আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন -
وَلا يَجْرِمَنَّكُمْ شَنَآنُ قَوْمٍ عَلى أَلاَّ تَعْدِلُوا اعْدِلُوا هُوَ أَقْرَبُ لِلتَّقْوى وَاتَّقُوا اللَّهَ - سورة المآئدة:8
কোন কওমের প্রতি শত্রুতা যেন তোমাদেরকে কোনভাবে প্ররোচিত না করে যে, তোমরা ইনসাফ করবে না। তোমরা ইনসাফ কর, তা তাকওয়ার নিকটতর এবং আল্লাহকে ভয় কর। (সুরা মাইদাহ, আয়াত ৮)
এই আয়াতের তাফসীরে ইমাম ক্বুরতুবী রহঃ বলেছেন,
وَدَلَّتِ الْآيَةُ أَيْضًا عَلَى أَنَّ كُفْرَ الْكَافِرِ لَا يَمْنَعُ مِنَ الْعَدْلِ عَلَيْهِ، وَأَنْ يُقْتَصَرَ بِهِمْ عَلَى الْمُسْتَحَقِّ مِنَ الْقِتَالِ وَالِاسْتِرْقَاقِ، وَأَنَّ الْمُثْلَةَ بِهِمْ غَيْرُ جَائِزَةٍ وَإِنْ قَتَلُوا نِسَاءَنَا وَأَطْفَالَنَا وَغَمُّونَا بِذَلِكَ، فَلَيْسَ لَنَا أَنْ نَقْتُلَهُمْ بِمُثْلَةٍ قَصْدًا لِإِيصَالِ الْغَمِّ وَالْحُزْنِ إِلَيْهِمْ
অর্থ -
“এই আয়াত আরো নির্দেশ করে যে কাফেরের কুফরের কারণে তাকে ইনসাফ থেকে বঞ্চিত রাখা যাবে না, এবং যুদ্ধ এবং দাসীকরণের ক্ষেত্রে তাদের প্রতি (আচরণ) ন্যায়সঙ্গতার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। আর তাদের মুছলাহ করা জায়েয নয়। যদি তারা আমাদের নারী ও শিশুদের হত্যা করে এবং এভাবে আমাদের দুঃখে ভারাক্রান্ত করে, তবে তাদের কাছেও দুঃখ ও কষ্ট পৌঁছানোর জন্য আমরা তাদেরকে ইচ্ছাকৃতভাবে মুছলাহর মাধ্যমে হত্যা করব, এমন সুযোগ নেই।”
আল জামি’ লি-আহকামিল ক্বুরআন (তাফসীর আল ক্বুরতুবী) ৭/৩৭২
দেখুন, ইমাম ক্বুরতুবী কী বলছেন! তিনি কিন্তু বলেন নি – কুফফাররা আমাদের নারী-শিশু হত্যা করলে আমরাও তাদের নারী-শিশু হত্যা করব। বরং তিনি বলেছেন, যদি তারা আমাদের নারী-শিশু হত্যা করে দুঃখে আমাদের মন ভারী করে দেয়ও, তবে আমরা প্রতিশোধ হিসেবে যারা হত্যা করেছে কেবল তাদেরকেই হত্যা করব। কিন্তু তাদের হত্যার ক্ষেত্রেও মনের দুঃখ মেটানোর জন্য তাদের মুছলাহ (লাশ বিকৃতি) করতে পারব না! কারণ এটা ইনসাফের খেলাফ! আর তাই তিনি সুরা মাইদার ৮ নং আয়াতের ব্যাখ্যায় এই প্রসঙ্গ নিয়ে এসেছেন, কারণ এই আয়াতে ইনসাফের কথা বলা হয়েছে।
কুফফাররা আমাদের নারী-শিশু হত্যা করলে, আমরাও তাদের হত্যা করব – এই প্রসঙ্গে আমি পূর্ববতী উলামাদের এই একটি বক্তব্যই পেয়েছি। আর এটিই উল্লিখিত মাসআলা বোঝার জন্য যথেষ্ট।
আপনাদের কারো যদি জানা থাকে যে, অতীতে আল কায়েদা নারী-শিশুদের ইচ্ছাকৃতভাবে লক্ষ্যে পরিনত করেছে, তাহলে জানাবেন। কারণ আমি এমন কোন ঘটনার কথা জানি না। তবে শর্ত হচ্ছে, ঐ ঘটনাতে নারী-শিশুদের পুরুষ হতে পৃথক করা যেতে হবে। যদি নারী-শিশু পুরুষের সাথে মিশে থাকে এবং তাদের আলাদা করা না যায়, তবে একে ইচ্ছাকৃত কিংবা টার্গেটেড হত্যা বলা হবে না।
