Announcement

Collapse
No announcement yet.

আলেম ভাইদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি...

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • আলেম ভাইদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি...

    আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ্

    আমি দীর্ঘদিন যাবত একজনের দোকানে থেকে ডাক্তারি প্যাকটিস করছি; আলহামদুলিল্লাহ অনেকটা'ই শিখে ফেলছি, কিন্তু আমার এই এবিলিটি নেই যে আমি একটা দোকান দিবো!
    আমি আমার আব্বু'কে বলছিলাম দোকানের কথা আমার আব্বু বলছে কট বন্দক হিসাবে টাকা নিয়ে দোকান দেওয়ার কথা, কিন্তু আমি না করছি..
    কারন কট বন্দক তো সুদ আমি সুদের সাথে জড়াতে চাইনা।
    এদিকে পরিবারের অবস্থাও ভালো না। আমার আব্বু একটু অলস প্রকৃতির মানুষ সে ভালো কাজ করেনা।
    এখন তারা টাকা দিবে বলছে, কট বন্দক হিসাবে।

    প্রশ্নঃ এভাবে টাকা নিয়ে দোকান দেওয়া আমার জন্য কি জায়েজ হবে কিংবা এ ব্যাপারে শরীয়া কি বলে?

    আলহামদুলিল্লাহ্ আমি সুস্থ, সবল মানুষ

    উত্তরের অপেক্ষাই রইলাম, জায়াকাল্লাহ্ খয়রান

  • #2
    কট বন্দক বিষয়টা বুঝি নাই ভাই
    এটা একটু ব্যাখ্যা করলে যেই ভাই-ই উত্তর দিবেন, উনার জন্য উত্তর দেওয়া সহজ হবে ইনশাআল্লাহ

    Comment


    • #3
      প্রচলিত জমি বন্ধক রীতি কি শরীয়াহ সম্মত? -----------------------------------------------------------

      আমাদের দেশের প্রায় সব এলাকায় টাকার বিনিময়ে জমি বন্ধক দেয়ার প্রচলন রয়েছে। এক্ষেত্রে সাধারণত জমি বন্ধকের দুটি পদ্ধতির প্রচলন লক্ষ্য করা যায়। এক. কেউ নির্ধারিত পরিমাণ টাকার বিনিময়ে কারো কাছ থেকে জমি বন্ধক নেয়। সাধারণত কত বছরের জন্য বন্ধক নেয়া হল তা উল্লেখ থাকে না। টাকাদাতা জমি ভোগ করতে থাকে। এভাবে দু-চার বছর চলে যায়। এরপর জমির মালিক টাকাদাতার মূল টাকা ফিরিয়ে দিয়ে নিজের জমি ফিরিয়ে নেয়।

      দুই. এটিও উপরোক্ত পদ্ধতির মতোই। তবে পার্থক্য হলো, এক্ষেত্রে যখন টাকা ফিরিয়ে দেয় তখন বছর হিসাব করে বন্ধকগ্রহীতা কিছু টাকা কম নেয়। যেমন, কেউ বিশ হাজার টাকায় কারো থেকে পাঁচ কাঠা জমি বন্ধক নিল। অতঃপর সে দু’বছর ওই জমি ভোগ করল। দু’বছর পর টাকা ফিরিয়ে নেওয়ার সময় পাঁচশ টাকা করে এক হাজার টাকা অথবা মূল টাকার ৫% কিংবা ১০% টাকা কম নেয়। কোনো কোনো এলাকায় জমি বন্ধকের এই রীতিকে ‘জমি কট দেওয়া’ বলা হয়। আবার কোথাও ‘জমি খায়খালাসি দেওয়া’ও বলা হয়ে থাকে। অনেকে জানতে চান যে, জমি বন্ধকের প্রচলিত এ পদ্ধতিগুলো বৈধ কি না? নিম্নে এ বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হলো। ঋণদাতার জন্য বন্ধকি বস্তু ব্যবহার করা বা তা থেকে কোনো উপায়ে উপকৃত হওয়া সম্পূর্ণ নাজায়েয। এটি মূলত ঋণ প্রদান করে বিনিময়ে সুদ গ্রহণেরই একটি পদ্ধতি।

