আল্লাহ ,রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরামকে নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ : আমাদের করণীয়
রাসুলুল্লাহ (সঃ) সকল মুসলিমদের কাছে নিজের জীবনের চেয়ে প্রিয়। কিন্তু কাফের গোষ্ঠীর এতে কিছুই যায় আসে না। এই জাহান্নামী গোষ্ঠীরা নবী (সঃ) এর যুগ থেকে শূরূ করে সবসময়ই নবী (সঃ) কে নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করেই থাকে। অন্যদিকে সাহাবায়ে কেরামের যুগ থেকে শুরু করে এখনো পর্যন্ত সত্যের অনুসারী মুসলিমরা নবী (সঃ) কে নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপকারী জাহান্নামের জঘন্য কীটদের শরীয়ার বিধান অনুযায়ী কতল করছে এবং সবসময়ই এই বিধান পালন করবে ইনশা-আল্লাহ।
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে অপমান করার ঘটনা নতুন কিছু নয়, নতুন নয় এর প্রতিবাদে মুসলিমদের ফেটে পড়ার ঘটনাও,
কিন্তু আমাদের “নিন্দা জ্ঞাপন” জাতীয় প্রতিবাদ আর সাহাবাদের প্রতিবাদের ভাষা কি এক ছিল? না, সাহাবা (রা) যে প্রতিবাদের ভাষা জানতেন তা লিখা হত অপমানকারীর রক্তের অক্ষরে। আসুন একটি হাদীস পড়ে দেখি ও শিখে নিই কিভাবে আমাদের পূর্ব পুরুষেরা আমাদের নেতার সম্মান রক্ষা করতেন।
__আল্লাহর রাসূল( সা )এর অপমান ও ইবনে আবুল হুকায়েক আবুরাফে’র হত্যাকাণ্ড__
আবুরাফে’ ছিলো খায়বার অঞ্চলেবসবাসকারী একজন ইহুদী নেতা, হিজাযের বিখ্যাত ব্যবসায়ী।এই ব্যক্তি ছিলো সেসব লোকদের অন্যতম যারা মক্কার মুশরিদেরকে মুসলমানদেরবিরুদ্ধে যুদ্ধের উস্কানি দিতো। সে খন্দক যুদ্ধে মক্কার মুশরিকদেরকেউস্কানি দাতাদের অন্যতম হোতা। ৫ম হিজরী সনের যুলকা’দাহ কিংবা যুলহজ্জ মাসেতাকে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনারসুত্রপাত হিসেবে ঐতিহাসিক ইবনে ইসহাক ইমাম যুহরী, আব্দুল্লাহ ও কা’ব বিন মালেক রাঃ এর সুত্রে বর্ণনা করেন যে, আওস এবং খাযরাজগোত্রের লোকেরা একে অপরের সাথে ইসলামের জন্য যুদ্ধে কোন গোত্র কেমন ভুমিকাপালন করেছে তা নিয়ে প্রতিযোগিতাকরতো। অন্যান্য দিক থেকে উভয় গোত্র প্রায় সমান সমানথাকলেও আওস গোত্র দ্বারা সংগঠিত কা’ব বিন আশরাফেরহত্যাকাণ্ডের মতো কোন উদাহরণ খাযরাজ গোত্রের লোকেরা উপস্থাপন করতে পারলোনা।
তখন তারা রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে গিয়েবললো, ইয়া রসুলাল্লাহ, আপনি আমাদেরকে এমন এক ব্যক্তির নাম বলে দিন যাকে হত্যা করে আমরাআওস কর্তৃক কা’ব বিন আশরাফকে হত্যার কৃতিত্বের সমতা রক্ষা করতে পারি।রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তখন তাদেরকে আবু রাফে’কে হত্যার নির্দেশ দেন।
এইঅভিযানে পাঁচজন সাহাবীর একটি টিম অংশ নেয়।
তারা হলেন (১) আব্দুল্লাহ ইবনে আতীক
(২)মাসউদ বিন সিনান
(৩) আব্দুল্লাহ বিন উনায়স
(৪) আবু কাতাদা বিন হারিস
(৫) খুযা’য়ী বিন আল আসওয়াদ রাঃ।
