Announcement

Collapse
No announcement yet.

কুফুরি সুস্পষ্ট কিন্তু কাফের হাওয়া ব্যাপারে সন্দেহের আবকাশ ! আহমদ আল-হিন্দ ভাই ... ।

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • কুফুরি সুস্পষ্ট কিন্তু কাফের হাওয়া ব্যাপারে সন্দেহের আবকাশ ! আহমদ আল-হিন্দ ভাই ... ।

    ‘‘আহমদ আল হিন্দি’’ ভাই একটা বিষয় বুঝে আসছে না যদি কুফুরি সুস্পষ্ট হয় তাহলে কাফের হওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ থাকে কিভাবে । মদ, জুয়া , সুদ , যিনা ইত্যাদি কুরআনের আয়াত দ্বারা আল্লাহ হারাম করেছেন । এবং যারা সরাসরি জিহাদের বিরোধিতা করে যা আল্লাহ তায়ালা আয়াত দ্বারা ফরয করেছেন , এসব শাসকদের কাফের হওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ কিভাবে হয় বা কাফের হওয়া সুস্পষ্ট নয় অস্পষ্ট কিন্তু কুফুরি সুস্পষ্ট । বিষয়টা বুঝিয়ে দিলে ভালহত ।

  • #2
    আমাদের উপমহাদেশে যারা শাসকদেরকে কাফের বলছে তাদের মধ্যে কতজন আছেন যারা সরাসরি কুরআন হাদীস থেকে এরা যে কাফের তা বুঝতে পেরেছেন?? অল্প কিছু বিজ্ঞ আলেম ব্যতীত প্রায় সকলেই পূর্ববর্তী উলামায়ে কেরামের ফতোয়া থেকে বিষয়টি বুঝেছেন। তারপর কুরআন হাদিস থেকে দলীল প্রমাণ পেয়েছেন। পূর্ববর্তী উলামায়ে কেরামের ফতোয়া না থাকলে বিষয়টি বুঝা অনেক কঠিন বিষয় ছিল। বিশেষ করে হিন্দুস্তানীদের জন্য। যদি বিষয়টি এতই স্পষ্ট হতো তাহলে পূর্ববর্তী উলামায়ে কেরামের ফতোয়া ছাড়াই সরাসরি কুরআন হাদীস থেকে বুঝতে পারতেন।

    আমাদের স্বাভাবিক তাফসীর, হাদীস, ফিকহ ও আকায়িদের কিতাবাদিতেও তাদের কুফরীর বিষয়টা স্পষ্ট উল্লেখ নেই। অনেক গবেষণার পর এবং অনেক অপ্রতুল কিতাব দেখার পর তাদের কুফরীটা স্পষ্ট হয়।

    আমি যদি আপনার কাছে আবেদন করি শরীয়তের উসূলের আলোকে সকল সন্দেহ সংশয় দূর করে অকাট্য দলীল প্রমাণ দিয়ে তাদের কুফরটা স্পষ্ট করে দেয়ার জন্য তাহলে কি পারবেন বুঝিযে দিতে??

    আমরা যারা এ মাসআলাটা নিয়ে দিনের পর দিন মাসের পর মাস গবেষণায় লিপ্ত আছি তাদের সবার কাছেও মাসআলাটার সকল দিক পরিষ্কার হয়েছে বলা মুশকিল। তাহলে যারা এর আলোচনা থেকেও অনেক দূরে তাদের ব্যাপারে কি বলবেন!!

