Announcement

Collapse
No announcement yet.

খিজির (আ:) --- বিধান কি হবে?

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • খিজির (আ:) --- বিধান কি হবে?

    মনে করুন, আফগানিস্থানে পরিপূর্ণ ইসলামী খেলাফত চালু হল।
    এমন সময় একজন যদি খিজির (আ: ) এর মত আচরণ করেন যার কোন প্রমান নাই।
    এমনকি উক্ত ব্যক্তি সত্যও বলছে যে, সে ভবিষ্যত জানতে পারে।
    তখন, উক্ত ব্যক্তির প্রতি কী বিধান হবে?
    উল্লেখ্য উক্ত ব্যক্তি খিজির (আ: ) এর মত সুতরাং মুমিনও বটে!
    হে পরাক্রমশালী শক্তিধর! কৃপণতা আর কাপুরুষতা থেকে আশ্রয় চাই সর্বক্ষণ।

  • #2
    কোনো কিছু দাবি করা এক, আর কাজে পরিণত করা আরেক। খযির (খ তে যবর বেশি সহী) আ. এর মত ব্যাক্তিগণের কাজ কখনোই আল্লাহ সাধারণ মানুষের কাছে প্রকাশ করবেন না। তাই কেউ শরীআত বিরোধী কাজ করে ধরা খেলে সে খযির না। আর যদি কোনো সাধারণ ব্যক্তির কাছে কোনো কিছু ঘটার দাবি প্রকাশ পায়, সুধু এ কারণে দাবিদার কে শরীয়তের খেলাফ বলা যায় না। কোনো খাস লোকের কাছে খযিরের মত ঘটনা প্রকাশিত হলে তা আম লোক জানবে না। খাস লোক খযিরকে হারিয়ে ফেলবেন। বি. দ্র. কোনো ভাই ভাবতে পারেন এত প্যাচালের কী দরকার? তখন বলব, জিহাদের ক্ষেত্রে যেমন আমাদের সংশয়মুক্ত হওয়া দরকার। তেমন দীনের সব বিষয়েই বিশেষত আকীদার ক্ষেত্রে সংশয়মুক্ত হওয়া প্রয়োজন। নয়ত পদে পদে বিভ্রান্ত হওয়ার ভয় আছে। আল্লাহ আমাদের পূর্ণাঙ্গ সুন্নী মুজাহিদ বানিয়ে দিন।

    [পুনরায় বিস্তারিত লিখার চেষ্টা করলাম]

    ১. খযির আ. এর দায়িত্ব শরীআহ সংক্রান্ত নয়, পৃথিবীতে আল্লাহর কিছু সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন সম্পর্কে। যা শরীআতের পক্ষেও হতে পারে, বিপক্ষেও যেতে পারে। কারণ, আহলুস সুন্নাহর বিশ্বাস- বান্দার ভাল মন্দ সকল কাজের স্রষ্টা আল্লাহ। তাঁর ইচ্ছা ও নিয়ন্ত্রণের বাইরে কিছু হওয়া সম্ভব নয়। তাই তাঁর ইচ্ছায় ভালো মন্দ বাস্তবায়িত হয়। এই ক্ষেত্রে অধিকাংশ বিষয় ফেরেশতাদের দ্বারা বাস্তবায়ন হলেও কিছু বিষয় খযিরের ন্যায় ব্যক্তির দ্বারা হয়। আর তারা শরীয়তের অধীন নন, তাই মন্দের কারণে গুনাহগার হন না।

    ২. জগতে আল্লাহর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের পন্থা যা ফেরেশতা বা খযিরের দ্বারা হয়, সাধারণ মানুষের চোখের আড়ালে থাকে। তবে কখনো কখনো নবী বা ওলীদের সামনে প্রকাশ পায়। তবে স্থায়ী হয় না। স্বপ্নের মত শেষ হয়ে যায়। যেমন- এক মুজাহিদকে হত্যা করা হল। সাধারণ মানুষ দেখল, মুরতাদ পুলিশ হত্যা করেছে। একজন ওলী দেখলেন, আযরাঈল আ. জান নিলেন। এখন বলা যাবে না, আযরাঈল আ. মুরতাদ হয়ে গিয়েছেন।
    অথচ আযরাঈল আ. স্বাভাবিক ভাবেই জান নিয়েছেন, পুলিশের জন্য বাধ্য হয়ে নেননি। আরো বিস্তারিত জানতে সূরা কাহফের তাফসীর দ্রষ্টব্য।

