Announcement

Collapse
No announcement yet.

পার্লামেন্ট মেম্বার (সংসদ সদস্য) ও সরকারী কর্মচারীদের তাকফীর সংক্রান্ত বিষয়ে মিম্বারুত তাওহীদের দু’টি সুওয়াল-জওয়াব (গুরুত্বপূর্ণ)

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • পার্লামেন্ট মেম্বার (সংসদ সদস্য) ও সরকারী কর্মচারীদের তাকফীর সংক্রান্ত বিষয়ে মিম্বারুত তাওহীদের দু’টি সুওয়াল-জওয়াব (গুরুত্বপূর্ণ)

    ما حكم نواب المجلس التشريعي الحمساوي وأفراد الحكومة ؟
    رقم السؤال: 953 القسم : العقيده
    تاريخ النشر: 16 /12/2009 المجيب: اللجنة الشرعية في المنبر
    السؤال :
    السلام عليكم ورحمة الله وبركاته..شيخنا الفاضل:
    هل نواب المجلس التشريعي الحمساوي والوزراء مرتدون كفار بأعيانهم؟؟ المبدلين لشرع الله ؟ المتلبسين والواقعين في الشرك الأكبر , كما قرأنا لأئمة الدعوة النجدية أنهم لا يعذرون بالجهل في الشرك الأكبر فهل يكونوا كفار أم لا؟؟
    هل أفراد الحكومة مرتدون أم أنهم يعذرون بجهلهم؟؟ بارك الله فيكم.
    السائل: سلفي جهادي
    * * *
    الجواب:
    وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته..
    الحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله وعلى آله وصحبه وبعد..
    بداية: لا فرق بين نواب حماس أو نواب فتح أو النواب المستقلين أو نواب أدعياء السلفية أو غيرهم في هذا الباب، مادامت حقيقة النيابة واحدة، وهي: التشريع وفقا لدين الديمقراطية، والتحاكم إلى القوانين الوضعية، والقسم على احترامها، والولاء لها قبل الشروع في الوظيفة التشريعية؛ فالعضو نتيجة لهذا القسم يحترم جميع التشريعات الكفرية التي ستشرعها وتقرها الأكثرية، حتى ولو لم يشارك في تشريعها، أو يوافق عليها؛ لأنه أقسم على ذلك، وهذه حقيقة دين الديمقراطية (حاكمية الجماهير).
    فهذا الأمر يجب أن يكون واضحًا عند الجميع؛ فمن ارتكب الكفر أو الشرك يكفر سواء أكان من حزب إسلامي أو حزب عَلماني أو حزب إلحادي.
    ثانيًا: نواب ووزراء حكومة حماس أو غيرها من الحكومات التي تشرع التشريعات الكفرية، وتحكم بغير ما أنزل الله مرتدون بأعيانهم؛ لأنهم ارتكبوا الشرك الأكبر بممارستهم خاصية التشريع التي هي لله وحده، لهذا فهم لا يُعذرون إلا بالإكراه، وهو غير متحقق؛ لأنهم دخلوا المجالس الشركية باختيارهم.
    ثالثًا: جيوش الحكومات الطاغوتية - بما فيهم حكومة حماس - وشرطتها وجميع أجهزتها الأمنية هم مرتدون بأعيانهم؛ لأنهم هم الذين ينصرون الطواغيت، ويتولونهم، ويثبِّتون أركان حكمهم بغير ما أنزل الله ، وينفذون القوانين الوضعية والدساتير الكفرية، وينصرونها، ويرتكبون غير ذلك من الكفريات الظاهرة، فحكم جند الطاغوت هو حكم الطاغوت نفسه؛ قال تعالى: {إِنَّ فِرْعَوْنَ وَهَامَانَ وَجُنُودَهُمَا كَانُوا خَاطِئِينَ} [القصص: 8]، وقال تعالى: {وَقَالُوا رَبَّنَا إِنَّا أَطَعْنَا سَادَتَنَا وَكُبَرَاءَنَا فَأَضَلُّونَا السَّبِيلَا} [الأحزاب: 67]، وقال تعالى: {الَّذِينَ آمَنُوا يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَالَّذِينَ كَفَرُوا يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ الطَّاغُوتِ} [النساء: 76]، ولا يخرج من هذا الحكم إلا من علمنا في حقه مانعا شرعيًّا معتبرًا لا مُتوهمًا.
    رابعًا: باقي أفراد الحكومة: كموظفي التعليم والصحة والخدمات الاجتماعية والأوقاف وغيرها لا يكفرون إلا إذا ارتكبوا كفرًا صراحًا بواحًا..هذا؛ وبالله تعالى التوفيق.

