Announcement

Collapse
No announcement yet.

নাওয়াক্বিদুল ইমান গুলোর দলীল প্রয়োজন

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • নাওয়াক্বিদুল ইমান গুলোর দলীল প্রয়োজন

    আস্ সালা-মু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারকা-তুহু

    মুহতারাম ভাইগন!
    একজন দাওরা হাদিস পড়তেছেন এমন ভাই এর সাথে আলোচনা হচ্ছিল মুজাকারা ধরনের। ইমান ভঙ্গের কারণ গুলো আলোচনা আসলো, আমি ১০টা কারণ বললাম, কিন্তু উনি মানতে নারাজ। উনি বলতে চান, কুফর দুই প্রকার, কুফরে ই'তেকাদী কুফরে 'আমি। কুফরে আমলির কারণে কাউকে তাকফির করা যাবেনা। কেউ মুর্তির সামনে মাথা নত করলে তাকে কাফির বলা যাবেনা "তাকফিরের প্রতিবন্ধকতা গুলো না থাকলেও"

    এ ক্ষেত্রে আমার জানতে চাওয়া হলো:
    আমার কাছে নাওয়াকিদুল ইমান ১০টি কুরআনুল কারীম এর দলিল সহ আছে, আমি চাই এগুলো সুন্নাহ ও ফিকহি কিতাবাদীর দলীল সহ জানতে ও ঐ ভাইকে জানাতে। বিশেষ করে হানাফি ফিকহের দলীল সমৃদ্ধ। আল্লাহ তা'আলা আপনাদের ইলমে বারাকাহ দান করুন আমিন!
    হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

  • #2
    وإنما عُدَّ لبس الغيار وشد الزنار ونحوهما كفراً لأنها تدل على التكذيب،এবং নিশ্চিত জিম্বিদের ধর্মীয় নিদর্শন গিয়ার পরিধান করা এবং অগ্নিপূজকদের ধর্মীয় নিদর্শন জিনার পরিধান করাকে কুফর হিসেবে বিবেচনা করা হবে এবং এ ধরনের যা কিছু রয়েছে সবকিছুকেই কুফর হিসেবে বিবেচনা করা হবে কেননা এসব কিছু মিথ্যা প্রতিপন্নের উপর প্রমান বহন করে এবং আল্লাহ তায়ালা বলেন وَلَئِن سَأَلتَهُم لَيَقولُنَّ إِنَّما كُنّا نَخوضُ وَنَلعَبُ ۚ قُل أَبِاللَّهِ وَءايٰتِهِ وَرَسولِهِ كُنتُم تَستَهزِءونَ [65] আর যদি তুমি তাদের কাছে জিজ্ঞেস কর, তবে তারা বলবে, আমরা তো কথার কথা বলছিলাম এবং কৌতুক করছিলাম। আপনি বলুন, তোমরা কি আল্লাহর সাথে, তাঁর হুকুম আহকামের সাথে এবং তাঁর রসূলের সাথে ঠাট্টা করছিলে? [66] لا تَعتَذِروا قَد كَفَرتُم بَعدَ إيمٰنِكُم ۚ إِن نَعفُ عَن طائِفَةٍ مِنكُم نُعَذِّب طائِفَةً بِأَنَّهُم كانوا مُجرِمينَ [66] ছলনা কর না, তোমরা যে কাফের হয়ে গেছ ঈমান প্রকাশ করার পর। তোমাদের মধ্যে কোন কোন লোককে যদি আমি ক্ষমা করে দেইও, তবে অবশ্য কিছু লোককে আযাবও দেব। কারণ, তারা ছিল গোনাহগার । এখানে তাদের ঠাট্টা বিদ্রোহ মুলত আমলি বিষয় এবং এই আমলি বিষয়ের কারণেই আল্লাহ তাদেরকে কাফের বলছেন । কারন এটি তাদেরকে কুফরি করার উপর প্রমান বহন করে । সুতরাং মূর্তির সামনে মাথা নত করার আমলটি যেহেতু কুফরি করার প্রমাণ বহন করে তাই এটি কুফরি।
    পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

    Comment


    • #3
      আপনি এই ভাইকে إكفار الملهدبنকিতাবটি আশা করি জনি দলিল পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ ।

      Comment


      • #4
        ঈমান ভঙ্গের ১০ টি কারণ।

        অজু সালাত/নামাজ ও রোজা ভঙ্গের যেমন কারণ রয়েছে, তেমনি কিছু কারণে ঈমানও নষ্ট হয়ে যায়।