    শাসকরা নিজেদেরকে মুসলমান দাবী করে। নামায-রোজা-হজ্ব ইত্যাদী আহকাম পালন করে। তারা বাহ্যত শরীয়তের বিধানকে অপছন্দ করে বলে না। বরং তারা দাবি করে তারা ইসলামের হেফাজতকারী। এমতাবস্থায় তাদের কুফরটা অনেকের কাছে অস্পষ্ট থেকে যাওয়া স্বাভাবিক।


    তাছাড়া শাসকদের কাজটা কুফর বলে মেনে নিলেও অনেকে এদেরকে কাফের বলে মেনে নিতে ইতস্তত করেন। কারণ, কাফের হওয়ার জন্য কোন কাজ কুফর হওয়া এবং ব্যক্তি তাতে লিপ্ত হওয়াই যথেষ্ট নয়। ব্যক্তির কুফরের জন্য কুফরের সকল শর্ত পাওয়া যাওয়া এবং কোন ধরণের মানে’-প্রতিবন্ধক না পাওয়া যাওয়া আবশ্যক।

    অধিকন্তু আমাদের মাশায়িখগণও বলছেন, মাসআলাটা সবার কাছে স্পষ্ট হওয়া সম্ভব নাও হতে পারে। কাজেই এটা বুঝতে না পারার কারণে যেন কারো উপর কুফরীর হুকুম না লাগানো হয়। আপনি (লিমা যা ইখতারতুল কায়েদা) কিতাবটি দেখতে পারেন।

    অধিকন্তু আমি আপনাদের কাছে আবেদন করছি, আপনারা আমাদের গ্রহণযোগ্য মাশায়িখদের মধ্য থেকে দু’চার জন এমন দেখান যারা শাসকদেরকে কাফের মনে না করলে কাফের হয়ে যাবে বলে মত দিয়েছেন।

    মাসআলাটা বেশ অস্পষ্ট। বিশেষত হিন্দুস্তানে ইলমী জগতে অধ:পতনের কারণে। কাজেই এটার ব্যাপারে বাড়াবাড়ি না করা উচিৎ। যদি পারা যায় তাহলে শরীয়তের উসূল ও মূলনীতির আলোকে দলীল প্রমাণ দিয়ে এমন অকাট্যভাবে মাসআলাটাকে প্রচার করুন যেন জনগণ সহজে বুঝতে পারে। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে তাওফীক দান করুন!!


    Last edited by Ahmad Al-hindi; 03-30-2017, 12:53 PM.

    Comment


    • #3
      জাঝাকুমুল্লাহ শায়েখ!
      সম্মানিত ভাইদের কাছে আবেদন হল- আপনারা মাওলানা আহমাদ আল হিন্দি (হাফিজাহুল্লাহ) এর রচনাগুলো প্রচারের সাথে "মাওনালা" শব্দটি ব্যবহার করবেন। আর তা শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য আমাদের জনগণকে কাছে আনার জন্য। অন্যথায় দেখা যায় ইলমের ময়দানে ভিখারিরাও অবলিলায় মাওলানা বা মুফতি শব্দ ব্যবহার করে সাধারন মুসলমানদের বিভ্রান্ত করছে। সুতরাং আমাদের এই নেয়ামতের কদর করা উচিত।

      Comment


      • #4


        শায়খ আবু হামজা (ফা আ)'র কিতাবে পড়েছি যে, "নস দ্বারা সাব্যস্ত কাফির (যেমন- মুশরিক, শাতিম, স্বঘোষিত কাফির, ইহুদি-খ্রিস্টান, আবু লাহাব) দের কাফির না মনে করা কুফুরি হবে।" , তাকফিরুল ইজতিহাদ (যেমন শাসকের কুফুরি) এর ক্ষেত্রে এই বক্তব্যটি (যে কাফিরকে কাফির মনে করে না সেও কাফির) খাটবে না...

