বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। আসসালামু আলাইকুম। দাওয়াহ ইলাল্লাহ ফোরামে আপনাকে স্বাগতম।
আপনার আসল ইমেইল এড্রেস দিয়ে এখানে আইডি খুলবেন না। আগে আসল ইমেইল আইডী দিয়ে থাকলে সেটাও পরিবর্তন করুন।
পাসওয়ার্ড ও ইমেইল এড্রেস পরিবর্তনের জন্য Settings - Edit Email and Password এ ক্লিক করুন।
আমাদের বর্তমান আইপি এড্রেসঃ https://82.221.139.185
***
বাংলা না দেখা গেলে, এখানে ক্লিক করুন
*****
ফোরামে সদস্য হতে চাইলে এখানে রেজিষ্টার করুন
*****
ফোরামের অনিওন এড্রেসঃ dawah4m4pnoir4ah.onion
*****
টিকা দেয়া বৈধ। যে সকল টিকা চিকিৎসা বিজ্ঞানের মানদণ্ডে উত্তীর্ণ (চিকিতসাবিজ্ঞানের নীতিমালা মেনে তৈরি করা হয়েছে) সেগুলো দিতে অসুবিধা নেই ইনশাআল্লাহ। সম্মানিত শায়েখ ইয়াদ কুনাইবি হাফিজাহুল্লাহ সহ আমাদের মানহাজের বিজ্ঞ ডাক্তার ভাইগণ টিকা দেয়াকে সমর্থন করেছেন।
‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.
টিকা সম্পর্কে আমি যতটুকু জানি, তাহল- ক্ষতিকর কোন রোগজীবাণু থেকে শরীরকে আগাম সুরক্ষা দেয়ার উদ্দেশ্যে সহনীয় মাত্রায় ঐ রোগের সামান্য পরিমাণ জীবাণু শরীরে পুশ করা বা ঢুকিয়ে দেয়া। অথবা ঐ রোগের কিছু জীবাণু অন্য এমন কোন প্রাণীর শরীরে দেয়া, যে প্রাণী নিজ শরীরে আল্লাহ প্রদত্ত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কারণে বেঁচে যেতে সক্ষম। পরবর্তীতে সেই প্রাণীর রক্তের কিছু উপাদান সংগ্রহ করে টিকা আকারে মানুষের শরীরে পুশ করা। এমন নানান পদ্ধতিতে টিকা উৎপাদন করা হয়। আল্লাহর সৃষ্টি উপাদান সমূহের মাঝে থেকে ক্ষতিকর উপাদান থেকে বাঁচার জন্য উপকারী উপাদানের সহায়তা নেয়া দোষনীয় নয় ইনশাআল্লাহ্।
পোলিও টিকা বা বিভিন্ন টিকা যেমন ধুনুস্তঙ্কার / পলিও/ যক্ষ্মা , হাম বসন্ত টিকা দেয়া হয়ে থাকে শিশুদের যেন এই সব রোগ না হয়। ।
অন্যদিকে আকিকা দেয়ার মাধ্যমে শিশুর শারীরিক সকল প্রকার রোগ মুক্ত হয়। রোগের আক্রমন থেকে নিরাপত্তা জন্য দেয়া হয় আকিকা ।
তাহলে আকিকা আর টিকার উদেশ্য প্রায় একই । একটি হল সর্ব শ্রেষ্ঠ বেক্তি মহানবির (SM দেয়া নিয়ম , আরেকটি আধুনিক বিজ্ঞান (?) গবেষণা বের করা কিছু প্রতিষেধক যার মাধ্যমে শিশু ভবিষ্যতের রোগ মুক্ত থাকবে ।
তাহলে এই দুই দিক বিবেচনায় অবশ্যই আল্লাহর রাসূলের (স) নিয়মটাই সর্বোত্তম।
Adv: আকিকার মাদ্ধমে পশুর রক্ত প্রবাহের দ্বারা আল্লাহর কাছে সকল নিরাপত্তা লাভ করে শিশু ।
রাসুল (সাঃ) বলেন ,
সামির ইবনে জনদুব (রাঃ) হতে বর্ণিত রাসুল (সাঃ) বলেন ,
প্রত্যেক শিশু তার আকিকার বিনিময়ে আল্লাহর কাছে বন্ধকস্বরূপ থাকে। কাজেই সপ্তম দিনে তার পক্ষ হতে কুরবানি করবে এবং তার মাথা মুন্ডন করে নাম রাখবে । (আবু দাউদ ২৭২৯)
এই হাদিসে স্পষ্ট যে আকিকার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে শিশু নিরাপত্তা লাভ করে ।
যে জিনিসের মাধ্যমে পূর্ণভাবে শিশু নিরাপত্তা পাচ্ছে সেখানে অন্য পদ্ধতি কেন দরকার?
