Announcement

Collapse
No announcement yet.

একটি ফতুয়া চেয়ে আবেদন।

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • একটি ফতুয়া চেয়ে আবেদন।

    সূরা তারাবীহ পড়িয়ে টাকা নেওয়া জায়েজ আছে কিনা?
    পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

  • #2
    মুফতি ভাইদের কাছে একটি ফতোয়া জানতে চাই || সূরা তারাবি পড়াইয়া টাকা নেওয়া জাযেজ হবে কিনা??
    আস্সালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ

    আশাকরি সবাই ভালো আছেন।আলহাদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি

    প্রিয় শ্রদ্ধের ভায়েরা আল্লহ আপনাদের হেফাজত করেন এবং দ্বিনের উপর অটল থাকার তাওফিক দান করেন।আমিন।

    আমার প্রশ্ন আমরা জানি যে খতমে তারাবী পড়ে এর বিনিময় নেওয়া হারাম
    কিন্তু আমার যেটা যানার কমতি রয়েছে তাহলো সূরা তারাবি পড়াইয়া বিনিময় বা টাকা নেওয়া জায়েজ হবে কি না??

    জায়েজ হয় বা নাহয় বিষয়টা শরিয়তের আলোকে জানিয়ে উপকৃত করবেন।
    আল্লাহ সুবহানাহু তা'য়ালা আমাদের মঙ্গল করুন,আমিন।ইয়া রব্বাল আলামিন
    উত্তরঃ- না ভাই, সূরা তারাবীহ পড়িয়েও টাকা নেয়া জায়েয নেই। হানাফী মাযহাবের মূল মতানুযায়ী তো ইমামতি, মুয়াজ্জিনি, কুরআন শিক্ষা ইত্যাদি কোন কিছুরই বিনিময় গ্রহণ করা জায়েয নেই এবং এর স্বপক্ষে একাধিক সহিহ-হাসান হাদিসও রয়েছে। তবে পরবর্তীতে বাইতুল মাল না থাকার কারণে ফরয নামায, মুয়াজ্জিনি, কুরআন শিক্ষা ও ওয়াজ এ বিষয়গুলোর পারিশ্রমিক গ্রহণ করা বৈধ বলা হয়েছে। তবে এখানে লক্ষ্যনীয় যে, এ বিষয়গুলোর সবগুলোই ফরয, ওয়াজিব বিষয়। এখন যেহেতু পারিশ্রমিক না দেয়া হলে এগুলো করার মত কাউকে পাওয়া যাবে না এবং দ্বীনের এ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো বন্ধ হয়ে যাবে, তাই এগুলোর পারিশ্রমিক গ্রহণ বৈধ বলা হয়েছে, যা একটি মতভেদপূর্ণ হারাম, অর্থাৎ কোন মাযহাব অনুযায়ী হারাম কোন মাযহাবে জায়েয। কিন্তু তারাবীহ আগাগোড়াই সুন্নত-নফল। তাই তারাবীহ বন্ধ হয়ে যাবে এই অজুহাতে তারাবীহর হাদিয়া গ্রহণকে বৈধ বলা যাবে না। ফরয পালনের জন্য মতভেদপূর্ণ হারাম তো করা যেতে পারে, কিন্তু সুন্নত-নফল পালনের জন্য কি একটা হারাম কাজ করা যাবে?

    বিস্তারিত দলিল-প্রমাণ জানার জন্য নিচের ফতোয়াগুলো দেখুন,

    জিহাদে দানের নিয়তে খতম তারাবীহর হাদিয়া গ্রহণ
    https://dawahilallah.com/showthread....B%26%232489%3B

    সূরা তারাবীহর হাদিয়া গ্রহণ
    https://www.alkawsar.com/bn/qa/answers/detail/911/

    খতম তারাবীহর হাদিয়া গ্রহণ
    https://www.alkawsar.com/bn/qa/answers/detail/60/

    উল্লেখ্য শেষের দুটি ফতোয়া মাসিক আলকাউসারের। যদিও জিহাদের মাসয়ালাতে আমরা তাদের উপর নির্ভর করি না, কিন্তু অন্যান্য সাধারণ মাসয়ালায় তাদের উপর নির্ভর করতে কোন সমস্যা নেই। কারণ এখানে সমাজ-রাষ্ট্র ইত্যাদির ভযে তারা সাধারণত উল্টো ফতোয়া দেন না। আলকায়েদার নায়েবে আমীর শায়েখ নাসির আলউহাইশী রহ. এমনটাই বলেছেন।