        ঈমান ভঙ্গের কারণগুলো মূলত তিন প্রকার। বিশ্বাসগত, কর্মগত এবং উক্তিগত। প্রত্যেক মুমিনের জন্য ঈমান ভঙ্গের মৌলিক কারণগুলো জানা অতীব জরুরি।
        উলামায়ে কেরাম এ ব্যাপারে অনে
        ক লম্বা আলোচনা করেছেন।

        ১) আল্লাহর সঙ্গে শরিক করা
        ‘নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সঙ্গে অংশীদার করা ক্ষমা করেন না; তা ব্যতীত অন্যান্য অপরাধ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন এবং যে কেউ আল্লাহর সঙ্গে শিরক করে সে এক মহাপাপ করে।’ (সুরা নিসা: ৪৮)

        ‘কেউ আল্লাহর সঙ্গে শিরক করলে অবশ্যই আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করবেন এবং তার আবাস জাহান্নাম। আর জালেমদের জন্য কোনো সাহায্যকারী নেই।’ (সুরা মায়েদা: ৭২)


        ২) নিজের ও আল্লাহর মধ্যে মধ্যস্থতাকারী নির্ধারণ করা
        ‘তারা আল্লাহকে ছাড়া যার ইবাদত করে তা তাদের ক্ষতিও করতে পারে না, উপকারও করতে পারে না। তারা বলে, এরা আল্লাহর নিকট আমাদের সুপারিশকারী। বলুন, তোমরা কি আল্লাহকে আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর এমন কিছুর সংবাদ দিচ্ছ, যা তিনি জানেন না? তিনি মহান, পবিত্র এবং তারা যাকে শরিক করে তা হতে তিনি ঊর্ধ্বে।’ (সুরা ইউনুস: ১৮)

        ‘জেনে রাখ, অবিমিশ্র আনুগত্য আল্লাহরই প্রাপ্য। যারা আল্লাহর পরিবর্তে অন্যকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করে তারা বলে, “আমরা তো এদের পূজা এজন্যই করি যে, এরা আমাদেরকে আল্লাহর সান্নিধ্যে নিয়ে যাবে।” তারা যে বিষয়ে নিজেদের মধ্যে মতভেদ করছে আল্লাহ তার ফয়সালা করে দেবেন। যে মিথ্যাবাদী ও কাফের আল্লাহ তাকে সৎপথে পরিচালিত করেন না।’ (সুরা জুমার: ৩)


        ৩) মুশরিক-কাফেরদের কাফের মনে না করা
        যার কাফের হওয়ার ব্যাপারে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াত একমত, যেমন ইহুদি-খ্রিস্টান-মুশরিক ছাড়াও প্রকাশ্যে আল্লাহ, রাসুল বা দীনের কোনো অকাট্য ব্যাপার নিয়ে কটূক্তিকারী; যাদের কুফরির ব্যাপারে হকপন্থি আলেমগণ একমত। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং তাঁর রাসুলের (কথাকে) অমান্য করবে এবং তাঁর নির্ধারিত সীমা লঙ্ঘন করবে আল্লাহ তাকে জাহান্নামে দাখিল করবেন। সে তাতে চিরকাল থাকবে এবং অবমাননাকর শাস্তি ভোগ করবে।’ (সুরা নিসা: ১৪)

        যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের (স.) কথাকে অবিশ্বাস করে তারা সুন্নাহ ওয়াল জামায়াতের মতে কাফের। আর আমরা যদি তা বিশ্বাস না করি তাহলে আল্লাহ এবং তাঁর রাসুলের কথাকে অবিশ্বাস করার কারণে কাফের হয়ে যাবো। নাউজুবিল্লাহ।

        ৪) নবীজি (স.)-এর ফায়সালার তুলনায় অন্য কারও ফয়সালাকে উত্তম মনে করা
        ‘আপনি কি তাদের দেখেননি, যারা দাবি করে যে, যা আপনার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং আপনার পূর্বে যা অবতীর্ণ হয়েছে, আমরা তার ওপর ঈমান এনেছি। তারা বিচার-ফয়সালা নিয়ে যেতে চায় তাগুতের কাছে, অথচ তাদের প্রতি নির্দেশ হয়েছে, যাতে তারা তাকে মান্য না করে। পক্ষান্তরে শয়তান তাদের প্রতারিত করে পথভ্রষ্ট করে ফেলতে চায়।’ (সুরা নিসা: ৬০)

