Announcement

Collapse
No announcement yet.

অমুসলিমদের দেবতাদেরকে কি গালি দেয়া যাবে???

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • অমুসলিমদের দেবতাদেরকে কি গালি দেয়া যাবে???

    দিন দিন পরিস্থিতি খুবই খারাপ হচ্ছে। জানোয়ার পূজারীদের ইসলাম বিদ্বেষ বেড়েই চলছে। ইদানিং কিছু মুসলিম ভাইদের দেখা যাচ্ছে ওরা হিন্দু ধর্মের দেবতাদের নিয়ে বিভিন্ন অশ্লীল কবিতা বানাচ্ছে । হিন্দুদের নাপাক দেবতাদেরকে গালি দিচ্ছে তবে তা হিন্দুদের দেখাদেখি। বিভিন্ন চ্যানেল ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করে আল্লাহকে গালি দেয় ইত্যাদি ইত্যাদি। এসব দেখে কিছু মুসলিম ভাইয়েরাও শুরু করছে হিন্দুদের তাগুত দেবতাদের নিয়ে গালি দেয়া। তখন এই ভিডিওগুলাতে মালাউনরা এসে আল্লাহ ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিয়ে এমন এমন গালি দেয়, যা আমি বলব কি মনে করতেও চাই না।

    এখন প্রশ্ন অমুসলিমদের দেবতাদের গালি দেয়া যায়েজ আছে???

    ( বিঃদ্রঃ তবে আমি দেখেছি মুসলিমরা ওদের ভগবানদের কটুক্তি না ওদের ধর্ম গ্রন্থ থেকে রেফারেন্স দিয়ে ভিডিও বানালেও ওরা আল্লাহকে ও নবি করিম সাঃ গালি দেয়। )
    সমাধান কোথায় ???
    আমি আল্লাহর তরবারি
    আমি খালিদ বিন ওলিদ
    আমি পারস্য বাহিনীর মৃত্যুর দূত

  • #2
    কেউ কি নেই আমার এই প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্যে???
    আমি আল্লাহর তরবারি
    আমি খালিদ বিন ওলিদ
    আমি পারস্য বাহিনীর মৃত্যুর দূত

    Comment


    • #3
      Originally posted by Power of Eman View Post
      কেউ কি নেই আমার এই প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্যে???
      মুহতারাম ভাই!
      আল্লাহ তায়ালা আপনাকে কবুল করুন। আমীন!
      ভাইজান! কিছু কথা জেনে রাখা জরুরী!!

      ১/ ফোরামের ভায়েরা সাধারণত অফলাইনে ব্যস্ত থাকেন।
      ২/বিভিন্ন মাসয়ালা জানার জন্য আলাদা ফতোয়া বোর্ড আছে। সেখানে গিয়ে প্রশ্ন করা।বিশেষ করে তাওহিদ, জিহাদ- কিতাল, ইমারাহ- খিলাফাহ, হুদুদ, কিসাস ইত্যাদি বিষয়গুলো সেখানে প্রাধান্য দেওয়া হয়। এখানে তার লিংক ফোরামের নীতিবিরোধী।
      ৩/এটা অফলাইনে কারো কাছে জেনে নিতে পারেন।
      ৪/আর যথাসম্ভব জরুরি ইলম অর্জন করে নেওয়া। এটা অধমের পক্ষ্য থেকে মুহাতারাম ভায়ের প্রতি বিনীত আবেদন।
      আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে আমল করার তাওফিক দান করুন। আমীন!
      দাওয়াহ,ইদাদ ও জিহাদের মাধ্যমে ইসলামি খিলাফাহ কায়েম হবে ইনশাআল্লাহ।

      Comment


      • #4
        অমুসলিমদের দেবতাদেরকে কি গালি দেয়া যাবে???
        بسم الله، والحمد لله، والصلاة والسلام على رسول الله. أما بعد:

        মুহতারাম ভাই, প্রথমে আপনাকে গালি এবং বিভ্রান্তি তুলে ধরে হক উন্মোচন করা- এ দুয়ের পার্থক্য বুঝতে হবে।

        কাফেরদের ধর্ম যে একটা অসাড় ধর্ম- সহীহ দলীল প্রমাণ ও যুক্তি দিয়ে তা তুলে ধরা অপরিহার্য। অন্যথায় তারা বুঝতে পারবে না যে, কোনটা হক আর কোনটা বাতিল। এ হক বাতিল তুলে ধরার জন্যই আল্লাহ তাআলা নবী রাসূল প্রেরণ করেছেন। এটি আবশ্যকীয় দায়িত্ব। এ দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নবী-রাসূলগণকে অনেক গালিগালাজ শুনতে হয়েছে। অনেক নির্যাতন ও জুলুমের শিকার তাঁরা হয়েছেন। শহীদও হয়েছেন। এমনকি এ কারণে স্বয়ং আল্লাহ তাআলাকেও গালিগালাজ করা হয়েছে। এতদসত্বেও এ দাওয়াত বন্ধ করা হয়নি। বুঝা গেল, সহীহ তাওহিদ ও দ্বীনের দাওয়াত আবশ্যক। সমালোচনার আশঙ্কায় তা বন্ধ করা যাবে না।


        পক্ষান্তরে মুশরিকদের দেবতাদের গালিগালাজ ও সমালোচনা এ পর্যায়ের কোনো বিষয় নয়। এর উপর দ্বীনের দাওয়াতের কোনো কিছু স্থগিত নয়। বাতিল মা’বুদদের সমালোচনা করা মূলত একটি ভাল কাজ। কিন্তু ভাল হলেও তা জরুরী নয়। এজন্য দেবতাদের গালিগালাজের কারণে যদি আল্লাহ ও রাসূলকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করা হয়, তাহলে এমন ক্ষেত্রে দেবতাদের সমালোচনা করা জায়েয হবে না। আল্লাহ তাআলা নিষেধ করেছেন।