    ওয়াজ-মাহফিলের উদ্দেশ্য হলো, সর্বসাধারণের কাছে দ্বীন পৌঁছানো, যা ফরযে কেফায়া। এজন্য কোন কোন আলেম ওয়াজ করে টাকা নেয়াকে জায়েয বলেছেন। আল্লামা শামী বলেন,
    (قوله ويفتى اليوم بصحتها لتعليم القرآن إلخ) قال في الهداية: وبعض مشايخنا - رحمهم الله تعالى - استحسنوا الاستئجار على تعليم القرآن اليوم لظهور التواني في الأمور الدينية، ففي الامتناع تضييع حفظ القرآن وعليه الفتوى اهـ، وقد اقتصر على استثناء تعليم القرآن أيضا في متن الكنز ومتن مواهب الرحمن وكثير من الكتب، وزاد في مختصر الوقاية ومتن الإصلاح تعليم الفقه، وزاد في متن المجمع الإمامة، ومثله في متن الملتقى ودرر البحار.
    وزاد بعضهم الأذان والإقامة والوعظ، وذكر المصنف معظمها، ولكن الذي في أكثر الكتب الاقتصار على ما في الهداية، فهذا مجموع ما أفتى به المتأخرون من مشايخنا وهم البلخيون على خلاف في بعضه مخالفين ما ذهب إليه الإمام وصاحباه، وقد اتفقت كلمتهم جميعا في الشروح والفتاوى على التعليل بالضرورة وهي خشية ضياع القرآن كما في الهداية، وقد نقلت لك ما في مشاهير متون المذهب الموضوعة للفتوى فلا حاجة إلى نقل ما في الشروح والفتاوى، وقد اتفقت كلمتهم جميعا على التصريح بأصل المذهب من عدم الجواز، ثم استثنوا بعده ما علمته، فهذا دليل قاطع وبرهان ساطع على أن المفتى به ليس هو جواز الاستئجار على كل طاعة بل على ما ذكروه فقط مما فيه ضرورة ظاهرة

    এই বক্তব্যের খোলাসা হলো, মূল মাযহাব অনুযায়ী কোন ইবাদতের বিনিময় গ্রহণ করাই জায়েয নেই, এরপর ফুকাহায়ে কেরাম দ্বীনী প্রয়োজনে কুরআন শিক্ষার বিনিময় নেয়াকে জায়েয বলেছেন। কেউ কেউ দ্বীনি ইলম শিক্ষা দেয়া ও ফরয নামাযের ইমামতির বিনিময় নেয়াকেও জায়েয বলেছেন। আর কেউ আরো অগ্রসর হয়ে মুয়াজ্জিন, ওয়ায়েজ এদের জন্যও বিনিময় নেওয়া বৈধ বলেছেন। সুতরাং বৈধতা শুধু এ জিনিষগুলোর উপরই সীমাবদ্ধ থাকবে। সব ইবাদতের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হবে না। (অন্যথায় তো নামায, রোযা, হজ, জিহাদ, ইতেকাফ, সব ইবাদতের বিনিময় নেওয়াই জায়েয বলতে হবে) -ফতোয়ায়ে শামী, ৬/৫৬ দারুল ফিকর

    সুতরাং সূরা তারাবীহর বিনিময় নেওয়াও বৈধ হবে না। বরং ইমামের দ্বায়িত্ব হলো তিনি কোন বিনিময় ছাড়াই সূরা তারাবীহ পড়াবেন, যদি তিনি এতে রাজী না হন, তাহলে মুসল্লীরা জামাত ছাড়াই তারাবীহ পড়বে, কেননা তারাবীহ জামাতে পড়া সুন্নত, ফরয-ওয়াজিব নয়।