        ৫) মুহাম্মদ (স.)-এর আনিত কোনো বিধানকে অপছন্দ করা
        ‘অতএব, আপনার পালনকর্তার কসম, সে লোক ঈমানদার হবে না, যতক্ষণ না তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যাপারে আপনাকে বিচারক বলে মনে না করে। এরপর আপনার মীমাংসার ব্যাপারে নিজের মনে কোনো রকম সংকীর্ণতা পাবে না এবং তা সন্তুষ্টচিত্তে কবুল করে নেবে।’ (সুরা নিসা: ৬৫)

        ৬) দীনের কোনো বিধান নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করা
        ‘আপনি তাদের প্রশ্ন করলে তারা নিশ্চয়ই বলবে, ‘আমরা তো আলাপ-আলোচনা ও ক্রীড়া-কৌতূক করছিলাম।’ বলেন, ‘তোমরা কি আল্লাহ, তাঁর আয়াত ও তাঁর রাসুলকে বিদ্রূপ করছিলে?’ তোমরা অজুহাত দেওয়ার চেষ্টা করো না। তোমরা তো ঈমান আনার পর কুফুরি করেছ।” (সুরা তওবা: ৬৫-৬৬)

        ৭) জাদু করা
        ‘সুলায়মান কুফরি করেনি, কুফরি তো করেছিল শয়তানরাই। তারা মানুষকে জাদু শিক্ষা দিত…।’ (সুরা বাকারা: ১০২)

        ৮) মুসলিমদের বিরুদ্ধে মুশরিকদের সমর্থন ও সহযোগিতা করা
        ‘হে মুমিনগণ! তোমাদের পিতা ও ভাইও যদি ঈমানের বিপরীতে কুফরিকে বেছে নেয়, তবে তাদের অন্তরঙ্গরূপে গ্রহণ করো না। তোমাদের মধ্যে যারা তাদের অন্তরঙ্গরূপে গ্রহণ করে, তারাই সীমা লঙ্ঘনকারী।’ (সুরা তাওবা: ২৩)

        ‘হে মুমিনগণ! তোমরা ইহুদি ও খ্রিস্টানদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তারা পরস্পরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে কেউ তাদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করলে সে তাদেরই একজন বলে গণ্য হবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ পাপাচারী সম্প্রদায়কে সৎপথে পরিচালিত করেন না।’ (সুরা মায়েদা: ৫১)
        ৯) কাউকে দীন-শরিয়তের ঊর্ধ্বে মনে করা
        ‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দীন পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দীন হিসেবে মনোনীত করলাম।’ (সুরা মায়েদা: ৩)

        ১০) দীন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া
        ‘যে ব্যক্তি তার রবের আয়াতসমূহ দ্বারা উপদেশপ্ৰাপ্ত হয়ে, আবার তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তার চেয়ে বড় জালেম আর কে? নিশ্চয় আমি অপরাধীদের থেকে প্রতিশোধ গ্রহণকারী। (সুরা সাজদাহ: ২২)

        আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে দীনের সঠিক বুঝ দান করুন। ঈমানহারা হওয়া থেকে রক্ষা করুন। আন্তরিক তওবা ও কালেমা রহমতের চাঁদরে ঘিরে রাখুন। আমিন।
        যে ব্যক্তি নবীকে গালি দেয়,তাকে হত্যা কর।
        জামেউল আহাদীস হাদীস নং-২২৩৬৬

        Comment


        • #5
          Originally posted by Qital team View Post
          ঈমান ভঙ্গের ১০ টি কারণ।

          অজু সালাত/নামাজ ও রোজা ভঙ্গের যেমন কারণ রয়েছে, তেমনি কিছু কারণে ঈমানও নষ্ট হয়ে যায়।

          ঈমান ভঙ্গের কারণগুলো মূলত তিন প্রকার। বিশ্বাসগত, কর্মগত এবং উক্তিগত। প্রত্যেক মুমিনের জন্য ঈমান ভঙ্গের মৌলিক কারণগুলো জানা অতীব জরুরি।
          উলামায়ে কেরাম এ ব্যাপারে অনে
          ক লম্বা আলোচনা করেছেন।

