প্রশ্ন:
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বর্তমানে কি বিবাহকে জিহাদের জন্য একটি প্রতিবন্ধক গণ্য করা হবে না?
যা যুবকদেরকে সীমান্ত প্রতিরক্ষায় অংশগ্রহণ করা থেকে ফিরিয়ে রাখে এবং ধীরে ধীরে জিহাদ থেকেই সে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিশেষ করে অনেক যুবক অভাব-অনটনের শিকার হওয়ার ফলে একই সাথে জিহাদ ও সংসার চালানো তার জন্য কঠিন হয়ে পড়ে।
হয়তো তাকে পরিবার নিয়েই ব্যাস্ত থাকতে হবে, অথবা জিহাদের জন্য পরিবারকে বর্জন করতে হবে। সম্মানিত মুফতি সাহেবের নিকট সঠিক সমাধান আশা করছি।
প্রশ্নকারী: আবু আব্দুর রহমান।
উত্তর:
প্রশ্নকারী ভাই! আল্লাহ তায়ালা তোমার মাঝে বরকত দান করুন।
জিহাদে বের হওয়ার জন্য যে স্ত্রীকে তালাক দিতে চায় তার ব্যাপারে পূর্বে উত্তর দেওয়া হয়েছে সেটি দেখে নিতে পার।
এখানে অতিরিক্ত এটুকু বলব যে, সায়্যিদুল আওয়ালীন ওয়াল আখিরীন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ মুজাহিদ, তাঁর পর তাঁর সাহাবীগণ, তাবেয়ীনগণ, শ্রেষ্ঠযুগের মনীষীগণ এবং তাঁদের পরবর্তী অধিকাংশ মহা মনীষীগণ।
তারা সবাই জিহাদ এবং বিবাহ দুটোই করেছেন। বিবাহ তাঁদেরকে জিহাদের ফরয আদায়ে বাঁধা দেয়নি।
আমরা কি তাঁদের চেয়েও অধিক জ্ঞানী? তাঁদের চেয়েও অধিক খোদাভীরু? তাঁদের চেয়েও অধিক জান্নাত পিয়াসী?
আমার আশংকা, এটি বৈরাগ্যবাদ ও কুমার জীবন যাপনের প্রতি আহবান হয়ে যাবে, যা ইসলামে নিষিদ্ধ।
বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত আছে যে, হযরত উসমান ইবনে মাযউন রাঃ হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট চির কুমার থাকার অনুমতি চাইলেন। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁকে নিষেধ করে দেন।
অন্য হাদীসে এসেছেঃ ইসলামে কোন বৈরাগ্যবাদ নেই।
নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালাই জিহাদের আদেশ করেছেন এবং তার প্রতি উদ্বুদ্ধ করেছেন। আর তিনিই বিবাহের নির্দেশ দিয়েছেন এবং তার প্রতি উদ্বুদ্ধ করেছেন।
তবে কি আমরা বলব, আল্লাহ তায়ালার নির্দেশে অসঙ্গতি রয়েছে, যার ফলে আমরা নির্দেশ দুটির সমন্বয় করতে পারছি না? নাউযুবিল্লাহ …!
শায়খ আব্দুল্লাহ আয্যাম রহঃ কি বিবাহিত ও সন্তানের জনক ছিলেন না? অথচ তথাপিও তিনি ছিলেন এ যুগে জিহাদের পুনর্জীবন দানকারী।
শায়খ আবু মুসআব রহঃ কি বিবাহিত ছিলেন না? অথচ তিনি ছিলেন একজন নেতৃস্থানীয় মুজাহিদ।
শায়খ আবু লায়ছ লিবী রহঃ কি বিবাহিত ছিলেন না? অথচ তিনিও ছিলেন একজন নেতৃস্থানীয় মুজাহিদ।
শায়খ আবু আনাস শামী রহঃ কি বিবাহিত ছিলেন না?
শায়খ উসামা, ডক্টর আয়মান আয যাওয়াহিরী কি বিবাহিত নন?
আমার সম্মানিত ভাই! সর্বদা এই হাদীসটি স্মরণ রাখবে, “তুমি আল্লাহ্’র দ্বীনকে রক্ষা কর, আল্লাহ তোমাকে রক্ষা করবেন”
সুতরাং আল্লাহ্ তায়ালার আদেশ-নিষেধ রক্ষা করে চল, আল্লাহ্ তায়ালা তোমাকে ও তোমার পরিবারকে রক্ষা করবেন। আল্লাহ তায়ালাই রক্ষাকারী ও রিযিকদাতা। আল্লাহ্ তায়ালা তোমাকে তাওফীক্ব দান করুন।
উত্তর প্রদানকারী:
শায়খ আবু উসামা শামী
সদস্য, আল-লাজনাতুশ শরইয়্যাহ
মিম্বারুত তাওহীদ ওয়াল জিহাদ
২৮/০৯/২০০৯ ঈসায়ী
অনুবাদ:মুফতি আবু হুযায়ফা
তথ্যসূত্র- http://nobodhara.net/2017/03/11/marr...ihad/#more-171
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বর্তমানে কি বিবাহকে জিহাদের জন্য একটি প্রতিবন্ধক গণ্য করা হবে না?