    তবে ওয়াজের নামে আমাদের সমাজে অনেক বক্তারা জাল হাদিস ও বানোয়াট কেচ্ছা-কাহিনী বয়ান করে থেকে, এরা তো শাস্তির যোগ্য, এদের হাদিয়া বৈধ হওয়ার বিষয়ে আমাদের যথেষ্ট আপত্তি আছে। তেমনিভাবে প্রায় সব বক্তাই বর্তমানে মানুষের প্রয়োজনীয় বিষয়াদী অর্থাৎ ইমান, তাওহীদ, জিহাদ, হাকিমিয়্যাহ, ওয়ালা-বারা এবিষয়গুলো গোপন করছে কিংবা এগুলোতে তাহরিফ করছে, সুতরাং এদের হাদিয়াও আমাদের নিকট প্রশ্নবিদ্ধ, বরং আমাদের মতে এরা অবৈধভাবে মানুষের সম্পদভোগ করছে যাদের ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,
    يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِنَّ كَثِيرًا مِنَ الأحْبَارِ وَالرُّهْبَانِ لَيَأْكُلُونَ أَمْوَالَ النَّاسِ بِالْبَاطِلِ وَيَصُدُّونَ عَنْ سَبِيلِ اللَّهِ
    হে ইমানদারগণ, অনেক উলামা-মাশায়েখ, অন্যায়ভাবে মানুষের সম্পদ ভোগ করছে এবং মানুষকে আল্লাহর পথ হতে বাধা দিচ্ছে। সুরা তাওবা, আয়াত ৩৪

    আয়াতের তাফসীরে শায়েখ সাদী বলেন,
    هذا تحذير من الله تعالى لعباده المؤمنين عن كثير من الأحبار والرهبان، أي: العلماء والعباد الذين يأكلون أموال الناس بالباطل، أي: بغير حق، ويصدون عن سبيل الله، فإنهم إذا كانت لهم رواتب من أموال الناس، أو بذل الناس لهم من أموالهم فإنه لأجل علمهم وعبادتهم، ولأجل هداهم وهدايتهم، وهؤلاء يأخذونها [ص:336] ويصدون الناس عن سبيل الله، فيكون أخذهم لها على هذا الوجه سحتا وظلما، فإن الناس ما بذلوا لهم من أموالهم إلا ليدلوهم إلى الطريق المستقيم.

    আয়াতে আল্লাহ তায়ালা তার মুমিন বান্দাদের অনেক আলেম ও মাশায়েখ থেকে সতর্ক করছেন, যারা অন্যায়ভাবে মানুষের সম্পদ ভোগ করছে, কেননা মানুষ তাদেরকে নিজেদের সম্পদ এজন্যই দিচ্ছে যে, তারা মানুষকে সঠিক পথ দেখাবে, কিন্তু এরা মানুষের সম্পদ গ্রহণ করে তাদের পথভ্রষ্ট করছে, তাহলে মানুষের সম্পদ গ্রহণ তাদের জন্য কিভাবে বৈধ হবে। -তাফসীরে সা’দী, পৃ: ৩৩৭

    তেমনিভাবে বক্তাদের জন্য চুক্তি করে নেওয়া, প্রয়োজন না থাকলেও নেওয়া, কিংবা স্বাভাবিকভাবে জীবনধারণের জন্য যতটুকু প্রয়োজন তার চেয়ে বেশি না নেওয়া উচিত। কেননা যারা জায়েয বলেছেন তাদের অনেকেই চুক্তি করে নেওয়া অবৈধ বলেছেন, আর যেহেতু জায়েয হওয়ার ইল্লত হলো জরুরত, সম্পদ উপার্জন করে ধনী হওয়া নয়, তাই জরুরত পরিমাণ নেওয়াই উচিত। জরুরত না থাকলে নেওয়া উচিত হবে না, এতে নিজের আমলও খালেস হবে এবং জনগণের মধ্যেও এই বক্তার ওয়াজে তাছীর বেশি হবে। এজন্যই তো নবী রাসূলগণ সবসময় ঘোষণা দিতেন, وَمَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ إِنْ أَجْرِيَ إِلَّا عَلَى رَبِّ الْعَالَمِينَ আমি তোমাদের কাছে দাওয়াতের কোন বিনিময় চাই না। আমার প্রতিদান তো শুধুমাত্র বিশ্বজগতের প্রতিপালকের নিকট। এ ধরণের অসংখ্য আয়াতের আলোকে মাওলানা আবুল হাসান আলী নদবী রহিমাহুল্লাহ বলেন, মানুষ আপনার কাছ থেকে তখনই দ্বীনগ্রহণ করতে আগ্রহী হবে যখন আপনি তাদের সম্পদের প্রতি অনীহা ও অমুখাপেক্ষীতা প্রকাশ করতে পারবেন। পক্ষান্তরে যদি তারা আপনার মাঝে তাদের সম্পদের প্রতি আগ্রহ দেখে তাহলে তারা আপনার থেকে দ্বীন গ্রহণ করবে না।