    ৩. এবার আমরা বুঝবো, তৃতীয় পক্ষের ব্যপারে দাবি আর নিজে কিছু করার পার্থক্য। روض الرياحين কিতাবে বর্ণিত- উমার বিন আব্দুল আযীয কে খলীফা হওয়ার আগেই খযির এসে সুসংবাদ দিয়ে গিয়েছেন। এটা হল (ইতিবাচক) দাবি। আর সূরা কাহফের ঘটনাগুলো নিজের কাজ। এখন নিছক ভবিষ্যতবাণীর কারনে কেউ শরীয়ার বিরুদ্ধে যায় না। অর্থাৎ, গনক ও ভবিষ্যৎবক্তা জিনেরা সার্বভৌম ইলমে গায়বের দাবি করায় মুশরিক। কিন্তু নবীগন ওহীর ভিত্তিতে আর ওলীগণ ইলহামের ভিত্তিতে ভবিষ্যৎবানী করতে পারেন। নবীদের বিষয় সবাই জানে। ওলীদের উদাহরণ- মূসা আ. ও ঈসা আ. এর মাতাদ্বয়। (সূরা মারইয়াম قال إني عبد الله آتاني الكتاب وجعلني نبيا সূরা ক্বাসাস إنا رادوه إليك وجاعلوه من المرسلين) তারা সন্তানের নবুওয়াত শৈশবেই জেনেছেন। এখন যদি তাদের কেউ বলেন, আমার সন্তান বড় হলে নবী হবে, এটা শিরক না।

    ৪. খযিরের কাজই হলো গুপ্ত। আর শরীয়ার অধীন ওলীরাও ভবিষ্যতৎবানী করে বেড়ান না। আল্লাহ কিছু জানালে নিজের কাছে গুপ্ত রাখেন।
    ৫. এখন মূল কথা হলো, শরীয়া বিরোধী কাজ করে যে ধরা খাবে সে খযিরের মত লোক হতে পারে না। আর নেতিবাচক দাবি বা ভবিষ্যৎবানী করে দিলেই শরীয়ার খেলাফ না।

    ৬. আম লোকের কাছে খযিরের শরীয়া বিরোধী কাজ প্রকাশিত হয় না। খাস (ইলহাম প্রাপ্ত) লোকের কাছে প্রকাশ পেলেও হারিয়ে যাবে, আদালত পর্যন্ত গড়াবে না। উল্লেখ্য, খযির শরীয়া সম্মত কাজও করেন, যেমন সূরা কাহফে ৩য় ঘটনায় দেয়াল ঠিক করা। কিন্তু এগুলো নিয়ে কোনো কথার দরকার নেই।

    ৭. এবার একটি ঘটনার ব্যাখ্যা। বৃটিশ বিরোধী জিহাদের সময় এক মুজাহিদ আলিম খযিরকে বৃটিশদের মাঝে দেখলেন। এরপর তিনি ময়দান ছেড়ে চলে গেলেন। এখন দুটি প্রশ্ন; বৃটিশদের সঙ্গ দেয়ায় খযিরের কি হুকুম? আর ময়দান ছাড়ায় মুজাহিদের কি হুকুম? উত্তর: খযির যদি কেবল অবস্থান করেন, তবে তা বৃটিশদের বিজয়ের দাবি মাত্র। আর সহায়তা করলে সূরা কাহফে উল্লেখিত বালককে হত্যা করার মত। যা খাস লোক দেখেছে এবং হারিয়ে গিয়েছে। অথবা এটি স্বপ্নের মত ছিল।

    এবার প্রশ্ন: বালকের হত্যা তো কবীরা গুনাহ, আর বৃটিশদের সাহায্য কুফুরী। উত্তর: বালকের হত্যা হারাম জেনে করলে কবীরা গুনাহ, হালাল জানলে কুফুরী। খযির তো হালাল জেনেই করেছেন। শরীয়ার দৃষ্টিতে তা কুফুরীই হয়।

    আর নিশ্চিত পরাজয়ের সময় মুজাহিদের ময়দান ছাড়ার রুখসত বা অনুমতি আছে। তাই উক্ত মুজাহিদ আলিম নির্দোষ। তবে না ছাড়াটা আযীমাহ বা অতি উত্তম।


    Last edited by sunni jihaadi; 04-24-2021, 09:38 PM.

