Announcement

Collapse
No announcement yet.

বহুমুখী নিয়ত নিয়ে সংশয়।

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • বহুমুখী নিয়ত নিয়ে সংশয়।

    আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু।

    আমরা জানি যেকোন কাজ করার আগে তার উদ্দেশ্য, অর্থাৎ নিয়ত বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে কোন একটি কাজ করার উদ্দেশ্য যদি দুনিয়া ও আখিরাত উভয় হয় তাহলে সে কাজের জন্য কি সওয়াবের আশা করা যেতে পারে!!
    যেমন, কেউ যদি এই নিয়তে লেখাপড়া করে যে, এই জ্ঞান আমি ইসলামের উপকারে কাজে লাগাব, সাথে সাথে এটি আমার দুনিয়াবি প্রয়োজন মেটাবে। তাহলে এই উভমুখী নিয়তের দ্বারা কি সে কোন সওয়াবের আশা করতে পারে? একইভাবে ধরুন, কেউ ইংরেজিতে লেখা কোন ইসলামিক বই যদি এই নিয়তে পড়ে যে, এতে আমার ইসলাম সম্পর্কে জানা হবে সাথে সাথে ইংরেজিতেও দক্ষতা বাড়বে। এ ধরনের নিয়ত কি ইসলামে গ্রহণযোগ্য??
    We'll win or die, we'll never surrender
    -Omar Mukhtar

  • #2
    আসলে ভাই আমাদের জন্য উচিত হলো সহজ করে নিয়ত করা। আপনি যেকোন কাজকে আল্লাহর জন্য করতে পারেন। আবার কিছু বিষয় আছে যা শুধু আল্লাহর জন্য হওয়া জরুরি। যেমন ইবাদতে মাকসুদা, যেমনঃ নামায রোজা, হজ্ব, যাকাত,দান ছদাকা, জিহাদ। কিছু আছে দুনিয়ার সাথে সম্পর্কযুক্ত, সেগুলোও আল্লাহর জন্য করার নিয়ত করা তাহলে সাওয়াব পাওয়া যাবে। ইংরেজিতে ইসলামের কোন বিষয় জানলে সাথে ইংরেজির জ্ঞান অর্জন হলে দোষের কী আছে??? আপনি দ্বীনি ইলম অর্জনের নিয়ত করুন, বাকী ইংরেজিও জানা হয়ে গেলো।
    বিলাসিতা জিহাদের শুত্রু,শাইখ উসামা রাহ।

    Comment


    • #3
      ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।
      মাশাআল্লাহ, সুন্দর প্রশ্ন করেছেন ভাই...
      আমার মনে হয়- এমন নিয়্যাত শরীয়তের দৃষ্টিতে গ্রহনযোগ্য হতে পারে এবং এই কাজের দ্বারা সওয়াবেরও আশা করা যেতে পারে। তবে আমার খেয়াল হলো: শুধু আখিরাতের নিয়্যাতটাই করা এবং এটাই মুখ্য হওয়া উচিত। পাশাপাশি দুনিয়াবী ফায়েদা যদি হাসিল হয়ে যায়, তাহলে তো কোন সমস্যা নেই, ইনশা আল্লাহ। যেমন দরুন- আমরা নামায আদায় করি। এখানে নিয়্যাত তো এটাই যে, আল্লাহ হুকুম পালনার্থে আদায় করছি। বাকি এর দ্বারা তো কিছু ব্যায়ামও হয়ে যায়। কিন্তু ব্যায়াম তো মুখ্য বিষয় নয়। বরং এটা এমনিতেই হয়ে যায়। বাকি কেউ যদি ব্যায়ামের নিয়্যাতে নামায পড়ে, তাহলে সে কাফির হয়ে যাবে মনে হয়। আল্লাহু আ‘লাম
      আশা করি বিজ্ঞ ভাইয়েরা আরো দলিলভিত্তিক জবাব দিবেন, ইনশা আল্লাহ। আপনি অপেক্ষা করুন ভাই....
      ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

      Comment


      • #4
        ১৫০০০/ বাজেটে কোন মোবাইলটি ভালো হবে। উল্লেখ্য নেট স্পিড, ব্যাটারি, মেমোরিকে প্রাধান্য দিচ্ছি।
        সম্মান নেইকো নাচে গানে,
        আছে মর্যাদা বিনিদ্র রজনী ও রণে।

