বর্তমানে কিছু লোক "মন্দের ভালো" নামক একটা খোঁড়া যুক্তি পেশ করতে চায়।তারা বলে উমুক গনতান্ত্রিক দল ইসলামপন্থী।তারা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় গিয়ে ইসলাম ও মুসলমানদের খেদমত করতে চায়।তাই তাদেরকে ভোট দেওয়া ফরজ।সুবহানাল্লাহ কত সুস্পষ্ট গোমরাহি।
এই মন্দের ভালো নীতি সম্পর্কে আতিয়াতুল্লাহ আল লিব্বি রহঃ বলেন
"সমকালীন কতক আলেম গবেষণার জন্য নতুন এক মাসআলা বের করেছেন।আর তা হলো-
দুজন প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হয়েছে।
একজন এমন এক দলের প্রার্থী যাকে ইসলামি দল বলে গণ্য করা হয় অথবা এমন এক দলের প্রার্থী যে দল শরিয়াহর প্রতি বিদ্বেষ রাখে না এবং যারা দ্বীনদারদের প্রতি সদয়।
অপরপ্রার্থী একজন সেক্যুলার প্রার্থী।যারা ইসলাম ও শরিয়তের প্রতি খোলামেলা শত্রুতা ও বিদ্বেষ পোষণ করে,ইহুদি, খ্রিস্টান ও অন্যান্য কাফিরদের সাথে যাদের রয়েছে অন্তরঙ্গ বন্ধুত্ব।
এই দুই প্রার্থীর মাঝে নির্বাচনী লড়াই হচ্ছে।
এক্ষেত্রে আমাদের কাজ কি হবে?
এখানে মূল প্রশ্নটি হলো ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য যে দল কম ক্ষতিকর তাদেরকে ভোট দেওয়া মুসলমানদের জন্য জায়েজ কিনা-যাতে তারা তুলনামূলক বড় অনিষ্ট প্রতিরোধ করতে পারে।
এই জিজ্ঞাসার সবচেয়ে সমূচিত ও সত্যনিষ্ঠ জবাব আমরা এটাই মনে করি যে, এমন অবস্থায়ও মুসলমানদের জন্য ভোট দেওয়া জায়েজ নয়।কেননা বড় অনিষ্ট প্রতিরোধের এমন অজুহাত দেখিয়ে কোনো কুফরি কাজের দিকে পা বাড়ানো কিছুতেই জায়েজ নয়।তাছাড়া বড় অনিষ্ট প্রতিরোধের এমন অজুহাতও গ্রহণযোগ্য নয়।বরং এটা একটা অনিশ্চিত বিষয়
কথিত ইসলামি দলের মুসলিম প্রার্থীরা ক্ষমতায় গেলে আরো বড় অনিষ্ট সাধিত হবে না তার কি নিশ্চয়তা আছে?
(এখানে আমি নিজে থেকে একটা উদাহরণ দিই ,আর এমন একটি ইসলামি দল হলো জামাআতে ইসলামি ,যারা ক্ষমতায় গিয়ে ভিন্নমতের মুসলিমদের দমনের মত পৈশাচিক খেলায় মেতে উঠেছিল।আর আরেক দল হলো শায়েখে চরমোনাই এর দল।এই দলের আম থেকে নেতৃবৃন্দ পর্যায়ের লোক কতটা উগ্র ভিন্নমতের লোকদের প্রতি ,তা আপনারা সকলেই জানেন। কে জানে তারা ক্ষমতায় গেলে আহলে হাদিস বা এইরকম যারা আছে যে পীর মুরিদী তরিকার বিরোধী তাদেরকে দমন করতে উঠেপড়ে লাগবে না।)
এরপর শায়েখ বলেন
আবার ইসলামের জন্য অধিক ক্ষতিকারক ও খোলামেলা ভাবে শরিয়তের প্রতি শত্রুভাবাপন্ন দল জয়ী হলেও পরিণতির বিচারে মুসলিমদের জন্য কল্যাণকর।কারণ তখন মানুষকে লড়াই করার জন্য প্রস্তুত করা ও চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করাটা অনেক সহজ হবে।জনসাধারণকে জাগিয়ে তো ও জি হা দে র অনুকূলে জনমত তৈরী করতে দায়ী ও মু জা হি দী ন দের সামনে অনেক পথ খুলে যায়।
