ভুলে ভুলে পার্থক্য রয়েছে ।
ভুলের অনেকগুলো প্রকার রয়েছে । যেমন:
১/ نِسْيَانُ (নিসয়ান)
২/ خَظَأٌ (খতা)
৩/ غَلَطٌ (গলত)
১/ نِسْيَانُ (নিসয়ান)
ــــــــــــــــــــــــــــــــــــ
উদাহরণ: মনে করুন, আপনি সওম রেখেছেন । তারপর আজকে যে সওম রেখেছেন, তা ভুলেই গেছেন । পিপাসা লেগেছে । সামনে পানি পেয়েছেন অন্য দিনের মত আজকেও এক গ্লাস পানি পান করে ফেললেন । পানি পান করা শেষ ! এখন মনে পড়েছে হায়! আমি তো আজকে সওম রেখেছি! মনেই নেই! পানি তো পান করে ফেললাম!
এটা এক প্রকার ভুল । তবে এই ভুলে সওম ভাঙ্গবে না ।
ভুলের সমাধান : কিছুই করতে হবে না বরং মাফ । সওম ভাঙ্গবে না, সওম আদায় হয়ে যাবে ।
২/ خَظَأٌ (খতা)
ــــــــــــــــــــــــــ
উদাহরণ: মনে করুন, আপনি সওম রেখেছেন । আপনার স্পষ্ট মনে আছে যে আপনি আজ সওম রেখেছেন । একেবারেই ভুলেননি । ওযু করতে গিয়ে কুলি করার সময় অসতর্কতার কারণে বে-খেয়ালিতে ইকটু পানি গলায় ঢুকে গেছে । কিন্তু আপনার মনে আছে যে আপনি সওম রেখেছেন । পানি যখন ঢুকে তখন বললেন হায়! আমি তো আজ সওম রেখেছি ।
এটাও এক প্রকার ভুল । এবার সওম ভেঙ্গে যাবে ।
ভুলের সমাধান: একটি সওম ভেঙ্গে যাওয়ায় একটি কাযা সওম আদায় করতে হবে ।
৩/ غَلَطٌ (গলত)
ــــــــــــــــــــــــــــ
উদাহরণ: মনে করুন, আপনি একটি সেক্যুলার রাষ্ট্রের ১৭ বছর বয়সি একজন স্কুল পরীক্ষার্থী । সেক্যুলার সরকার রমাদন মাসে পরীক্ষা দিয়ে রেখেছে কেননা সেক্যুলারের তো আর রমাদন মাস নিয়ে কোন হিসাব-কিতাব নেই । আচ্ছা, তো আপনি সাহরি করে সওম রাখার নিয়ত করলেন । কিন্তু আপনার মা বললেন, তুই সওম ভেঙ্গে ফেল ! না হয় তোর পরীক্ষা ভালো হবে না । কম নাম্বার পাবি, সওমখানা ভেঙ্গে ফেল ! আপনি ভাঙ্গতে না চাইলেও আপনার মায়ের চাপা-চাপিতে সওম ভেঙ্গে ফেললেন ।
এটাও এক প্রকার ভুল । স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে সওম ভেঙ্গে গেছে ।
ভুলের সমাধান: একাধারে দু'মাস অর্থাৎ ৬০টি সওম রাখতে হবে । মাঝখানে বাদ দেওয়া যাবে না বরং একাধারে ।
১/ نِسْيَانُ (নিসয়ান) ভুলের সমাধান : কিছুই করতে হবে না বরং মাফ । সওম ভাঙ্গবে না, সওম আদায় হয়ে যাবে ।
২/ خَظَأٌ (খতা) ভুলের সমাধান: একটি সওম ভেঙ্গে যাওয়ায় একটি কাযা সওম আদায় করতে হবে ।
৩/ غَلَطٌ (গলত) ভুলের সমাধান: একাধারে দু'মাস অর্থাৎ ৬০টি সওম রাখতে হবে । মাঝখানে বাদ দেওয়া যাবে না বরং একাধারে ।
সুতরা আমরা স্পষ্ট বোঝতে পারছি সকল ভুল এক মাপের নয়, বরং ভুলে ভুলে পার্থক্য রয়েছে ।
ব্যক্তিগত ভুল, পারিবারিক ভুল, সামাজিক ভুল, রাষ্ট্রীয় ভুল, বৈশ্বিক ভুল ইত্যাদি ভুলগুলো একই মাপের নয় বরং এইগুলোর মাঝে পার্থক্য রয়েছে ।
গোপনে ভুল, প্রকাশ্যে ভুল, একজনের সামনে ভুল, দুইজনের সামনে ভুল, দশজনের সামনে ভুল, লক্ষ লক্ষ মানুষের সামনে ভুল ইত্যাদি ভুলগুলো একই মাপের নয়, বরং এইগুলোর মাঝে পার্থক্য রয়েছে ।
জেনে-শোনে ভুল আর না জেনে-শোনে ভুল কখনই এক মাপের নয় বরং পার্থক্য হয়েছে ।