হ্যাঁ, টিকার যদি ভাল দিক থাকে তবে দরকার আছে ।
এবার আসুন টিকা উপকারী নাকি ক্ষতিকর তা জেনে নেই।
এই টিকাগুলার প্রচলন /আবিস্কার, প্রচার সব করে পশ্চিমা ।
নাইজেরিয়ার ডা. হারুনা কায়েটা আজ থেকে ষোল বছর আগে ২০০৪ সালে তিনি মন্তব্যটি করেছিলেন। নাজেরিয়ান ফার্মাসিউটিক্যাল্স সাইন্টিস্ট ডা. হারুনা কায়েটার
সফল পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন, শিশুদের খাওয়ানোর পোলিও টিকায় প্রথমত রয়েছে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রজনন ক্ষমতা চিরতরে নষ্ট করে দেয়ার উপাদান। দ্বিতীয়ত, বিগত নয় বছর ধরে গোটা পৃথিবীতে লাখ লাখ শিশুকে খাওয়ানো পোলিও টিকায় ক্যান্সারের ভাইরাস মেশানো হচ্ছে এবং তৃতীয়ত, ওরাল পোলিও টিকা পঙ্গুত্ব প্রতিরোধের পরিবর্তে পঙ্গুত্বের জন্য দায়ী প্রমাণিত হওয়ায় আমেরিকা, বৃটেন ও কানাডায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এত ক্ষতিকর দিক থাকার পরও প্রতিষেধকের এই সব নিউজ কর্মসূচি বাংলাদেশসহ তৃতীয় বিশ্বের লক্ষ লক্ষ শিশুকে খাওয়ানো হচ্ছে।
আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে এইডসসহ নানা জিবানুযুক্ত রোগ এই সব টিকা কর্মসুচির মাধ্যমে যে এই সব দেশকে ধংস করে দেয়ার গোপন এজেন্ডা হতে পারে তা অনেকটাই পরিষ্কার.......
সর্ষের ভেতরেই ভূত/ অর্থাৎ পোলিও টিকা খাওয়ানোর কারণে ভারতের লক্ষ শিশু পলিওতে আক্রান্ত।
কিছুদিন আগে ইন্ডিয়ায় পরিচালিত এক অনুসন্ধানী রিপোর্ট শিশুদের খাওয়ানোর পোলিও টিকা এর সামনে মস্তবড় এক প্রশ্নবোধক চিহ্ন এঁকে দিয়েছে;
দেশটিতে এ বিষয়ে ৪৭ হাজার ৫০০ সমস্যার ঘটনা সামনে আসে। এসব ঘটনায় শিশুদের পোলিওর মতো ধ্বংসাত্মক রোগের বিষয়টি উঠে এসেছে। গুরুতর ব্যাপার হল, এ শিশুদের মধ্যে পঙ্গুত্বের দিকে ঠেলে-দেয়া পোলিও রোগের উপসর্গ লক্ষ্য করা গেছে। যাদেরকে সুনির্দিষ্টভাবে পোলিও টিকা খাওয়ানো হচ্ছিল। যাতে প্রমাণিত হয় যে, খোদ পোলিও টিকার মধ্যেই রোগটির উপাদান রয়েছে। এ যেন সর্ষের ভেতরেই ভূত!