      হযরত ফাযালা ইবনে উবাইদ রা. বলেন- ﻛﻞ ﻗﺮﺽ ﺟﺮ ﻣﻨﻔﻌﺔ ﻓﻬﻮ ﻭﺟﻪ ﻣﻦ ﻭﺟﻮﻩ اﻟﺮﺑﺎ ‘যেই ঋণ কোনো মুনাফা নিয়ে আসে তা রিবার প্রকারসমূহের একটি।’
      -সুনানে বাইহাকী ৫/৩৫০

      তাবেয়ী ইবনে সীরীন রহ. বলেন, এক ব্যক্তি হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা.-এর নিকট এসে বলল, এক লোক আমার নিকট একটি ঘোড়া বন্ধক রেখেছে, অতঃপর আমি তাতে আরোহণ করেছি।

      আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বললেন- مَا أَصَبْتَ مِنْ ظَهْرِهَا فَهُوَ رِبًا. ‘তুমি উক্ত ঘোড়ার উপর আরোহণ করে যে উপকার গ্রহণ করেছ তা সুদ হয়েছে।’
      -মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, বর্ণনা: ১৫০৭১

      হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. আরো বলেন- ﻣﻦ ﺃﺳﻠﻒ ﺳﻠﻔﺎ ﻓﻼ ﻳﺸﺘﺮﻁ ﺃﻓﻀﻞ ﻣﻨﻪ، ﻭﺇﻥ ﻛﺎﻧﺖ ﻗﺒﻀﺔ ﻣﻦ ﻋﻠﻒ ﻓﻬﻮ ﺭﺑﺎ ‘যে ব্যক্তি কাউকে ঋণ দিবে সে যেন অতিরিক্ত কোনো কিছু শর্ত না করে। যদিও এক মুঠো ঘাস হোক না কেন।’
      -মুআত্তা মালেক, হাদীস: ২৫১৩

      বিখ্যাত তাবেয়ী কাযী শুরাইহ রহ.-কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, সুদ পান করা কিভাবে হয়ে থাকে? তিনি বললেন- اﻟﺮﺟﻞ ﻳﺮﺗﻬﻦ اﻟﺒﻘﺮﺓ ﺛﻢ ﻳﺸﺮﺏ ﻟﺒﻨﻬﺎ ‘গাভি বন্ধক রেখে বন্ধকগ্রহীতার জন্য তার দুধ পান করা সুদ পানের অন্তর্ভুক্ত।’
      -মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস : ১৫০৬৯

      সুতরাং উল্লেখিত প্রথম পদ্ধতি নাজায়েয হওয়ার বিষয়টি সুস্পষ্ট। আর দ্বিতীয় পদ্ধতিটিও বৈধ নয়। এটি মূলত ঋণ প্রদান করে বন্ধকি জমি ভোগ করার একটি ছুতা মাত্র। কারণ এক্ষেত্রে আলাদাভাবে ‘ইজারা’ বা ভাড়া চুক্তি করা হয় না; বরং জমি ভোগ করার শর্তেই ঋণ দেওয়া হয় এবং ঋণের সুবিধা পাওয়ার কারণেই জমির মালিক নামমাত্র টাকা ভাড়া হিসেবে গ্রহণ করে থাকে। সকলেই জানে যে, জমির মালিককে ঋণ না দেয়া হলে সে এত কম মূল্যে জমি ভাড়া দিত না। সুতরাং জমি বন্ধকের উল্লেখিত দুটি পদ্ধতিই নাজায়েয। অতএব এমন কারবার করা থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।