    Comment


    • #3
      Originally posted by sunni jihaadi View Post
      কোনো কিছু দাবি করা এক, আর কাজে পরিণত করা আরেক। খযির (খ তে যবর বেশি সহী) আ. এর মত ব্যাক্তিগণের কাজ কখনোই আল্লাহ সাধারণ মানুষের কাছে প্রকাশ করবেন না। তাই কেউ শরীআত বিরোধী কাজ করে ধরা খেলে সে খযির না। আর যদি কোনো সাধারণ ব্যক্তির কাছে কোনো কিছু ঘটার দাবি প্রকাশ পায়, সুধু এ কারণে দাবিদার কে শরীয়তের খেলাফ বলা যায় না। কোনো খাস লোকের কাছে খযিরের মত ঘটনা প্রকাশিত হলে তা আম লোক জানবে না। খাস লোক খযিরকে হারিয়ে ফেলবেন। ভাই হয়ত ব্রিটিশ আমলের এক ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করতে পারেন। তার উত্তর উল্লেখিত নীতি অনুযায়ী ব্যাখ্যা করা যায়। অর্থাৎ হয়ত খযির বৃটিশদের মাঝে শুধু অবস্থান করছিলেন, তখন এটা দাবির পর্যায়ে। তাই দর্শক আম হলেও সমস্যা নেই। কারণ, তার কাজই এধরনের। আর যদি বৃটিশদের পক্ষে লড়াই করেন তবে ক) দর্শক খাস ব্যক্তি এবং হারিয়ে ফেলেছেন। খ) এই দেখাটা স্বপ্নের মত, বাস্তব নয়। বি. দ্র. কোনো ভাই ভাবতে পারেন এত প্যাচালের কী দরকার? তখন বলব, জিহাদের ক্ষেত্রে যেমন আমাদের সংশয়মুক্ত হওয়া দরকার। তেমন দীনের সব বিষয়েই বিশেষত আকীদার ক্ষেত্রে সংশয়মুক্ত হওয়া প্রয়োজন। নয়ত পদে পদে বিভ্রান্ত হওয়ার ভয় আছে। আল্লাহ আমাদের পূর্ণাঙ্গ সুন্নী মুজাহিদ বানিয়ে দিন।

      উত্তরটি পরিপূর্ণ ভাবে বোধগম্য হয়নি আমার কাছে।
      হে পরাক্রমশালী শক্তিধর! কৃপণতা আর কাপুরুষতা থেকে আশ্রয় চাই সর্বক্ষণ।

      Comment


      • #4
        উপরের কমেন্ট এডিট করে [পুনরায় বিস্তারিত লিখার চেষ্টা করলাম]
        তার পরেও যদি ব্যর্থ হই, ভাইয়ের কাছে আবেদন থাকবে প্রশ্ন আরেকটু বুঝিয়ে করার।
        Last edited by sunni jihaadi; 04-24-2021, 11:54 PM.

        Comment


        • #5
          Originally posted by sunni jihaadi View Post
          কোনো কিছু দাবি করা এক, আর কাজে পরিণত করা আরেক। খযির (খ তে যবর বেশি সহী) আ. এর মত ব্যাক্তিগণের কাজ কখনোই আল্লাহ সাধারণ মানুষের কাছে প্রকাশ করবেন না। তাই কেউ শরীআত বিরোধী কাজ করে ধরা খেলে সে খযির না। আর যদি কোনো সাধারণ ব্যক্তির কাছে কোনো কিছু ঘটার দাবি প্রকাশ পায়, সুধু এ কারণে দাবিদার কে শরীয়তের খেলাফ বলা যায় না। কোনো খাস লোকের কাছে খযিরের মত ঘটনা প্রকাশিত হলে তা আম লোক জানবে না। খাস লোক খযিরকে হারিয়ে ফেলবেন। বি. দ্র. কোনো ভাই ভাবতে পারেন এত প্যাচালের কী দরকার? তখন বলব, জিহাদের ক্ষেত্রে যেমন আমাদের সংশয়মুক্ত হওয়া দরকার। তেমন দীনের সব বিষয়েই বিশেষত আকীদার ক্ষেত্রে সংশয়মুক্ত হওয়া প্রয়োজন। নয়ত পদে পদে বিভ্রান্ত হওয়ার ভয় আছে। আল্লাহ আমাদের পূর্ণাঙ্গ সুন্নী মুজাহিদ বানিয়ে দিন।