যা যুবকদেরকে সীমান্ত প্রতিরক্ষায় অংশগ্রহণ করা থেকে ফিরিয়ে রাখে এবং ধীরে ধীরে জিহাদ থেকেই সে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিশেষ করে অনেক যুবক অভাব-অনটনের শিকার হওয়ার ফলে একই সাথে জিহাদ ও সংসার চালানো তার জন্য কঠিন হয়ে পড়ে।
হয়তো তাকে পরিবার নিয়েই ব্যাস্ত থাকতে হবে, অথবা জিহাদের জন্য পরিবারকে বর্জন করতে হবে। সম্মানিত মুফতি সাহেবের নিকট সঠিক সমাধান আশা করছি।
প্রশ্নকারী: আবু আব্দুর রহমান।
উত্তর:
প্রশ্নকারী ভাই! আল্লাহ তায়ালা তোমার মাঝে বরকত দান করুন।
জিহাদে বের হওয়ার জন্য যে স্ত্রীকে তালাক দিতে চায় তার ব্যাপারে পূর্বে উত্তর দেওয়া হয়েছে সেটি দেখে নিতে পার।
এখানে অতিরিক্ত এটুকু বলব যে, সায়্যিদুল আওয়ালীন ওয়াল আখিরীন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ মুজাহিদ, তাঁর পর তাঁর সাহাবীগণ, তাবেয়ীনগণ, শ্রেষ্ঠযুগের মনীষীগণ এবং তাঁদের পরবর্তী অধিকাংশ মহা মনীষীগণ।
তারা সবাই জিহাদ এবং বিবাহ দুটোই করেছেন। বিবাহ তাঁদেরকে জিহাদের ফরয আদায়ে বাঁধা দেয়নি।
আমরা কি তাঁদের চেয়েও অধিক জ্ঞানী? তাঁদের চেয়েও অধিক খোদাভীরু? তাঁদের চেয়েও অধিক জান্নাত পিয়াসী?
আমার আশংকা, এটি বৈরাগ্যবাদ ও কুমার জীবন যাপনের প্রতি আহবান হয়ে যাবে, যা ইসলামে নিষিদ্ধ।
বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত আছে যে, হযরত উসমান ইবনে মাযউন রাঃ হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট চির কুমার থাকার অনুমতি চাইলেন। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁকে নিষেধ করে দেন।
অন্য হাদীসে এসেছেঃ ইসলামে কোন বৈরাগ্যবাদ নেই।
নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালাই জিহাদের আদেশ করেছেন এবং তার প্রতি উদ্বুদ্ধ করেছেন। আর তিনিই বিবাহের নির্দেশ দিয়েছেন এবং তার প্রতি উদ্বুদ্ধ করেছেন।
তবে কি আমরা বলব, আল্লাহ তায়ালার নির্দেশে অসঙ্গতি রয়েছে, যার ফলে আমরা নির্দেশ দুটির সমন্বয় করতে পারছি না? নাউযুবিল্লাহ …!
শায়খ আব্দুল্লাহ আয্যাম রহঃ কি বিবাহিত ও সন্তানের জনক ছিলেন না? অথচ তথাপিও তিনি ছিলেন এ যুগে জিহাদের পুনর্জীবন দানকারী।
শায়খ আবু মুসআব রহঃ কি বিবাহিত ছিলেন না? অথচ তিনি ছিলেন একজন নেতৃস্থানীয় মুজাহিদ।
শায়খ আবু লায়ছ লিবী রহঃ কি বিবাহিত ছিলেন না? অথচ তিনিও ছিলেন একজন নেতৃস্থানীয় মুজাহিদ।
শায়খ আবু আনাস শামী রহঃ কি বিবাহিত ছিলেন না?
শায়খ উসামা, ডক্টর আয়মান আয যাওয়াহিরী কি বিবাহিত নন?
আমার সম্মানিত ভাই! সর্বদা এই হাদীসটি স্মরণ রাখবে, “তুমি আল্লাহ্’র দ্বীনকে রক্ষা কর, আল্লাহ তোমাকে রক্ষা করবেন”
সুতরাং আল্লাহ্ তায়ালার আদেশ-নিষেধ রক্ষা করে চল, আল্লাহ্ তায়ালা তোমাকে ও তোমার পরিবারকে রক্ষা করবেন। আল্লাহ তায়ালাই রক্ষাকারী ও রিযিকদাতা। আল্লাহ্ তায়ালা তোমাকে তাওফীক্ব দান করুন।
উত্তর প্রদানকারী:
শায়খ আবু উসামা শামী
সদস্য, আল-লাজনাতুশ শরইয়্যাহ
মিম্বারুত তাওহীদ ওয়াল জিহাদ
২৮/০৯/২০০৯ ঈসায়ী
অনুবাদ:মুফতি আবু হুযায়ফা
তথ্যসূত্র- http://nobodhara.net/2017/03/11/marr...ihad/#more-171
Comment