Announcement

Collapse
No announcement yet.

ফিলিস্তিন ইস্যু : শায়েখ বিন বায রাহ.-এর তিনটি ফতোয়া ‘ফিলিস্তিনে প্রতিরোধকারী মুজাহিদগণের লড়াই ইসলাম স্বীকৃত জিহাদ’

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ফিলিস্তিন ইস্যু : শায়েখ বিন বায রাহ.-এর তিনটি ফতোয়া ‘ফিলিস্তিনে প্রতিরোধকারী মুজাহিদগণের লড়াই ইসলাম স্বীকৃত জিহাদ’

    ফিলিস্তিন ইস্যু : শায়েখ বিন বায রাহ.-এর তিনটি ফতোয়া
    ‘ফিলিস্তিনে প্রতিরোধকারী মুজাহিদগণের লড়াই ইসলাম স্বীকৃত জিহাদ’


    —শায়েখ আব্দুল আযীয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায রাহ.


    [এটি সর্বজনবিদিত বিষয় যে, ফিলিস্তিনের মজলুম মুসলমানরা জায়নবাদী দখলদার ইসরাইলের বিরুদ্ধে যে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তা ইসলামের জন্য, বায়তুল মাকদিস ও মজলুম ফিলিস্তিনের জন্য। সুতরাং তা জিহাদ হিসেবেই গণ্য। এ বিষয়ে মুসলিম বিশ্বের বিজ্ঞ উলামায়ে কেরাম একমত। কিন্তু গত ৭ অক্টোবর দখলদার ইসরাইলের ওপর হামাসের সফল হামলার পর এ দেশে একটি গোষ্ঠীর কিছু ভাই এ ঐক্যমত্যপূর্ণ বিষয়কেও ধোঁয়াশাচ্ছন্ন করে তোলার চেষ্টা করেন, যা বর্তমান নাযুক পরিস্থিতিতে মোটেও কাম্য ছিল না।
    এখানে আমরা এমন একজন ব্যক্তিত্বের ফতোয়া তুলে ধরছি, যিনি কিনা ঐ গোষ্ঠীটির কাছেও স্বীকৃত ও মান্য। বিভিন্ন ক্ষেত্রে তারা তাঁর উদাহরণ টেনে থাকেন। তিনি হচ্ছেন সৌদি আরবের তৎকালীন মুফতীয়ে আম-শায়েখ আব্দুল আযীয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায রাহ. (১৪২০ হি.)। তাঁর তিনটি ফতোয়ার নির্বাচিত অংশ পেশ করা হচ্ছে।
    পাঠক স্পষ্ট দেখতে পাবেন, শায়েখ বিন বায রাহ. সেই নব্বইয়ের দশকের শেষেই ফতোয়ায় কতটা আকুতির সাথে বারবার গোটা ইসলামী বিশ্বকে উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন- ফিলিস্তিনী মুজাহিদগণকে সহায়তা করতে। প্রথম বক্তব্যটি মিশরের আত-তাওহীদপত্রিকায় ১৯৯৩ সালে এবং শেষ দুটি বক্তব্য আল-বুহুছুল ইসলামিয়্যাহপত্রিকায় ১৯৮৯ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। পরবর্তীতে বক্তব্যগুলো শায়েখের ফতোয়া সংকলন মাজমুউল ফাতাওয়াতে স্থান পেয়েছে। সেখান থেকে পাঠকদের জন্য অনুবাদ করা হয়েছে।]