          ১) আল্লাহর সঙ্গে শরিক করা
          ‘নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সঙ্গে অংশীদার করা ক্ষমা করেন না; তা ব্যতীত অন্যান্য অপরাধ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন এবং যে কেউ আল্লাহর সঙ্গে শিরক করে সে এক মহাপাপ করে।’ (সুরা নিসা: ৪৮)

          ‘কেউ আল্লাহর সঙ্গে শিরক করলে অবশ্যই আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করবেন এবং তার আবাস জাহান্নাম। আর জালেমদের জন্য কোনো সাহায্যকারী নেই।’ (সুরা মায়েদা: ৭২)


          ২) নিজের ও আল্লাহর মধ্যে মধ্যস্থতাকারী নির্ধারণ করা
          ‘তারা আল্লাহকে ছাড়া যার ইবাদত করে তা তাদের ক্ষতিও করতে পারে না, উপকারও করতে পারে না। তারা বলে, এরা আল্লাহর নিকট আমাদের সুপারিশকারী। বলুন, তোমরা কি আল্লাহকে আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর এমন কিছুর সংবাদ দিচ্ছ, যা তিনি জানেন না? তিনি মহান, পবিত্র এবং তারা যাকে শরিক করে তা হতে তিনি ঊর্ধ্বে।’ (সুরা ইউনুস: ১৮)

          ‘জেনে রাখ, অবিমিশ্র আনুগত্য আল্লাহরই প্রাপ্য। যারা আল্লাহর পরিবর্তে অন্যকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করে তারা বলে, “আমরা তো এদের পূজা এজন্যই করি যে, এরা আমাদেরকে আল্লাহর সান্নিধ্যে নিয়ে যাবে।” তারা যে বিষয়ে নিজেদের মধ্যে মতভেদ করছে আল্লাহ তার ফয়সালা করে দেবেন। যে মিথ্যাবাদী ও কাফের আল্লাহ তাকে সৎপথে পরিচালিত করেন না।’ (সুরা জুমার: ৩)


          ৩) মুশরিক-কাফেরদের কাফের মনে না করা
          যার কাফের হওয়ার ব্যাপারে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াত একমত, যেমন ইহুদি-খ্রিস্টান-মুশরিক ছাড়াও প্রকাশ্যে আল্লাহ, রাসুল বা দীনের কোনো অকাট্য ব্যাপার নিয়ে কটূক্তিকারী; যাদের কুফরির ব্যাপারে হকপন্থি আলেমগণ একমত। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং তাঁর রাসুলের (কথাকে) অমান্য করবে এবং তাঁর নির্ধারিত সীমা লঙ্ঘন করবে আল্লাহ তাকে জাহান্নামে দাখিল করবেন। সে তাতে চিরকাল থাকবে এবং অবমাননাকর শাস্তি ভোগ করবে।’ (সুরা নিসা: ১৪)

          যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের (স.) কথাকে অবিশ্বাস করে তারা সুন্নাহ ওয়াল জামায়াতের মতে কাফের। আর আমরা যদি তা বিশ্বাস না করি তাহলে আল্লাহ এবং তাঁর রাসুলের কথাকে অবিশ্বাস করার কারণে কাফের হয়ে যাবো। নাউজুবিল্লাহ।

          ৪) নবীজি (স.)-এর ফায়সালার তুলনায় অন্য কারও ফয়সালাকে উত্তম মনে করা
          ‘আপনি কি তাদের দেখেননি, যারা দাবি করে যে, যা আপনার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং আপনার পূর্বে যা অবতীর্ণ হয়েছে, আমরা তার ওপর ঈমান এনেছি। তারা বিচার-ফয়সালা নিয়ে যেতে চায় তাগুতের কাছে, অথচ তাদের প্রতি নির্দেশ হয়েছে, যাতে তারা তাকে মান্য না করে। পক্ষান্তরে শয়তান তাদের প্রতারিত করে পথভ্রষ্ট করে ফেলতে চায়।’ (সুরা নিসা: ৬০)

          ৫) মুহাম্মদ (স.)-এর আনিত কোনো বিধানকে অপছন্দ করা
          ‘অতএব, আপনার পালনকর্তার কসম, সে লোক ঈমানদার হবে না, যতক্ষণ না তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যাপারে আপনাকে বিচারক বলে মনে না করে। এরপর আপনার মীমাংসার ব্যাপারে নিজের মনে কোনো রকম সংকীর্ণতা পাবে না এবং তা সন্তুষ্টচিত্তে কবুল করে নেবে।’ (সুরা নিসা: ৬৫)