          [পুনরায় বিস্তারিত লিখার চেষ্টা করলাম]
          ১. খযির আ. এর দায়িত্ব শরীআহ সংক্রান্ত নয়, পৃথিবীতে আল্লাহর কিছু সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন সম্পর্কে। যা শরীআতের পক্ষেও হতে পারে, বিপক্ষেও যেতে পারে। কারণ, আহলুস সুন্নাহর বিশ্বাস- বান্দার ভাল মন্দ সকল কাজের স্রষ্টা আল্লাহ। তাঁর ইচ্ছা ও নিয়ন্ত্রণের বাইরে কিছু হওয়া সম্ভব নয়। তাই তাঁর ইচ্ছায় ভালো মন্দ বাস্তবায়িত হয়। এই ক্ষেত্রে অধিকাংশ বিষয় ফেরেশতাদের দ্বারা বাস্তবায়ন হলেও কিছু বিষয় খযিরের ন্যায় ব্যক্তির দ্বারা হয়। আর তারা শরীয়তের অধীন নন, তাই মন্দের কারণে গুনাহগার হন না।
          ২. জগতে আল্লাহর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের পন্থা যা ফেরেশতা বা খযিরের দ্বারা হয়, সাধারণ মানুষের চোখের আড়ালে থাকে। তবে কখনো কখনো নবী বা ওলীদের সামনে প্রকাশ পায়। তবে স্থায়ী হয় না। স্বপ্নের মত শেষ হয়ে যায়। যেমন- এক মুজাহিদকে হত্যা করা হল। সাধারণ মানুষ দেখল, মুরতাদ পুলিশ হত্যা করেছে। একজন ওলী দেখলেন, আযরাঈল আ. জান নিলেন। এখন বলা যাবে না, আযরাঈল আ. মুরতাদ হয়ে গিয়েছেন।
          অথচ আযরাঈল আ. স্বাভাবিক ভাবেই জান নিয়েছেন, পুলিশের জন্য বাধ্য হয়ে নেননি। আরো বিস্তারিত জানতে সূরা কাহফের তাফসীর দ্রষ্টব্য।
          ৩. এবার আমরা বুঝবো, তৃতীয় পক্ষের ব্যপারে দাবি আর নিজে কিছু করার পার্থক্য। روض الرياحين কিতাবে বর্ণিত- উমার বিন আব্দুল আযীয কে খলীফা হওয়ার আগেই খযির এসে সুসংবাদ দিয়ে গিয়েছেন। এটা হল (ইতিবাচক) দাবি। আর সূরা কাহফের ঘটনাগুলো নিজের কাজ। এখন নিছক ভবিষ্যতবাণীর কারনে কেউ শরীয়ার বিরুদ্ধে যায় না। অর্থাৎ, গনক ও ভবিষ্যৎবক্তা জিনেরা সার্বভৌম ইলমে গায়বের দাবি করায় মুশরিক। কিন্তু নবীগন ওহীর ভিত্তিতে আর ওলীগণ ইলহামের ভিত্তিতে ভবিষ্যৎবানী করতে পারেন। নবীদের বিষয় সবাই জানে। ওলীদের উদাহরণ- মূসা আ. ও ঈসা আ. এর মাতাদ্বয়। (সূরা মারইয়াম قال إني عبد الله آتاني الكتاب وجعلني نبيا সূরা ক্বাসাস إنا رادوه إليك وجاعلوه من المرسلين) তারা সন্তানের নবুওয়াত শৈশবেই জেনেছেন। এখন যদি তাদের কেউ বলেন, আমার সন্তান বড় হলে নবী হবে, এটা শিরক না।
          ৪. খযিরের কাজই হলো গুপ্ত। আর শরীয়ার অধীন ওলীরাও ভবিষ্যতৎবানী করে বেড়ান না। আল্লাহ কিছু জানালে নিজের কাছে গুপ্ত রাখেন।
          ৫. এখন মূল কথা হলো, শরীয়া বিরোধী কাজ করে যে ধরা খাবে সে খযিরের মত লোক হতে পারে না। আর নেতিবাচক দাবি বা ভবিষ্যৎবানী করে দিলেই শরীয়ার খেলাফ না।