    প্রথম ফতোয়া
    প্রশ্ন : দিনদিন পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে, ফিলিস্তিন ইস্যুর ভবিষ্যত কী?
    উত্তর : ফিলিস্তিন ইস্যুর মারাত্মকভাবে ক্রমাবনতি দেখে মুসলিম মাত্রই ব্যথিত হচ্ছেন। পরিস্থিতি জটিলতর হতে হতে এ অবস্থা দাঁড়িয়েছে। এর কারণ হল, পাশ্ববর্তী আরব রাষ্ট্রগুলো পরস্পরের বিভেদ ও মতানৈক্য কাটিয়ে উঠে নিজেদের শত্রুর বিরুদ্ধে এক হতে পারছে না। তারা সংশ্লিষ্ট ইস্যুতে ইসলামী বিধান পালনের শর্ত পূরণ করছে না, অথচ আল্লাহ তাআলা বিজয়ের জন্য ঐক্যকে শর্ত ঘোষণা করেছেন এবং এই শর্ত পূরণ হলেই আল্লাহ দুনিয়াতে প্রতিষ্ঠা ও নিয়ন্ত্রণ দান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আরব দেশগুলো যদি এক হয়ে ফিলিস্তিন ইস্যুতে ইসলামী বিধান পালনে এগিয়ে না আসে, তাহলে এখনকার অবস্থা ভবিষ্যতের করুণ পরিণতির ইঙ্গিত দেয়।
    এখানে এই বিষয়টি পরিষ্কার করে দেওয়া দরকার যে, ফিলিস্তিন ইস্যু শুরু থেকে শেষ সম্পূর্ণ ইসলামী ইস্যু। কিন্তু ইসলামের শত্রুরা ভয়াবহ রকমের প্রোপাগান্ডা চালিয়েছে, যেন ইস্যুটি ইসলামের সীমানার বাইরের বিষয় বলে উপস্থাপন করা যায় এবং অনারব মুসলিমদের আশ্বস্ত করা যায় যে, এটি তো আরব ইস্যু, অনারবদের মাথা ঘামানোর কিছু নেই।
    মনে হচ্ছে, এতে শত্রুরা একরকম সফল হয়েছে। তাই আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ফিলিস্তিন ইস্যুকে ইসলামী ইস্যু হিসেবে সামনে আনা, মুসলিমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এর সমাধানে সচেষ্ট হওয়া এবং ফিলিস্তিনের মাটি তার প্রকৃত মালিকদের কাছে হস্তান্তর না হওয়া পর্যন্ত ইহুদীদের বিরুদ্ধে ইসলামী বিধান অনুসারে জিহাদ জারি রাখা ছাড়া এ ইস্যু সমাধানের কোনো বিকল্প পথ নেই। -মাজমুউ ফাতাওয়া বিন বায ১/২৭৭

    দ্বিতীয় ফতোয়া
    প্রশ্ন : ফিলিস্তিনে চলমান জিহাদের ব্যাপারে ইসলামী শরীয়তের বক্তব্য কী? এটি কি জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ’, নাকি স্রেফ ভূমি রক্ষা ও স্বাধীনতা অর্জনের লড়াই? স্বাধীনতা অর্জনের লড়াই কি জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহগণ্য হবে?
    উত্তর : নির্ভরযোগ্য ও বিশ্বস্ত ব্যক্তিদের সাক্ষ্য মারফত আমাদের কাছে প্রমাণ হয়েছে, ফিলিস্তিনে আন্দোলনকারী মুজাহিদগণ সেখানকার সম্ভ্রান্ত মুসলিম এবং তাদের লড়াই ইসলাম স্বীকৃত জিহাদ। কারণ তারা ইহুদীদের দ্বারা নিপীড়িত, তাদের কর্তব্য হল, নিজেদের দ্বীন, জান, পরিবার ও শিশুদের রক্ষায় প্রতিরোধ গড়ে তোলা, সামর্থ্যরে সবটুকু দিয়ে শত্রুসেনাদের ভূমি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া। নির্ভরযোগ্য ব্যক্তিরা -যারা কাছ থেকে মুজাহিদগণের সাথে মিশেছেন, তাদের জিহাদে শরীক হয়েছেন- আমাদেরকে ফিলিস্তিনী মুজাহিদদের লালন করা ইসলামী চেতনা ও নিজেদের অঞ্চলে ইসলামী শরীয়াহ বাস্তবায়নের আগ্রহের কথা অবগত করেছেন। তাই মুসলিম রাষ্ট্রসমূহ এবং সকল মুসলিমের দায়িত্ব, তাদেরকে সমর্থন দেওয়া ও সহযোগিতা করা, যেন তারা শত্রুর দখল থেকে মুক্তি পেয়ে আপন বাসভূমিতে ফিরতে পারে। এতে করে আল্লাহর এই বাণীসমূহের ওপর আমল হবে-
    يٰۤاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا قَاتِلُوا الَّذِيْنَ يَلُوْنَكُمْ مِّنَ الْكُفَّارِ وَ لْيَجِدُوْا فِيْكُمْ غِلْظَةً وَ اعْلَمُوْۤا اَنَّ اللهَ مَعَ الْمُتَّقِيْنَ.

