রমযানের আমাদের করণীয়গুলো নিম্নরূপ:
1. রমযান তাকওয়ার মাস। তাই সিয়াম সাধনার মাধ্যমে অধিকতর তাকওয়া অর্জন সম্ভব।
2. এই মাসে বড় বড় শয়তানদেরকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। জান্নাতের দরজা খুলে দেওয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। রমযানের প্রতি রাত্রে রোযাদার মুমিনদেরকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। রমযানের শেষ এক রাত্রেই সারা মাসের সমান সংখ্যক লোককে মুক্তি দেওয়া হয়। সেমতে আমাদের বেশী করে নেক আমল করা উচিত।
3. এই মাসে কদরের রাত রয়েছে, যা হাজার মাসের চাইতেও উত্তম। শ্রমিক কর্মদিবসের শেষে যেমন পারিশ্রমিক পায়, রোযাদারও তেমনি রমযানের শেষ দিন ক্ষমা লাভ করে। সূতরাং আমাদের উচিত কদরকে অন্বেষণ করা।
4. অন্য মাসে যে কোনো নেক কাজের বিনিময়ে ১০ থেকে ৭শ গুণ। কিন্তু রমযানের রোযার প্রতিদান এর চাইতেও অনেক বেশি। আল্লাহ নিজ হাতে সেই সীমা-সংখ্যাহীন পুরষ্কার দান করবেন। তাই আমাদের বেশী করে নেক আমল করা উচিত।
5. এই মাস দান-সদকার মাস। এই মাসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বাধিক দান করতেন। অতএব আমাদের উচিত এ মাসে যাকাত আদায় করা এবং সার্মথানুযায়ী নফল দান সাদকাহ করা।
6. রমযান মাসে কুরআন নাজিল হয়েছে, তাই এটি কুরআনের মাস। ফলে আমাদের বেশী বেশী কুরআন তেলাওয়াত করা উচিত।
7. রমযান হচ্ছে জেহাদের মাস। এই মাসে মুসলিমদের বড় বড় ঐতিহাসিক বিজয় সাধিত হয়েছে। তাই এটাকে কুরআনে বিজয়ের মাসও বলা হয়েছে।
8. এই মাসে এতেকাফ করা হয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি রমযানে এতেকাফ করতেন।
9. ইফতার রমযানের বিশেষ বৈশিষ্ট্য। ইফতারের সময় দো‘আ কবুল হয়। সুতরাং আমাদের কর্তব্য হলো বেশী করে ইফতারের সময় আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা।
10. এই মাসের ওমরায় হজ্জের সমান সওয়াব পাওয়া যায়। অতএব, আমাদের যাদের সামর্থ আছে তাদের এ মাসে ওমরার সুযোগ নেয়া ।
11. রমযান সবর ও ধৈর্যের মাস। আমাদের সবার এ থেকে ধৈর্যের শিক্ষা নেয়া আবশ্যক।
12. রমযান রাত্রি জাগরণের মাস। এই মাসে সালাতুল কেয়াম অর্থাৎ তাহাজ্জুদসহ তারাবীর নামায পড়া হয়। তারাবীর নামায দ্বারা অতীতের সকল গুণাহ মাফ হয়ে যায়। তাই আমাদেরকে তারাবীহ পড়ার গুরুত্বারোপ করতে হবে।
13. রমযানে সাদাকাতুল ফিতর দিতে হয়। এর মাধ্যমে রোযার ত্রুটি-বিচ্যুতি দূর হয়।
14. রোযার মাধ্যমে মুখ-চোখ ও কানকে সংযত রাখার মাধ্যমে মুসলিম সমাজ থেকে নিন্দা-গীবত, অপবাদ ও চোগলখুরীর মতো সামাজিক ব্যাধি হ্রাস পাওয়া সম্ভব হয়।
15. রমযান হচ্ছে তাওবার মাস। তাওবার মাধ্যমে গুণাহ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
16. রোযার উপবাসের মাধ্যমে ক্ষুধা-পিপাসায় কাতর অভাবী মানুষের দুঃখ বুঝা সহজ এবং এভাবেই রোযা মুসলিমদের মধ্যে সহানুভূতি, মমত্ব ও ভ্রাতৃত্বের সৃষ্টি করা যায়।
আমরা রমযানের মূল শিক্ষা যথাযথভাবে গ্রহণ করতে পারি। রমযান যেন আমাদের জীবনে গতানুগতিক না হয়ে কল্যাণ ও মুক্তির প্রতীক হতে পারে সে চেষ্টা সবাইকে করতে হবে। আল্লাহ আমাদের জীবনে রমযানকে বারবার ফিরিয়ে আনুক, এটাই হোক আমাদের প্রার্থনা।