          ৬. আম লোকের কাছে খযিরের শরীয়া বিরোধী কাজ প্রকাশিত হয় না। খাস (ইলহাম প্রাপ্ত) লোকের কাছে প্রকাশ পেলেও হারিয়ে যাবে, আদালত পর্যন্ত গড়াবে না। উল্লেখ্য, খযির শরীয়া সম্মত কাজও করেন, যেমন সূরা কাহফে ৩য় ঘটনায় দেয়াল ঠিক করা। কিন্তু এগুলো নিয়ে কোনো কথার দরকার নেই।
          ৭. এবার একটি ঘটনার ব্যাখ্যা। বৃটিশ বিরোধী জিহাদের সময় এক মুজাহিদ আলিম খযিরকে বৃটিশদের মাঝে দেখলেন। এরপর তিনি ময়দান ছেড়ে চলে গেলেন। এখন দুটি প্রশ্ন; বৃটিশদের সঙ্গ দেয়ায় খযিরের কি হুকুম? আর ময়দান ছাড়ায় মুজাহিদের কি হুকুম? উত্তর: খযির যদি কেবল অবস্থান করেন, তবে তা বৃটিশদের বিজয়ের দাবি মাত্র। আর সহায়তা করলে সূরা কাহফে উল্লেখিত বালককে হত্যা করার মত। যা খাস লোক দেখেছে এবং হারিয়ে গিয়েছে। (এবার প্রশ্ন: বালকের হত্যা তো কবীরা গুনাহ, আর বৃটিশদের সাহায্য কুফুরী। উত্তর: বালকের হত্যা হারাম জেনে করলে কবীরা গুনাহ, হালাল জানলে কুফুরী। খযির তো হালাল জেনেই করেছেন। শরীয়ার দৃষ্টিতে তা কুফুরীই হয়।) আর নিশ্চিত পরাজয়ের সময় মুজাহিদের ময়দান ছাড়ার রুখসত বা অনুমতি আছে। তাই তিনি নির্দোষ। তবে না ছাড়াটা আযীমাহ বা অতি উত্তম।
          হযরত খিজির আ এর জন্য বালককে হত্যা বৈধ ছিল কারন তিনি এই বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন কারন কুরআন মাজিদে তার কাজকে رشداবলে উল্লেখ করা হয়েছে তার বিধান আমাদের বিধান এক নয় এর ফলেই হযরত মূসা আঃ শরীয়তের আলেম হওয়া সত্ত্বেও তার কাছে ঞ্জান অর্জন করতে যান এবং তিনি আল্লাহর পখ্য থেকে বিশেষ ক্ষমতা প্রাপ্ত তাই তার উপর হদ কয়েম করা সম্ভব নয় সুতরাং কারো উপরে হদ কায়েম করা গেলে বুঝতে হবে তিনি খিজির নন এবংতিনি কখন মুসলমান দের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হবেন না শরীয়তের সীমানায় এসে শরীয়ত বিরোধী কাজ ও করবেনা এবং খিজির আঃ বলেছেন وما فعلته عن امري আমি ইহা নিজ সিদ্ধান্তে করিনি
          Last edited by khaled123; 05-04-2021, 02:46 PM.

          Comment


          • #6
            খযির হয়ত গুপ্ত থাকবেন অথবা প্রকাশ্যে কাজ করে হারিয়ে যাবেন, ধরা দিবেন না। শরীয়া আদালতের আওতায় আসবেন না। সরাসরি বাঁধা দিবেন না। আমার উদ্দেশ্য এটাই।

            আর বালক হত্যা থেকে এটাই মনে হয় মুসলিমদের বিরুদ্ধে ছায়া / গোপন যুদ্ধ সম্ভব। নিশ্চিত ভাবে তা নাকচ করা যায় না। যে শরীয়ার আওতায় আসবে, আম লোকের সামনে বা আদালতে; সে কক্ষনো খযির নয়।


            Comment

            Working...
            X