    إجابة عضو اللجنة الشرعية :
    الشيخ أبو الوليد المقدسي
    ----------------------------------
    হামাসের আইন প্রণয়ন পরিষদের সদস্যগণ এবং সরকারী কর্মচারীদের বিধান কী?
    প্রশ্ন নং: ৯৫৩
    বিষয়: আকীদা।
    তারিখ : ১৬/১২/২০০৯
    উত্তর প্রদানে- আল্লাজনাতুশ শারইয়্যাহ ফিল মিম্বার।
    প্রশ্ন:
    আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। প্রিয় শাইখ! হামাসের মজলিসে তাশরিঈর সদস্যবর্গ এবং পার্লামেন্ট মেম্বারদের ব্যাপারে শরীয়তের ফায়সালা কি? তারা কি সবাই সরাসরি কুফফার, মুরতাদ? আল্লাহর শরীয়তের পরিবর্তনকারী? শিরকে আকবরে নিমজ্জিত? তাদের ওজর কি গ্রহনযোগ্য নয়? যেমনটি আমরা নজদি দাওয়ার ইমামদের থেকে দেখেছি যে, তারা শিরকে আকবারের ক্ষেত্রে মূর্খতার ওজরকে গ্রহন করে না। তাই তারা কি সরাসরি কাফের হবে নাকি ভিন্ন কিছু?
    হামাস হুকুমতের সদস্যরা কি মুরতাদ নাকি তাদেরকে মূর্খতার কারণে মাজুর ধরা হবে?
    আল্লাহ তায়ালা আপনাদের ইলমে বারাকাহ দান করুন।
    প্রশ্নকারী: সালাফী জিহাদী।

    * * *

    জবাব:
    وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته.
    الحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله وعلى آله وصحبه وبعد..
    প্রথমত: এক্ষেত্রে হামাসের নেতৃবৃন্দ হোক কিংবা ফাতাহর কিংব সতন্ত্র পার্টির কিংবা সালাফী দায়ীদের, সকলের হুকুম এক্ষেত্রে এক ও অভিন্ন। যতক্ষণ তাদের নেতৃত্বের ধরণ এক থাকবে, তাদের হুকুমও এক থাকবে। আর তা হলো, গণতন্ত্র ধর্মের আলোকে আইন প্রনয়ন করা, প্রচলিত আইনের ধারস্থ হওয়া এবং সেগুলোর সম্মান রক্ষার শপথ করা। আইন প্রণয়নের কাজ শুরু করার আগে সেগুলোর প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করা। এই কুফুরী পার্লামেন্টের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করা এবং তার সম্মান রক্ষা করার শপথ গ্রহনের কারণে, পার্লামেন্টের প্রতিটি সদস্য সামনে যে শরীয়াহ বিরোধী আইন পাশ হবে এবং যার প্রতি অধিকাংশের সমর্থন থাকবে, তা সকল সদস্য মেনে নিতে বাধ্য থাকবে। যদিও সে সেই আইন প্রণয়ন কাজে শরীক না থাকে, এবং মন থেকে তা মেনে না নেয়। কারণ সে শুরুতেই এই বিষয়ে শপথ করে এসেছে এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে পার্লামেন্ট মেম্বার হয়েছে। এটাই হলো গণতন্ত্র ধর্মের হাকীকত।
    এই বিষয়টি সকলের কাছে সুষ্পষ্ট থাকা আবশ্যক। কারণ যে কুফুর ও শিরকে লিপ্ত হলো, তাকে অবশ্যই কাফের বলা হবে, চাই সে কোন ইসলামী দলের হোক, কিংবা সেক্যুলার গ্রুপের হোক বা ধর্মহীন গ্রুপের হোক।

    দ্বিতীয়ত: হামাস প্রশাসন এর মন্ত্রীবর্গ এবং তাদের প্রতিনিধিবৃন্দ এবং এ জাতীয় অন্যান্য দল; যারা কুফুরী কানুন রচনা করে এবং আল্লাহর নাযিলকৃত বিধান ছাড়া অন্য বিধান দ্বারা ফায়সালা করে তারা সুষ্পষ্ট কাফের ও মুরতাদ। কারণ তারা শিরকে আকবরে লিপ্ত হয়েছে। কারণ তারা তাশরীঅ তথা বিধান প্রণয়নের অধিকারে হাত দিয়েছে, যা একমাত্র আল্লাহ তায়ালার অধিকার। এক্ষেত্রে তারা একেবারেই মাজুর নয়। যতক্ষণ না তাদেরকে বাধ্য করা হবে। আর এটাতো এখানে পাওয়া যায়নি। কারণ তারা তো শিরকী পার্লামেন্টে কারো জোরাজুরিতে আসেনি। বরং স্বেচ্ছায় এসেছে।