1. রমযান তাকওয়ার মাস। তাই সিয়াম সাধনার মাধ্যমে অধিকতর তাকওয়া অর্জন সম্ভব।
2. এই মাসে বড় বড় শয়তানদেরকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। জান্নাতের দরজা খুলে দেওয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। রমযানের প্রতি রাত্রে রোযাদার মুমিনদেরকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। রমযানের শেষ এক রাত্রেই সারা মাসের সমান সংখ্যক লোককে মুক্তি দেওয়া হয়। সেমতে আমাদের বেশী করে নেক আমল করা উচিত।
3. এই মাসে কদরের রাত রয়েছে, যা হাজার মাসের চাইতেও উত্তম। শ্রমিক কর্মদিবসের শেষে যেমন পারিশ্রমিক পায়, রোযাদারও তেমনি রমযানের শেষ দিন ক্ষমা লাভ করে। সূতরাং আমাদের উচিত কদরকে অন্বেষণ করা।
4. অন্য মাসে যে কোনো নেক কাজের বিনিময়ে ১০ থেকে ৭শ গুণ। কিন্তু রমযানের রোযার প্রতিদান এর চাইতেও অনেক বেশি। আল্লাহ নিজ হাতে সেই সীমা-সংখ্যাহীন পুরষ্কার দান করবেন। তাই আমাদের বেশী করে নেক আমল করা উচিত।
5. এই মাস দান-সদকার মাস। এই মাসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বাধিক দান করতেন। অতএব আমাদের উচিত এ মাসে যাকাত আদায় করা এবং সার্মথানুযায়ী নফল দান সাদকাহ করা।
6. রমযান মাসে কুরআন নাজিল হয়েছে, তাই এটি কুরআনের মাস। ফলে আমাদের বেশী বেশী কুরআন তেলাওয়াত করা উচিত।
7. রমযান হচ্ছে জেহাদের মাস। এই মাসে মুসলিমদের বড় বড় ঐতিহাসিক বিজয় সাধিত হয়েছে। তাই এটাকে কুরআনে বিজয়ের মাসও বলা হয়েছে।
8. এই মাসে এতেকাফ করা হয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি রমযানে এতেকাফ করতেন।
9. ইফতার রমযানের বিশেষ বৈশিষ্ট্য। ইফতারের সময় দো‘আ কবুল হয়। সুতরাং আমাদের কর্তব্য হলো বেশী করে ইফতারের সময় আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা।
10. এই মাসের ওমরায় হজ্জের সমান সওয়াব পাওয়া যায়। অতএব, আমাদের যাদের সামর্থ আছে তাদের এ মাসে ওমরার সুযোগ নেয়া ।
11. রমযান সবর ও ধৈর্যের মাস। আমাদের সবার এ থেকে ধৈর্যের শিক্ষা নেয়া আবশ্যক।
12. রমযান রাত্রি জাগরণের মাস। এই মাসে সালাতুল কেয়াম অর্থাৎ তাহাজ্জুদসহ তারাবীর নামায পড়া হয়। তারাবীর নামায দ্বারা অতীতের সকল গুণাহ মাফ হয়ে যায়। তাই আমাদেরকে তারাবীহ পড়ার গুরুত্বারোপ করতে হবে।
13. রমযানে সাদাকাতুল ফিতর দিতে হয়। এর মাধ্যমে রোযার ত্রুটি-বিচ্যুতি দূর হয়।
14. রোযার মাধ্যমে মুখ-চোখ ও কানকে সংযত রাখার মাধ্যমে মুসলিম সমাজ থেকে নিন্দা-গীবত, অপবাদ ও চোগলখুরীর মতো সামাজিক ব্যাধি হ্রাস পাওয়া সম্ভব হয়।
15. রমযান হচ্ছে তাওবার মাস। তাওবার মাধ্যমে গুণাহ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
16. রোযার উপবাসের মাধ্যমে ক্ষুধা-পিপাসায় কাতর অভাবী মানুষের দুঃখ বুঝা সহজ এবং এভাবেই রোযা মুসলিমদের মধ্যে সহানুভূতি, মমত্ব ও ভ্রাতৃত্বের সৃষ্টি করা যায়।
আমরা রমযানের মূল শিক্ষা যথাযথভাবে গ্রহণ করতে পারি। রমযান যেন আমাদের জীবনে গতানুগতিক না হয়ে কল্যাণ ও মুক্তির প্রতীক হতে পারে সে চেষ্টা সবাইকে করতে হবে। আল্লাহ আমাদের জীবনে রমযানকে বারবার ফিরিয়ে আনুক, এটাই হোক আমাদের প্রার্থনা।
Comment