      বাড়ি বন্ধক রীতি : জমি বন্ধকের মতোই ঢাকা শহরে বাড়ি বন্ধকের প্রথা চালু হয়েছে। তা হলো, বাড়িওয়ালা নিজ প্রয়োজনে কারো থেকে ৫ বা ১০ লক্ষ টাকা ঋণ নেয়। বিনিময়ে পাঁচ বছর বা দশ বছরের জন্য ঋণদাতাকে তার বাড়ি বা ফ্ল্যাটে বিনা ভাড়ায় থাকার সুযোগ দেয়। পরবর্তীতে যখন ঋণ পরিশোধ করে দেয় তখন এই চুক্তি সমাপ্ত হয়। এই লেনদেনও সম্পূর্ণ সুদী কারবারের অন্তর্ভুক্ত, যা সুস্পষ্ট হারাম। কেননা ঋণ প্রদানের কারণেই মূলত ঋণদাতা বিনা ভাড়ায় বাড়ি ব্যবহারের সুবিধা পাচ্ছে।

      প্রচলিত জমি বন্ধক পদ্ধতির বৈধ বিকল্প : জমির বিনিময়ে বৈধ পন্থায় টাকা নিতে চাইলে বন্ধকি চুক্তি না করে শুরু থেকেই দীর্ঘমেয়াদি ভাড়া বা লীজের চুক্তি করবে। যার বিবরণ এই যে, জমির মালিক জমি ভাড়া দিবেন। তার যত টাকা প্রয়োজন সেজন্য যত বছর ভাড়া দিতে হয় একত্রে তত বছরের জন্য তা ভাড়া দিবেন। যেমন, ধরা যাক এক বিঘা জমির বার্ষিক ভাড়া ৫ হাজার টাকা। জমির মালিকের ২০ হাজার টাকা প্রয়োজন। তাহলে তিনি ৪ বছরের জন্য জমি ভাড়া দিয়ে অগ্রিম ভাড়া বাবদ ২০ হাজার টাকা নিয়ে নিবেন। এক্ষেত্রে জমির ভাড়া স্থানীয় ভাড়া থেকে সামান্য কম বেশিও হতে পারে। এরপর ভাড়ার মেয়াদ শেষ হলে অর্থদাতা জমি ফেরত দিবেন, কিন্তু প্রদত্ত টাকা ফেরত পাবেন না। অবশ্য কোনো কারণে যদি ভাড়ার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ভাড়াগ্রহীতা জমি ফেরত দেন বা পারস্পরিক সম্মতিতে ভাড়া চুক্তি বাতিল করা হয় তাহলে যে কয়দিন জমিটি ভাড়ায় ছিল সে পরিমাণ ভাড়া কর্তন করে অবশিষ্ট টাকা ভাড়াগ্রহীতা ফেরত পাবেন। আর কেউ না জেনে অবৈধ পন্থায় জমি বন্ধক দিয়ে থাকলে তার কর্তব্য হবে, উক্ত বন্ধকি চুক্তি বাতিল করে উপরোক্ত নিয়মে ‘ইজারা’ বা ভাড়া চুক্তি করা। অর্থাৎ পারষ্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে জমির একটা ন্যায্য ভাড়া নির্ধারণ করে নিবে। অতঃপর সে অনুযায়ী যতদিন ইচ্ছা টাকাদাতা জমিটি ইজারা পদ্ধতিতে ভোগ করবে। আর প্রদত্ত টাকা থেকে নির্ধারিত ভাড়া কর্তন হতে থাকবে।

      -মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ৮/২৪৪-২৪৫; শরহু মুখতাসারিত তহাবী ৩/১৪৯; -আননুতাফ ফিল ফাতাওয়া পৃ. ২৯৬; বাদায়েউস সানায়ে ৫/২১২; রদ্দুল মুহতার ৬/৪৮২; হাশিয়াতুত তাহতাবী আলাদ্দুর ৪/২৩৬; শরহুল মাজাল্লা, খালেদ আতাসী ৩/১৯৬; আলফুলকুল মাশহুন (মাজমুআতু রাসাইলিল লাখনবী ৩/৪১২); ইলাউস সুনান ১৮/৬৪; ইমদাদুল আহকাম ৩/৫১৮
      --গ্রহণযোগ্য এক জায়গা থেকে সংগৃহীত।
      সত্য ন্যায়ের গান, গেয়ে মোরা সবে
      উড়াবো বিজয় নিশান...

      Comment


      • #4
        Mohammad Ali Hossainভাই সুরের কুঁড়েঘর বিষয়-টা নিয়ে আলোচলনা করছেন, আপনি দেখে নিতে পারেন!