    হে মুমিনগণ! কাফেরদের মধ্যে যারা তোমাদের নিকটবর্তী, তোমরা তাদের সঙ্গে যুদ্ধ কর। তারা যেন তোমাদের মধ্যে কঠোরতা দেখতে পায়। জেনে রাখো, নিশ্চয়ই আল্লাহ মুত্তাকীদের সঙ্গে আছেন। -সূরা তাওবা (০৯) : ১২৩আল্লাহ তাআলা আরো ইরশাদ করেন-
    اِنْفِرُوْا خِفَافًا وَّ ثِقَالًا وَّ جَاهِدُوْا بِاَمْوَالِكُمْ وَ اَنْفُسِكُمْ فِيْ سَبِيْلِ اللهِ ذٰلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ اِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُوْنَ.

    তোমরা (জিহাদের জন্য) বের হয়ে পড়, হালকা অবস্থায় থাকো বা ভারী অবস্থায় (নিজেদের কাছে যতটুকুই না অস্ত্রশস্ত্র থাকুক) এবং নিজেদের জান-মাল দিয়ে আল্লাহর পথে জিহাদ কর। তোমরা যদি বুঝ-সমঝ রাখো, তবে এটাই তোমাদের পক্ষে উত্তম। -সূরা তাওবা (০৯) : ৪১
    আল্লাহ আরো বলেন-(তরজমা) হে মুমিনগণ! আমি কি তোমাদেরকে এমন এক ব্যবসার সন্ধান দেব, যা তোমাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক আযাব থেকে রক্ষা করবে? (তা এই যে,) তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান আনবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও জান-প্রাণ দিয়ে আল্লাহর পথে জিহাদ করবে। এটা তোমাদের জন্য শ্রেয়, যদি তোমরা উপলব্ধি কর। এর ফলে আল্লাহ তোমাদের গোনাহ ক্ষমা করবেন এবং তোমাদের প্রবেশ করাবেন এমন উদ্যানরাজিতে, যার তলদেশে নহর প্রবাহিত থাকবে এবং এমন উৎকৃষ্ট বাসগৃহে, যা স্থায়ী জান্নাতে অবস্থিত। এটাই মহা সাফল্য। এবং তোমাদেরকে দান করবেন আরও একটি জিনিস, যা তোমরা মনে-প্রাণে চাও। (তা হল) আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য ও আসন্ন বিজয়। আর (হে রাসূল!) মুমিনদেরকে (এর) সুসংবাদ দিন। -সূরা সফ (৬১) : ১০-১৩
    বিশুদ্ধ সূত্রে বর্ণিত হাদীসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা নিজেদের জান-মাল ও যবান দিয়ে মুশরিকদের বিরুদ্ধে লড়াই করো।
    যেহেতু ফিলিস্তিনী ভাইয়েরা মজলুম, তাই তাদের মুসলিম ভাইদের কর্তব্য জালিমের বিরুদ্ধে তাদেরকে সাহায্য করা। কারণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
    المُسْلِمُ أَخُو المُسْلِمِ لاَ يَظْلِمُهُ وَلاَ يُسْلِمُه.