وَلا يَجْرِمَنَّكُمْ شَنَآنُ قَوْمٍ عَلى أَلاَّ تَعْدِلُوا اعْدِلُوا هُوَ أَقْرَبُ لِلتَّقْوى وَاتَّقُوا اللَّهَ - سورة المآئدة:8
কোন কওমের প্রতি শত্রুতা যেন তোমাদেরকে কোনভাবে প্ররোচিত না করে যে, তোমরা ইনসাফ করবে না। তোমরা ইনসাফ কর, তা তাকওয়ার নিকটতর এবং আল্লাহকে ভয় কর। (সুরা মাইদাহ, আয়াত ৮)
এই আয়াতের তাফসীরে ইমাম ক্বুরতুবী রহঃ বলেছেন,
وَدَلَّتِ الْآيَةُ أَيْضًا عَلَى أَنَّ كُفْرَ الْكَافِرِ لَا يَمْنَعُ مِنَ الْعَدْلِ عَلَيْهِ، وَأَنْ يُقْتَصَرَ بِهِمْ عَلَى الْمُسْتَحَقِّ مِنَ الْقِتَالِ وَالِاسْتِرْقَاقِ، وَأَنَّ الْمُثْلَةَ بِهِمْ غَيْرُ جَائِزَةٍ وَإِنْ قَتَلُوا نِسَاءَنَا وَأَطْفَالَنَا وَغَمُّونَا بِذَلِكَ، فَلَيْسَ لَنَا أَنْ نَقْتُلَهُمْ بِمُثْلَةٍ قَصْدًا لِإِيصَالِ الْغَمِّ وَالْحُزْنِ إِلَيْهِمْ
অর্থ -
“এই আয়াত আরো নির্দেশ করে যে কাফেরের কুফরের কারণে তাকে ইনসাফ থেকে বঞ্চিত রাখা যাবে না, এবং যুদ্ধ এবং দাসীকরণের ক্ষেত্রে তাদের প্রতি (আচরণ) ন্যায়সঙ্গতার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। আর তাদের মুছলাহ করা জায়েয নয়। যদি তারা আমাদের নারী ও শিশুদের হত্যা করে এবং এভাবে আমাদের দুঃখে ভারাক্রান্ত করে, তবে তাদের কাছেও দুঃখ ও কষ্ট পৌঁছানোর জন্য আমরা তাদেরকে ইচ্ছাকৃতভাবে মুছলাহর মাধ্যমে হত্যা করব, এমন সুযোগ নেই।”
আল জামি’ লি-আহকামিল ক্বুরআন (তাফসীর আল ক্বুরতুবী) ৭/৩৭২
দেখুন, ইমাম ক্বুরতুবী কী বলছেন! তিনি কিন্তু বলেন নি – কুফফাররা আমাদের নারী-শিশু হত্যা করলে আমরাও তাদের নারী-শিশু হত্যা করব। বরং তিনি বলেছেন, যদি তারা আমাদের নারী-শিশু হত্যা করে দুঃখে আমাদের মন ভারী করে দেয়ও, তবে আমরা প্রতিশোধ হিসেবে যারা হত্যা করেছে কেবল তাদেরকেই হত্যা করব। কিন্তু তাদের হত্যার ক্ষেত্রেও মনের দুঃখ মেটানোর জন্য তাদের মুছলাহ (লাশ বিকৃতি) করতে পারব না! কারণ এটা ইনসাফের খেলাফ! আর তাই তিনি সুরা মাইদার ৮ নং আয়াতের ব্যাখ্যায় এই প্রসঙ্গ নিয়ে এসেছেন, কারণ এই আয়াতে ইনসাফের কথা বলা হয়েছে।
কুফফাররা আমাদের নারী-শিশু হত্যা করলে, আমরাও তাদের হত্যা করব – এই প্রসঙ্গে আমি পূর্ববতী উলামাদের এই একটি বক্তব্যই পেয়েছি। আর এটিই উল্লিখিত মাসআলা বোঝার জন্য যথেষ্ট।
আপনাদের কারো যদি জানা থাকে যে, অতীতে আল কায়েদা নারী-শিশুদের ইচ্ছাকৃতভাবে লক্ষ্যে পরিনত করেছে, তাহলে জানাবেন। কারণ আমি এমন কোন ঘটনার কথা জানি না। তবে শর্ত হচ্ছে, ঐ ঘটনাতে নারী-শিশুদের পুরুষ হতে পৃথক করা যেতে হবে। যদি নারী-শিশু পুরুষের সাথে মিশে থাকে এবং তাদের আলাদা করা না যায়, তবে একে ইচ্ছাকৃত কিংবা টার্গেটেড হত্যা বলা হবে না।
Comment