        Comment


        • #5
          Originally posted by জাহেদ আল হিন্দ View Post
          Mohammad Ali Hossain
          ভাই সুরের কুঁড়েঘর বিষয়-টা নিয়ে আলোচলনা করছেন, আপনি দেখে নিতে পারেন!
          জি আলহামদুলিল্লাহ্‌
          সুরের কুঁড়েঘর ভাইকে আল্লাহ্‌ জাযায়ে খায়ের দান করুন, আমীন

          Comment


          • #6
            সুরের কুঁড়েঘর ভাই এখানে একটা বিষয় ক্লিয়ার করবেন ইনশাআল্লাহ
            যে বর্তমানে দোকান ভাড়া দেওয়ার সময় আডভান্স টাকা নেওয়া হয় ওটা ব্যবহার করা জায়েজ হবে কী না?
            Last edited by Rakibul Hassan; 02-17-2024, 06:46 AM.

            Comment


            • #7
              Originally posted by ইবনে আদম View Post
              সুরের কুঁড়েঘর ভাই এখানে একটা বিষয় ক্লিয়ার করবেন ইনশাআল্লাহ
              যে বর্তমানে দোকান ভাড়া দেওয়ার সময় আডভান্স টাকা নেওয়া হয় ওটা ব্যবহার করা জায়েজ হবে কী না?
              সিকিউরিটি মানি প্রসঙ্গ: বাড়ির মালিকগণ ভাড়াটিয়া থেকে অগ্রীম কিছু টাকা সিকিউরিটির জন্য নিয়ে থাকে। এই অগ্রীম টাকা আদায়ের বিভিন্ন নিয়ম থাকে। নিয়মের ভিন্নতার কারণে এর হুকুম ভিন্ন হয়ে থাকে। যেমন-

              ১. কারো এমন নিয়ম থাকে যে, এক বা দুই মাসের ভাড়া অগ্রীম দিতে হবে। যা বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার সময় শেষ দুই মাসের ভাড়া হিসেবে ধরা হবে। এক্ষেত্রে তা ফিকহে ইসলামীর দৃষ্টিতে অগ্রীম ভাড়া হিসেবে ধর্তব্য হবে। সিকিউরিটি মানি তথা বন্ধক হিসেবে গণ্য হবে না।

              ২. দোকান বা অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়ার জন্য দুই-তিন লাখ বা আরো বেশি টাকা অগ্রীম নেয়া হয়। এরপর মাসে মাসে কিছু কিছু করে সকল টাকা ভাড়ার সাথে কেটে নেয়। পরবর্তীতে ফেরতযোগ্য হিসেবে কিছুই রাখা হয় না। এমনটি হলে এটাও অগ্রীম ভাড়া হিসেবে গণ্য হবে। এই দুই ক্ষেত্রে অগ্রীম হিসাবে যা নেওয়া হয় সে টাকার মালিক বাড়িওয়ালাই হবে। সুতরাং এ টাকা সে নিজ প্রয়োজনে খরচ করতে পারবে এবং এটি তার যাকাতযোগ্য সম্পদ বলে গণ্য হবে। তাই যাকাতবর্ষ শেষে এ টাকা থেকে কিছু অবশিষ্ট থাকলে তাকেই এর যাকাত দিতে হবে। ভাড়াটিয়াকে এর যাকাত দিতে হবে না।