অতিতে রয়েছে পলিও টিকার মাধ্যমে মানুষের মস্তিষ্ক, অন্ত্র ও হাড়ের ক্যান্সার সৃষ্টির ঘটনা:
১৯৫৪/ ১৯৬৩ সালের মধ্যে গোটা বিশ্বের শিশুদের উপর প্রয়োগ করা পোলিও ভ্যাকসিন-এ ঝঠ-৪০ নামের ভাইরাস মেশানো ছিল। যা মানুষের মস্তিষ্ক, অন্ত্র ও হাড়ের ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে। যদিও চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা ১৯৬০ সালে শনাক্ত করতে সক্ষম হন যে, বানরের ঘাড় থেকে তৈরি করা পোলিও ভ্যাকসিনে ঝঠ-৪০ ভাইরাস রয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাগুলো বিষয়টি তখন থেকে ধামাচাপা দিতে তৎপর ছিলো।
পোলিও টিকার এইসব ক্ষতিকর দিক গবেষণা করে অনেকে এই টিকার বিরোধী/
মতামত দেয়:
১/ পোলিও টিকা মেয়েদের বন্ধ্যা এবং ছেলেদের প্রজনন ক্ষমতা অনেকাংশে হ্রাস করে দেয়!
উপরে এই ৩ কারনের ব্যাখ্যা সত্যতা বিষয়ে অকাট্য তথ্য-প্রমাণসমৃদ্ধ একাধিক প্রবন্ধ ইন্টারনেট এবং বইপত্র রয়েছে
এখন সারা বিশ্বে পোলিও টিকা প্রয়োগের দু’রকমের পদ্ধতি চালু আছে । এ ছাড়া ভিটামিন ক্যাপসুল খাওয়ানোর এই সব কর্মসূচি দেয়া হয়WHO. এর দ্বারা। তাদের নিয়ন্ত্রন করে ইয়াহুদি / খ্রিষ্টানরা । যারা ইসলামের ঘোরতর শত্রু ।
ভিন্ন দেশের নিরপেক্ষ ও নীতিনিষ্ঠ চিকিৎসা বিজ্ঞানী যারা পোলিও টিকার পরীক্ষা চালিয়েছেন তারা সবাই এতে মানবদেহের জন্য উল্লিখিত মারাত্মক ক্ষতিকর উপাদানগুলো শনাক্ত করেন। যা নিঃসন্দেহে ভয়ঙ্কর। কিন্তু এইসব ইনফর্মেশন গোপন করে রাখা হয়েছে ।
তাঁদের কণ্ঠ চেপে রাখা হয়েছে। আর অন্য দিকে এইসব কর্মসূচি পালনে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়েছে...
আমাদের দেশের কথা ভাবুন এখানে vitamin a capsule , সহ নানা কিছু দেয়া হয় যা আমাদের শত্রু দেশ ভারত থেকে আনা হয় ।
এই সব টিকার প্রভাবে সিলেটে কয়েক বসর আগে ৩০+ শিশু মারা যায় । এর বাহিরে এই সব টিকার প্রভাবে Roto virus সহ নানা কিছু সমস্যা ধরা পড়ছে শিশুদের ।
যেহেতু ভারত ইয়াহুদির দালাল সুতরাং এমন পরিস্থিতিতে ভারতের এই সব vitamin a capsule, সহ নানানকিছু আমাদের দেশে শিশুদেরকে পঙ্গু করে দেয়া, এবং নানান ভাইরাসজনিত রোগের গোপন প্লান থাকতে পারে ।
এইসব টিকার ডোজ শিশুদের উপর প্রভাব ফেলে, নানা অঙ্গ অরগ্যানের ক্ষতি করে ।
সুতরাং, আকিকা দেয়া উত্তম এইগুলা থেকে। আর বিভিন্ন ভিটামিন ঘাটতির জন্য পরিমিত পুষ্টিকর খাবার ফল যথেষ্ট
“যে ব্যক্তি তার সন্তানের আকীকা করতে চায়, সে যেন উহা পালন করে”। (আহমাদ ও আবু দাউদ)
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আরও বলেনঃ (كل غلام رهينة بعقيقته) অর্থ: প্রতিটি সন্তানই আকীকার বিনিময়ে আটক থাকে”। (আহমাদ, তিরমিজী ও অন্যান্য সুনান গ্রন্থ)
