সালামের উত্তর কি শুনিয়ে দেওয়া ওয়াজিব না কি না শুনালেও ওয়াজিব আদায় হয়ে যাবে।
Announcement
Collapse
No announcement yet.
একটি ফতোয়া চেয়ে আবেদন।
Collapse
X
-
সম্মানিত ভাই,
সালামের পরিচয় :
সালাম হলো মুমিনদের পরস্পর অভিবাদন। আল্লাহ তা'আলার ইরশাদ,
وإذا حييتم بتحية فحيوا بأحسن منها أو ردوها
যখন তোমাদের কেউ সালাম দেয় তখন তোমরা তার চেয়ে উত্তম পন্থায় সালাম দাও অথবা হুবহু তাই বলে দাও। ( সুরা নিসা: ৮৬)
তিনি আরো বলেন,
فسلموا علي أنفسكم تحية من عند الله مباركة طيبة
তোমরা আপন লোকদের সালাম দাও যা আল্লাহর পক্ষ থেকে বরকতময় উত্তম। ( সূরা নূর: ৬১)
সালাম হলো জান্নাত বাসীদের পরস্পর শুভেচ্ছা বিনিময় মাধ্যম। আল্লাহর ইরশাদ,
والملائكة يدخلون عليهم من كل باب سلام عليكم بما صبرتم فنعم عقبي الدار
প্রতিটি দরজা দিয়ে ফেরেশতাগণ তাদের নিকট আসবে। (বলবে) তোমাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক ; কারণ তোমরা ধৈর্য্য ধারণ করেছ। আর পরকালের পরিণাম কত উত্তম।
সালামের বিধান :
সালামদাতাকে জওয়াব শুনিয়ে দেওয়া ওয়াজিব। জওয়াব না শুনিয়ে নিম্ন স্বরে দেওয়া যথেষ্ট নয়। আর মৌখিক জওয়াব না দিয়ে শুধু মাথা নাড়ানোর দ্বারা সালামের উত্তর আদায় হয় না। উল্লেখ্য যে, যদি সালামদাতা বধির হয় কিংবা দূরে থাকে যেখানে আওয়াজ পৌঁছবে না। তাহলে মৌখিক জওয়াবের পাশাপাশি ইশারাও করবে। যেন সালামদাতা বুঝতে পারে যে, তার সালামের জওয়াব দেওয়া হয়েছে।
-সূরা নিসা : ৮৬; সহীহ বুখারী ২/৯২৪; জামে তিরমিযী ২/৯৯; উমদাতুল কারী ২২/২৩০; রদ্দুল মুহতার ৬/৪১৩; আলমুহীতুল বুরহানী ৮/১৮; ফাতাওয়া খানিয়া ৩/৪২৩; ফাতাওয়া বাযযাযিয়া ৬/৩৫৫; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩৩৩ (আল কাউসার)
Comment
Comment