          ৬) দীনের কোনো বিধান নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করা
          ‘আপনি তাদের প্রশ্ন করলে তারা নিশ্চয়ই বলবে, ‘আমরা তো আলাপ-আলোচনা ও ক্রীড়া-কৌতূক করছিলাম।’ বলেন, ‘তোমরা কি আল্লাহ, তাঁর আয়াত ও তাঁর রাসুলকে বিদ্রূপ করছিলে?’ তোমরা অজুহাত দেওয়ার চেষ্টা করো না। তোমরা তো ঈমান আনার পর কুফুরি করেছ।” (সুরা তওবা: ৬৫-৬৬)

          ৭) জাদু করা
          ‘সুলায়মান কুফরি করেনি, কুফরি তো করেছিল শয়তানরাই। তারা মানুষকে জাদু শিক্ষা দিত…।’ (সুরা বাকারা: ১০২)

          ৮) মুসলিমদের বিরুদ্ধে মুশরিকদের সমর্থন ও সহযোগিতা করা
          ‘হে মুমিনগণ! তোমাদের পিতা ও ভাইও যদি ঈমানের বিপরীতে কুফরিকে বেছে নেয়, তবে তাদের অন্তরঙ্গরূপে গ্রহণ করো না। তোমাদের মধ্যে যারা তাদের অন্তরঙ্গরূপে গ্রহণ করে, তারাই সীমা লঙ্ঘনকারী।’ (সুরা তাওবা: ২৩)

          ‘হে মুমিনগণ! তোমরা ইহুদি ও খ্রিস্টানদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তারা পরস্পরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে কেউ তাদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করলে সে তাদেরই একজন বলে গণ্য হবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ পাপাচারী সম্প্রদায়কে সৎপথে পরিচালিত করেন না।’ (সুরা মায়েদা: ৫১)
          ৯) কাউকে দীন-শরিয়তের ঊর্ধ্বে মনে করা
          ‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দীন পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দীন হিসেবে মনোনীত করলাম।’ (সুরা মায়েদা: ৩)

          ১০) দীন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া
          ‘যে ব্যক্তি তার রবের আয়াতসমূহ দ্বারা উপদেশপ্ৰাপ্ত হয়ে, আবার তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তার চেয়ে বড় জালেম আর কে? নিশ্চয় আমি অপরাধীদের থেকে প্রতিশোধ গ্রহণকারী। (সুরা সাজদাহ: ২২)

          আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে দীনের সঠিক বুঝ দান করুন। ঈমানহারা হওয়া থেকে রক্ষা করুন। আন্তরিক তওবা ও কালেমা রহমতের চাঁদরে ঘিরে রাখুন। আমিন।
          অনেক অনেক জাযা-কাল্ল-হু খইরন আহসানাল জাযা ভাইজান
          হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

          Comment


          • #6
            খুবই দরকারি পোস্ট, জাযাকুমুল্লাহ

            Comment


            • #7
              আজকে আমরা অজু ভঙ্গের কারণ, নামাজ ভঙ্গের কারণ নিয়ে খুব সচেতন হলেও ঈমান ভঙ্গের কারণ নিয়ে আমাদের বেশ উদাসীনতা দেখা যায়, অথচ এটাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহ আমাদের সকলকে ঈমান ভঙ্গের কারণসমূহ জেনে তা থেকে বেঁচে থাকার তৌফিক দান করুন, আমিন

              Comment


              • #8
                নাওয়াক্বীদুল ঈমানের আলোচনা ব্যাপক আকারে সমাজের মধ্যে প্রচলন করা জরুরি, আল্লাহ তাআলা আমাদের তৌফিক দান করুন, আমিন

                Comment


                • #9
                  ঈমান ভঙ্গের কারণ আমাদের প্রত্যেক মুসলিমের জানা অবশ্য কর্তব্য, আল্লাহ আমাদের তৌফিক দান করুক, আমিন

                  Comment


                  • #10
                    মূর্তির সামনে মাথা নত করলেও ঈমান ভঙ্গ হয় না, আল্লাহ আপনি আমাদের সকলকে এমন বিভ্রান্তিমূলক বিধ্বংসী আক্বীদা থেকে হেফাজত করুন, আমিন
                    Last edited by Munshi Abdur Rahman; 01-03-2023, 08:56 AM.

                    Comment

                    Working...
                    X