিল্লাহ খুব সুন্দর উত্তর আল্লাহ তায়ালা ভাইয়ের ইলমে আমলে বারাকাহ দান করুক, আমিন[SIZE=4][/SIZE]

          Comment


          • #6
            এতো স্পষ্ট দলিলগুলো কি আহলে হাদিস ভাইয়েরা দেখে না!!!!
            বিলাসিতা জিহাদের শুত্রু,শাইখ উসামা রাহ।

            Comment

            Working...
            X