গুলশান হামলা কেন শর'য়ীভাবে অবৈধ?
গুলশান হামলায় ৭-৮ জন নারীকে হত্যা করা হয়েছে। অথচ এগুলো এড়ানো যায় না এমন হত্যা ছিল না। উলামায়ে কেরাম হারবীদের হত্যা করতে গিয়ে যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে নারী-শিশু হত্যা হয়ে যায়, তাতে কোন সমস্যা নেই বলেছেন। কিন্তু যখন নারীদের চিহ্নিত করা যায়, এবং চাইলেই তাদের হত্যা এড়ানো যায় সেখানে নারী-শিশুদের হত্যা করা হারাম বলেছেন।
আমরা অনেকে না বুঝে সুরা বাকারার ১৯৪ নং আয়াত দিয়ে এই ন্যাক্কারজনক কর্মের বৈধতা প্রমাণের চেষ্টা করি। আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, "সুতরাং যে তোমাদের উপর সীমালঙ্ঘন করে, তোমরা তার উপর সীমালঙ্ঘন করো সেই পরিমানে যে পরিমাণে সে তোমাদের উপর সীমালঙ্ঘন করেছে।" দেখুন, এই আয়াতে আল্লাহ যে যুলুম করেছে, তার উপরে প্রতিশোধ নিতে বলেছেন। অন্যের উপরে নয়। আমরা বলি, কাফেররা আমাদের নারী-শিশু হত্যা করছে, তাই আমরাও করব। হ্যাঁ। যদি নারী-শিশুরা আপনার মূল লক্ষ্য না হয় বরং ঘটনার অনিবার্যতার কারণে Co-lateral Damage হিসেবে নিহত হয়, তবে সমস্যা নেই। কিন্তু যদি আমরা বেছে বেছে নারী শিশু হত্যা করি, তাহলে আমরা অবশ্যই সীমালঙ্ঘনকারী হব। কারণ,
প্রথমতঃ আল্লাহ আমাদের এই কাজের অনুমতি দেন নি।
দ্বিতীয়তঃ কাফেররাও মুসলিমদের নারী-শিশু বেছে বেছে হত্যা করে না। তারা একযোগে মুসলিমদের উপর হামলা চালায়, ফলে পুরুষের পাশাপাশি নারী-শিশু নিহত হয়, তাই আমাদের জন্য অনুমতি আছে কাফেরদের উপর হামলা চালানোর চাই এতে নারী-শিশু নিহত হোক না কেন।
কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে, বেছে বেছে, চিহ্নিত করে, চাইলেই এড়ানো যায় এমনভাবে নারীদের হত্যা করার অনুমতি কেউই দেয় নি। তাই গুলশানের হামলা কোনভাবেই শরীয়াহ দ্বারা সমর্থিত নয়।
আল কায়েদার অফিসিয়াল ম্যাগাজিন ইন্সপায়ারের ৮ম ইস্যুতে শায়খ আনওয়ার আল আওলাক্বি রহঃ বিস্তারিত লিখছেন এবং তিনি স্পষ্ট করে বলছেন,
"Non-combatants should not be executed if they fall into captivity"
"নন-কম্ব্যাট্যান্টরা (নারী-শিশু-বৃদ্ধ) যদি বন্দী হয়, তবে তাদের হত্যা করা যাবে না।"
.
ইমারতে ইসলামিয়্যা আফগানিস্তান তথা তালেবান যাদের কাছে আমাদের বাইয়াত আছে বলে দাবী করি, তারাও স্পষ্ট ভাষায় বলেছে,
"The intentional killing of innocent people, women and children goes against the principles of Islam and every Islamic government and movement must adhere to this fundamental essence."
"ইচ্ছাকৃতভাবে নিরপরাধ মানুষ, নারী ও শিশু হত্যা ইসলামের মূলনীতি বিরোধী। তাই প্রতি ইসলামি সরকার এবং আন্দোলনের উচিৎ এই মূলনীতি আঁকড়ে থাকা।"
গুলশান ঘটনায় কি শরীয়াহর এই নীতির বিরোধিতা হয় নি?
মাওলানা আসেম উমার হাঃ কিছুদিন আগে নারী-শিশুদের হত্যার সমালোচনা এবং অবৈধতা আলোচনা করে পৃথক একটি বিবৃতিই দিয়েছেন "শরীয়ত ব্যতীত যুদ্ধ ফেতনা বৈ কিছু নয়" নামে।
.
