বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। আসসালামু আলাইকুম। দাওয়াহ ইলাল্লাহ ফোরামে আপনাকে স্বাগতম।
আপনার আসল ইমেইল এড্রেস দিয়ে এখানে আইডি খুলবেন না। আগে আসল ইমেইল আইডী দিয়ে থাকলে সেটাও পরিবর্তন করুন।
পাসওয়ার্ড ও ইমেইল এড্রেস পরিবর্তনের জন্য Settings - Edit Email and Password এ ক্লিক করুন।
আমাদের বর্তমান আইপি এড্রেসঃ https://82.221.139.185
***
বাংলা না দেখা গেলে, এখানে ক্লিক করুন
*****
ফোরামে সদস্য হতে চাইলে এখানে রেজিষ্টার করুন
*****
ফোরামের অনিওন এড্রেসঃ dawah4m4pnoir4ah.onion
*****
হামাস হল জামায়াতে ইসলামী টাইপ সংগঠন। যার সাথে শিয়া ইরানের সুসম্পর্ক রয়েছে। আমার জানা মতে, এ ব্যাপারে আল কায়েদার অবস্থান: তাকফীর না করা। ধৈর্য্য ধরা, সংঘর্ষ এড়ানো। ইসরাইলের বিরুদ্ধে সাহায্য করা, তবে একাকার না হওয়া। বিষয়গুলো বিস্তারিত আলোচনার প্রয়োজন মনে করছি না। একটু চেষ্টা করলে আমরাই জেনে ও বুঝে নিতে পারব।
তারা তো আল্লাহর বিধান দিয়ে শাসন না করে,মানবরচিত বিধান দিয়ে শাসন করে,তারা ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী, মুজাহিদদের হত্যাকারী ইত্যাদি। সুতরাং আমরা কী হামাসকে মুরতাদ ও তাগুত বলবো না??
[[[ আবু আহনাফ]]] ভাইজান, অনুগ্রহ করে নতুন করে একটি লিংক দিলে ভালো হয়।
আপনি পারেন তাহলে [[[ জিহাদ ও প্রশিক্ষণ থেকে গাফেল থাকার ফলাফল ]]] এ-ই অডিওটি আমাকে দেয়ার জন্য অনুরোধ।
তারা তো আল্লাহর বিধান দিয়ে শাসন না করে,মানবরচিত বিধান দিয়ে শাসন করে,তারা ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী, মুজাহিদদের হত্যাকারী ইত্যাদি। সুতরাং আমরা কী হামাসকে মুরতাদ ও তাগুত বলবো না??
ভাই, উসূলে তাকফীর সংক্ষেপে আলোচনা সম্ভব নয়। এতে ফিতনার সম্ভাবনা রয়েছে। আল্লাহ তাওফীক দিলে সামনে কিছু লিখার আশা রাখি। তারপরও এখন একটু বলি।
গাইরুল্লাহর ইকরার /স্বীকৃতি এবং ইবাদত/ উপাসনা আইনে কুফর (মূল কুফর)। যেমন বিএনপির মির্জা ফখরুল বলেছে বিএনপি শরীয়া আইনে বিশ্বাসী না। এটা কুফরের ইকরার, তাই আইনে কুফর। এছাড়া মানব রচিত আইনের সাথে জড়িত থাকা সববে কুফর (কুফরের কারণ/ মাধ্যম) হলেও সর্বদা আইনে কুফর হয় না। নির্বাচনে অংশ নেয়াও এমন। যদি তা আইনে কুফর হত তবে সব ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল এবং ভোট দাতা সাধারণ মানুষ কাফির হয়ে যেত। কারণ আইনে কুফরে তাবীল চলে না। আর মুজাহিদদের হত্যা মুজাহিদ হওয়াতে করা হয়নি, কর্তৃত্ব হ্রাসের আশংকা ইত্যাদি রাজনৈতিক কারণ থেকে হয়েছে। যেমন হাজ্জাজ বিন ইউসুফ সাহাবী তাবিঈদের হত্যা করেছিল। তবে হামাস ধর্মনিরপেক্ষতার দাবি করে কিনা, করলে তার ভাষা ও উদ্দেশ্য কি? এ ব্যাপারে আমার স্পষ্ট কিছু জানা নেই।
কেউ ঈমানের ইকরার করলে, এবং কুফরের ইকরার ও গাইরুল্লাহর ইবাদত থেকে বেঁচে থাকলে তার ক্ষেত্রে মুসলিম হওয়া আসল। যদিও তার মাঝে সববে কুফর পাওয়া যায়। যেমন কাফিরদের সাহায্য সববে কুফর। এজন্য বাংলাদেশ আর্মি দলগতভাবে মুরতাদের হুকুমে। কিন্তু নির্ধারিত কোনো আর্মি সদস্যকে এই কারণে তাকফীর করা হবে না, যতক্ষণ না আইনে কুফর সাব্যস্ত হয়। যদিও সে হত্যা যোগ্য বলে গণ্য।
যেমন বদরী সাহাবী হাতিব রা. মক্কার কাফিরদের সাহায্য করেছিলেন। আর উমার রা. তাকে মুরতাদ হিসেবে হত্যা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু রসূল স. তা খণ্ডন করলেন। কাফিরদের সাহায্য যদি আইনে কুফর হত রসূল স. তার শাস্তি ঠেকাতে পারতেন না। ফকীহগণ শহীদের সঙ্গায় এও বলেছেন কাফিরদের সহযোগী মুসলিমের হাতে নিহত মুসলিম ব্যাক্তিও শহীদ। সরাসরি মুরতাদ বলেন নি।
ومن يتولهم منكم فإنه منهم আয়াতের ব্যাখ্যায় সম্ভাবনা রয়েছে যে আকীদাগত কারণে সাহায্য করবে, আকীদাগতভাবে কাফিরদের দলভুক্ত। আর যে বাহ্যিকভাবে দুনিয়াবি কারণে সাহায্য করবে, সে বাহ্যিকভাবে তাদের দলভুক্ত। অর্থাৎ হত্যা যোগ্য। সুতরাং ঈমান ভঙ্গের কারণ সমূহে আমরা যে পড়ি কাফিরদের সাহায্য কুফর। এটা আসলে সববে কুফর। তাই এর ঢালাও প্রয়োগ করা যাবে না। এর দ্বারা তাকফীরে মুআয়্যান করা যাবে না। الله أعلم
নিচের লেখাটি মনযোগ দিয়ে পড়লে অনেক বিষয় স্পষ্ট হবে বলে মনে করি।
আইসিস ও আল-ক্বা’ইদাহ্*র মধ্যে মানহাজগত পার্থক্য- শাইখ আহমাদ আল হামদান হাফিযাহুল্লাহ
Comment