প্রশ্ন : একজন লোক তাঁর চরম আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে পুলিশ বিভাগে কর্মরত। সে এই চাকুরিটি ছাড়তে পারছে না কারণ সে শিক্ষিত না এবং চাকুরি করে আয় করার তাঁর আর অন্য কোনো উৎসও নেই। লক্ষণীয় বিষয় এই যে, সে শুধু তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদেরই দেখাশুনা করে না বরং সে তাঁর পিতা-মাতা এবং ভাইদেরকেও আর্থিকভাবে সাহায্য করে কারণ তাঁর পিতা এবং ভাইদের কাজ করে প্রাপ্ত আয় বেঁচে থাকার জন্য যথেষ্ঠ উপযোগী নয়। তাঁদের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ এবং তারা খুবই গরীব। তাই… প্রিয় শাইখ আবু ওয়ালিদ আল-মাকদিসি! ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে আমাদেরকে একটি ফতোয়া দিন। আল্লাহ আপনার উপর রহম করুন, আপনাকে রক্ষা করুন এবং সত্যকে প্রকাশ করার শক্তি দান করুন।
উত্তরঃ
পরম করুণাময় এবং অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি। শান্তি ও অনুগ্রহ বর্ষিত হোক প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, তাঁর পরিবারবৃন্দ, তাঁর সাহাবারা এবং যারা তাঁকে অনুসরন করে তাঁদের প্রতি। এতে কোনও সন্দেহ নেই যে পুলিশ এবং অন্যান্য এই ধরনের প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করা হয়েছে আল্লাহর আইনকে মুছে ফেলার জন্য এবং এর বদলে মানব রচিত আইনকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য। যেকোন মুসলমান যে তাঁর দ্বীন সম্পর্কে সচেতন তাঁর কাছে এই ধরনের মুরতাদ বাহিনীতে কাজ করা অগ্রহনযোগ্য হবে। অন্যদিকে সে নিজেকে এবং নিজের ঈমানকে এই ধরনের মুরতাদ বাহিনীর নোংরামী থেকে হিফাজত করবে। এটা এ কারণে যে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলো আল্লাহর আইনের পরিবর্তে মানব রচিত আইনকে গ্রহন করার বোঝা বহন করে এবং যে এই ধরনের বাহিনীতে কাজ করে তাঁর উপর এই মানব রচিত আইনকে প্রয়োগ করে। রিজিক কমে যাওয়া এবং সম্পদদের স্বল্পতার ইত্যাদি উদ্বেগ এই চরম ঘৃণিত কাজের তুলনায় কিছুই না। আল্লাহ রব্বুল আলামীন বলেনঃ “তারা বলে, যদি আমরা আপনার সাথে সুপথে আসি, তবে আমরা আমাদের দেশ থেকে উৎখাত হব। আমি কি তাদের জন্যে একটি নিরাপদ হরম প্রতিষ্ঠিত করিনি?এখানে সর্বপ্রকার ফল-মূল আমদানী হয় আমার দেয়া রিযিকস্বরূপ। কিন্তু তাদের অধিকাংশই জানে না।” (সূরা কাসাসঃ ৫৭)
মনে রাখা দরকার যে কুফরী কাজ করা কোনও অবস্থাতেই গ্রহনযোগ্য না যতক্ষন পর্যন্ত না কাউকে বাধ্য করা হচ্ছে এবং সাহায্য করার কেউ না থাকার কারণে সে তার জীবন হারানোর আশঙ্কা অথবা অঙ্গহানি হবার আশঙ্কা করছে। আল্লাহ রব্বুল আলামীন বলেনঃ “যার উপর জবরদস্তি করা হয় এবং তার অন্তর বিশ্বাসে অটল থাকে সে ব্যতীত যে কেউ বিশ্বাসী হওয়ার পর আল্লাহতে অবিশ্বাসী হয় এবং কুফরীর জন্য মন উম্মুক্ত করে দেয় তাদের উপর আপতিত হবে আল্লাহর গযব এবং তাদের জন্যে রয়েছে শাস্তি। এটা এ জন্যে যে, তারা পার্থিব জীবনকে পরকালের চাইতে