        বিষয়টি কি এমনই নয়? @মুহতারাম আহমাদ আল হিন্দি।

        Comment


        • #5
          Originally posted by আবু আব্দুল্লাহ View Post
          জাঝাকুমুল্লাহ শায়েখ!
          সম্মানিত ভাইদের কাছে আবেদন হল- আপনারা মাওলানা আহমাদ আল হিন্দি (হাফিজাহুল্লাহ) এর রচনাগুলো প্রচারের সাথে "মাওনালা" শব্দটি ব্যবহার করবেন। আর তা শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য আমাদের জনগণকে কাছে আনার জন্য। অন্যথায় দেখা যায় ইলমের ময়দানে ভিখারিরাও অবলিলায় মাওলানা বা মুফতি শব্দ ব্যবহার করে সাধারন মুসলমানদের বিভ্রান্ত করছে। সুতরাং আমাদের এই নেয়ামতের কদর করা উচিত।
          জি ভাই ঠিক বলেছেন.....

          Comment


          • #6
            Originally posted by Umar Abdur Rahman View Post


            শায়খ আবু হামজা (ফা আ)'র কিতাবে পড়েছি যে, "নস দ্বারা সাব্যস্ত কাফির (যেমন- মুশরিক, শাতিম, স্বঘোষিত কাফির, ইহুদি-খ্রিস্টান, আবু লাহাব) দের কাফির না মনে করা কুফুরি হবে।" , তাকফিরুল ইজতিহাদ (যেমন শাসকের কুফুরি) এর ক্ষেত্রে এই বক্তব্যটি (যে কাফিরকে কাফির মনে করে না সেও কাফির) খাটবে না...

            বিষয়টি কি এমনই নয়? @মুহতারাম আহমাদ আল হিন্দি।


            হ্যাঁ, এমনই। দু’দিন পূর্বে “শাসকদেরকে যারা কাফের মনে করে না তাদের পিছনে নামাযের বিধান!!” শিরোনামে ফোরামে এর কিছু আলোচনা করেছিলাম। সেখানে শায়খ আব্দুল্লাহ ইবনে নাসের আর-রশীদ এর বক্তব্য এবং শায়খ মাকদিসীর ফতোয়া উল্লেখ করে এসেছি।

            শায়খ আব্দুল্লাহ ইবনে নাসের আর-রশীদ এর বক্তব্য ছিল,
            الثالث: أن يكون تكفيره محتملاً للشبهة، كالحكام الحاكمين بغير ما أنزل الله ونحوهم، فهؤلاء وإن كان كفرهم قطعيًّا عند من حقق المسألة، فإنَّ ورود الشبهة محتمل فلا يكفَّر من لم يكفِّرهم، إلاَّ إن أُقيمت عليه الحجة، وكٌشفت عنه الشبهة وأزيلت، وعرف أنَّ حكم الله فيهم هو تكفيرهم.
            “তৃতীয় প্রকার: তার তাকফীরের মাঝে সন্দেহ সংশয়ের অবকাশ থাকা। যেমন, আল্লাহ তাআলার নাযিলকৃত বিধান ব্যতীত ভিন্ন বিধান দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনাকারী শাসক ও এ জাতীয় ব্যক্তিরা। মাসআলাটা যারা তাহকীক করতে পেরেছেন তাদের নিকট এদের কুফরটা অকাট্য হলেও তাতে সন্দেহ সংশয়ের অবকাশ রয়েছে। কাজেই এদেরকে যারা কাফের মনে করে না তাদেরকে কাফের বলা হবে না; যতক্ষণ না তাদের উপর হুজ্জত কায়েম করা হয়, তাদের সংশয় দূর করা হয় এবং তারা বুঝতে পারে যে, এদেরকে তাকফীর করাই এদের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলার ফায়সালা।” (শায়খ আবুল মুনযির আশ-শানকিত্বী প্রণীত ‘শরহু কায়িদাতি- মান লাম ইউকাফফিরিল কাফিরা ফাহুয়া কাফির’)


            এখানে শায়খ আবু মুসআব উমাইর আল-আওলাক্বী রহ. এর বক্তব্য উল্লেখ করছি। তিনি বলেন,
            قد يقول قائل:إذا كنتم تقولون يسع الخلاف في التنزيل فلماذا القاعدة تشنع على العلماء الذين لا يكفرون الحكام؟ نقول:هذا سؤال جيد ولابد من بيانه، فأقول:إن القاعدة لا تشنع على كل من لم يكفر الحكام، فعندهم الذين لا يكفرون الحكام من العلماء على قسمين:-
            أ*- عالم بعيد عن سلطانهم، تجرد واجتهد ولم يصل إلى تكفيرهم، ولم يُستخدم كوسيلة لحرب المجاهدين، فهذا يقدر عند القاعدة وله اجتهاده.