    (collected)

    Comment


    • #3
      মুহতারাম ভাইয়েরা, তারাবীহর হাদিয়া জায়েজ নাকি নাজায়েজ? এ ব্যাপারে দারুল উলুম দেওবন্দের সদরে মুহতামীম ও শাইখুল হাদীস আল্লামা সাঈদ আহমাদ পালনপুরী হাফিযাহুল্লাহর বয়ানটি নিচের লিংক থেকে শুনতে পারেন, ইনশা আল্লাহ। https://l.facebook.com/l.php?u=https...WYV0pVOZzQhnz8 জাযাকুমুল্লাহ যে সমস্ত ভাইয়েরা উর্দু বুঝেন না, তাদের জন্য বাংলা অনুবাদ দেওয়া হলো- তারাবীহ'র হাদীয়া জায়েয-নাজায়েয নিয়ে দারুল উলুম দেওবন্দের #মুফতী_সাঈদ_আহমদ_পালনপুরী হাফি. এর ফাতওয়া৷ ============================== (আমি মনে করি সকলেরেই আলোচনাটা জানা দরকার, বাড়াবাড়ি, ছাড়াছাড়ি মুক্ত আলোচনা৷) গতবছর, তারাবীহ'র হাদিয়া সংক্রান্ত হযরতের করা একটি উর্দূ ভাষায় বয়ান সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে৷ এই বিষয়টা নিয়ে আমাদের দেশে মারাত্মক অস্পষ্টতা রয়েছে৷ তাই, সবার উপকারার্থে শব্দে শব্দে হুবহু অনুবাদ করলামঃ প্রশ্নঃ- #হাফেজ_সাহেবানদেরকে_খতমে_তারাবীহ'র_পর_হাদিয়া_দেওয় া_জায়েয?
      উত্তরঃ- জায়েয৷
      কে নিষেধ করেছে? আর হাদীয়া না দিতে কে বলেছে? এই মাসআলা তারাই জানতে চায় যারা হাদীয়া দিতে চায়না৷ কিন্তু, কথা হলো এই হাদিয়া কারা দিবে? যারা নামায পড়বে তারা ব্যক্তিগতভাবে দিবে৷ তোমাদের যার যা মন চাই তাই দাও, কিছু হাদিয়া দাও বা উপহার স্বরূপ দাও সব জায়েয৷ কিন্তু আফসোসের কথা হলো কেউ দেয় না৷ আর এই মাসআলা তারাই জিজ্ঞাসা করে যারা কখনো হাদিয়া দেয়না এবং দিতেও চায়না৷ শুধু মাসআলা জিজ্ঞাসা করে৷
      তবে আসল কথা হলোঃ তোমরা হাফেজ সাহেবানদেরকে হাদিয়া দাও, এটা আমাদের যিম্মাদারী, তারা আমাদের খিদমত করে, আমাদেরও দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো, আমরাও যেন তাদের খেদমত করি৷ কিন্তু এই বিষয়টা একক ভাবে হাফেজ ইমাম সাহেব আর নামাযীর মধ্যখানে থাকতে হবে, তাহলেই জায়েয৷
      আর দ্বিতীয় কথা হলোঃ হাফেজদের জন্য মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে চাঁদা করা, হাফেজদেরকে তারাবীর আগে বেতন নির্ধারণ করে চুক্তি করে নিয়ে আসা, এটা জায়েয নেই৷ যে সমস্ত এলাকায় হাফেজদেরকে মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে বা মসজিদের ফান্ড থেকে হাদিয়া দেওয়ার রেওয়াজ আছে, এটাও জায়েয নেই৷ আমাদের ফিক্বহের কিতাবে একটি মূলনীতি আছেঃ المعروف كالمشروط অর্থাৎ, প্রচলিত প্রসিদ্ধ বিষয় শর্তের মতই। তাই, তারাবীহ'র জন্য বেতন নির্ধারণ করে চুক্তি করা জায়েয নেই৷ কিন্তু পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামায