Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুসলিম ভূমির শাসক মুরতাদ হওয়ার প্রমাণ কি?

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুসলিম ভূমির শাসক মুরতাদ হওয়ার প্রমাণ কি?

    মুসলিমদের মধ্যে সালাফি নাম ধারি একদল আলেম ও তার অনুসারীরা এটা বলে যে মুসলিমদের শাষক যে মুরতাদ হয়ে গেছে সেটা প্রমান করতে হবে। তারা বলে থাকে যে সেই শাষকের কাছে সরাসরি গিয়ে তার জবানবন্দি নিতে হবে যে সে বলছে, "আমি আল্লাহ ও রাসুলে বিশ্বাস করি না। আমি সালাত সাওম যাকাত বিশ্বাস করিনা ইত্যাদি। যদি তারা নিজ মুখে কুফরি শিকার না করে, তাহলে তাদের মুরতাদ বলা যাবে না।"এই ব্যাপারে তারা হাদিসের দলিলও পেশ করে থাকে।
    [যেসব হাদীস দ্বারা উনারা দলীল পেশ করেন, সেই দলীলগুলো অনুগ্রহপূর্বক এখানে যুক্ত করে দিন ভাই।-মডারেটর]
    পশ্ন(প্রশ্ন) - মুসলিম ভূমির নামধারী মুসলিম শাষকদেরকে(শাসকদেরকে) কি জালিম মুসলিম বলা হবে নাকি মুরতাদ? মুরতাদ হয়ে থাকলে তার দলিল কি?

  • #2
    ১) গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
    অধ্যায়ঃ ৬৪/ মাগাযী [যুদ্ধ] (كتاب المغازى)
    হাদিস নম্বরঃ ৪৩৫১


    ৬৪/৬২. বিদায় হাজ্জের পূর্বে ‘আলী ইবনু আবূ ত্বলিব এবং খালিদ ইবনু ওয়ালীদ (রাঃ)-কে ইয়ামানে প্রেরণ।

    ৪৩৫১. আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) ইয়ামান থেকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এক প্রকার (রঙিণ) চামড়ার থলে করে সামান্য কিছু স্বর্ণ পাঠিয়েছিলেন। তখনও এগুলো থেকে সংযুক্ত মাটি পরিষ্কার করা হয়নি। আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম চার জনের মাঝে স্বর্ণখন্ডটি বণ্টন করে দিলেন। তারা হলেন, ‘উয়াইনাহ ইবনু বাদর, আকরা ইবনু হাবিস, যায়দ আল-খায়ল এবং চতুর্থ জন ‘আলক্বামাহ কিংবা ‘আমির ইবনু তুফায়ল (রাঃ)। তখন সহাবীগণের মধ্য থেকে একজন বললেন, এটা পাওয়ার ব্যাপারে তাঁদের অপেক্ষা আমরাই অধিক হাকদার ছিলাম। (রাবী) বলেন, কথাটি নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছল। তাই নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা কি আমার উপর আস্থা রাখ না অথচ আমি আসমানের অধিবাসীদের আস্থাভাজন, সকাল-বিকাল আমার কাছে আসমানের সংবাদ আসছে। রাবী বলেন, এমন সময়ে এক ব্যক্তি উঠে দাঁড়াল। লোকটির চোখ দু’টি ছিল কোটরাগত, চোয়ালের হাড় যেন বেরিয়ে পড়ছে, উঁচু কপাল বিশিষ্ট, দাড়ি অতি ঘন, মাথাটি ন্যাড়া, পরনের লুঙ্গী উপরে উত্থিত। সে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহ্কে ভয় করুন। নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমার জন্য আফসোস! আল্লাহ্কে ভয় করার ব্যাপারে দুনিয়াবাসীদের মধ্যে আমি কি অধিক হাকদার নই? রাবী আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, লোকটি চলে গেলে খালিদ বিন ওয়ালীদ (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি কি লোকটির গর্দান উড়িয়ে দেব না? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ না, হতে পারে সে সালাত আদায় করে। খালিদ (রাঃ) বললেন, অনেক সালাত আদায়কারী এমন আছে যারা মুখে এমন এমন কথা উচ্চারণ করে যা তাদের অন্তরে নেই। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমাকে মানুষের দিল ছিদ্র করে, পেট ফেড়ে দেখার জন্য বলা হয়নি। তারপর তিনি লোকটির দিকে তাকিয়ে দেখলেন। তখন লোকটি পিঠ ফিরিয়ে চলে যাচ্ছে। তিনি বললেন, এ ব্যক্তির বংশ থেকে এমন এক জাতির উদ্ভব হবে যারা শ্রুতিমধুর কণ্ঠে আল্লাহর কিতাব তিলাওয়াত করবে অথচ আল্লাহর বাণী তাদের গলদেশের নিচে নামবে না। তারা দ্বীন থেকে এভাবে বেরিয়ে যাবে যেভাবে লক্ষ্যবস্তুর দেহ ভেদ করে তীর বেরিয়ে যায়। (বর্ণনাকারী বলেন) আমার মনে হয় তিনি এ কথাও বলেছেন, যদি আমি তাদেরকে পাই তাহলে অবশ্যই আমি তাদেরকে সামূদ জাতির মতো হত্যা করে দেব। [৩৩৪৪; মুসলিম ১২/৪৭, হাঃ ১০৬৪, আহমাদ ১১৬৯৫] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪০০৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪০১০)

