মুরতাদ শাসকের জন্য দু‘আ করে, এমন ব্যক্তির পিছনে সালাত আদায়ের হুকুম কি?
-শাইখ আবু মুহাম্মাদ আল মাকদিসী হাফিজাহুল্লাহ
-শাইখ আবু মুহাম্মাদ আল মাকদিসী হাফিজাহুল্লাহ
আমার জানা অনুযায়ী- এই প্রশ্নটি অনেক ভাইয়ের মনেই বিরাজ করে। তাই ভাইদের ব্যাপক ফায়েদার কথা চিন্তা করে গাযওয়াতুল হিন্দ সাইট থেকে পোস্টটি সংগ্রহ করে এখানে পোস্ট করা হল।
তবে পোস্টটিতে কিছু পরিমার্জনা করা হয়েছে। আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক পথের দিশা দান করুন ও সকল সংশয় থেকে হিফাযত করুন এবং শাহাদাতের পেয়ালায় চুমুক দেওয়ার তাওফীক দিন।
তবে পোস্টটিতে কিছু পরিমার্জনা করা হয়েছে। আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক পথের দিশা দান করুন ও সকল সংশয় থেকে হিফাযত করুন এবং শাহাদাতের পেয়ালায় চুমুক দেওয়ার তাওফীক দিন।
*********************
الصلاة خلف من يدعو للحاكم المرتد
للشيخ؛ أبي محمد المقدسي
* * *
للشيخ؛ أبي محمد المقدسي
* * *
السلام عليكم ورحمة الله وبركاته.
الشيخ الفاضل:
ما حكم الصلاة - الجمعة وباقي الصلوات - وراء الأئمة الذين يدعون للحاكم المرتد؟ فإن الأقوال قد كثرت علي في هذا الباب، وأين أصلي إن كان هذا حال جميع أو معظم الأئمة والخطباء؟
وجزاكم الله خيرا.
* * *
الجواب:
بسم الله، والحمد لله، والصلاة والسلام على رسول الله.
الأخ الفاضل:
السلام عليكم.
لا ينبغي أن تترك صلاة الجماعة إلا خلف من تحقق عندك وقوعه بمكفر مخرج من الملة، أما ما هو دون ذلك من المعاصي والبدع أو المداهنات؛ فلا يجوز أن يكون مدعاة أو سببا لترك صلاة الجماعة.
ودعاء الخطيب للحاكم المرتد بالهداية أو بالتوفيق لتحكيم الكتاب والسنة أو لما يحبه الله و يرضاه أو لما فيه خير البلاد والعباد ونحو ذلك من الأدعية التي لا تندرج تحت نصرة الطاغوت أو نصرة قانونه الكفري أو مظاهرته على الموحدين؛ هذا كله وإن كان من البدع التي لم تكن في القرون المفضلة فقد عد العلماء الدعاء للسلطان المسلم المحكم لشرع الله على منبر الجمعة من البدع المحدثة؛ فكيف بغيرهم من الحكام الكفرة المرتدين؟!
إلا أن ذلك لا يمنع من صلاة الجماعة خلف أولئك الأئمة الذين يدعون به، ما دام لا يندرج تحت نصرة الطاغوت أو نصرة شركه - كما قدمنا - فلا ينبغي أن تكون مثل هذه البدع غير المكفرة ذريعة لترك صلاة الجماعة والتهاون بها.
اللهم إلا أن يثبت لديك بالدليل القاطع أن الإمام أو الخطيب من أولياء الطاغوت وأنصاره، فهذا لا تحل الصلاة خلفه لأنه ليس من المسلمين - لا أبرارهم ولا فجارهم - حتى تسوغ الصلاة خلفه، بمقولة أهل السنة في الصلاة خلف البر والفاجر.
وعلى كل حال؛ فقد أجبنا عن مثل هذا السؤال في مواضع أخرى تجدها منشورة، كأجوبتنا على بعض الأسئلة في سجن السواقة، ولنا في ذلك رسالة مفصلة بعنوان "مساجد الضرار وحكم الصلاة خلف أولياء الطاغوت ونوابه" يسر الله تعالى طباعتها.
والسلام.
أخوكم؛ أبو محمد
প্রশ্নঃ
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ.
শ্রদ্ধেয় শাইখ,
মুরতাদ (ইসলামচ্যুত) শাসকের জন্য দু‘আ করে এমন ইমামের পিছনে, সালাত উল জুমুয়াহ (জুমার সালাত) এবং অন্যান্য সালাত আদায়ের ব্যাপারে হুকুম (বিধান) কি হবে? আমি এই ব্যাপারে অনেক মতবাদ শুনেছি ।
এবং আমি কোথায় সালাত আদায় করব যদি বেশিরভাগ ইমাম এবং খতিবদের অবস্থাই এমন হয় ?