তবে উপরোক্ত অজুহাত ও ব্যাখ্যা যারা গ্রহণ করবে সর্বাবস্থায় তাদের তাকফির করা যাবে না।আর এটাই আমার মাসআলা বর্ণনা করার উদ্দেশ্য।
(শাইখ আতিয়াতুল্লাহ আল লিব্বি রহঃ)
এই মন্দের ভালো নীতি সম্পর্কে আতিয়াতুল্লাহ আল লিব্বি রহঃ বলেন
"সমকালীন কতক আলেম গবেষণার জন্য নতুন এক মাসআলা বের করেছেন।আর তা হলো-
দুজন প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হয়েছে।
একজন এমন এক দলের প্রার্থী যাকে ইসলামি দল বলে গণ্য করা হয় অথবা এমন এক দলের প্রার্থী যে দল শরিয়াহর প্রতি বিদ্বেষ রাখে না এবং যারা দ্বীনদারদের প্রতি সদয়।
অপরপ্রার্থী একজন সেক্যুলার প্রার্থী।যারা ইসলাম ও শরিয়তের প্রতি খোলামেলা শত্রুতা ও বিদ্বেষ পোষণ করে,ইহুদি, খ্রিস্টান ও অন্যান্য কাফিরদের সাথে যাদের রয়েছে অন্তরঙ্গ বন্ধুত্ব।
এই দুই প্রার্থীর মাঝে নির্বাচনী লড়াই হচ্ছে।
এক্ষেত্রে আমাদের কাজ কি হবে?
এখানে মূল প্রশ্নটি হলো ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য যে দল কম ক্ষতিকর তাদেরকে ভোট দেওয়া মুসলমানদের জন্য জায়েজ কিনা-যাতে তারা তুলনামূলক বড় অনিষ্ট প্রতিরোধ করতে পারে।
এই জিজ্ঞাসার সবচেয়ে সমূচিত ও সত্যনিষ্ঠ জবাব আমরা এটাই মনে করি যে, এমন অবস্থায়ও মুসলমানদের জন্য ভোট দেওয়া জায়েজ নয়।কেননা বড় অনিষ্ট প্রতিরোধের এমন অজুহাত দেখিয়ে কোনো কুফরি কাজের দিকে পা বাড়ানো কিছুতেই জায়েজ নয়।তাছাড়া বড় অনিষ্ট প্রতিরোধের এমন অজুহাতও গ্রহণযোগ্য নয়।বরং এটা একটা অনিশ্চিত বিষয়
কথিত ইসলামি দলের মুসলিম প্রার্থীরা ক্ষমতায় গেলে আরো বড় অনিষ্ট সাধিত হবে না তার কি নিশ্চয়তা আছে?
(এখানে আমি নিজে থেকে একটা উদাহরণ দিই ,আর এমন একটি ইসলামি দল হলো জামাআতে ইসলামি ,যারা ক্ষমতায় গিয়ে ভিন্নমতের মুসলিমদের দমনের মত পৈশাচিক খেলায় মেতে উঠেছিল।আর আরেক দল হলো শায়েখে চরমোনাই এর দল।এই দলের আম থেকে নেতৃবৃন্দ পর্যায়ের লোক কতটা উগ্র ভিন্নমতের লোকদের প্রতি ,তা আপনারা সকলেই জানেন। কে জানে তারা ক্ষমতায় গেলে আহলে হাদিস বা এইরকম যারা আছে যে পীর মুরিদী তরিকার বিরোধী তাদেরকে দমন করতে উঠেপড়ে লাগবে না।)
এরপর শায়েখ বলেন
আবার ইসলামের জন্য অধিক ক্ষতিকারক ও খোলামেলা ভাবে শরিয়তের প্রতি শত্রুভাবাপন্ন দল জয়ী হলেও পরিণতির বিচারে মুসলিমদের জন্য কল্যাণকর।কারণ তখন মানুষকে লড়াই করার জন্য প্রস্তুত করা ও চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করাটা অনেক সহজ হবে।জনসাধারণকে জাগিয়ে তো ও জি হা দে র অনুকূলে জনমত তৈরী করতে দায়ী ও মু জা হি দী ন দের সামনে অনেক পথ খুলে যায়।
তবে উপরোক্ত অজুহাত ও ব্যাখ্যা যারা গ্রহণ করবে সর্বাবস্থায় তাদের তাকফির করা যাবে না।আর এটাই আমার মাসআলা বর্ণনা করার উদ্দেশ্য।
(শাইখ আতিয়াতুল্লাহ আল লিব্বি রহঃ)
Comment