            ب*- عالم لم يكفر الحكام واستُخدم لحرب المجاهدين، ووصفهم بالفئة الضالة ومدح الطواغيت وخذل الأمة الإسلامية، فهذا الذي تحذر منه القاعدة؛ لأن ضرره على الأمة خطير.
            “কেউ আপত্তি উঠাতে পারে, ‘আপনারা যখন বলে থাকেন, ফতোয়া প্রদানের ক্ষেত্রে মতবিরোধের অবকাশ রয়েছে, তখন যেসব আলেম শাসকদেরকে কাফের মনে করে না আলকায়েদা তাদের সমালোচনা করে কেন?’
            উত্তরে বলবো, এটি একটি সুন্দর প্রশ্ন। এটি স্পষ্ট করা জরুরী। আমি বলি, শাসকদেরকে কাফের বলে না এমন সকলেরই আলকায়েদা সমালোচনা করে না। যেসকল আলেম শাসকদেরকে কাফের মনে করে না আলকায়েদার দৃষ্টিতে তারা দুই ভাগে বিভক্ত:
            ১. এমন আলেম যিনি শাসকদের থেকে দূরে। ঐকান্তিক চেষ্টা গবেষণা সত্বেও যার কাছে শাসকরা কাফের বলে মনে হলো না। তবে তাকে মুজাহিদদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের কোন ওসীলা হিসেবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না। আলকায়েদা তার কদর করে। আর তিনি তার ইজতিহাদ মত চলবেন।
            ২. এমন আলেম যে শাসকদেরকে কাফের মনে করে না; তবে মুজাহিদদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তাদেরকে গোমরাহ ফেরকা বলে আখ্যায়িত করছে। তাগুতদের প্রশংসা করছে। প্রয়োজন মূহুর্তে উম্মাতে মুসলিমাকে সাহায্য করছে না। এই আলেমের ব্যাপারেই আলকায়েদা সতর্ক করে থাকে। কেননা, উম্মতের জন্য সে মারাত্নক ক্ষতিকর।” (লিমা যা ইখতারতুল কায়েদা, পৃষ্ঠা ২৭)



            সুবহান্নাল্লাহ! শায়খ আলকায়েদার মানহাজ বয়ান করছেন যে, শাসকদেরকে যারা কাফের মনে করে না তারা যদি শাসকদের পক্ষাবলম্বন করে মুজাহিদদের বিরুদ্ধে অবতীর্ণ না হন তাহলে আলকায়েদার কাছে তারা সম্মানিত। এমন সুস্পষ্ট বক্তব্য থাকার পরও আলকায়েদার দাবিদার কেউ কিভাবে আলেম উলামাদেরকে এ কারণে তাকফীর করতে পারে!!



            তবে হ্যাঁ, কোন আলেম যদি তাগুতদের পক্ষ নেয় আর মুজাহিদদের বিরোধিতা করে তাহলে অবশ্যই এমন আলেম সমালোচনার যোগ্য। তাগুতদের পক্ষাবলম্বন কোন কোন ক্ষেত্রে কুফরী পর্যন্তও গড়াতে পারে। তবে সেটা ভিন্ন বিষয়। শাসকদেরকে কাফের মনে করা না করার সাথে এর সম্পর্ক নেই।