    তৃতীয়ত: তাগুতি প্রশাসনের বাহিনীসমূহ - যাদের মাঝে হামাসও রয়েছে - তাদের পুলিশ বাহিনী এবং তাদের সকল নিরাপত্তা সেক্টর, তারা সকলেই মুরতাদ। কারণ তারা তাগুতদেরকে সাহায্য করে। তাদেরকে বন্ধু বানায় এবং আল্লাহর বিধান ছাড়া অন্য বিধান দ্বারা ফায়সালাকারীদের অটল রাখে, নিজেদের শক্তি দিয়ে প্রচলিত কানুনকে এবং কুফুরী আইনকে বাস্তবায়ন করে এবং তার সমর্থন যোগায়, এছাড়াও অন্যান্য অনেক ধরনের কুফুরী কাজে লিপ্ত থাকে, তাগুতের হুকুম আর তাগুত বাহিনীর হুকুম একই। আল্লাহ তায়ালা বলেন-
    {إِنَّ فِرْعَوْنَ وَهَامَانَ وَجُنُودَهُمَا كَانُوا خَاطِئِينَ} [القصص: 8]
    “নিশ্চয়ই ফেরাউন, হামান এবং তাদের বাহিনী (সবাই) অপরাধী।” (সূরা কাসাস : ৮)
    অন্যত্র আল্লাহ তায়ালা বলেন-
    {وَقَالُوا رَبَّنَا إِنَّا أَطَعْنَا سَادَتَنَا وَكُبَرَاءَنَا فَأَضَلُّونَا السَّبِيلَا} [الأحزاب: 67]
    “আর তারা বলবে, হে আমাদের রব! আমরা তো আমাদের নেতা এবং বড়দের অনুসরণ করেছি, ফলে তারা আমাদের পথহারা করেছে।” (সূরা আহযাব : ৬৮)
    আরও বলেন-
    {الَّذِينَ آمَنُوا يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَالَّذِينَ كَفَرُوا يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ الطَّاغُوتِ} [النساء: 76]
    যারা ঈমান এনেছে তারা আল্লাহর পথে কিতাল করে, আর যারা কাফের তারা তাগুতের পথে কিতাল করে।” (সূরা নিসা : ৭৬)
    এই হুকুম এর আওতায় সবাই আসবে, তবে যার ব্যাপারে আমরা সুষ্পষ্টভাবে জানবো যে, তার তাকফীরের পথে কোন গ্রহনযোগ্য ওজর রয়েছে, তার হুকুম ভিন্ন ও ব্যতিক্রম।

    চতুর্থত: সরকারের অন্যান্য সেক্টরের কর্মচারীবৃন্দ। যেমন- শিক্ষা অফিসার, স্বাস্থসেবাকর্মী, সমাজকর্মী, ওয়াকফ বিভাগে চাকরিরত কর্মকর্তা, তাদেরকে ঢালাওভাবে তাকফীর করা হবে না; যতক্ষণ না কোন সুষ্পষ্ট কুফুরী কাজে লিপ্ত না হয়।
    আল্লাহ তায়ালাই ভালো জানেন।

    উত্তর প্রদানে-
    শাইখ আবুল ওয়ালিদ আল মাকদিসী
    আল্লাজনাতুশ শারইয়্যার সদস্য।