পোলিও টিকার প্রকাশিত উপাদানের ব্যাপারে গুগলে লিখে সার্চ দিলে আপনি এর সম্পর্কে বহু তথ্য-উপাত্ত পেয়ে যাবেন। এটি প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস করার পাশাপাশি মেয়েদের গর্ভধারণ ক্ষমতাকেও নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে।
ডা. হারুনা কায়েটা ভারতের ল্যাবরেটরী বিশেষজ্ঞদের সামনেই পোলিও টিকার নমুনাগুলো টেস্ট করেন। সবচেয়ে বড় কথা হল পরীক্ষার ক্ষেত্রে তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক সুপারিশকৃত প্রযুক্তি ব্যবহার করেন। পরীক্ষায় প্রমাণিত হয় ওরাল ভ্যাকসিনে মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর উপাদান রয়েছে।
ডা. হারুনা কায়েটা নিশ্চিত হন :
১/ নাইজেরিয়াকে পোলিও মুক্ত করার নামে "ইউনিসেফ" প্রকৃতপক্ষের আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বিভিন্নভাবে পঙ্গু করে ফেলার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
২/ সাপ্তাহিক ট্রাস্টের সাংবাদিককে ডা. হারুনার বলেন : ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক কোম্পানি এতে ক্ষতিকারক উপাদান মেশাবে তিনটি কারণে
এক) প্রস্তুতকারক কোম্পানি ও এর প্রমোটকারীদের কোনো গোপন অ্যাজেন্ডা রয়েছে ।
দুই) এর সমান্তরালে তৃতীয় বিশ্বের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ হতে পারে ।
তিন) আর জনসঙ্খা নিয়ন্ত্রন মানে মুসলিম সঙ্খা হ্রাস / মুসলিমদের পঙ্গু করতে এই কাজ করে ।
(C&E)
এবার সিদ্ধান্ত আপনার।
আপনার বাচ্চাকে টিকা দিবেন নাকি সঠিক পদ্ধিতিতে আকিকা করবেন।
২/ দ্বিতীয় অভিযোগ, এই টিকা রোগটি প্রতিরোধ তো দূরের কথা নিজেই রোগটি সৃষ্টির উপাদান বহন করে।
৩/ আর তৃতীয় অভিযোগটি সবচে’ ভয়ানক পোলিও টিকা মানবদেহে ক্যান্সার সৃষ্টি করতে দিবেন নাকি আকিকা দিয়ে সুস্থ রাখার ব্যবস্থা করবেন?
--সংগৃহীত
আকিকাকে টিকার বিরুদ্ধে দাঁড় করানো ঠিক নয়। আকিকা অনেক বিপদ থেকে নিরাপত্তা দেয়। কিন্তু এর মানে এই না- যে আকিকা দিলে আর কোনো রোগ হবে না। সাহাবায়ে কেরাম আকিকা দিতেন, কিন্তু তারাও অসুস্থ হতেন। অসুস্থ হলে চিকিৎসা নিতেন।
নির্দিষ্ট কোনো কোম্পানির টিকার ব্যfপারে যদি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয় যে, তাতে ক্ষতিকর উপাদান আছে। তখন সুনির্দিষ্টভাবে সেটার বিরুদ্ধে বলা যায়। এ ছাড়া প্রমাণ ছাড়া আমভাবে সকল টিকার বিরুদ্ধে বললে গ্রহণযোগ্য হবে না। যেসব আশঙ্কা টিকার ব্যfপারে করা হচ্ছে- সেই সব আশঙ্কা একই মাত্রায় তো দুনিয়ার সকল ঔষধের ব্যাপারেও প্রযোজ্য হবে। কারণ অধিকাংশ ঔষধই কাফেরদের কোম্পানীগুলো তৈরি করে। فقط، والله تعالى أعلم بالصواب
“ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.
Comment