              ৩. আর যদি অগ্রীম নেওয়া এই টাকা থেকে ভাড়া হিসাবে কোনো কিছু কাটা না হয় এবং চুক্তি শেষ হওয়ার আগের মাসগুলোর ভাড়া হিসাবেও গণ্য করা না হয়, বরং ভাড়াটিয়া বাড়ি ছাড়ার সময় তাকে এ টাকা ফেরত দেওয়ার শর্ত করা হয় তাহলে এই টাকা সিকিউরিটি মানি বলে গণ্য হবে। ফিক্বহী দৃষ্টিকোণ থেকে সিকিউরিটি মানি রাহান তথা বন্ধকী সম্পত্তির অন্তর্ভুক্ত। আর বন্ধকগ্রহিতার জন্য বন্ধকী বস্তু দ্বারা উপকৃত হওয়া জায়েয নেই। সে হিসেবে বাড়ির মালিকের জন্য এই অগ্রীম টাকা খরচ করা জায়েয নয়। সাধারণ নিয়মে টাকাগুলো নিজের কাছে বা ব্যাংকে রেখে দেওয়া আবশ্যক। কিন্তু আজকাল অনেক বাড়িওয়ালা বন্ধকের উক্ত নিয়ম মেনে চলে না। বরং প্রায় সবাই এ টাকা খরচ করে ফেলে। জমা রাখে না। তাই কোনো কোনো ফকীহ এই খরচকে বৈধতা দেওয়ার জন্য এই টাকাকে বন্ধক না ধরে ঋণ বলতে চান। আর এটাকে ভাড়ার সাথে শর্ত না করে ভিন্নভাবে লেনদেন করতে বলেন। তাদের ভাষ্যমতে এভাবে করলে বাড়িওয়ালার জন্য তা ব্যবহার করা বৈধ হবে।
              অবশ্য অন্য অনেক ফহীহ এটাকে সিকিউরিটি তথা বন্ধকই বলেন। দলীলের দিক থেকে এ মতটিই শক্তিশালী। প্রকাশ থাকে যে, এ টাকাকে বন্ধক ধরা হলে সমস্যা হল বাড়িওয়ালার জন্য তা ব্যবহার করা জায়েয নয়। আর ঋণ ধরা হলে সমস্যা হল, ভাড়ার সাথে ঋণ প্রদানের শর্ত করার কারণে ভাড়া-চুক্তি ফাসেদ হয়ে যায়। এ কারণে সিকিউরিটি মানির ক্ষেত্রে নিচের যে কোনো একটি পদক্ষেপ গ্রহণ করা নিরাপদ।

              ১. একে অগ্রীম ভাড়া ধরা। অর্থাৎ বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার সময় শেষের দিকের মাসের ভাড়া ধরা হবে এবং সে অনুযায়ী আমল করা হবে। আর অগ্রীমের পরিমাণ বেশি হলে প্রতি মাসেই নগদ ভাড়ার সাথে একটা অংশ ভাড়া হিসাবে কর্তন করা হবে। এ টাকা পরবর্তীতে ফেরতযোগ্য হিসেবে ধরা হবে না। এভাবে অগ্রীম ভাড়া ধরা হলে এর মালিক বাড়িওয়ালাই হবে। এক্ষেত্রে সে তা ব্যবহার করতে পারবে এবং যাকাতও সেই আদায় করবে।

              ২. কোনো কোনো সময় বাড়িওয়ালা সিকিউরিটির টাকা দিয়ে বাড়ির সজ্জায়ন করে বা ফিটিংস ইত্যাদি লাগায়। এক্ষেত্রে ভাড়াটিয়ার সাথে নিম্নোক্ত পদ্ধতিতে চুক্তি করা যেতে পারে। ভাড়াটিয়া এসব কাজ নিজ দায়িত্বে বা বাড়িওয়ালার দিকনির্দেশনা অনুযায়ী নিজের টাকা দিয়ে করে নিবে এবং তা ভাড়াটিয়ার মালিকানা হিসেবে গণ্য হবে। এরপর যখন বাসা ছেড়ে দেবে তখন বাড়িওয়ালার নিকট একটি দাম ধরে জিনিসগুলো বিক্রি করে দেবে। এ পন্থা অবলম্বন করলে বন্ধক নিয়ে তা খরচ করার জটিলতাও থাকে না। আবার যাকাত কে দেবে এই প্রশ্নও আসে না। কেননা ভাড়াটিয়া যেহেতু ঐ টাকা খরচ করে ফেলেছে তাই তার উপর এর যাকাত আসবে না। আর বাড়িওয়ালাও এ টাকার মালিক হয়নি বিধায় তাকেও এর যাকাত দিতে হবে না।
              --আল-কাউসার ২০১৮
              সত্য ন্যায়ের গান, গেয়ে মোরা সবে
              উড়াবো বিজয় নিশান...

              Comment

              Working...
              X