এরপরও কীভাবে আমরা গুলশানের হত্যাকাণ্ডকে শরীয়াহ সমর্থিত বলি? সুতরাং প্রত্যেকেরই তওবাহ করে এই হারাম থেকে নিজেদের বারা`আহ ঘোষণা করা দরকার।
গুলশান হামলায় ৭-৮ জন নারীকে হত্যা করা হয়েছে। অথচ এগুলো এড়ানো যায় না এমন হত্যা ছিল না। উলামায়ে কেরাম হারবীদের হত্যা করতে গিয়ে যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে নারী-শিশু হত্যা হয়ে যায়, তাতে কোন সমস্যা নেই বলেছেন। কিন্তু যখন নারীদের চিহ্নিত করা যায়, এবং চাইলেই তাদের হত্যা এড়ানো যায় সেখানে নারী-শিশুদের হত্যা করা হারাম বলেছেন।
আমরা অনেকে না বুঝে সুরা বাকারার ১৯৪ নং আয়াত দিয়ে এই ন্যাক্কারজনক কর্মের বৈধতা প্রমাণের চেষ্টা করি। আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, "সুতরাং যে তোমাদের উপর সীমালঙ্ঘন করে, তোমরা তার উপর সীমালঙ্ঘন করো সেই পরিমানে যে পরিমাণে সে তোমাদের উপর সীমালঙ্ঘন করেছে।" দেখুন, এই আয়াতে আল্লাহ যে যুলুম করেছে, তার উপরে প্রতিশোধ নিতে বলেছেন। অন্যের উপরে নয়। আমরা বলি, কাফেররা আমাদের নারী-শিশু হত্যা করছে, তাই আমরাও করব। হ্যাঁ। যদি নারী-শিশুরা আপনার মূল লক্ষ্য না হয় বরং ঘটনার অনিবার্যতার কারণে Co-lateral Damage হিসেবে নিহত হয়, তবে সমস্যা নেই। কিন্তু যদি আমরা বেছে বেছে নারী শিশু হত্যা করি, তাহলে আমরা অবশ্যই সীমালঙ্ঘনকারী হব। কারণ,
প্রথমতঃ আল্লাহ আমাদের এই কাজের অনুমতি দেন নি।
দ্বিতীয়তঃ কাফেররাও মুসলিমদের নারী-শিশু বেছে বেছে হত্যা করে না। তারা একযোগে মুসলিমদের উপর হামলা চালায়, ফলে পুরুষের পাশাপাশি নারী-শিশু নিহত হয়, তাই আমাদের জন্য অনুমতি আছে কাফেরদের উপর হামলা চালানোর চাই এতে নারী-শিশু নিহত হোক না কেন।
কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে, বেছে বেছে, চিহ্নিত করে, চাইলেই এড়ানো যায় এমনভাবে নারীদের হত্যা করার অনুমতি কেউই দেয় নি। তাই গুলশানের হামলা কোনভাবেই শরীয়াহ দ্বারা সমর্থিত নয়।
আল কায়েদার অফিসিয়াল ম্যাগাজিন ইন্সপায়ারের ৮ম ইস্যুতে শায়খ আনওয়ার আল আওলাক্বি রহঃ বিস্তারিত লিখছেন এবং তিনি স্পষ্ট করে বলছেন,
"Non-combatants should not be executed if they fall into captivity"
"নন-কম্ব্যাট্যান্টরা (নারী-শিশু-বৃদ্ধ) যদি বন্দী হয়, তবে তাদের হত্যা করা যাবে না।"
.
ইমারতে ইসলামিয়্যা আফগানিস্তান তথা তালেবান যাদের কাছে আমাদের বাইয়াত আছে বলে দাবী করি, তারাও স্পষ্ট ভাষায় বলেছে,
"The intentional killing of innocent people, women and children goes against the principles of Islam and every Islamic government and movement must adhere to this fundamental essence."
"ইচ্ছাকৃতভাবে নিরপরাধ মানুষ, নারী ও শিশু হত্যা ইসলামের মূলনীতি বিরোধী। তাই প্রতি ইসলামি সরকার এবং আন্দোলনের উচিৎ এই মূলনীতি আঁকড়ে থাকা।"
গুলশান ঘটনায় কি শরীয়াহর এই নীতির বিরোধিতা হয় নি?
মাওলানা আসেম উমার হাঃ কিছুদিন আগে নারী-শিশুদের হত্যার সমালোচনা এবং অবৈধতা আলোচনা করে পৃথক একটি বিবৃতিই দিয়েছেন "শরীয়ত ব্যতীত যুদ্ধ ফেতনা বৈ কিছু নয়" নামে।
.
এরপরও কীভাবে আমরা গুলশানের হত্যাকাণ্ডকে শরীয়াহ সমর্থিত বলি? সুতরাং প্রত্যেকেরই তওবাহ করে এই হারাম থেকে নিজেদের বারা`আহ ঘোষণা করা দরকার।
Comment