আমি একটি বইয়ে পেয়েছি উত্তরাধিকার সম্পদের বন্টনের ক্ষেত্রে ওসিয়াত এবং ওয়ারিশ এক ব্যক্তির মাঝে জমা হতে পারবেনা এটা কি শরিয়তের মাসআলাহ? ২) আমাদের সমাজে কেউ মাথা মুন্ডন করলে তাকে নিয়ে ঠাট্টা করা হয় সুতরাং যারা ঠাট্টা করে তাদের বিধান কি হবে ।
Announcement
Collapse
No announcement yet.
কয়েকটি মাসআলাহ জানার প্রয়োজন
Collapse
X
-
সংক্ষিপ্ত উত্তর।
১.১, ওয়ারিসদের জন্য ওয়াসিয়্যাহ না জায়েয। কারণ, ক) ওয়ারিসদের অংশ শরীয়ত নির্ধারিত করে দিয়েছে। খ) একটি দূর্বল হাদীসে এসেছে, لا وصية لوارث এবং গ) ফকীহগণ হাদীসটির উপর আমলের ব্যাপারে একমত হয়েছেন।
১.২, কেউ যদি কোনো ওয়ারিসের জন্য ওয়াসিয়্যাহ করেই ফেলে, তখন অন্যান্য বালেগ ওয়ারিসদের সন্তুষ্টির ভিত্তিতে তাদের অংশ থেকে ওয়াসিয়্যাহ পুরো করা হবে।
১.৩, কেউ যদি দীনী অথবা অভাব জনিত কারনে কোনো ওয়ারিসকে কিছু দিতে চায়, এর সঠিক পদ্ধতি হল জীবিত ও সুস্থ অবস্থায় তাকে মালিক বানিয়ে দিবে। যা পরে আর মিরাসের মধ্যে গণ্য হবে না।
১.৪, আরেকটি বিষয় আছে পরামর্শ। অর্থাৎ, যিনি মারা যাবেন বা যাচ্ছেন, তিনি ওয়ারিসদের পরামর্শ দিয়ে গেলেন; তোমরা অমুকে অমুক সম্পদটা নিতে পার। এটা ওয়াসিয়্যাহ না। মিরাস বন্টন যেন সহজ হয়, সে জন্য পরামর্শ। ওয়ারিসরা চাইলে সে অনুযায়ী আমল করতে পারে।
১.৫, কেউ চাইলে জীবিত অবস্থায় সম্পদ ভাগ করে মালিক বানিয়ে দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে কম বেশি করলেও হয়ে যাবে। না করাই উত্তম।
২. মুসলিমকে নিয়ে ঠাট্টা করলে তাকে কষ্ট দেয়ার কারণে গুনাহ হবে। যদি সে বন্ধু পর্যায়ের হয় এবং কষ্ট না পায়, ক্ষতি নেই। এর সাথে ঈমান কুফরের সম্পর্ক নেই। হ্যাঁ, হজ্জ বা উমরা পরবর্তী মাথা মুন্ডন নিয়ে কেউ বিরূপ মন্তব্য করলে কুফর বলে গণ্য হবে। তবে তাকফীরে মুআইয়ানের বেলায় সর্বদা সতর্কতা আবশ্যক।
Comment