            কোনরূপ দলীল প্রমাণ ছাড়াই আলেম উলামাদেরকে যে তাকফীর করতে চায় তাকে জিজ্ঞেস করি:
            ১. আপনি কি বালেগ হওয়ার পর থেকেই শাসকদেরকে তাকফীর করেন না’কি আরও পর থেকে? যদি না করে থাকেন তাহলে কি আপনি বালেগ হওয়ার পর থেকে তাকফীর করার আগ পর্যন্ত কাফের ছিলেন?
            ২. আপনার পিতা-মাতা এবং আত্নীয় স্বজন কি শাসকদেরকে তাকফীর করে? যদি না করে থাকে তাহলে কি আপনি তাদেরকে কাফের মনে করেন? আলেম উলামাকে তাকফীর করার পূর্বে নিজের পরিবার এবং আত্নীয় স্বজনের খবর নিন।
            ৩. আমাদের মুজাহিদ ভাইদের অনেকেই তো জীবনের একটা দীর্ঘ যামানা পর্যন্ত শাসকদেরকে কাফের মনে করতেন না। তখন কি তারা কাফের ছিলেন?
            ৪. বর্তমান পৃথিবীর ক’জন মুসলমান শাসকদেরকে তাকফীর করে!! তাহলে কি তারা মুরতাদ?
            ৫. আমাদের কোন শায়খ এ কারণে আলেম উলামা কিংবা সাধারণ মানুষকে কাফের ফতোয়া দিয়েছেন বলে জানা আছে আপনার?
            ৬. মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওয়াহহাব নজদী রহ. এর বক্তব্য,
            من لم يكفر المشركين أو شك في كفرهم أو صحح مذهبهم كفر إجماعا
            “যে কাফেরদেরকে কাফের মনে করবে না, কিংবা তারা কাফের হওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ করবে, কিংবা তাদের ধর্মকে সঠিক বলবে- সে সকলের ঐক্যমতে কাফের।” এটি কি আপনি উনার নিজের কিতাব থেকে পড়েছেন? ঈমান ভঙ্গের দশ কারণ যেগুলো নজদী রহ. উল্লেখ করেছেন - যেগুলোর মধ্যে এটিও আছে – সেগুলোর উপর বড় বড় কিতাব লিখা হয়েছে। আপনি সেসব কিতাবের কোন একটা কি পড়ে দেখেছেন? সেগুলোর কোনটাতে কি এ কারণে আলেম উলামা কিংবা সাধারণ মানুষকে কাফের আখ্যায়িত করা হয়েছে?


            তাকফীরের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্ক থাকা চাই! যাকে তাকে তাকফীর করে দেয়াই মুজাহিদদের কাজ নয়। তাকফীরের ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি আই.এসকে কোন পর্যায়ে নিয়ে গেছে আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। যদি সতর্কতা অবলম্বন না করা হয় তাহলে এই ভাইরাস আলকায়েদাতেও ছড়াবে। আল্লাহ তাআলা মুজাহিদদেরকে সবধরণের ইফরাত্ব-তাফরীত্ব থেকে হিফাজত করুন!


            Last edited by Taalibul ilm; 03-31-2017, 12:36 PM.

            Comment


            • #7
              আল্লাহ সুবহানাহু তা‘আলা আপনার ইলমের মাঝে অনেক অনেক বারাকাহ দান করুন।। আমিন!!!
              তাওহীদ ও জিহাদের বাণী প্রচারই আমাদের লক্ষ্য ।

              Comment


              • #8
                জাঝাকাল্লাহ ভাইদের, প্রত্যেকে অনেক সুন্দর করে দালিল আদিল্লা সহো আলোচনা করেছেন। আল্লাহ আমাদের আলেম ভাইদের দারা আমাদের উপকৃত করুন আর তাদের নিরাপদে রাখুন।
                প্রকৃতপক্ষে ওই কওম সহযেই বিভ্রান্ত হয়ে যায়, হখন তারা ইলম এর চেয়ে যোষ বেশি প্রাধান্য দেয়।

                আল্লাহ আমাদের দ্বীন বোঝা ও ফিতনা থেকে নিরাপদ রাখুন।

                জাঝাকাল্লাহ।
                কাফেলা এগিয়ে চলছে আর কুকুরেরা ঘেঊ ঘেঊ করে চলছে...