        Comment


        • #5

          ইবাদত ও শরয়ী ইলম অর্জনের ক্ষেত্রে মূল নিয়ত থাকতে হবে আল্লাহ তায়ালার সন্তুুষ্টি ও আখেরাতের সওয়াব। পাশাপাশি যদি দুনিয়াবী কোন লাভের নিয়ত থাকে তবে সমস্যা নেই। কিন্তু যদি মূল নিয়তই হয় দুনিয়াবী ফায়েদা, সওয়াবের নিয়ত একেবারেই না থাকে বা তা গৌণ হয় তবে গুনাহ হবে। ইমাম সারাখসী রহ. বলেন,
          ذكر عن أبي هريرة رضي الله عنه: «أن رجلا سأل النبي عليه السلام، فقال: رجل يريد الجهاد في سبيل الله، وهو يريد عرض الدنيا؟ فقال عليه السلام: لا أجر له». ثم قال: (وتأويل الحديث من وجهين: أحدهما: أن يُرِى الخارج من نفسه أنه يريد الجهاد، ومراده في الحقيقة: إصابة المال، فهذا حال المنافقين في ذلك الوقت، وهذا لا أجر له. والثاني: أن المراد أن يخرج على قصد الجهاد، ويكون معظم مقصوده تحصيل المال في الدنيا، لا نيل الثواب في الآخرة. وفي حال مثله قال عليه السلام: «ومن كانت هجرته إلى دنيا يصيبها أو إلى امرأة يتزوجها فهجرته إلى ما هاجر إليه». وقال للذي استُؤجر على الجهاد بدينارين: «إنما لك ديناراك في الدنيا والآخرة». فأما إذا كان معظم مقصوده الجهاد، وهو يرغب في ذلك في الغنيمة، فهو داخل في جملة ما قال الله تعالى: {لَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ أَنْ تَبْتَغُوا فَضْلًا مِنْ رَبِّكُمْ} يعني التجارة في طريق الحج. فكما أن هناك لا يحرم ثواب الحج فهاهنا لا يحرم ثواب الجهاد).

          পক্ষান্তরে দুনিয়াবী কাজ বা শিক্ষার মধ্যে যদি আখেরাতের নিয়ত থাকে তবে তাতেই সওযাব হবে ইনশাআল্লাহ। চাই তা মৌলিক হোক বা গৌণ তাতে কোন সমস্যা নেই। যেমন আলেমগণ বলেছেন, কেউ যদি এ নিয়তে ঘুমায় বা খাবার খায় যে, এর দ্বারা আমি ইবাদত করার শক্তি পাবো, তবে তাতে সওয়াব পাওয়া যাবে। সহিহ বুখারী ও মুসলিমের হাদিসে এসেছে, মুয়াজ রাযি. আবু মুসা আশআরী রাযি.কে প্রশ্ন করেন, ওহে আবদুল্লাহ! আপনি কিভাবে কুরআন তিলাওয়াত করেন? তিনি বললেন, আমি (রাত-দিনের সব সময়ই) কিছুক্ষন পরপর কিছু অংশ করে তেলাওয়াত করে থাকি। তিনি বললেন, আর আপনি কিভাবে তিলাওয়াত করেন, হে মু’আয? উত্তরে তিনি বললেন, আমি রাতের প্রথম ভাগে শুয়ে পড়ি এবং নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত নিদ্রা যাওয়ার পর আমি উঠে পড়ি। এরপর আল্লাহ্ আমাকে যতটুকু তাওফীক দান করেন তিলাওয়াত করতে থাকি। (এ পদ্ধতি অবলম্বন করে) আমি আমার নিদ্রার অংশকেও সাওয়াবের বিষয় বলে মনে করি, যেভাবে আমি আমার তিলাওয়াতকে সাওয়াবের বিষয় বলে মনে করে থাকি।
          فقال: يا عبد الله، كيف تقرأ القرآن؟ قال: أتفوقه تفوقا، قال: فكيف تقرأ أنت يا معاذ؟ قال: أنام أول الليل، فأقوم وقد قضيت جزئي من النوم، فأقرأ ما كتب الله لي، فأحتسب نومتي كما أحتسب قومتي
          الجهاد محك الإيمان

          জিহাদ ইমানের কষ্টিপাথর

          Comment


          • #6
            Originally posted by Haydar Ali View Post
            আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু।

            আমরা জানি যেকোন কাজ করার আগে তার উদ্দেশ্য, অর্থাৎ নিয়ত বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে কোন একটি কাজ করার উদ্দেশ্য যদি দুনিয়া ও আখিরাত উভয় হয় তাহলে সে কাজের জন্য কি সওয়াবের আশা করা যেতে পারে!!
            যেমন, কেউ যদি এই নিয়তে লেখাপড়া করে যে, এই জ্ঞান আমি ইসলামের উপকারে কাজে লাগাব, সাথে সাথে এটি আমার দুনিয়াবি প্রয়োজন মেটাবে। তাহলে এই উভমুখী নিয়তের দ্বারা কি সে কোন সওয়াবের আশা করতে পারে? একইভাবে ধরুন, কেউ ইংরেজিতে লেখা কোন ইসলামিক বই যদি এই নিয়তে পড়ে যে, এতে আমার ইসলাম সম্পর্কে জানা হবে সাথে সাথে ইংরেজিতেও দক্ষতা বাড়বে। এ ধরনের নিয়ত কি ইসলামে গ্রহণযোগ্য??
            এ ক্ষেত্রে আপনি নিয়তের যে দিক প্রধান্য দিবেন তা ধরতব্য হবে

            Comment

            Working...
            X