ইসলামী শরীয়াতের - শাখাগত ভুল, মৌলিক বিষয়ে ভুল, আক্বিদাগত ভুল, মানহাযগত ভুল, অপব্যাখ্যা করে ভুল ইত্যাদি ভুলগুলো একই মাপের নয়, বরং এই গুলোর মাঝে পার্থক্য রয়েছে ।
একজন সাধারণ মানুষের ভুল আর আমীরের ভুল এক নয় বরং পার্থক্য রয়েছে ।
ভুলে ভুলে পার্থক্য রয়েছে । আসমান-জমীন পার্থক্য ।
কিছু ভুলের সময় নিরব থাকা যায়, আবার এমন কিছু ভুল রয়েছে যে তখন নিরব থাকা যায় না ।
কিছু ভুল আলোচনা না করা উত্তম, আবার এমন কিছু ভুল রয়েছে যে তখন আলোচনা করা জরুরী হয়ে যায় ।
কিছু ভুল গোপন করা যায়, আবার এমন কিছু ভুল রয়েছে যে প্রকাশ করতে হয় ।
[মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক সাহেব সহ আরো তিনজনের রচিত "তাবলীগ জামাত বর্তমান পরিস্থিতি ও উত্তরণের উপায়" নামক কিতাবের ২৭-২৯ পৃষ্ঠা অবলম্বনে পরিমার্জিত]
ভুল করার রাস্তা যেমন রয়েছে, তেমনি এর সমাধানের রাস্তাও রয়েছে ।
কিছু ভুলের সমাধান তো মাফ!
কিছু ভুলের সমাধান পুনরায় করা!
কিছু ভুলের সমাধান কাফ্ফারা!
কিছু ভুলের সমাধান দান-ছদাকা করা!
কিছু ভুলের সমাধান দোয়া করা!
কিছু ভুলের সমাধান চোখের পানি!
কিছু ভুলের সমাধান তাওবা করা!
কিছু ভুলের সমাধান অনুতপ্ত হওয়া!
কিছু ভুলের সমাধান দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হওয়া!
কিছু ভুলের সমাধান নেক আমাল!
আবার কিছু ভুলের সমাধান মৃত্যু!
হে আল্লাহ! আপনি আমাদের সবার বিভিন্ন মাপের ভুলগুলোকে মাফ করে দিন । আমীন ইয়া রব্বাল আলামীন ।
ভুলের অনেকগুলো প্রকার রয়েছে । যেমন:
১/ نِسْيَانُ (নিসয়ান)
২/ خَظَأٌ (খতা)
৩/ غَلَطٌ (গলত)
১/ نِسْيَانُ (নিসয়ান)
ــــــــــــــــــــــــــــــــــــ
উদাহরণ: মনে করুন, আপনি সওম রেখেছেন । তারপর আজকে যে সওম রেখেছেন, তা ভুলেই গেছেন । পিপাসা লেগেছে । সামনে পানি পেয়েছেন অন্য দিনের মত আজকেও এক গ্লাস পানি পান করে ফেললেন । পানি পান করা শেষ ! এখন মনে পড়েছে হায়! আমি তো আজকে সওম রেখেছি! মনেই নেই! পানি তো পান করে ফেললাম!
এটা এক প্রকার ভুল । তবে এই ভুলে সওম ভাঙ্গবে না ।
ভুলের সমাধান : কিছুই করতে হবে না বরং মাফ । সওম ভাঙ্গবে না, সওম আদায় হয়ে যাবে ।
২/ خَظَأٌ (খতা)
ــــــــــــــــــــــــــ
উদাহরণ: মনে করুন, আপনি সওম রেখেছেন । আপনার স্পষ্ট মনে আছে যে আপনি আজ সওম রেখেছেন । একেবারেই ভুলেননি । ওযু করতে গিয়ে কুলি করার সময় অসতর্কতার কারণে বে-খেয়ালিতে ইকটু পানি গলায় ঢুকে গেছে । কিন্তু আপনার মনে আছে যে আপনি সওম রেখেছেন । পানি যখন ঢুকে তখন বললেন হায়! আমি তো আজ সওম রেখেছি ।
এটাও এক প্রকার ভুল । এবার সওম ভেঙ্গে যাবে ।
ভুলের সমাধান: একটি সওম ভেঙ্গে যাওয়ায় একটি কাযা সওম আদায় করতে হবে ।
৩/ غَلَطٌ (গলত)
ــــــــــــــــــــــــــــ