                Comment


                • #9
                  শায়েখ আহমদ আল-হিন্দি'' , ভাই আমার শুধু বিষয়টা ভাল করে জানতে চেয়েছিলাম মাত্র । আলহামদুলিল্লাহ অনেকটা সুস্পষ্ট হয়েছে বিশেষ করে আল-কায়দা যে মানহাজ তা থেকে আরও ভাল করে জানতে পেরেছি । জাযাকাল্লাহ ভাই । আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুক ! আমিন ।
                  Last edited by Tahmid; 03-31-2017, 07:51 AM.

                  Comment


                  • #10
                    তাহমিদ ভাই এর প্রশ্নের ধরনটি ছিল, জানার ইচ্ছা / আগ্রহ, আর উত্তরগুলো অনেকটা বিতর্কের ধাচে হয়ে গেছে মনে হচ্ছে। যাই হোক, তাহমিদ ভাই এর জন্য উত্তরগুলো সংক্ষেপে আবারো তুলে ধরছিঃ

                    Originally posted by Tahmid View Post
                    ‘‘আহমদ আল হিন্দি’’ ভাই একটা বিষয় বুঝে আসছে না যদি কুফুরি সুস্পষ্ট হয় তাহলে কাফের হওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ থাকে কিভাবে ।
                    ভাই, কুফর সুস্পষ্ট - এটি কার কাছে? কিছু আলেমদের কাছে যদিও সেটি সুস্পষ্ট হয়, কিন্তু অন্য কোন আলেমের কাছে এটি ভুল ব্যাখার কারনে কিংবা অজ্ঞতার কারণে সুস্পষ্ট নাও হতে পারে। এটিই আসলে মূল সমস্যা। এই কারণে ঐ আলেমকে সরাসরি মুরতাদদের সহযোগী বলা যায় না।

                    মদ, জুয়া , সুদ , যিনা ইত্যাদি কুরআনের আয়াত দ্বারা আল্লাহ হারাম করেছেন । এবং যারা সরাসরি জিহাদের বিরোধিতা করে যা আল্লাহ তায়ালা আয়াত দ্বারা ফরয করেছেন , এসব শাসকদের কাফের হওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ কিভাবে হয় বা কাফের হওয়া সুস্পষ্ট নয় অস্পষ্ট কিন্তু কুফুরি সুস্পষ্ট । বিষয়টা বুঝিয়ে দিলে ভালহত ।
                    দেখুন, তথাকথিত ইসলামী ব্যাংকে টাকা জমা রেখে সুদ / লাভ নিলে, সেটা সুদ হবে কিনা - এটা কি সবার কাছে সুস্পষ্ট? সব আলেমরা কি এটি পরিষ্কার ধারনা রাখেন?

                    যদিও সুদ হারাম এটি সুস্পষ্ট, কিন্তু ইসলামী ব্যাংকের লভ্যাংশ / সুদ হারাম কিনা - এই ধরনের শাখা-প্রশাখাগত বিষয়ে আসলে সবাই সুস্পষ্ট ধারনা রাখে না। এমনকি অনেক আলেমও না। যারা শুধু আন্তরিকভাবে বিস্তারিত তাকক্বীক করেছেন এবং এসব ব্যাংক এর বাস্তব হালত জানেন - তারা এই ব্যাপারে সঠিক সমাধান দিতে পারবেন। বাকীরা ভাসাভাসা ধারনা রাখে।

