শবে বরাতের ব্যাপারে কোন সহীহ হাদিস নেই।
যত হাদিস আছে এ ব্যাপারে সবগুলোই জাল অথবা নিতান্তই দুূর্বল।একটি মাত্র হাদিস আছে যেটি বাহ্যিকভাবে গ্রহণযোগ্য বুঝা যায় কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটিও দুর্বল।
একটি কথা বুঝুন গ্রহণযোগ্য হাদিস ৪ প্রকার।এর সর্বশেষ প্রকার হলো হাসান লিগাইরীহী যার মাধ্যমে দলীল দেওয়া যায়।
যে হাদিসটি বাহ্যিকভাবে সহীহ বুঝা যায়
সেটি হলো
আল্লাহ তায়ালা শাবানের ১৫ তারিখ রাতে বান্দার দিকে মনোযোগ দেন সমস্ত লোককে ক্ষমা করে দেন শুধুমাত্র মুশরিক ও কৃপন ছাড়া।
এ হাদিসটির সনদ ও মতনে ইযতিরাব রয়েছে।সুতরাং হাদিসটি মুযতারিব।
মুযতারিব বলা হয় যে হাদিস শক্তির দিক দিয়ে সমান কয়েকটি সুত্রে বর্নিত কিন্তু একটি আরেকটির বিপরীত।
এর ইযতিরাব দেখার জন্য ইমাম দারেকুতনী রহঃ এর ইলালের ৯৭০,১১৬৯,
৩৫৭৩ নং হাদিস দ্রষ্টব্য।
দারেকুতনীর মধ্য সনদের ইযতিরাব পাবেন আর মতনের ইযতিরাব হলো মুসনাদে আহমদের ৬৬৪২ নং হাদিস ও বাকি হাদিস
গুলোর মধ্যে সেটিতে আছে ২ প্রকার লোককে ছাড়া সবাইকে ক্ষমা করে দেন ২ প্রকার হলো কৃপন ও আত্নহত্যকারী কিন্তু অন্যান্য বর্ননায় এসেছে কৃপন ও মুশরিক।
মুযতারিব হাদিসের হুকুম হলো এটি যয়ীফ
যদি এগুলোর মাঝে সামঞ্জস্য বা কোন একটি রেওয়ায়েতকে প্রাধান্য দেওয়া না যায়।
সুতরাং এ হাদিসটি সহীহ সাব্যস্ত করতে হলে
এর ইযতিরাব দূর করা আবশ্যক।কিন্তু যারাই এটিকে সহীহ বলেন এর ইযতিরাব দূর করেননি।
আলবানী রহঃ এটিকে সহীহ সাব্যস্ত করেছেন
মুতাবায়াতের মাধ্যমে। এটি জানা কথা মুতাবায়াতের মাধ্যমে যয়ীফ সহীহ হয়ে যায়না
হাসান লিগাইরিহী হবে যা মাকবুলের প্রকার সহীহর প্রকার নয়। কিন্তু মুযতারিব হাদিসের মাধ্যমে মুতাবায়াত হয়না এজন্য আগে ইযতিরাব দূর করা দরকার পরে মুতাবায়াত,কারন সনদগতভাবে সবগুলোই দুর্বল(আর কয়েকটি দুর্বল হাদিস মিলে যে হাদিস হয় সেটি হলো হাসান লিগাইরিহি,এর দ্বারা দলীল দেওয়া যায়)।এজন্য এখানে আলবানী রহঃ এর কথা ধর্তব্য নয়,কারন তিনি ইযতিরাব দূর করেননি।
আর আব্দুল মালেক দাঃ বাঃ এর একটি লিখা এক ভাই পোস্ট করেছেন যেখানে এ হাদিসটিকে তিনি মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন।কিন্তু এটি স্পষ্ট বিষয়ের বিপরীত
কারন মুসলিমের মতেও ঐ হাদিস সহীহ নয় যার ইনকিতার সম্ভবনা বেশি অথবা ইনকিতা সাব্যস্ত(ইনকিতা হলো একজন বারী আরেকজন থেকে হাদিস বর্ননা করা যার থেকে বর্না করেছেন তার থেকে হাদিস না শোনার প্রমান বিদ্যমান আছে)আর এখানে ইনকিতা সাব্যস্ত।
মাকহুল মালেক ইবনে ইয়ুখামির থেকে শোনেননি আর এটি এ সুত্রে বর্নিত সুতরাং ইনকিতা সাব্যস্ত এটিকে মুসলিমের শর্তে সহীহ বলার প্রশ্নই আসেনা।
সুতরাং মোটকথা হলো সুত্রগতভাবে একটি হাদিস ও সহীহ নয়।আলবানী রহঃ মুতাবায়াতের কারনে সহীহ বলেছেন কিন্তু মুতাবায়াতের মাধ্যমে যয়ীফ সহীহ হয়না হাসান লিগাইরিহী হয়।কিন্তু এ মুতাবায়াত ভুল প্রচন্ড ইযতিরাবের কারনে।ইযকিরাবকৃত হাদিন দ্বারা মুতাবায়াত হয়না।
আমার আলোচনায় ভুল হলে দালিলবিত্তিক সংশোধনের আবেদন রইলো।