প্রিয় মনে করেছে এবং আল্লাহ অবিশ্বাসীদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না। এরাই তারা, আল্লাহ তা’য়ালা এদেরই অন্তর, কর্ণ ও চক্ষুর উপর মোহর মেরে দিয়েছেন এবং এরাই কান্ড জ্ঞানহীন। বলাবাহুল্য পরকালে এরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যারা দুঃখ-কষ্ট ভোগের পর দেশত্যাগী হয়েছে অতঃপর জেহাদ করেছে, নিশ্চয় আপনার পালনকর্তা এসব বিষয়ের পরে অবশ্যই ক্ষমাশীল,পরম দয়ালু।” (সূরা নাহল ১০৬-১১০)
মনে রাখা দরকার যে এইখানে আল্লাহ সুবহানুহু ওয়া তাআলা সেই সকল ব্যক্তি সম্পর্কে উল্লেখ করেছেন যারা কোনও ধরনের চাপ ছাড়াই কুফরকে গ্রহণ করেছে; কেউ যদি আখিরাতের তুলনায় দুনিয়ার জীবনকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে তাহলে এটি তাঁকে কুফরের দিকে নিয়ে যেতে উৎসাহিত করবে। অতএব যারা এটা করে (আখিরাতের তুলনায় দুনিয়ার জীবনকে প্রাধান্য দেয়), তারপর এই ধরনের ব্যক্তিদের আত্মা, শ্রবন শক্তি এবং দৃষ্টি শক্তি কুফরের উপযুক্ত হয়ে উঠে। এটা এ কারণে যে তারা তাদের মধ্যে থেকে যারা অসচেতন, অভিশপ্ত এবং বিচার দিবসের দিনে ক্ষতিগ্রস্ত। তাই যে আনুগত্যশীল হতে চায় তাকে অবশ্যই কুফরের ও শিরকের এই পথকে পরিত্যাগ করতে হবে এবং অবশ্যই দুনিয়ার জীবনের তুলনায় আখিরাতের জীবনকে প্রাধান্য দিতে হবে। তাঁকে অবশ্যই তাঁর নফস, তাঁর ইচ্ছা এবং জীন ও মানব জাতির সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জিহাদ করতে হবে। এই পথে চলতে গিয়ে যেকোন ধরনের কষ্টে সে সবর করবে। এই পথেই আল্লাহ তাআলা তাঁকে ক্ষমা করতে পারেন ও তাঁর উপর রহমত বর্ষন করতে পারেন। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে আল্লাহ সবচেয়ে ক্ষমাশীল ও অনুগ্রহশীল। যে আল্লাহ তাআলাকে ভয় করে তাঁর এটা মনে রাখা দরকার যে, সে আল্লাহ তাআলার জন্যই সৃষ্টি হয়েছে। কোনও ধরনের কঠোর পরিশ্রম ছাড়া আল্লাহ তাকে এমন জায়গা থেকে রিযিক দিতে পারেন যা সে কল্পণাও করতে পারে না। আল্লাহ বলেনঃ “এতদ্দ্বারা যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে, তাকে উপদেশ দেয়া হচ্ছে। আর যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্যে নিস্কৃতির পথ করে দেবেন। এবং তাকে তার ধারণাতীত জায়গা থেকে রিযিক দেবেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে তার জন্যে তিনিই যথেষ্ট। আল্লাহ তার কাজ পূর্ণ করবেন। আল্লাহ সবকিছুর জন্যে একটি পরিমাণ স্থির করে রেখেছেন।” (সূরা তালাকঃ ২-৩)
আল্লাহ রব্বুল আলামী আরও বলেনঃ “যে আল্লাহকে ভয় করে,আল্লাহ তার কাজ সহজ করে দেন।” (সূরা তালাকঃ ৪)
এবং তারপর তাঁর পরিবার, তাঁর পিতামাতা এবং তাঁর আত্বীয়স্বজন আল্লাহর শাস্তি থেকে তাঁকে বাঁচাতে পারবে না। বরং তাঁরা বিচার দিবসের দিনে তাদের থেকে দূরে সরে যাবে। আল্লাহ বলেনঃ “সেদিন পলায়ন করবে মানুষ তার ভ্রাতার কাছ থেকে, তার মাতা, তার পিতা, তার পত্নী ও তার সন্তানদের কাছ থেকে। সেদিন প্রত্যেকেরই নিজের এক চিন্তা থাকবে, যা তাকে ব্যতিব্যস্ত করে রাখবে।” (সূরা আবাসাঃ ৩৪-৩৭)
আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করি যেনো তাঁকে এবং তাঁর মতো অন্যান্যদেরকে ঈমানদারদের পথে দৃঢ়ভাবে থাকার তৌফিক নসীব করেন এবং যারা এইভাবে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিলো তাদের পথ থেকে তাঁকে হিফাজত করেন। শরীআহ কমিটি মিনবার আত-তাওহীদ ওয়াল-জিহাদ ওয়েবসাইট
উত্তরঃ
পরম করুণাময় এবং অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি। শান্তি ও অনুগ্রহ বর্ষিত হোক প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, তাঁর পরিবারবৃন্দ, তাঁর সাহাবারা এবং যারা তাঁকে অনুসরন করে তাঁদের প্রতি। এতে কোনও সন্দেহ নেই যে পুলিশ এবং অন্যান্য এই ধরনের প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করা হয়েছে আল্লাহর আইনকে মুছে ফেলার জন্য এবং এর বদলে মানব রচিত আইনকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য। যেকোন মুসলমান যে তাঁর দ্বীন সম্পর্কে সচেতন তাঁর কাছে এই ধরনের মুরতাদ বাহিনীতে কাজ করা অগ্রহনযোগ্য হবে। অন্যদিকে সে নিজেকে এবং নিজের ঈমানকে এই ধরনের মুরতাদ বাহিনীর নোংরামী থেকে হিফাজত করবে। এটা এ কারণে যে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলো আল্লাহর আইনের পরিবর্তে মানব রচিত আইনকে গ্রহন করার বোঝা বহন করে এবং যে এই ধরনের বাহিনীতে কাজ করে তাঁর উপর এই মানব রচিত আইনকে প্রয়োগ করে। রিজিক কমে যাওয়া এবং সম্পদদের স্বল্পতার ইত্যাদি উদ্বেগ এই চরম ঘৃণিত কাজের তুলনায় কিছুই না। আল্লাহ রব্বুল আলামীন বলেনঃ “তারা বলে, যদি আমরা আপনার সাথে সুপথে আসি, তবে আমরা আমাদের দেশ থেকে উৎখাত হব। আমি কি তাদের জন্যে একটি নিরাপদ হরম প্রতিষ্ঠিত করিনি?এখানে সর্বপ্রকার ফল-মূল আমদানী হয় আমার দেয়া রিযিকস্বরূপ। কিন্তু তাদের অধিকাংশই জানে না।” (সূরা কাসাসঃ ৫৭)
মনে রাখা দরকার যে কুফরী কাজ করা কোনও অবস্থাতেই গ্রহনযোগ্য না যতক্ষন পর্যন্ত না কাউকে বাধ্য করা হচ্ছে এবং সাহায্য করার কেউ না থাকার কারণে সে তার জীবন হারানোর আশঙ্কা অথবা অঙ্গহানি হবার আশঙ্কা করছে। আল্লাহ রব্বুল আলামীন বলেনঃ “যার উপর জবরদস্তি করা হয় এবং তার অন্তর বিশ্বাসে অটল থাকে সে ব্যতীত যে কেউ বিশ্বাসী হওয়ার পর আল্লাহতে অবিশ্বাসী হয় এবং কুফরীর জন্য মন উম্মুক্ত করে দেয় তাদের উপর আপতিত হবে আল্লাহর গযব এবং তাদের জন্যে রয়েছে শাস্তি। এটা এ জন্যে যে, তারা পার্থিব জীবনকে পরকালের চাইতে প্রিয় মনে করেছে এবং আল্লাহ অবিশ্বাসীদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না। এরাই তারা, আল্লাহ তা’য়ালা এদেরই অন্তর, কর্ণ ও চক্ষুর উপর মোহর মেরে দিয়েছেন এবং এরাই কান্ড জ্ঞানহীন। বলাবাহুল্য পরকালে এরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যারা দুঃখ-কষ্ট ভোগের পর দেশত্যাগী হয়েছে অতঃপর জেহাদ করেছে, নিশ্চয় আপনার পালনকর্তা এসব বিষয়ের পরে অবশ্যই ক্ষমাশীল,পরম দয়ালু।” (সূরা নাহল ১০৬-১১০)