    -------------------------------------------------------------------------------------------
    هل نعتبر كل نواب البرلمانات كفار ؟
    رقم السؤال: 71 القسم : العقيده
    تاريخ النشر: 28/9/2009 المجيب: اللجنة الشرعية في المنبر
    نص السؤال:
    السلام عليكم ...
    هل نعتبر كل نواب البرلمانات كفار لأنهم مشرعين من دون الله بما في ذلك نواب حماس أو الإخوان المسلمين عموماً ممن لديهم تأويل .أرجو من الشيخ إفادتنا و جزاه الله خيراً.
    السائل: الليث الليبي
    ***
    الجواب:
    أخي السائل بارك الله فيك..
    لا بد أن نقرر أولا أمرا متفقا عليه- بين علماء التوحيد والجهاد على الأقل ومن وافقهم من غيرهم- لا يصح الخلاف فيه وهو أن الانتخابات البرلمانية التشريعية التي يكون فيها النائب مشرعا من دون الله هو شرك وكفر بالله وأن من وقع في شيء من ذلك فقد وقع في الكفر والعياذ بالله ...
    هذا بالنسبة لكفر الفعل أو التكفير المطلق أما تكفير المعين على الإطلاق فهو مما اختلفت فيه الأنظار والاختلاف في ذلك يرجع إلى الاختلاف في فهم قاعدة العذر بالجهل والتأويل ومدى تطبيقهاوتحقيق المناط في المعين من وجود الوصف المكفر وتوافر الشروطوانتفاء الموانع ...وهذا الاختلاف في تكفير المعين هو فيمن كان كحال الذين ذكرتهم من اعتمادهم على التأويل فهو وإن كان تأويلا فاسدا باتفاق إلا أن الخلاف في اعتبار هذا التأويل مانعا من موانع التكفير من عدمه... وإن كان الخلاف في تكفير المعين مما لا يضلل لأجله الإنسان فالذي قد يكفره عالم أو طالب علم لأنه توافرت عنده في حقه شروط التكفير وانتفت موانعه قد لا يكفره آخر لأنه يعتقد بوجود مانع من موانع التكفير في حقه ...
    وأنصحك أخي السائل بالرجوع إلى أول فصول كتاب "الرسالة الثلاثينية في التحذير من الغلو في التكفير" للشيخ أبي محمد المقدسي حفظه اللهوالتي تكلم فيها عن موانع التكفير وإلى جوابه عن فتوى حول حكم الشيخين عباس مدني وعلي بلحاج عندما نزلا إلى الانتخابات النيابية في الجزائر فهي مهمة في هذا الباب، وكذلك إلى رسالة الشيخ أبي قتادة فك الله أسره الموسومة بعنوان" أهل القبلة والمتأولون " فهي مهمة أيضا ...والله الموفق .

    ------------------------------------------------------------------
    আমরা কি সকল পার্লামেন্ট মেম্বারদের (সংসদ সদস্যদের)-কে কুফফার গণ্য করবো?

    প্রশ্ন নং ৭১
    বিষয়: আকীদা।
    তারিখ : ২৮/৯/২০০৯
    উত্তর প্রদানে- আল্লাজনাতুশ শারইয়্যাহ ফিল মিম্বার।

    প্রশ্নের বিবরণ-
    আসসালামু আলাইকুম......
    আমরা কি সকল পার্লামেন্ট মেম্বারকে কুফ্ফার গণ্য করবো। কারণ তারা আল্লাহর বিধান বাদ দিয়ে নিজেরা বিধান রচনা করছে। যেমনটা সাধারণত হামাস নেতৃবৃন্দ এবং ইখওয়ান নেতৃবৃন্দ করে থাকে।
    যাদের কাছে তাবীল রয়েছে। আমরা শাইখের কাছে এই বিষয়ে সমাধান চাই, আল্লাহ তায়ালা শাইখকে জাজায়ে খায়ের দান করুন।
    প্রশ্নকারী: আললাইছ আললিবী।