                    তাই, কোন আলেম এই ব্যাপারে তার জানার কমতির কারণে অথবা ব্যাংক এর সিষ্টেমের ব্যাপারে ধারনার অভাবের কারণে ইসলামী ব্যাংক টাইপের সুদকে সরাসরি সুদ মনে নাও করতে পারেন। একই রকম ব্যাপার ঘটতে পারেঃ বর্তমান মুরতাদ শাসকদের ব্যাপারে ফতোয়াতে। কোন কোন আলেম তাদের অজ্ঞতার কারনে এই সকল শাসককে মুরতাদ বলতে নারাজ। কারণ এদের কুফর তাদের কাছে সুস্পষ্ট নয়। অথবা এ সকল শাসক অজ্ঞাতার অযুহাত পাবে কিনা, কিংবা এরা মুকরাহ (বাধ্য হয়ে এই কুফর করছে) কিনা - এই রকম বিষয়েও ঐ আলেমের ভিন্নমত থাকতে পারে।

                    এ সকল কারনে কুফর সুস্পষ্ট হলেও কাফির হবার ব্যাপারে কোন কোন আলেমের সন্দেহ থাকতে পারে। আল্লাহু আ'লাম। এই ব্যাপারে বিস্তারিত কথা মুহতারাম আহমেদ আল হিন্দী ভাই এর উত্তরে এসে গেছে আলহামদুলিল্লাহ।

                    এই ব্যাপারে 'তাকফীরের ব্যাপারে সতর্ক হোন' - বইটি দেখতে পারেন ইনশাআল্লাহ। বই এর লিংক bdislamiclinks.wordpress.com সাইটে 'মানহাজ বিষয়ক অন্যান্য বই' এর মধ্যে আছে।
                    Last edited by Taalibul ilm; 03-31-2017, 12:29 PM.
                    কথা ও কাজের পূর্বে ইলম

                    Comment


                    • #11
                      @মুহতারাম আহমেদ আল হিন্দী ভাইঃ

                      আপনার উত্তরের একটি অংশ ডিলিট করা হয়েছে। আপনাকে আলাদা একটি মেসেজ পাঠাবো ইনশাআল্লাহ। আশা করি তখন বিষয়টি পরিষ্কার হতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।

                      ওয়াসসালাম।
                      কথা ও কাজের পূর্বে ইলম

                      Comment


                      • #12
                        সুবহান্নাল্লাহ! শায়খ আলকায়েদার মানহাজ বয়ান করছেন যে, শাসকদেরকে যারা কাফের মনে করে না তারা যদি শাসকদের পক্ষাবলম্বন করে মুজাহিদদের বিরুদ্ধে অবতীর্ণ না হন তাহলে আলকায়েদার কাছে তারা সম্মানিত। এমন সুস্পষ্ট বক্তব্য থাকার পরও আলকায়েদার দাবিদার কেউ কিভাবে আলেম উলামাদেরকে এ কারণে তাকফীর করতে পারে!!


                        তবে হ্যাঁ, কোন আলেম যদি তাগুতদের পক্ষ নেয় আর মুজাহিদদের বিরোধিতা করে তাহলে অবশ্যই এমন আলেম সমালোচনার যোগ্য। তাগুতদের পক্ষাবলম্বন কোন কোন ক্ষেত্রে কুফরী পর্যন্তও গড়াতে পারে। তবে সেটা ভিন্ন বিষয়। শাসকদেরকে কাফের মনে করা না করার সাথে এর সম্পর্ক নেই।

                        ................

                        আখি উপকারী পোস্ট, প্রিয় আখি যদি, ধারাবাহিক ভাবে আলকায়দার মানহাজগুলো কোনো ভাই পোস্ট দিতেন আরো উত্তম হতো।
                        আরেকটি কথা, কিছু আলেম এমনও আছেন, যারা সরাসরি শাসকদের সাহায্য করে না ঠিক, কিন্তু তাদের বয়ানে আল কায়দার বিরোধিতা ফুটে ওঠে, তাদের ব্যপারে কিছু বলুন প্লিজ।

                        Comment


                        • #13
                          Taalibul ilm

                          ভাইকে জাযাকাল্লাহ ।

                          Comment

                          Working...
                          X