জাজাকুমুল্লাহু খাইরান
উত্তরঃ
বিসমিল্লাহ, ওয়াল হামদুলিল্লাহ ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা রাসূলিল্লাহ
প্রিয় ভাই,
আসসালামু আলাইকুম.
জামা‘আতের সাথে সালাত আদায় ছেড়ে দেওয়ার প্রয়োজন নেই; যদি না তার ব্যাপারে আপনি নিশ্চিত হন যে, সে কুফরিতে লিপ্ত। যা একজন ব্যক্তিকে মিল্লাত (ইসলাম) থেকে বের করে দেয়। আর যার ব্যাপার এমন নয়, সে যদি গুনাহ অথবা বিদ‘আতে অথবা ভণ্ডামিতে লিপ্ত ব্যক্তিদের মত হয়, সেক্ষেত্রে এই অজুহাত দেখিয়ে জামা‘আতের সাথে সালাত আদায় পরিত্যাগ করার অনুমতি নেই।
আর যদি খতীব, মুরতাদ শাসকের হেদায়াতের জন্য অথবা কুরআন এবং সুন্নাহ অথবা যা আল্লাহ্ ভালবাসেন, তা দ্বারা শাসনের তাওফিকের জন্য দু‘আ করে এবং সেই খতীব যদি তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকে অথবা যা দেশ, জনগণ এবং এ রকম বিষয়ের জন্য ভালো তা নিয়ে এমন সব দু‘আ করে, যা তাগুত অথবা মানব রচিত কুফর আইনকে সহায়তার মধ্যে পড়ে না অথবা মুজাহিদীনের বিপক্ষে সহায়তার মধ্যে পড়ে না, এ রকম সবকিছুই বিদআত। যা আগের শ্রেষ্ঠ প্রজন্মের মধ্যে (সালাফদের সময়) উপস্থিত ছিল না। পাশাপাশি উলামায়ে কেরাম মিম্বারে দাঁড়িয়ে মুসলিম শাসক; যিনি আল্লাহর শরীয়াহ দ্বারা বিচার করেন, তার জন্য দু‘আ করাকে নব আবিষ্কৃত বিদ‘আতগুলোর একটি বলে গণ্য করেন। তাহলে তারা বাদে কাফির মুরতাদ শাসকদের ব্যাপারে দু‘আর হুকুম কি হতে পারে?
যা হোক, এতে সে সমস্ত ইমামের পিছনে জামা‘আতে সালাত আদায় নিষিদ্ধ হয় না, যারা এ রকম দু‘আ করে। এটি তাগুত এবং তাগুতের শিরককে সহায়তার পর্যায়ে পড়ে না, যা পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে।
জামা‘আতে সালাত আদায় ছেড়ে দেওয়ার জন্য এমন বিদ‘আত কারণ হিসাবে ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই, যা কুফরের পর্যায়ে পৌঁছে না।
আপনার কাছে স্পষ্ট দলীল না আসা পর্যন্ত (এই ব্যাপারে যে, ইমাম অথবা খতীব তাগুতের আওলিয়া(মিত্র) অথবা তাদের সাহায্যকারী) নিয়ম এটাই থাকবে। তবে আপনার কাছে স্পষ্ট দলীল চলে আসার পর এমন ব্যাক্তির পিছনে সালাত আদায় করা বৈধ নয়। কারণ, তখন সে আর মুসলিমদের মধ্যে গণ্য হয় না (হোক ভালো মুসলিম অথবা খারাপ)। যদি তারা আহলুস সুন্নাহ এর কথা বলে প্রমাণ করার চেষ্টা করেও যে, সালাত ভালো অথবা খারাপ যেকোনো মুসলমানের পিছনে পড়া যায়, তবুও এমন ব্যাক্তির পিছনে সালাত আদায় বৈধ নয়।
আর যেমনি হোক, আমি অন্যান্য জায়গায়ও এই রকমেরই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। যেমন- জেলে থাকাকালীন কিছু প্রশ্নের উত্তর এবং “মসজিদ আল দিরার” এবং তাগুত এবং তাদের প্রতিনিধিদের(সহকারীদের) আওলিয়াদের পিছনে সালাতের আদায়ের প্রসঙ্গে বিধান” নামক একটি রিসালাহ লিখেছি। আর আল্লাহ্ এর প্রচার সহজ করে দিয়েছেন।
ওয়াসসালাম
আপনাদের ভাই; আবু মুহাম্মাদ
**********************
Comment