উদাহরণ: মনে করুন, আপনি একটি সেক্যুলার রাষ্ট্রের ১৭ বছর বয়সি একজন স্কুল পরীক্ষার্থী । সেক্যুলার সরকার রমাদন মাসে পরীক্ষা দিয়ে রেখেছে কেননা সেক্যুলারের তো আর রমাদন মাস নিয়ে কোন হিসাব-কিতাব নেই । আচ্ছা, তো আপনি সাহরি করে সওম রাখার নিয়ত করলেন । কিন্তু আপনার মা বললেন, তুই সওম ভেঙ্গে ফেল ! না হয় তোর পরীক্ষা ভালো হবে না । কম নাম্বার পাবি, সওমখানা ভেঙ্গে ফেল ! আপনি ভাঙ্গতে না চাইলেও আপনার মায়ের চাপা-চাপিতে সওম ভেঙ্গে ফেললেন ।
এটাও এক প্রকার ভুল । স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে সওম ভেঙ্গে গেছে ।
ভুলের সমাধান: একাধারে দু'মাস অর্থাৎ ৬০টি সওম রাখতে হবে । মাঝখানে বাদ দেওয়া যাবে না বরং একাধারে ।
১/ نِسْيَانُ (নিসয়ান) ভুলের সমাধান : কিছুই করতে হবে না বরং মাফ । সওম ভাঙ্গবে না, সওম আদায় হয়ে যাবে ।
২/ خَظَأٌ (খতা) ভুলের সমাধান: একটি সওম ভেঙ্গে যাওয়ায় একটি কাযা সওম আদায় করতে হবে ।
৩/ غَلَطٌ (গলত) ভুলের সমাধান: একাধারে দু'মাস অর্থাৎ ৬০টি সওম রাখতে হবে । মাঝখানে বাদ দেওয়া যাবে না বরং একাধারে ।
সুতরা আমরা স্পষ্ট বোঝতে পারছি সকল ভুল এক মাপের নয়, বরং ভুলে ভুলে পার্থক্য রয়েছে ।
ব্যক্তিগত ভুল, পারিবারিক ভুল, সামাজিক ভুল, রাষ্ট্রীয় ভুল, বৈশ্বিক ভুল ইত্যাদি ভুলগুলো একই মাপের নয় বরং এইগুলোর মাঝে পার্থক্য রয়েছে ।
গোপনে ভুল, প্রকাশ্যে ভুল, একজনের সামনে ভুল, দুইজনের সামনে ভুল, দশজনের সামনে ভুল, লক্ষ লক্ষ মানুষের সামনে ভুল ইত্যাদি ভুলগুলো একই মাপের নয়, বরং এইগুলোর মাঝে পার্থক্য রয়েছে ।
জেনে-শোনে ভুল আর না জেনে-শোনে ভুল কখনই এক মাপের নয় বরং পার্থক্য হয়েছে ।
ইসলামী শরীয়াতের - শাখাগত ভুল, মৌলিক বিষয়ে ভুল, আক্বিদাগত ভুল, মানহাযগত ভুল, অপব্যাখ্যা করে ভুল ইত্যাদি ভুলগুলো একই মাপের নয়, বরং এই গুলোর মাঝে পার্থক্য রয়েছে ।
একজন সাধারণ মানুষের ভুল আর আমীরের ভুল এক নয় বরং পার্থক্য রয়েছে ।
ভুলে ভুলে পার্থক্য রয়েছে । আসমান-জমীন পার্থক্য ।
কিছু ভুলের সময় নিরব থাকা যায়, আবার এমন কিছু ভুল রয়েছে যে তখন নিরব থাকা যায় না ।
কিছু ভুল আলোচনা না করা উত্তম, আবার এমন কিছু ভুল রয়েছে যে তখন আলোচনা করা জরুরী হয়ে যায় ।
কিছু ভুল গোপন করা যায়, আবার এমন কিছু ভুল রয়েছে যে প্রকাশ করতে হয় ।
[মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক সাহেব সহ আরো তিনজনের রচিত "তাবলীগ জামাত বর্তমান পরিস্থিতি ও উত্তরণের উপায়" নামক কিতাবের ২৭-২৯ পৃষ্ঠা অবলম্বনে পরিমার্জিত]
ভুল করার রাস্তা যেমন রয়েছে, তেমনি এর সমাধানের রাস্তাও রয়েছে ।
কিছু ভুলের সমাধান তো মাফ!
কিছু ভুলের সমাধান পুনরায় করা!
কিছু ভুলের সমাধান কাফ্ফারা!
কিছু ভুলের সমাধান দান-ছদাকা করা!
কিছু ভুলের সমাধান দোয়া করা!
কিছু ভুলের সমাধান চোখের পানি!
কিছু ভুলের সমাধান তাওবা করা!
কিছু ভুলের সমাধান অনুতপ্ত হওয়া!
কিছু ভুলের সমাধান দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হওয়া!
কিছু ভুলের সমাধান নেক আমাল!
আবার কিছু ভুলের সমাধান মৃত্যু!
হে আল্লাহ! আপনি আমাদের সবার বিভিন্ন মাপের ভুলগুলোকে মাফ করে দিন । আমীন ইয়া রব্বাল আলামীন ।
Comment