চেইনে যুক্ত থাকার পরও কি লোন উলফ অপারেশন করা জায়েজ হবে?
Announcement
Collapse
No announcement yet.
লোন উলফ বিষয়ক জিজ্ঞাসা
Collapse
X
-
স্বাভাবিক অবস্থায় জায়েয হবে না। তবে শত্রুর সাথে সংঘর্ষের মুখোমুখি হলে অথবা এমন কেউ আক্রান্ত হল যাকে সাহায্য করা সম্ভব এবং অন্য কোনো সাহায্যকারী সেখানে নেই, তবে ভিন্ন কথা।
মুখতাসার আসাসুল জিহাদ
৩:৪; বিধানগত দিক থেকে জিহাদ: ১) মূলত ফারযে কিফায়াহ। যেমন- দারুল হারবে ইক্বদাম। ২) ফরযে আইন। যদি সবার অংশগ্রহণ ছাড়া ফারয আদায় না হয়। যেমন- তাহরীর। ৩) অথবা নফল। যেমন- বেসরকারী ভাবে আবশ্যকতা ছাড়াই হারবীর উপর আক্রমণ। অথবা মাযুর ব্যক্তির ফরয জিহাদে সংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অংশগ্রহণ।
৩:৫; বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে জিহাদ: ক) ওয়াজিব: ১) ইমারাহ বা নেতৃত্বের আদেশে। ২) আক্রান্ত কাউকে সাহায্য সম্ভব হলে। ৩) সংঘর্ষের মুখোমুখি হলে। খ) নিষিদ্ধ: ১) মামুরের জন্য ইমারার অনুমতি ছাড়া। ২) শারীআহ সম্মত চুক্তির বর্তমানে। ৩) জাতীয় পরাজয় বা বিপর্যয়ের আশঙ্কা থাকলে। তবে একক বা কতেকের বেলায় হলে যুদ্ধ না করা রুখসাহ বা বৈধ। আর করা আযীমাহ বা উত্তম। গ) বৈধ: যদি আবশ্যক বা নিষিদ্ধ কোনো বিষয় না থাকে। যেমন- আমীরের জন্য আদেশ করা। একাকী ব্যক্তির জন্য নফল করা। আর বিপরীতমুখী দুটি বিষয় একত্র হলে অধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রাধান্য পাবে। যেমন- শারীআহ সম্মত চুক্তির বর্তমানে আমীরের আদেশ গৃহীত হবে না।
মুখতাসার আসাসুল জিহাদ (সকল পর্ব)।
সংক্ষেপে জিহাদ সংক্রান্ত নীতিমালা (বাংলা)।
{ভাই! কুরআন হাদীসের আলোকে ইমামতি, তালীম ইত্যাদির বিনিময়ের হুকুম জানতে চেয়েছিলেন।
প্রথমত, শরীয়তের অনেক বিধানই কুরআন হাদীসে স্পষ্ট উল্লেখ নেই। সেক্ষেত্রে ফুকাহায়ে কেরামের ইজমা ও কিয়াসই দলীল; কুরআন, হাদীস ও সাহাবায়ে কেরামের আমলের ভিত্তিতে। তাই সব মাসায়েলে কুরআন ও হাদীসের দলীল থাকা শর্ত নয়।
এবার, এ বিষয়ে ফুকাহায়ে আহনাফের সিদ্ধান্ত সংক্ষেপে তুলে ধরছি। যে সকল আমলকে ইবাদত হিসাবে নির্ধারণ করা হয়েছে, তা তিন প্রকার। ক) সরাসরি সওয়াব উদ্দেশ্য, অন্য কিছু উদ্দেশ্য নয়। যেমন নামায পড়া, ইতিকাফ করা, নিজের জন্য বা মৃতের জন্য তিলাওয়াত করা, তারাবীহতে কুরআন খতম ইত্যাদি। এর বিনিময় নেয়া হারাম। খ) সওয়াব উদ্দেশ্য আবার দীনকে টিকিয়ে রাখার কারণ। যেমন ফরয নামাযের ইমামতি, দারুল ইসলামের প্রশাসনিক দায়িত্ব (খুলাফায়ে রাশিদীন থেকে সাব্যস্ত।), ফরযে কিফায়া ইলমে দীনের তালীম (যেমন কুরআন শিক্ষা দেয়া। এর মাঝে ওয়াযও শামিল। তবে মাকরূহ পন্থায় ওয়াযের আলোচনা ভিন্ন।), আযান দেয়া, জিহাদ করা ইত্যাদি। প্রয়োজনের কারণে এর বিনিময় জায়েয। (বরং দায়িত্বের ক্ষতি হলে না নেয়া মাকরুহ) শর্ত হলো আগেই সময় ও শ্রম দেয়ার বিষয় নির্ধারিত হতে হবে। ইমাম ঠিক করা নেই, একজন এগিয়ে গিয়ে নামায পড়াল। এখন বিনিময় চাইতে পারবে না। গ) সওয়াব উদ্দেশ্য নয়। যেমন কারো বিপদ মুক্তি বা সুস্থতার জন্য তিলাওয়াত, ঝাড়ফুঁক (রুকইয়াহ), তাবীয লিখা ইত্যাদি। এর বিনিময় বৈধ। দলীল আবু সাঈদ খুদরী রা. এর বিখ্যাত রুকইয়ার হাদীস; যা বুখারীতেও আছে। এবং ইমাম তিরমিযী র. তাবীযের বিনিময় শিরোনামে এনেছেন। আর যে সকল আমলকে ইবাদাহ রূপে নির্ধারণ করা হয়নি তবে সওয়াবের নিয়ত করা যায়, যেমন ডাক্তারী, মেথরী, শিল্প কর্ম ইত্যাদি। এক্ষেত্রেও বিনিময় নেয়া হালাল। (সূরা তহা ও কাসাসের তাফসীরে) রসূল সা. বলেছেন, যে শিল্প নির্মাতা খেদমতের নিয়ত করে, সে উম্মে মূসার মত। যে নিজ সন্তানকে বুকের দুধ পান করিয়ে পারিশ্রমিক অর্জন করেছে। (মাআরেফুর কুরআন)
বি. দ্র. গুরুত্বের কারণে এড়িয়ে যেতে পারিনি। যোগ্যতার কমতির কারণে প্রয়োজনীয় সূত্র তুলে ধরতে পারিনি। তবে মূল সূত্রগুলোর দিকে ইঙ্গিত করে গেলাম।
Comment