প্রশ্ন:
আমি একজন মুসলিম যুবক। আমি জিহাদ করতে চাই। আমার পিতা ইন্তেকাল করেছেন। আমার মাকে দেখার মত আমি ছাড়া আর কেউ নেই। আমর উপর কি জিহাদ ফরয ? নাকি এই ওজরের কারণে আমার উপর থেকে জিহাদের ফরজিয়্যাত রহিত হয়ে যাবে?
নিবেদক
আবু আসেম আল-মিসরী
উত্তর:
বর্তমান যামানায় জিহাদ ফরযে আইন। তোমার মাকে দেখার মতো কেউ নেই বলে তোমার থেকে জিহাদের ফরজিয়্যাত রহিত হয়ে যাবে না। তবে তুমি যে দেশে বসবাস করছো সেখানকার পরিস্থিতি অনুযায়ী হুকুমের মাঝে কিছুটা তারতম্য হবে। যদি শত্রুদের সাথে যুদ্ধ বেঁধে গিয়ে থাকে এবং তোমাদের মত যুবকদের তাতে শরীক হওয়া আবশ্যক হয়ে পড়ে তবে তোমার মাকে দেখার মত কেউ না থাকলেও তোমার জন্য জিহাদে বের হয়ে যাওয়া ফরয। কেননা, দ্বীনের মাসলাহাত সকল মাসলাহাতের চেয়ে অগ্রগণ্য।
আর যদি অবস্থা এমন না হয়, তাহলে আশাকরি তোমার জন্য জিহাদে না বের হয়ে তোমার মায়ের দেখাশুনা করা বৈধ হবে, যতক্ষণ না আল্লাহ তাআলা কোন ব্যবস্থা করে দেন। তবে তোমাকে জিহাদের নিয়ত রাখতে হবে। তার জন্য ই’দাদ-প্রস্তুতি গ্রহণ করতে থাকতে হবে। সবরের সাথে তাওহীদের দাওয়াত দিতে থাকতে হবে। সম্ভাব্য সকল পন্থায় মুজাহিদদেরকে সহায়তা করে যেতে থাকতে হবে। আল্লাহ তাআলা তোমাকে তাওফীক দান করুন!
উত্তর প্রদানে:
আবু উসামা আশ-শামী, শরয়ী বিভাগ, মিম্বারুত তাওহীদি ওয়াল জিহাদ।
==============================================
প্রিয় ভাইয়েরা, আমাদের দেশে এখনো সরাসরি যুদ্ধ শুরু হয়নি। কাজেই পরিবার পরিজনের দেখাশুনার পাশাপাশি জিহাদের কাজে শরীক হওয়া আমাদের দেশে তেমন কোন কঠিন কাজ নয়। বিভিন্নভাবে সামর্থ্য অনুযায়ী মুজাহিদদেরকে সহায়তা করা তেমন কোন কঠিন কাজ নয়। একটু ইচ্ছা থাকলেই ফরয জিহাদের দায়িত্ব আদায় করে গাজওয়াতুল হিন্দের সওয়াবের ভাগ পাওয়া যায়। আর যারা সম্পূর্ণই জিহাদের কাজে আত্ননিয়োগ করেছেন তাদের তো সৌভাগ্যের কোন সীমাই নেই। আল্লাহ তাআলা আমাদের দেশের জনগণকে বুঝার এবং গাজওয়াতুল হিন্দে শরীক হওয়ার তাওফীক দান করুন। আপনারা যদি একটু হিম্মত করে জনগণকে বুঝান তাহলে আশাকরি অতিশীঘ্রই জনগণ বুঝে যাবে। দূরে না পারলেও অন্তত নিজের আত্নীয় স্বজন এবং বন্ধু বান্ধবকে যথাসম্ভব নিরাপত্তা বজায় রেখে বুঝাতে পারি। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে তাওফীক দান করুন!
Comment