মনে রাখা দরকার যে এইখানে আল্লাহ সুবহানুহু ওয়া তাআলা সেই সকল ব্যক্তি সম্পর্কে উল্লেখ করেছেন যারা কোনও ধরনের চাপ ছাড়াই কুফরকে গ্রহণ করেছে; কেউ যদি আখিরাতের তুলনায় দুনিয়ার জীবনকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে তাহলে এটি তাঁকে কুফরের দিকে নিয়ে যেতে উৎসাহিত করবে। অতএব যারা এটা করে (আখিরাতের তুলনায় দুনিয়ার জীবনকে প্রাধান্য দেয়), তারপর এই ধরনের ব্যক্তিদের আত্মা, শ্রবন শক্তি এবং দৃষ্টি শক্তি কুফরের উপযুক্ত হয়ে উঠে। এটা এ কারণে যে তারা তাদের মধ্যে থেকে যারা অসচেতন, অভিশপ্ত এবং বিচার দিবসের দিনে ক্ষতিগ্রস্ত। তাই যে আনুগত্যশীল হতে চায় তাকে অবশ্যই কুফরের ও শিরকের এই পথকে পরিত্যাগ করতে হবে এবং অবশ্যই দুনিয়ার জীবনের তুলনায় আখিরাতের জীবনকে প্রাধান্য দিতে হবে। তাঁকে অবশ্যই তাঁর নফস, তাঁর ইচ্ছা এবং জীন ও মানব জাতির সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জিহাদ করতে হবে। এই পথে চলতে গিয়ে যেকোন ধরনের কষ্টে সে সবর করবে। এই পথেই আল্লাহ তাআলা তাঁকে ক্ষমা করতে পারেন ও তাঁর উপর রহমত বর্ষন করতে পারেন। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে আল্লাহ সবচেয়ে ক্ষমাশীল ও অনুগ্রহশীল। যে আল্লাহ তাআলাকে ভয় করে তাঁর এটা মনে রাখা দরকার যে, সে আল্লাহ তাআলার জন্যই সৃষ্টি হয়েছে। কোনও ধরনের কঠোর পরিশ্রম ছাড়া আল্লাহ তাকে এমন জায়গা থেকে রিযিক দিতে পারেন যা সে কল্পণাও করতে পারে না। আল্লাহ বলেনঃ “এতদ্দ্বারা যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে, তাকে উপদেশ দেয়া হচ্ছে। আর যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্যে নিস্কৃতির পথ করে দেবেন। এবং তাকে তার ধারণাতীত জায়গা থেকে রিযিক দেবেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে তার জন্যে তিনিই যথেষ্ট। আল্লাহ তার কাজ পূর্ণ করবেন। আল্লাহ সবকিছুর জন্যে একটি পরিমাণ স্থির করে রেখেছেন।” (সূরা তালাকঃ ২-৩)
আল্লাহ রব্বুল আলামী আরও বলেনঃ “যে আল্লাহকে ভয় করে,আল্লাহ তার কাজ সহজ করে দেন।” (সূরা তালাকঃ ৪)
এবং তারপর তাঁর পরিবার, তাঁর পিতামাতা এবং তাঁর আত্বীয়স্বজন আল্লাহর শাস্তি থেকে তাঁকে বাঁচাতে পারবে না। বরং তাঁরা বিচার দিবসের দিনে তাদের থেকে দূরে সরে যাবে। আল্লাহ বলেনঃ “সেদিন পলায়ন করবে মানুষ তার ভ্রাতার কাছ থেকে, তার মাতা, তার পিতা, তার পত্নী ও তার সন্তানদের কাছ থেকে। সেদিন প্রত্যেকেরই নিজের এক চিন্তা থাকবে, যা তাকে ব্যতিব্যস্ত করে রাখবে।” (সূরা আবাসাঃ ৩৪-৩৭)
আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করি যেনো তাঁকে এবং তাঁর মতো অন্যান্যদেরকে ঈমানদারদের পথে দৃঢ়ভাবে থাকার তৌফিক নসীব করেন এবং যারা এইভাবে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিলো তাদের পথ থেকে তাঁকে হিফাজত করেন। শরীআহ কমিটি মিনবার আত-তাওহীদ ওয়াল-জিহাদ ওয়েবসাইট
Comment