কাফেরদেরকে সম্মান ও তাদের সাথে আচরণের ব্যপারে মুজাদ্দিদে আলফে সানীর ঐতিহাসিক ফতোয়া
কাফেরদেরকে যে সম্মানিত করবে, মুসলমানদেরকে সে অসম্মানিত করল - মুজাদ্দিদে আলফে সানী রাহি:
কাফেরদেরকে যে সম্মানিত করবে, মুসলমানদেরকে সে অসম্মানিত করল - মুজাদ্দিদে আলফে সানী রাহি:
মুজাদ্দিদে আলফে সানী তার এক কিতাবে লিখেন :
" আল্লাহ তায়ালা নিজের প্রিয় আলাহিস সালামকে বলেছেন: হে নাবী সাল্লাহু আলাইহিস সালাম! কাফের এবং মুনাফেকদের সাথে জিহাদ কর। যেখানে নিজের প্রেরিত রাসূল; যিনি মহান আখলাকের অধিকারী অবিধায় ভূষিত, কাফেরদের সাথে জিহাদ করতে এবং এই ক্ষেত্রে কঠোরতা করার আদেশ দিচ্ছেন। তো এর থেকে বুঝা যাচ্ছে, এই ক্ষেত্রে কঠোরতা করা উত্তম আখলাকের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং ইসলামের সম্মান মানেই কুফুর এবং কাফেরদের ধ্বংশ।
আর যে কাফেরদেরকে সম্মান করল সে মুসলিমদেরকে অপদস্থ করল। কাফেরকে সম্মান করার অর্থ এই নয় যে, তাকে শুধু সম্মান করবে ও উঁচু স্থানে বসাবে। বরং নিজেদের মাজলিসে তাদেরকে জায়গা দেয়া, ভাল আচরণ করা, কথা-বার্তা বলা সবই কুফফারদেরকে সম্মানে অন্তর্ভুক্ত। কুত্তার (কুকুরের) মত তাদেরকে দূরে সরিয়ে দেয়া আবশ্যক। আল্লাহ তায়ালা কাফেরদেরকে নিজের ও নবীর দুশমান বলেছেন। সুতরাং রাসূলের দুশমানদের সাথে মিলিত হওয়া এবং মহাব্বত করা জঘন্য অপরাধ। আল্লাহর দুশমনদের সাথে বন্ধুত্ব ও সম্পর্ক প্রত্যেককেই আল্লাহ তায়ালা ও তার রাসূলের সাথে দুশমনি পর্যন্ত পৌছিয়ে দেয়।
হিন্দুস্তানে কুফফারদের উপর থেকে জিজিয়া উঠিয়ে নেয়ার কারণ এটা যে, তারা (মুসলমান) বাদশাহদের সাথে সম্পর্ক করে নিয়েছে। তাদের থেকে জিজিয়া নেয়ার উদ্ধ্যেশ্য এটাই যে, তাদের জিল্লতি ও অপদস্থতা। এই অপমান এই পরিমান হবে যে তারা জিজিয়ার মূল্য থেকে ভাল কাপড় না পড়তে পারে এবং সম্মান-মর্যাদার সাথে চলাচল না করতে পারে। আল্লাহ তায়ালা জিজিয়াকে কুফফারদের অপদস্থতার জন্যে দিয়েছেন। এর দ্বারা উদ্দ্যেশ্য তাদের অধঃপতন ও মুসলমানদের উন্নতি ও বিজয়। আর কুফফারদের সাথে ঘৃনা ও বিদ্বেষ পোষন করা ইসলামী রাস্ট্র প্রতিষ্ঠা হওয়ার আলামত।
( মাকতুবাতে ইমাম রাব্বানী - খন্ড ১, পৃষ্ঠা ২৭৬-২৭৭)
Comment