    হাদিসের মানঃ সহিহ

    (উপরের হাদিসে সে দিল ছিদ্র করে, পেট ফেরে এর কথাকে এক্সাম্পল হিসেবে বুঝিয়েছে যে তাকফির করার কতটা কম্পলিকেটেড। এটা জবানবন্দি ছাড়া করা যাবেনা।)

    ২) সে আমাকে খালিদ বিন ওয়ালিদ রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুর এর ঘটনা দিয়েছে। আবু বকর রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুর এর শাসনামলে যাকাত দিতে অস্বীকার কারিদের বিরুদ্ধে তিনি যখন যুদ্ধের হুকুম দেয়, খালিদ বিন ওয়ালিদ রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু যুদ্ধে মালিক ইবনে নুয়াইরাহ কে কতল করে। এই ব্যাপারে খালিদ বিন ওয়ালিদ রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুর উপর অন্যান্য সাহাবিরা রাগ হোন যে সে কেন তাকে হত্যার সময় আরো ক্লিয়ার হয়নি! এটা একটা এক্সাম্পল দিসে।

    ৩) ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল রহিমাহুল্লাহ এর সময় মুতাজিলা শাষকের বিরুদ্ধে তিনি বিদ্রোহ করেনাই, (হয়তো তাকফিরো করেনাই) এটা একটা এক্সাম্পল দিসে।

    Comment


    • #3
      আশা করি অভিজ্ঞ আলিম ভাইয়েরা এ প্রশ্নের উত্তর দানে এগিয়ে আসবেন।
      আপনি ধৈর্যের সাথে অপেক্ষা করুন ভাই, আল্লাহ সহজ করে দিবেন, ইনশাআল্লাহ।
      ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

      Comment


      • #4
        আলহামদুলিল্লাহ! সমাধান হয়েছে।

        ইমান ভংগের ইস্যুতে আমার জ্ঞানের সল্পতা ছিলো। তাই যে আমাকে উপরের দলিল গুলো দিয়েছিলো, তার দলিলের পাল্টা দলিল আমার কাছে না থাকায় টেনশনে পরে গিয়েছিলাম। যদিও আম ভাবে এটা বুঝি যে শাসক মুরতাদ হয়ে গেছে নানাবিধ কারণে, কিন্তু দালিলিক তথ্য আমি প্রদান করতে পারিনি। তাই তারাহুরো করে একেক যায়গায় পোস্ট করেছি, যদি কেও সহায়তা করতে পারে!

        পরবর্তীতে দাওয়াহ ইলাল্লাহ এর ফতোয়া ফোরাম ঘাটাঘাটি করে নেদায়ে তাওহীদ পেয়েছি। শাসক মুরতাদ হওয়ার প্রমান স্বরূপ এই বই ই যথেষ্ট। জাযাকাল্লাহ। তারপরেও যদি কেও উপরের ব্যাখ্যাগুলো খন্ডন করতে পারেন, তাহলে এক্সট্রা উপকার হবে ইনশাআল্লাহ।

        Comment

        Working...
        X