    জবাব:
    প্রশ্নকারী ভাই, আল্লাহ আপনাকে বারাকাহ দান করুন।
    আমরা আগে একটি বিষয় নির্ধারণ করে নেই, যে বিষয়ে ওলামায়ে তাওহীদ ও জিহাদ এবং তাদের সমর্থক সবাই একমত এবং তাদের কারো কাছে এই বিষয়ে ভিন্নমত নেই। তা হলো- বিধান রচনাকারী সেসব পার্লামেন্টের নির্বাচন যেখানে নির্বাচিত ব্যক্তি বা দল আল্লাহর বিধান বাদ দিয়ে নিজের থেকে রচনার অধিকার লাভ করে, তা সুষ্পষ্ট কুফুর ও আল্লাহর সাথে শিরক। যে এ কাজে লিপ্ত হলো সে সুষ্পষ্ট শিরকে পতিত হলো। আল ইয়াজু বিল্লাহ।
    এটা হলো কুফরুল ফেল বা তাকফীরে মুতলাক। আর তাকফীরে মুআইয়ান বা নির্দিষ্ট করে কুফুর ফতোয়া প্রদানের বিষয়ে বিভিন্ন ধরণের দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। এই বিষয়ে ভিন্ন মত থাকার কারণ হলো- العذر بالجهل والتأويلএই কায়েদা বুঝার ক্ষেত্রে, তার প্রয়োগক্ষেত্র নির্ধারণের ক্ষেত্রে এবং নির্দিষ্ট ব্যক্তি বিশেষের মাঝে সেই ওজর পাওয়া গিয়েছে কিনা, তা নির্ধারণের ক্ষেত্রে ইত্যাদি বিষয়ে ইখতিলাফ হয়ে যাবার কারণে। তাকফীরে মুআইয়ান নিয়ে এই ইখতিলাফ সেই ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে যারা তাবীলের উপর নির্ভর করে। যদিও তা ফাসেদ তাবীল হোক না কেন। তবে শুধু ইখতিলাফ হলো সেই তাবীল টাকে মানে তাকফীর বা তাকফীরের প্রতিবন্ধক ধরা হবে কি হবে না তা নিয়ে।
    আরেকটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে, তাকফীরে মুআইয়ান নিয়ে ইখতিলাফ দেখে ধোঁকাগ্রস্ত হবার দরকার নেই। কারণ হতে পারে কোন ব্যক্তিকে কোন আলেম বা তালিবে ইলম তাকফীর করলো, তার কাছে তাকফীরের সকল শর্ত পাওয়া যাবার কারণে এবং তাকফীরের কোন প্রতিবন্ধকতা না থাকার কারণেকিন্তু হতে পারে তাকেই অন্য কোন আলেম তাকফীর করবে না; এই ধারণায় যে, হতে পারে এখানে তাকফীরের কোন প্রতিবন্ধকতা আছে। (কিন্তু তার ধারণা শতভাগ সঠিক নাও হতে পারে। )
    প্রিয় প্রশ্নকারী ভাই আমার, আমি আপনাকে নসীহত করছি, আপনি শাইখ আবু মুহাম্মদ আলমাকদিসী হাফি. এর কিতাব الرسالة الثلاثينية في التحذير من الغلو في التكفير(তাকফীরের ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি থেকে সতর্কীকরণ ‘ত্রিশা পুস্তিকা’ –এই নামে কিছু অনুবাদ ফোরামে পাওয়া যাবে)
    এর প্রথম দিকের অধ্যায়গুলো মুতালাআ করুন। সেখানে তিনি তাকফীরের মাওয়ানেঅ’ তথা তাকফীরের প্রতিবন্ধকতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। শাইখ আব্বাস মাদানী এবং আলী বালহাজ যখন আলজেরিয়ার পার্লামেন্ট নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন, তখন তাদের ব্যাপারে যে হুকুম দেওয়া হয়েছে, তার জবাব নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। এই কিতাবটি এই বিষয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ । এমনিভাবে শাইখ আবু কাতাদা ফিলিস্তিনি ফাক্কাল্লাহু আসরাহু এর লিখিত- أهل القبلة والمتأولون (আহলুল কিবলা ও তাবীলকারীরা - এই নামে বাংলা অনুবাদ হয়েছে। ফোরামে সার্চ করলে পাবেন ইনশাআল্লাহ) এই কিতাবটিও মুতালাআ করা যেতে পারে। তাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহ তায়ালা তাওফীক দাতা।

    ****************************

    কৃতজ্ঞতায়-
    https://dawahilallah.com/forum/%E0%A...A6%AC%E0%A7%87

    ****************************
    আল্লাহ তায়ালা প্রশ্নকারী, জবাব প্রদানকারী ও অনুবাদকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জাযায়ে খাইর দান করুন।
    আপনাদের সকলের কাছেও দুয়ার দরখাস্ত রইল।
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

  • #2
    আরো দেখতে পারেন-
    যদি কেউ পার্লামেন্টে অংশ নিতে চায়, তবে সেটা কি কুফর হিসাবে গণ্য হবে? এ কাজ কি কাউকে মুরতাদ বানিয়ে ফেলে?
    -শায়খ আবু ক্বাতাদা আল-ফিলিস্তিনী
    https://dawahilallah.com/forum/%E0%A...%B0%E0%A6%A4-2

    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

    Comment


    • #3
      Jazakallah

      Comment


      • #4
        তাহলে তাদের কতল করাই তো কোন বাধা নেই তাইতো?
        আর মন্ত্রীরা কি তাগুত নয়?
        সর্বোত্তম আমল হলো
        আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা এবং মহান মহীয়ান
        আল্লাহর পথে জিহাদ করা।নাসায়ী,শরীফ

        Comment


        • #5

          যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.





          Comment

          Working...
          X