কোন কুফরি রাষ্ট্র যদি নিজ থেকে মুসলমানদের কাছে আত্মসমর্পণ এবং বশ্যতা স্বীকার করে নেয় তাহলে তাদের উপর জিযিয়া চাপানো যাবে কিনা? যদি চাপান যায় তা ওয়াজিব নাকি জায়েয? কোন কাফের এমন রয়েছে কি যে আল্লাহকে নিয়ে কটুক্তি করল না রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়েও না এবং ইসলাম কে নিয়েও না এবং কখন মুসলমান দের বিরুদ্ধে যুদ্ধও করল না এবং সে এমন কাজ ও করল না যার কারনে হদ ওয়াজিব হয় এবং সে জিযিয়া দিতে রাজি হয়ে গেল এমতাবস্থায় তার জিযিয়া গ্রহন না করে তাকে হত্যা করা জায়েয হবে?।যদি জায়েজ হয় তাহলে তা শুধু জায়েজ নাকি কখন ওয়াজিব হবে।
Announcement
Collapse
No announcement yet.
আদানান আল মারুফ ,ইলম ও জিহাদ এবং সুন্নিজিহাদি ভাই সহ অভিজ্ঞ মুফতী ভাইদের সাহায্য কামনা
Collapse
X
-
মুহতারাম ভাই, আপনার সুওয়ালের পূর্ণ উদ্দেশ্যটি বুঝতে পারছি না। তবে মাসআলা হলো, কাফেররা স্বেচ্ছায় মুসলমান হতে রাজি হয়ে গেলে যেমন তাদের হত্যা করা যায় না; মুসলমানরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার আগেই যদি স্বেচ্ছায় তারা আত্মসম্পর্পণ করে ফেলে তাহলেও হত্যা করা যায় না, গোলাম বাঁদিও বানানো যায় না। তখন তাদের রাস্তা একটাই যে, জিযিয়ার শর্তে যিম্মি বানিয়ে রাখা হবে। অতএব, কোনো কাফের রাষ্ট্র যদি মুসলমানরা তাদের রাষ্ট্রে বাহিনি পাঠানোর আগেই স্বেচ্ছায় মুসলিমদের হাতে আত্মসমর্পণ করতে সম্মত হয়, তাহলে তাদের হত্যা করা যাবে না, গোলাম বাঁদিও বানানো যাবে না। তারা আমান পেয়ে যাবে এবং জিযিয়ার শর্তে যিম্মি বানানো হবে। তাদেরকে হত্যা করা হারাম। তেমনি জিযিয়া না নিয়ে এমনিতে ছেড়ে দেয়াও হারাম। দেখুন: শরহুস সিয়ার: ১৫২৯, ১৮৯ এছাড়াও ফিকহের কিতাবের গনিমতের অংশে এসব ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা আছে।
فإن طلب قوم من أهل الحرب أن يصيروا ذمة للمسلمين، يجرى عليهم أحكام الإسلام، على أن يؤدوا عن رقابهم وأراضيهم شيئا معلوما، فإنه يجب على الإمام أن يجيبهم إلى ذلك. لأن عقد الذمة ينتهي به القتال كالإسلام، فكما أنهم لو طلبوا عرض الإسلام عليهم يجب إجابتهم إلى ذلك، فكذلك إذا طلبوا عقد الذمة. شرح السير الكبير (ص: 1529) ولا ينبغي أن يدع المشركين بغير دعوة إلى الإسلام، أو إعطاء جزية إذا تمكن من ذلك. شرح السير الكبير (ص: 189)
Comment