    মুসলিমগণ একে অপরের ভাই, কোনো মুসলিম অপর ভাইয়ের ওপর জুলুম করতে পারে না, তাকে শত্রুর মোকাবিলায় সহায়তা না করে সঙ্গহীন একা ছেড়ে দিতে পারে না। -সহীহ বুখারী, হাদীস ২৪৪২
    নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন-তোমার ভাইকে সাহায্য করো; হোক সে জালিম বা মজলুম। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, জালিমকে কীভাবে সাহায্য করব? তিনি বললেন, তাকে জুলুম থেকে ফেরাও, এটিই তাকে সাহায্য করার শামিল। -সহীহ বুখারী, হাদীস ২৪৪৪
    আল্লাহর রাহে জিহাদ করা, মজলুমকে সাহায্য করা, জালিমের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করা ওয়াজিব হওয়ার বিষয়ে অনেক হাদীস বর্ণিত হয়েছে।
    হে আল্লাহ! ফিলিস্তিন ও অন্যান্য অঞ্চলে আল্লাহর রাহে জিহাদরত আমাদের ভাইদেরকে শত্রুর মোকাবিলায় নুসরত করুন, হক বিষয়ে তাদেরকে একতাবদ্ধ করুন, সকল মুসলিমকে ফিলিস্তিনী মুজাহিদদের সাহায্য করা এবং তাদের সারিতে দাঁড়ানোর তাওফীক দান করুন, ইসলামের শত্রুরা যেখানেই থাকুক তাদেরকে লাঞ্ছিত করুন, শত্রুদের ওপর নিজ আযাব নাযিল করুন, নিশ্চয়ই আপনি সবকিছু শোনেন, সবার নিকটেই আছেন। -মাজমুউ ফাতাওয়া বিন বায ১৮/৪০৮-৪১৫

    তৃতীয় ফতোয়া
    হামদ, সালাত ও সালামের পর, আল্লাহ তাআলা স্বীয় অকাট্য কিতাবে ঘোষণা করেছেন-
    (তরজমা) ...বস্তুত আল্লাহ মুমিনদের কাছ থেকে তাদের জীবন ও তাদের সম্পদ খরিদ করে নিয়েছেন, তাদের জন্য জান্নাত আছে- এর বিনিময়ে। তারা আল্লাহর পথে যুদ্ধ করে। অতঃপর তারা হত্যা করে আবার নিহতও হয়। এটা এমন সত্য প্রতিশ্রুতি, যার দায়িত্ব আল্লাহ তাওরাত ও ইনজীলে নিয়েছেন এবং কুরআনেও। আল্লাহ অপেক্ষা বেশি প্রতিশ্রুতি পূর্ণকারী আর কে আছে? সুতরাং তোমরা আল্লাহর সঙ্গে যে সওদা করেছ, সেই সওদার জন্য আনন্দিত হও এবং এটাই মহা সাফল্য। -সূরা তাওবা (০৯) : ১১১
    নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
    مَثَلُ الْمُؤْمِنِينَ فِي تَوَادِّهِمْ، وَتَرَاحُمِهِمْ، وَتَعَاطُفِهِمْ مَثَلُ الْجَسَدِ إِذَا اشْتَكَى مِنْهُ عُضْوٌ تَدَاعَى لَهُ سَائِرُ الْجَسَدِ بِالسَّهَرِ وَالْحُمَّى.পারস্পরিক ভালবাসা-সম্প্রীতি, দয়া-রহম, সহমর্মিতা ও সমব্যথী হওয়ার ক্ষেত্রে মুমিনদের দৃষ্টান্ত এক দেহের মতো, যার কোন একটি অঙ্গ আক্রান্ত হলে বা অসুস্থ হলে পুরো দেহ নিদ্রাহীনতা ও জ¦রে কাতর হয়। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৫৮৬
    তিনি আরো বলেছেন-
    الْمُؤْمِنُ لِلْمُؤْمِنِ كَالْبُنْيَانِ يَشُدُّ بَعْضُهُ بَعْضًا.