তার বিপরিত এর জন্য বেতন নির্ধারণ করে ইমাম রাখা জায়েয৷ কারণ, তা না হলে মসজিদ ও নামাযের নেযামে মারাত্মক বেঘাত ঘটবে৷ হুজুর যে মসজিদে বসে কথা গুলো বলছিলেন, সেই মসজিদের ইমামের নাম নিয়ে বললেনঃ যদি মাওলানা মুসা সাহেব না থাকেন তাহলে যহুরের নামায কে পড়াবে? কিন্তু তারাবীহ'র জন্য হাফেজ না থাকলেও যে কেউ "আলামতারা কাইফা ফাআলা" সূরা দিয়েই তারাবীহ পড়িয়ে দিতে পারবে৷
      মোট কথাঃ শুধু নামাযে কুরআন শুনার জন্য বেতন নির্ধারণ করে হাফেজ ঠিক করা এটা কোনো শরয়ী বা দ্বীনী প্রয়োজন নয়৷ তাই, এর বিনিময় গ্রহণ করাও জায়েয হবে না৷ যে রকমভাবে হাফেজের জন্য বেতন নির্ধারন করে তারাবীহ পড়ানো জায়েয নেই তেমনীভাবে তারাবীহ শেষে চাঁদা করে হাফেজদেরকে কিছু দেওয়াও জায়েয নেই৷ এটাও বেতনের মতই৷ এবং المعروف كالمشروط অর্থাৎঃ প্রচলিত প্রসিদ্ধ বিষয় শর্তের মতই। এর আওতাভূক্ত৷
      মুদ্দাকথাঃ কমিটি চাঁদা করে দেওয়া বা মসজিদ ফান্ড থেকে দেওয়া এই সূরত গুলো থেকে কোনো সুরতেই জায়েয নেই৷ তবে মুক্তাদীরা ব্যক্তিগতভাবে দেওয়া অবশ্যই জায়েয, কিন্তু আফসোসের ব্যাপার হলোঃ সবাই শুধু মাসআলা জানতে চাই, কিন্তু কেউ দেয় না৷ এই মসজিদেই আমি গতবছর এই মাসআলা বলেছিঃ পরে যখন রমজান শেষ হলোঃ তখন হাফেজদেরকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসা করলামঃ আরে তোমাদেরকে কি কেউ কিছু হাদিয়া বা উপহার দিয়েছে? তো এক হাফেজ বললঃ একজনে একটা কুরআন শরীফ হাদিয়া দিয়েছে৷
      আশ্চর্য ব্যাপার! কুরআন শরীফ তো বেচারার মুখস্তই আছে, তোমার কুরআন শরীফ দিয়ে হাফেজ সাহেব কি করবে?
      এই ঘটনাটি এই মসজিদরেই, তিন হাফেজের মধ্যে থেকে শুধু একজনকে এক ব্যক্তি একটা কুরআন শরীফ কিনে দিয়েছে এ ছাড়া কেউ একটা তেনাও (ন্যাকড়াও) দেই নাই৷
      আশ্চর্য জনক কথা! তোমরা শুধু জায়েয-নাজায়েযের মাসআলা জিজ্ঞাসা করে মুখে ফেনা তুলে ফেলাও কিন্তু কেউ আমল করো না৷ ভাইয়েরা একটু চিন্তা করোঃ হাফেজ সাহেবরা পুরো মাস আমাদের খেদমত করে আমাদের উপর দয়া করে, আমাদের উপরও লাযেম তথা আবশ্যক হলোঃ আমাদেরও যার যতটুকু সামর্থ্য আছে সেই অনুযায়ী তাঁদেরকেও খেদমত করা৷ কিন্তু এটা হতে হবে গোপনীয়তা রক্ষা করে৷ মসজিদ কমিটি বা মসজিদ ম্যানেজমেন্টের সাথে এর যেন কোন সম্পর্ক না থাকে৷ বরং চুপে চুপে হাফেজ সাহেবানদের হাতে ধরিয়ে দিবা৷ প্রত্যেকেরই উচিৎ, হাফেজ সাহেবদের হাতে হাতে চুপিসারে হাদিয়া দেওয়া৷ আর আমি কিন্তু এই রমজানের পর তোমরা হাফেজ সাহেবানদেরকে কে কি দিয়েছো? তাদের কাছে জিজ্ঞসা করবো৷ আল্লাহ আমাদেরকে উপরের কথা গুলো বুঝে আমল করার তাওফীক দান করুন৷ আমীন
      (collected)