যত হাদিস আছে এ ব্যাপারে সবগুলোই জাল অথবা নিতান্তই দুূর্বল।একটি মাত্র হাদিস আছে যেটি বাহ্যিকভাবে গ্রহণযোগ্য বুঝা যায় কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটিও দুর্বল।
একটি কথা বুঝুন গ্রহণযোগ্য হাদিস ৪ প্রকার।এর সর্বশেষ প্রকার হলো হাসান লিগাইরীহী যার মাধ্যমে দলীল দেওয়া যায়।
যে হাদিসটি বাহ্যিকভাবে সহীহ বুঝা যায়
সেটি হলো
আল্লাহ তায়ালা শাবানের ১৫ তারিখ রাতে বান্দার দিকে মনোযোগ দেন সমস্ত লোককে ক্ষমা করে দেন শুধুমাত্র মুশরিক ও কৃপন ছাড়া।
এ হাদিসটির সনদ ও মতনে ইযতিরাব রয়েছে।সুতরাং হাদিসটি মুযতারিব।
মুযতারিব বলা হয় যে হাদিস শক্তির দিক দিয়ে সমান কয়েকটি সুত্রে বর্নিত কিন্তু একটি আরেকটির বিপরীত।
এর ইযতিরাব দেখার জন্য ইমাম দারেকুতনী রহঃ এর ইলালের ৯৭০,১১৬৯,
৩৫৭৩ নং হাদিস দ্রষ্টব্য।
দারেকুতনীর মধ্য সনদের ইযতিরাব পাবেন আর মতনের ইযতিরাব হলো মুসনাদে আহমদের ৬৬৪২ নং হাদিস ও বাকি হাদিস
গুলোর মধ্যে সেটিতে আছে ২ প্রকার লোককে ছাড়া সবাইকে ক্ষমা করে দেন ২ প্রকার হলো কৃপন ও আত্নহত্যকারী কিন্তু অন্যান্য বর্ননায় এসেছে কৃপন ও মুশরিক।
মুযতারিব হাদিসের হুকুম হলো এটি যয়ীফ
যদি এগুলোর মাঝে সামঞ্জস্য বা কোন একটি রেওয়ায়েতকে প্রাধান্য দেওয়া না যায়।
সুতরাং এ হাদিসটি সহীহ সাব্যস্ত করতে হলে
এর ইযতিরাব দূর করা আবশ্যক।কিন্তু যারাই এটিকে সহীহ বলেন এর ইযতিরাব দূর করেননি।
আলবানী রহঃ এটিকে সহীহ সাব্যস্ত করেছেন
মুতাবায়াতের মাধ্যমে। এটি জানা কথা মুতাবায়াতের মাধ্যমে যয়ীফ সহীহ হয়ে যায়না
হাসান লিগাইরিহী হবে যা মাকবুলের প্রকার সহীহর প্রকার নয়। কিন্তু মুযতারিব হাদিসের মাধ্যমে মুতাবায়াত হয়না এজন্য আগে ইযতিরাব দূর করা দরকার পরে মুতাবায়াত,কারন সনদগতভাবে সবগুলোই দুর্বল(আর কয়েকটি দুর্বল হাদিস মিলে যে হাদিস হয় সেটি হলো হাসান লিগাইরিহি,এর দ্বারা দলীল দেওয়া যায়)।এজন্য এখানে আলবানী রহঃ এর কথা ধর্তব্য নয়,কারন তিনি ইযতিরাব দূর করেননি।
আর আব্দুল মালেক দাঃ বাঃ এর একটি লিখা এক ভাই পোস্ট করেছেন যেখানে এ হাদিসটিকে তিনি মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন।কিন্তু এটি স্পষ্ট বিষয়ের বিপরীত
কারন মুসলিমের মতেও ঐ হাদিস সহীহ নয় যার ইনকিতার সম্ভবনা বেশি অথবা ইনকিতা সাব্যস্ত(ইনকিতা হলো একজন বারী আরেকজন থেকে হাদিস বর্ননা করা যার থেকে বর্না করেছেন তার থেকে হাদিস না শোনার প্রমান বিদ্যমান আছে)আর এখানে ইনকিতা সাব্যস্ত।
মাকহুল মালেক ইবনে ইয়ুখামির থেকে শোনেননি আর এটি এ সুত্রে বর্নিত সুতরাং ইনকিতা সাব্যস্ত এটিকে মুসলিমের শর্তে সহীহ বলার প্রশ্নই আসেনা।
সুতরাং মোটকথা হলো সুত্রগতভাবে একটি হাদিস ও সহীহ নয়।আলবানী রহঃ মুতাবায়াতের কারনে সহীহ বলেছেন কিন্তু মুতাবায়াতের মাধ্যমে যয়ীফ সহীহ হয়না হাসান লিগাইরিহী হয়।কিন্তু এ মুতাবায়াত ভুল প্রচন্ড ইযতিরাবের কারনে।ইযকিরাবকৃত হাদিন দ্বারা মুতাবায়াত হয়না।
আমার আলোচনায় ভুল হলে দালিলবিত্তিক সংশোধনের আবেদন রইলো।
Comment