        তিনি ইরশাদ করেন,

        وَلَا تَسُبُّوا الَّذِينَ يَدْعُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ فَيَسُبُّوا اللَّهَ عَدْوًا بِغَيْرِ عِلْمٍ كَذَلِكَ زَيَّنَّا لِكُلِّ أُمَّةٍ عَمَلَهُمْ ثُمَّ إِلَى رَبِّهِمْ مَرْجِعُهُمْ فَيُنَبِّئُهُمْ بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ (108) الأنعام


        (হে মুসলিমগণ!) তারা আল্লাহর পরিবর্তে যেসব (ভ্রান্ত মা’বুদ)কে ডাকে, তোমরা তাদেরকে গালমন্দ করো না। কেননা, তাহলে অজ্ঞতাবশত সীমালংঘন করে তারা আল্লাহকেও গালমন্দ করবে। -আনআম: ১০৮



        ইবনে তাইমিয়া রহ. (৭২৮ হি.) বলেন,

        حرم سب الآلهة مع أنه عبادة لكونه ذريعة إلى سبهم لله سبحانه وتعالى؛ لأن مصلحة تركهم سب الله سبحانه راجحة على مصلحة سبنا لآلهتهم. –الفتاوى الكبرى لابن تيمية: 6\174

        দেবতাদের গালমন্দ করা একটা ইবাদত। এতদসত্বেও আল্লাহ তাআলা তা হারাম করেছেন, যেহেতু তা এর উপলক্ষ্য হচ্ছে যে, মুশরিকরা বিপরীতে আল্লাহ তাআলাকে গালি দেবে। তারা আল্লাহ তাআলাকে গালমন্দ করা থেকে বিরত থাকবে এটা, আমরা তাদের দেবতাদের গালমন্দ করবো- এর চেয়ে অধিক মাসলাহাত ও কল্যাণের বিষয়। -ফাতাওয়া কুবরা: ৬/১৭৪



        অতএব, যেসব ভাই মুশরিকদের দেবতাদের নামে অশ্লীল কবিতা লিখছেন বা গালিগালাজ করছেন, তারা ভুল করছেন। এ থেকে তৎক্ষণাৎ বিরত হয়ে যাওয়া আবশ্যক। এসব বাদ দিয়ে ইসলামের সত্যতা এবং শিরকি ধর্মের অসাড়তা প্রকাশ করা হোক সাবলিল ভাষায়। এতে ইনশাআল্লাহ ফায়েদা হবে। অনর্থক গালিগালাজ করে আল্লাহ ও রাসূলকে কটুক্তির পাত্র বানানোর কোনো অর্থ নেই। সহীহ তাওহিদের দাওয়াত প্রচার করুন। হাঁ, তখনও হয়তো মুশরিকরা সহ্য করতে পারবে না। তবে তখন হয়তো তারা আল্লাহ ও রাসূলের নামে বাজে কথা বলবে না। বা নিতান্ত বললেও সে কারণে তাওহিদের দাওয়াত বাদ দেয়া হবে না। ওয়াল্লাহু আ’লাম।

        Comment


        • #5
          আলহামদুলিল্লাহ প্রিয় ভাই আপনার কাছ থেকে উত্তর টি পেলাম আল্লাহ আপনাদেরকে উত্তম প্রতিদান দান করুক আমিন
          । আসলে ভাইজান সমস্যাটি হলো এই জায়গায় আমরা ছোট থেকেই ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে একটি ভূল ধারণা করে থাকি যে জাহান্নামে যাব ইত্যাদি ইত্যাদি । ইসলাম ধর্ম অনেক কঠিন। ইসলামী ঈলম জানার যে প্রয়োজন আছে তা জানতাম না তার পর ইসলাম ধর্মের ইলম কি জিনিস তাই জানতাম না। তবে আলহামদুলিল্লাহ এখন সমস্যা চিহ্নিত করতে পরেছি। মূল সমস্যা হলো আল্লাহর জমিনে আল্লাহর শরিয়া আইন নেই। শরিয়া আইন যদি থাকত তাহলে জানতে পারতাম ইসলামী ঈলম জানা প্রত্যেক মুসলিমের উপর ফরজ। তারপর ইসলামী শরিয়া অনুযায়ী আমাদের ইসলামী ফরজ ইলম শিক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা করা হতো। কিন্তু এখন শরিয়া না থাকার ফলে আমরা তাওহিদ কি শিরক কি এটাই জানি না। সুতরাং সমস্যার সমাধান হলো আল্লাহর জমিনে আল্লাহর শরিয়া আইন চালু করা। ভাইদের প্রতওলি অনুরোধ হলো যে আমার কাছে 1//AL-Wala Wal bara 2// Nedaye Tawhid বইগুলা আছে । আকিদা, জিহাদ ও জরুরী ইলম এর বিষয়ে আরও কোনো বই থাকলে ডাউনলোড লিংক দিবেন ইনশাআল্লাহ। ফি আমানিল্লাহ
          আমি আল্লাহর তরবারি
          আমি খালিদ বিন ওলিদ
          আমি পারস্য বাহিনীর মৃত্যুর দূত

          Comment


          • #6
            আল্লাহ্ তায়া-লা সম্মানিত ইলম ও জিহাদ ভাইকে উত্তম বিনিময় দান করুন আমিন।

            Comment


            • #7
              প্রিয় ইলম ও জিহাদ ভাইয়ের উত্তরটি আলাদা পোস্টে দিলে অনেক উপকার হত মনে হয়।
              ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

              Comment

              Working...
              X