প্রশ্ন:
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ! আমার পিতা নামায রোযা করে। যাকাত দেয়। আর মনে করে এতটুকুই ইসলাম। আমি যদি তাওহীদের আলোচনা করি তো আমার কথার দিকে ভ্রুক্ষেপই করে না। মনে করে এগুলো কিছু কিছু সংগঠনের বিচ্ছিন্ন চিন্তাধারা। আমি তার সাথে কথা জুড়লেই তিনি বলেন, এ দেশ আফগান নয় যে, এখানে ঘোষণা দিয়ে ইসলাম পালন করা যাবে। শরীয়তের হুদুদ বাস্তবায়ন করা যাবে। অনেক সময় জোর আওয়াজে চিল্লাচিল্লিও শুরু করে দেন। রাগান্বিত হয়ে যান। বিশেষত যখন শাসকদের কুফরের বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করতে যাই। এখন আমি কি করবো? আমার এমন আর্থিক সামর্থ্যও নেই যে, পিতা মাতাকে ছেড়ে আলাদা বাসা নিয়ে থাকতে পারি। এ অবস্থা চলতে থাকলে আমি কি করবো? আমি দিশেহারা হয়ে আছি। অনুগ্রহ করে আমাকে সমাধান দিন।
উত্তর:
ওয়া আলাইকুমুস সালামু ওয়া রাহমাতুল্লাহ! শ্রদ্ধেয় ভ্রাতা! আমাদের দেশের সাধারণ লোকদের অবস্থা এমনই। শাসকদের আনুগত্য করতে করতেই তাদের আজীবন কেটেছে। বেতন ভাতার ভয়ে কিংবা শাসকদের জুলুম অত্যাচারের ভয়ে তারা তাদের আনুগত্য করে চলে। তবে আল্লাহ তাআলা নব প্রজন্মের মাঝে জাগরণ সৃষ্টি করে দিয়েছেন। তাওহীদের দাওয়াত এবং জিহাদকে তাদের নিকট প্রিয় করে দিয়েছেন। তুমি আল্লাহ তাআলার শুকরিয়া আদায় কর যে, তিনি তোমাকে তাদেরই একজন বানিয়েছেন। আর তুমি তোমার পূর্বের অবস্থা স্মরণ কর। তোমার পিতার সাথে সদাচারণ কর। নরমভাবে স্নেহ ভালবাসার সাথে তাকে দাওয়াত দিতে থাক। আর স্মরণ কর আল্লাহ তাআলার এ বাণীর কথা, (كذلك كنتم من قبل فمنّ الله عليكم)(ইতিপূর্বে তোমরাও এমনই ছিলে। অতঃপর আল্লাহ তোমাদের উপর অনুগ্রহ করেছেন। )আর তুমি তোমার পরিবার ছেড়ে দিয়ে অন্যত্র চলে যেও না। বরং অবিরাম তোমার পিতাকে দাওয়াত দিতে থাক। হকের কথা শুনাতে থাক। হেকমতের সাথে। সুন্দর নসীহতের সাথে। তোমার পিতা চিল্লাচিল্লি শুরু করলেও তুমি চিল্লাচিল্লি করো না। তোমার পিতার আওয়াজের চেয়ে জোর আওয়াজে কথা বলো না। তার জন্য দোয়া করতে থাক ইখলাছের সাথে, যেন আল্লাহ তাআলা তাকে সঠিক পথ দেখান। আল্লাহ তাআলা তোমাকে তাওফীক দান করুন। তোমার দ্বারা তোমার পিতাকে সঠিক পথের সন্ধান দিন।
উত্তর প্রদানে: আবু মুহাম্মাদ আল-মাকদিসী হাফিযাহুল্লাহ!
মিম্বারুত তাওহীদি ওয়াল জিহাদ।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ! আমার পিতা নামায রোযা করে। যাকাত দেয়। আর মনে করে এতটুকুই ইসলাম। আমি যদি তাওহীদের আলোচনা করি তো আমার কথার দিকে ভ্রুক্ষেপই করে না। মনে করে এগুলো কিছু কিছু সংগঠনের বিচ্ছিন্ন চিন্তাধারা। আমি তার সাথে কথা জুড়লেই তিনি বলেন, এ দেশ আফগান নয় যে, এখানে ঘোষণা দিয়ে ইসলাম পালন করা যাবে। শরীয়তের হুদুদ বাস্তবায়ন করা যাবে। অনেক সময় জোর আওয়াজে চিল্লাচিল্লিও শুরু করে দেন। রাগান্বিত হয়ে যান। বিশেষত যখন শাসকদের কুফরের বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করতে যাই। এখন আমি কি করবো? আমার এমন আর্থিক সামর্থ্যও নেই যে, পিতা মাতাকে ছেড়ে আলাদা বাসা নিয়ে থাকতে পারি। এ অবস্থা চলতে থাকলে আমি কি করবো? আমি দিশেহারা হয়ে আছি। অনুগ্রহ করে আমাকে সমাধান দিন।
উত্তর:
ওয়া আলাইকুমুস সালামু ওয়া রাহমাতুল্লাহ! শ্রদ্ধেয় ভ্রাতা! আমাদের দেশের সাধারণ লোকদের অবস্থা এমনই। শাসকদের আনুগত্য করতে করতেই তাদের আজীবন কেটেছে। বেতন ভাতার ভয়ে কিংবা শাসকদের জুলুম অত্যাচারের ভয়ে তারা তাদের আনুগত্য করে চলে। তবে আল্লাহ তাআলা নব প্রজন্মের মাঝে জাগরণ সৃষ্টি করে দিয়েছেন। তাওহীদের দাওয়াত এবং জিহাদকে তাদের নিকট প্রিয় করে দিয়েছেন। তুমি আল্লাহ তাআলার শুকরিয়া আদায় কর যে, তিনি তোমাকে তাদেরই একজন বানিয়েছেন। আর তুমি তোমার পূর্বের অবস্থা স্মরণ কর। তোমার পিতার সাথে সদাচারণ কর। নরমভাবে স্নেহ ভালবাসার সাথে তাকে দাওয়াত দিতে থাক। আর স্মরণ কর আল্লাহ তাআলার এ বাণীর কথা, (كذلك كنتم من قبل فمنّ الله عليكم)(ইতিপূর্বে তোমরাও এমনই ছিলে। অতঃপর আল্লাহ তোমাদের উপর অনুগ্রহ করেছেন। )আর তুমি তোমার পরিবার ছেড়ে দিয়ে অন্যত্র চলে যেও না। বরং অবিরাম তোমার পিতাকে দাওয়াত দিতে থাক। হকের কথা শুনাতে থাক। হেকমতের সাথে। সুন্দর নসীহতের সাথে। তোমার পিতা চিল্লাচিল্লি শুরু করলেও তুমি চিল্লাচিল্লি করো না। তোমার পিতার আওয়াজের চেয়ে জোর আওয়াজে কথা বলো না। তার জন্য দোয়া করতে থাক ইখলাছের সাথে, যেন আল্লাহ তাআলা তাকে সঠিক পথ দেখান। আল্লাহ তাআলা তোমাকে তাওফীক দান করুন। তোমার দ্বারা তোমার পিতাকে সঠিক পথের সন্ধান দিন।
উত্তর প্রদানে: আবু মুহাম্মাদ আল-মাকদিসী হাফিযাহুল্লাহ!
মিম্বারুত তাওহীদি ওয়াল জিহাদ।
Comment