      Comment


      • #4
        মুহতারাম ভাই Ibadur Rahman! অনলাইনে আরবী ভাষা শিক্ষা করে বা শিক্ষা দিয়ে অর্থ দেওয়া-নেওয়াও কি জায়েজ নয়? কেননা এই আরবী ভাষা শিক্ষা করা ও শিক্ষা দেওয়াও তো ফরজ বা ওয়াজিব নয়। তাই না? জানতে চাচ্ছি; শুকরিয়া ভাই আমার।
        হে পরাক্রমশালী শক্তিধর! কৃপণতা আর কাপুরুষতা থেকে আশ্রয় চাই সর্বক্ষণ।

        Comment


        • #5
          আল্লাহ আপনাকে এর উত্তম প্রতিদান দান করুন।
          পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

          Comment


          • #6
            Originally posted by আফ্রিদি View Post
            মুহতারাম ভাই Ibadur Rahman! অনলাইনে আরবী ভাষা শিক্ষা করে বা শিক্ষা দিয়ে অর্থ দেওয়া-নেওয়াও কি জায়েজ নয়? কেননা এই আরবী ভাষা শিক্ষা করা ও শিক্ষা দেওয়াও তো ফরজ বা ওয়াজিব নয়। তাই না? জানতে চাচ্ছি; শুকরিয়া ভাই আমার।
            অনলাইনে আরবি ভাষা শিক্ষা গ্রহণ করা যদি দ্বিনি প্রয়োজনে না হয়ে থাকে তাহলেতো কোন সমস্যা নেই অন্য ভাষা যেভাবে শিক্ষা দিয়ে টাকা নেওয়া জায়েজ তেমনি ভাবে আরবি ভাষা শিখিয়েও টাকা নেওয়া জায়েজ আর যদি দ্বিনি প্রয়োজনে হয়ে থাকে তাহলে দ্বীনকে বুঝা আরবি ভাষার উপর স্থগিত ।আর পূর্নাঙ্গ দ্বীন বুঝা ফরজে কিফায়া এবং এটি যেহেতু আরবি ভাষার উপর স্থগিত তাই আরবি ভাষা শিখাও ফরজে কিফায়া ।কারণ দ্বীনের কোন কিছু যদি অন্য আরেকটি বিষয়ের উপর স্থগিত তাকে সেটিও আবশ্যক হয়ে যায় তাই এখন আরবি ভাষা শিক্ষা করা আবশ্যকীয় হবার কারণে এটাতে কোন অবহেলা করা যাবে না তাই উক্ত অবহেলা রোধে এখানেও টাকা দেওয়া জায়েয।
            পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

            Comment


            • #7
              Originally posted by mahmud123 View Post

              অনলাইনে আরবি ভাষা শিক্ষা গ্রহণ করা যদি দ্বিনি প্রয়োজনে না হয়ে থাকে তাহলেতো কোন সমস্যা নেই অন্য ভাষা যেভাবে শিক্ষা দিয়ে টাকা নেওয়া জায়েজ তেমনি ভাবে আরবি ভাষা শিখিয়েও টাকা নেওয়া জায়েজ আর যদি দ্বিনি প্রয়োজনে হয়ে থাকে তাহলে দ্বীনকে বুঝা আরবি ভাষার উপর স্থগিত ।আর পূর্নাঙ্গ দ্বীন বুঝা ফরজে কিফায়া এবং এটি যেহেতু আরবি ভাষার উপর স্থগিত তাই আরবি ভাষা শিখাও ফরজে কিফায়া ।কারণ দ্বীনের কোন কিছু যদি অন্য আরেকটি বিষয়ের উপর স্থগিত তাকে সেটিও আবশ্যক হয়ে যায় তাই এখন আরবি ভাষা শিক্ষা করা আবশ্যকীয় হবার কারণে এটাতে কোন অবহেলা করা যাবে না তাই উক্ত অবহেলা রোধে এখানেও টাকা দেওয়া জায়েয।
              শুকরিয়া ভাই।
              আর হ্যাঁ আমিও মোটামুটি এমনটাই মনে করতাম; তারপরও জিজ্ঞাসা করে ক্লিয়ার হলাম। আলহামদুলিল্লাহ।
              হে পরাক্রমশালী শক্তিধর! কৃপণতা আর কাপুরুষতা থেকে আশ্রয় চাই সর্বক্ষণ।

              Comment

              Working...
              X