>>>সহীহ আলবুখারিতে বারা বিন আযিব রাঃ এর সুত্রে বর্ণীত রয়েছে যে তিনি বলেন,
রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আনসারদের একটি দলকে ইহুদী আবু রাফে’কে হত্যার উদ্দেশ্যে প্রেরণ করেন। তাদের মধ্য থেকে একজন (আবুআতীক রাঃ) এগিয়ে গিয়ে ইহুদীদের দুর্গে প্রবেশ করেন। তিনি বলেন, অতঃপর আমিগিয়ে তাদের পশুর আস্তাবলে প্রবেশ করলাম আর তারা দুর্গের প্রধান ফটক বন্ধকরে দিল। এদিকে তাদেরএকজনের একটি গাধা হারিয়ে গিয়েছিলো; তারা গাধাটি খুঁজতে বেরিয়ে পড়লে আমিও গাধা খোঁজার ভানধরে তাদের সাথে বেরিয়ে পড়লাম। আমি তাদেরকে বুঝাতে চাচ্ছিলাম যে আমিও তাদেরসাথে গাধা খোঁজ করছি। অবশেষে গাধাটি পেয়ে গেলে তারা যখন দুর্গে প্রবেশ করেতখন আমিও তাদের সাথে আবার দুর্গে প্রবেশ করি।
তারপর আমি লক্ষ করলাম যে তারা দুর্গের ফটকবন্ধ করে চাবিটি একটি কুলুঙ্গির মধ্যে রেখে দিলো।অতঃপর তারা ঘুমিয়ে পড়লে আমি চাবি নিয়ে ফটকখুলে রেখে (অন্ধকারের মধ্যে হাতড়ে) আবু রাফে’র ঘরে গিয়েপৌঁছলাম। আমি ‘ও আবু রাফে’ বলে ডাক দিলে সে আমার ডাকেসাড়া দিলো। আমি তার আওয়াজ দ্বারা তার অবস্থানঅনুমান করে তরবারির আঘাত হানলাম, আর অমনি সে চিৎকার করে উঠলো; আর আমি ঘরথেকে বেরিয়ে এলাম। যেন তার সাহায্যের জন্য কেউ এগিয়ে এসেছে এমন ভান করে আমিআবার ঘরে প্রবেশ করে গলার স্বর পরিবর্তন করে জজ্ঞাসা করলাম, ‘ও আবু রাফে’ (চিৎকার করলে কেন) তোমার কী হয়েছে?
সে বলল তোমার মা ধ্বংস হোক (তাড়াতাড়ি আসছো না কেন) কি হল তোমার, কে যেন আমার ঘরে ঢুকেআমাকে আঘাত করেছে। তিনি (আবু আতীক) বলেন, অতঃপর আমি আমার তরবারি তার পেটেরউপর রেখে শরীরের সকল শক্তি দিয়ে এমন জোরে চেপে ধরলাম যে তার (মেরুদণ্ডের) হাড্ডি পর্যন্তগিয়ে ঠেকার শব্দ হল। (এরপর তার চিৎকারে ও বাচ্চাদের কান্নাকাটির শব্দে অন্যরাও জেগে উঠে দরজাখুলতে লাগলো)
অতঃপর আমি ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে সিঁড়ি দিয়ে নেমে আসতে গিয়ে পড়েগেলাম এবং এতে আমার পায়ে প্রচণ্ড আঘাত পেলাম। যাই হোক কোন মতে আমি বেরিয়েএসে আমার সঙ্গীদেরসাথে মিলিত হলাম। আমি তাদেরকে বললাম, যতক্ষণ পর্যন্ত আমি (আবু রাফে’র) মৃত্যু সংবাদ প্রচারকারিণীর ঘোষণা শুনতে না পাই ততক্ষনপর্যন্ত আমি এ স্থান ত্যাগ করবো না। সত্যিই হিজাযের বিখ্যাত ব্যবসায়ী আবুরাফে’র মৃত্যু সংবাদ না শুনে আমি সে স্থান ত্যাগ করলাম না। মৃত্যু সংবাদ যখন আমিশুনলাম তখন আমি দাড়িয়ে গেলাম এবং আমার যেন কোন ব্যথাই ছিলো না। অবশেষে আমিআল্লাহর রসূলের কাছে গিয়ে আবু রাফে’কে হত্যার খবর দিলাম।
(বুখারী হাদিস নং ৩০২২, ৩০২৩, ৪০৩৮-৪০৪০; আধুনিক প্রকাশনীর ছাপায় হাদিস নং২৮০০ এবং ইসলামী ফাউন্ডেশনপ্রকাশিত ছাপায় হাদিস নং ২৮১০)
——————–
আল ইগতিয়াল
মুলঃশায়েখ আবু জান্দাল আল আযদী
——————–
বিস্তারিত জানতে নিচের লিংকে ভিজিট করুন
Bangla Lecture:
Bangla Book PDF:
English Book:
English Lecture:
সুত্র: http://anonym.to/?https://gurabamedia.wordpress.com
রাসুলুল্লাহ (সঃ) সকল মুসলিমদের কাছে নিজের জীবনের চেয়ে প্রিয়। কিন্তু কাফের গোষ্ঠীর এতে কিছুই যায় আসে না। এই জাহান্নামী গোষ্ঠীরা নবী (সঃ) এর যুগ থেকে শূরূ করে সবসময়ই নবী (সঃ) কে নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করেই থাকে। অন্যদিকে সাহাবায়ে কেরামের যুগ থেকে শুরু করে এখনো পর্যন্ত সত্যের অনুসারী মুসলিমরা নবী (সঃ) কে নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপকারী জাহান্নামের জঘন্য কীটদের শরীয়ার বিধান অনুযায়ী কতল করছে এবং সবসময়ই এই বিধান পালন করবে ইনশা-আল্লাহ।
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে অপমান করার ঘটনা নতুন কিছু নয়, নতুন নয় এর প্রতিবাদে মুসলিমদের ফেটে পড়ার ঘটনাও,
কিন্তু আমাদের “নিন্দা জ্ঞাপন” জাতীয় প্রতিবাদ আর সাহাবাদের প্রতিবাদের ভাষা কি এক ছিল? না, সাহাবা (রা) যে প্রতিবাদের ভাষা জানতেন তা লিখা হত অপমানকারীর রক্তের অক্ষরে। আসুন একটি হাদীস পড়ে দেখি ও শিখে নিই কিভাবে আমাদের পূর্ব পুরুষেরা আমাদের নেতার সম্মান রক্ষা করতেন।
__আল্লাহর রাসূল( সা )এর অপমান ও ইবনে আবুল হুকায়েক আবুরাফে’র হত্যাকাণ্ড__
আবুরাফে’ ছিলো খায়বার অঞ্চলেবসবাসকারী একজন ইহুদী নেতা, হিজাযের বিখ্যাত ব্যবসায়ী।এই ব্যক্তি ছিলো সেসব লোকদের অন্যতম যারা মক্কার মুশরিদেরকে মুসলমানদেরবিরুদ্ধে যুদ্ধের উস্কানি দিতো। সে খন্দক যুদ্ধে মক্কার মুশরিকদেরকেউস্কানি দাতাদের অন্যতম হোতা। ৫ম হিজরী সনের যুলকা’দাহ কিংবা যুলহজ্জ মাসেতাকে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনারসুত্রপাত হিসেবে ঐতিহাসিক ইবনে ইসহাক ইমাম যুহরী, আব্দুল্লাহ ও কা’ব বিন মালেক রাঃ এর সুত্রে বর্ণনা করেন যে, আওস এবং খাযরাজগোত্রের লোকেরা একে অপরের সাথে ইসলামের জন্য যুদ্ধে কোন গোত্র কেমন ভুমিকাপালন করেছে তা নিয়ে প্রতিযোগিতাকরতো। অন্যান্য দিক থেকে উভয় গোত্র প্রায় সমান সমানথাকলেও আওস গোত্র দ্বারা সংগঠিত কা’ব বিন আশরাফেরহত্যাকাণ্ডের মতো কোন উদাহরণ খাযরাজ গোত্রের লোকেরা উপস্থাপন করতে পারলোনা।
তখন তারা রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে গিয়েবললো, ইয়া রসুলাল্লাহ, আপনি আমাদেরকে এমন এক ব্যক্তির নাম বলে দিন যাকে হত্যা করে আমরাআওস কর্তৃক কা’ব বিন আশরাফকে হত্যার কৃতিত্বের সমতা রক্ষা করতে পারি।রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তখন তাদেরকে আবু রাফে’কে হত্যার নির্দেশ দেন।
এইঅভিযানে পাঁচজন সাহাবীর একটি টিম অংশ নেয়।
তারা হলেন (১) আব্দুল্লাহ ইবনে আতীক
(২)মাসউদ বিন সিনান
(৩) আব্দুল্লাহ বিন উনায়স
(৪) আবু কাতাদা বিন হারিস
(৫) খুযা’য়ী বিন আল আসওয়াদ রাঃ।
>>>সহীহ আলবুখারিতে বারা বিন আযিব রাঃ এর সুত্রে বর্ণীত রয়েছে যে তিনি বলেন,
রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আনসারদের একটি দলকে ইহুদী আবু রাফে’কে হত্যার উদ্দেশ্যে প্রেরণ করেন। তাদের মধ্য থেকে একজন (আবুআতীক রাঃ) এগিয়ে গিয়ে ইহুদীদের দুর্গে প্রবেশ করেন। তিনি বলেন, অতঃপর আমিগিয়ে তাদের পশুর আস্তাবলে প্রবেশ করলাম আর তারা দুর্গের প্রধান ফটক বন্ধকরে দিল। এদিকে তাদেরএকজনের একটি গাধা হারিয়ে গিয়েছিলো; তারা গাধাটি খুঁজতে বেরিয়ে পড়লে আমিও গাধা খোঁজার ভানধরে তাদের সাথে বেরিয়ে পড়লাম। আমি তাদেরকে বুঝাতে চাচ্ছিলাম যে আমিও তাদেরসাথে গাধা খোঁজ করছি। অবশেষে গাধাটি পেয়ে গেলে তারা যখন দুর্গে প্রবেশ করেতখন আমিও তাদের সাথে আবার দুর্গে প্রবেশ করি।
তারপর আমি লক্ষ করলাম যে তারা দুর্গের ফটকবন্ধ করে চাবিটি একটি কুলুঙ্গির মধ্যে রেখে দিলো।অতঃপর তারা ঘুমিয়ে পড়লে আমি চাবি নিয়ে ফটকখুলে রেখে (অন্ধকারের মধ্যে হাতড়ে) আবু রাফে’র ঘরে গিয়েপৌঁছলাম। আমি ‘ও আবু রাফে’ বলে ডাক দিলে সে আমার ডাকেসাড়া দিলো। আমি তার আওয়াজ দ্বারা তার অবস্থানঅনুমান করে তরবারির আঘাত হানলাম, আর অমনি সে চিৎকার করে উঠলো; আর আমি ঘরথেকে বেরিয়ে এলাম। যেন তার সাহায্যের জন্য কেউ এগিয়ে এসেছে এমন ভান করে আমিআবার ঘরে প্রবেশ করে গলার স্বর পরিবর্তন করে জজ্ঞাসা করলাম, ‘ও আবু রাফে’ (চিৎকার করলে কেন) তোমার কী হয়েছে?
সে বলল তোমার মা ধ্বংস হোক (তাড়াতাড়ি আসছো না কেন) কি হল তোমার, কে যেন আমার ঘরে ঢুকেআমাকে আঘাত করেছে। তিনি (আবু আতীক) বলেন, অতঃপর আমি আমার তরবারি তার পেটেরউপর রেখে শরীরের সকল শক্তি দিয়ে এমন জোরে চেপে ধরলাম যে তার (মেরুদণ্ডের) হাড্ডি পর্যন্তগিয়ে ঠেকার শব্দ হল। (এরপর তার চিৎকারে ও বাচ্চাদের কান্নাকাটির শব্দে অন্যরাও জেগে উঠে দরজাখুলতে লাগলো)
অতঃপর আমি ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে সিঁড়ি দিয়ে নেমে আসতে গিয়ে পড়েগেলাম এবং এতে আমার পায়ে প্রচণ্ড আঘাত পেলাম। যাই হোক কোন মতে আমি বেরিয়েএসে আমার সঙ্গীদেরসাথে মিলিত হলাম। আমি তাদেরকে বললাম, যতক্ষণ পর্যন্ত আমি (আবু রাফে’র) মৃত্যু সংবাদ প্রচারকারিণীর ঘোষণা শুনতে না পাই ততক্ষনপর্যন্ত আমি এ স্থান ত্যাগ করবো না। সত্যিই হিজাযের বিখ্যাত ব্যবসায়ী আবুরাফে’র মৃত্যু সংবাদ না শুনে আমি সে স্থান ত্যাগ করলাম না। মৃত্যু সংবাদ যখন আমিশুনলাম তখন আমি দাড়িয়ে গেলাম এবং আমার যেন কোন ব্যথাই ছিলো না। অবশেষে আমিআল্লাহর রসূলের কাছে গিয়ে আবু রাফে’কে হত্যার খবর দিলাম।
(বুখারী হাদিস নং ৩০২২, ৩০২৩, ৪০৩৮-৪০৪০; আধুনিক প্রকাশনীর ছাপায় হাদিস নং২৮০০ এবং ইসলামী ফাউন্ডেশনপ্রকাশিত ছাপায় হাদিস নং ২৮১০)
——————–
আল ইগতিয়াল
মুলঃশায়েখ আবু জান্দাল আল আযদী
——————–
বিস্তারিত জানতে নিচের লিংকে ভিজিট করুন
Bangla Lecture:
Bangla Book PDF:
English Book:
English Lecture:
সুত্র: http://anonym.to/?https://gurabamedia.wordpress.com
Comment