    মুমিনগণ পরস্পরে দেয়ালের মতো, যার এক অংশ অপর অংশকে শক্তি যোগায়। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৫৮৫তিনি আরো বলেন-
    مَنْ جَهَّزَ غَازِيًا فِي سَبِيلِ اللهِ فَقَدْ غَزَا، وَمَنْ خَلَفَ غَازِيًا فِي سَبِيلِ اللهِ بِخَيْرٍ فَقَدْ غَزَا.

    যে ব্যক্তি যুদ্ধে গমনকারী কোনো মুজাহিদকে যুদ্ধ-প্রস্তুতিতে সহযোগিতা করবে, সে জিহাদে শামিল, যে ব্যক্তি যুদ্ধে গমনকারী মুজাহিদের রেখে যাওয়া পরিবারের উত্তমরূপে দেখাশোনা করবে, সেও জিহাদে শামিল। -সহীহ বুখারী, হাদীস ২৮৪৩
    ফিলিস্তিনের অভ্যন্তরে মুজাহিদগণ -আল্লাহ তাদের সবাইকে শক্তিশালী করুন- ইসলামের শত্রুদের বিরুদ্ধে জিহাদ করতে গিয়ে বহুমুখী সংকট মোকাবিলা করছেন। দ্বীনের শত্রুরা তাদেরকে সর্বশক্তি দিয়ে আঘাত করা সত্ত্বেও তারা দাঁত চেপে সহ্য করে যাচ্ছেন। শত্রু নিজ সামর্থ্য ব্যয় করে সবধরনের ধ্বংসযজ্ঞ চালানো সত্ত্বেও -আলহামদু লিল্লাহ- মুজাহিদগণ দৃঢ়তা ও অবিচলতার সাথে আল্লাহর রাহে জিহাদ চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা হীনবল হননি, হীনম্মন্যতার শিকার হননি। কিন্তু মুসলিম ভাইদের সহযোগিতা তাদের এখন অনেক প্রয়োজন। ইহুদীদের নাপাক হাত থেকে ফিলিস্তিনকে উদ্ধারে মুসলমান ভাইদের জান-মালের সহযোগিতা তাদের তীব্র প্রয়োজন।
    আল্লাহ তাআলা মুজাহিদগণকে আপন করমে একতাবদ্ধ থাকার এবং দৃঢ় মনোবলে জিহাদ জারি রাখার তাওফীক দিয়েছেন। তাই মুসলিম শাসকবর্গ ও সম্পদশালী শ্রেণির কর্তব্য, ফিলিস্তিনী মুজাহিদগণকে সমর্থন করা এবং শক্তি যোগানো, যাতে তারা জিহাদের বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে আল্লাহর ইচ্ছায় চূড়ান্ত বিজয়ী হতে পারেন।
    হে মুসলিমগণ! ফিলিস্তিনে তোমাদের মুজাহিদ ভাইয়েরা উৎখাত, হত্যা, বুলেট-বোমার ক্ষত ও ক্ষুধার বর্ণনাতীত কষ্ট ভোগ করছে। তাদের খাদ্য, পোশাক ও ওষুধ প্রয়োজন, আল্লাহ ও তাদের শত্রুদের মোকাবিলা করতে অস্ত্রও দরকার।

    তাই হে মুসলিমগণ! তাদের জন্য অকাতরে দান করো, তাদের প্রতি দিলখোলা হও, আল্লাহ তোমাদের সম্পদে বরকত দেবেন, তোমাদেরকে উত্তম জিনিস দান করবেন, তোমাদের সাওয়াব বাড়িয়ে দেবেন।... -মাজমুউ ফাতাওয়া বিন বায ১৮/৪১৬-৪১৭

    -সংগৃহীত
    Last edited by Munshi Abdur Rahman; 12-05-2023, 03:41 PM.

  • #2
    মাশাআল্লাহ সময়োপযোগী ফাতওয়া শেয়ার করেছেন ভাই। জাযাকাল্লাহু খাইরান।
    আল্লাহ তাআলা শাইখ বিন বায রহ.কে জান্নাতের সুউচ্চ মাকাম দান করুন। আমীন
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

    Comment

    Working...
    X