আসসালামুআলাইকুম, আমি একজন মুসলিম যুবক, সামান্য কিছু দীনের কাজ করার চেষ্টা করি আলহামদুলিল্লাহ। বর্তমানে আমি বিবাহিত ও সম্পুর্ন বেকার। পিতা মাতার উপর নির্ভরশিল। পুর্বে কিছু চাকরি ও ব্যবসা করার চেষ্টা করেছি বিভিন্ন কারনে সফল হইনি। বর্তমানে পরিবার থেকে সরকারি চাকরিতে ঢুকার চাপ দিচ্ছে। কিন্তু সরকারি চাকরিতে লিখিত তে টিকার পর ভাইভাতে বাদ হয়ে যাচ্ছি, এখন পরিবার থেকে বলছে কিছু টাকা দিয়ে ঢুকে যেতে । টাকা দিয়ে ঢুকা কি জায়েয হবে? আর ঢুকলে কি পুরা উপার্যনই কি হারাম হবে? দয়া করে জানাবেন। ওয়াসসালাম।
Announcement
Collapse
No announcement yet.
আসসালামুআলাইকুম, একটা প্রশ্ন
Collapse
X
-
Originally posted by sifullah abdullah View Postআসসালামুআলাইকুম, আমি একজন মুসলিম যুবক, সামান্য কিছু দীনের কাজ করার চেষ্টা করি আলহামদুলিল্লাহ। বর্তমানে আমি বিবাহিত ও সম্পুর্ন বেকার। পিতা মাতার উপর নির্ভরশিল। পুর্বে কিছু চাকরি ও ব্যবসা করার চেষ্টা করেছি বিভিন্ন কারনে সফল হইনি। বর্তমানে পরিবার থেকে সরকারি চাকরিতে ঢুকার চাপ দিচ্ছে। কিন্তু সরকারি চাকরিতে লিখিত তে টিকার পর ভাইভাতে বাদ হয়ে যাচ্ছি, এখন পরিবার থেকে বলছে কিছু টাকা দিয়ে ঢুকে যেতে । টাকা দিয়ে ঢুকা কি জায়েয হবে? আর ঢুকলে কি পুরা উপার্যনই কি হারাম হবে? দয়া করে জানাবেন। ওয়াসসালাম।
ভাই সরকারি চাকরীর ক্ষেত্রে প্রথম বিবেচ্য বিষয় আপনি কোন মন্ত্রনালয়ের অধীনে চাকরী করছেন। স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, অর্থ, তথ্য, আইন, বিচার, প্রতিরক্ষা ইত্যাদি মন্ত্রনালয় যেগুলো সরাসরি ইসলাম বিরোধী কাজে লিপ্ত সেগুলোতে চাকরী করা সকল অবস্থায় হারাম। সমাজকল্যাণ, সড়ক ও জনপথ, স্বাস্থ ইত্যাদি বিভাগ যেখানে ইসলাম বিরোধী কোন কাজ করতে হয় না, জনকল্যাণমূলক কাজ করা হয় সেখানে চাকরী করা যেতে পারে। তারপরেও সর্বদা সতর্ক থাকা জরুরী যেন কোন ভাবেই তাগুতের গোলামী করতে না হয়।
আর ঘুষের ব্যাপারে আমি সাধারণ (মুযাহিদ নন) আলিমদের ফতওয়া দিতে দেখেছি যে, যদি যোগ্যতা থাকা সত্বেও আপনাকে অন্যায় ভাবে বাদ দেওয়া হয় তখন আপনি ঘুষ দিয়ে চাকরী নিতে পারবেন। নতুবা ঘুষ দিয়ে চাকরী নেওয়া জায়েজ নয়। তবে ঘুষ দিয়ে চাকরি নিলেও যদি চাকরীর হক আদায় করে কাজ করা হয় অর্থাৎ সে কাজের যোগ্যতা আপনার থাকে, তবে চাকরির বেতন হারাম হবে না। শুধু ঘুষ দেওয়াটাই হারাম হবে। তবে এক্ষেত্রে আলিমদের মধ্যে ইখতেলাফ আছে।
আপনি সরকারি চাকরী ছাড়া নিজের জীবিকার ব্যবস্থা করতে পারছেন না অথচ রাসুল সাঃ বলেছেন, জীবিকার দশ ভাগের নয় ভাগ আছে ব্যবসাতে। কিন্তু এখন আমাদের অবস্থা দেখে মনে হয়, জীবিকার নয় ভাগ আছে অন্যের গোলামী করার মাঝে।
যারা আল্লাহর দ্বীনের জন্য নিজেদের জীবন ও মাল কোরবানী করতে চান তাদের জন্য শুধু সরকারী চাকরী নয়, যে কোন চাকরী থেকে বিরত থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করা উচিত। এমনকি যদি এতে আপনি আর্থিক ভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হন তবুও। কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যারা চাকরী করেন তারা দ্বীনী কাজে সময় দিতে সুযোগ কম পান।
বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা ও সমাজ ব্যবস্থা আমাদের শিখিয়েছে অন্যের গোলামী করার মধ্যেই আছে আমাদের যত সুখ আর সম্মান। কিন্তু আমাদের বুঝতে হবে আমরা যারা এই সমাজ ব্যবস্থা পরিবর্তন করার চেষ্টা করছি তাদের গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে দিলে চলবে না। আমাদের সুখ ও সম্মান খুজে পেতে হবে পরিশ্রম করে হালাল উপার্যন করার মধ্যে, স্বাধীনভাবে বাচতে পারার মধ্যে।
আল্লাহ আমাদের জন্য জীবন ও জীবিকার পথ সহয করে দিন, আমিন।
Comment
-
Originally posted by আহমেদ মুসা View Postওয়ালায়কুম আসসালাম,
ভাই সরকারি চাকরীর ক্ষেত্রে প্রথম বিবেচ্য বিষয় আপনি কোন মন্ত্রনালয়ের অধীনে চাকরী করছেন। স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, অর্থ, তথ্য, আইন, বিচার, প্রতিরক্ষা ইত্যাদি মন্ত্রনালয় যেগুলো সরাসরি ইসলাম বিরোধী কাজে লিপ্ত সেগুলোতে চাকরী করা সকল অবস্থায় হারাম। সমাজকল্যাণ, সড়ক ও জনপথ, স্বাস্থ ইত্যাদি বিভাগ যেখানে ইসলাম বিরোধী কোন কাজ করতে হয় না, জনকল্যাণমূলক কাজ করা হয় সেখানে চাকরী করা যেতে পারে। তারপরেও সর্বদা সতর্ক থাকা জরুরী যেন কোন ভাবেই তাগুতের গোলামী করতে না হয়।
আর ঘুষের ব্যাপারে আমি সাধারণ (মুযাহিদ নন) আলিমদের ফতওয়া দিতে দেখেছি যে, যদি যোগ্যতা থাকা সত্বেও আপনাকে অন্যায় ভাবে বাদ দেওয়া হয় তখন আপনি ঘুষ দিয়ে চাকরী নিতে পারবেন। নতুবা ঘুষ দিয়ে চাকরী নেওয়া জায়েজ নয়। তবে ঘুষ দিয়ে চাকরি নিলেও যদি চাকরীর হক আদায় করে কাজ করা হয় অর্থাৎ সে কাজের যোগ্যতা আপনার থাকে, তবে চাকরির বেতন হারাম হবে না। শুধু ঘুষ দেওয়াটাই হারাম হবে। তবে এক্ষেত্রে আলিমদের মধ্যে ইখতেলাফ আছে।
আপনি সরকারি চাকরী ছাড়া নিজের জীবিকার ব্যবস্থা করতে পারছেন না অথচ রাসুল সাঃ বলেছেন, জীবিকার দশ ভাগের নয় ভাগ আছে ব্যবসাতে। কিন্তু এখন আমাদের অবস্থা দেখে মনে হয়, জীবিকার নয় ভাগ আছে অন্যের গোলামী করার মাঝে।
যারা আল্লাহর দ্বীনের জন্য নিজেদের জীবন ও মাল কোরবানী করতে চান তাদের জন্য শুধু সরকারী চাকরী নয়, যে কোন চাকরী থেকে বিরত থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করা উচিত। এমনকি যদি এতে আপনি আর্থিক ভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হন তবুও। কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যারা চাকরী করেন তারা দ্বীনী কাজে সময় দিতে সুযোগ কম পান।
বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা ও সমাজ ব্যবস্থা আমাদের শিখিয়েছে অন্যের গোলামী করার মধ্যেই আছে আমাদের যত সুখ আর সম্মান। কিন্তু আমাদের বুঝতে হবে আমরা যারা এই সমাজ ব্যবস্থা পরিবর্তন করার চেষ্টা করছি তাদের গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে দিলে চলবে না। আমাদের সুখ ও সম্মান খুজে পেতে হবে পরিশ্রম করে হালাল উপার্যন করার মধ্যে, স্বাধীনভাবে বাচতে পারার মধ্যে।
আল্লাহ আমাদের জন্য জীবন ও জীবিকার পথ সহয করে দিন, আমিন।
Comment
Comment