Announcement

Collapse
No announcement yet.

রমজানের ফিতরা বিষয়ে একটি প্রশ্ন

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • রমজানের ফিতরা বিষয়ে একটি প্রশ্ন

    রমজানের ফিতরার টাকা নিয়ে বর্তমান সময়ে সমাজে বিভিন্ন মতােনৈক্য দেখা দিচ্ছে কেউ বলছে পন্য দিতে হবে যেমন:চাল,অাঠা খেজুর আবার কেউ বলছে টাকা দিতে হবে
    কেউ বলছে ফিতরা টাকা গরীব মিসকিনদের দান করতে হবে এখানে আমার তিনটি প্রশ্ন
    ১/ ফিতরা টাকাটা কি গরীব মিসকিনদের দিতে হবে না জিহাদের জন্য সদকা করা যাবে ?
    ২/ ফিতরা টাকা দিতে হবে নাকি পণ্য ?
    ( গাজওয়া হিন্দের ট্রেনিং) https://dawahilallah.com/showthread.php?9883

  • #2
    জিহাদে ও দেয়া যাবে,বরং জিহাদের কাজে দেয়া উত্তম।কেননা কুরআনে বর্নিত জাকাতের ব্যায়ের খাত সমূহের একটি হলো আল্লাহর রাস্তায় তথা জিহাদের ময়দানে।
    ২/টাকা দেয়া উত্তম।অন্যগুলো ও দেয়া যাবে।কেননা টাকা দেয়া হলে মুহতাজ ব্যক্তি তার চাহিদা পূরণ করতে পারবেন।

    Comment


    • #3
      ১. ফিতরার টাকা যাকাত গ্রহণের উপযুক্ত কোন গরীব ব্যক্তিকে মালিক বানিয়ে দিতে হবে। সরাসরি জিহাদের কাজে লাগানো যাবে না। তবে হীলা করে লাগানো যাবে। যেভাবে সাধারণত মাদ্রাসাসমূহে যাকাতের টাকা সাধারণ ফান্ডে খরচ করা হয়।
      ২. টাকা-পণ্য উভয়টাই দেয়া যায়। তবে টাকা দেয়াই ভাল যাতে গরীব ব্যক্তি ইচ্ছামত তার হাজতে ব্যয় করতে পারে।


      উল্লেখ্য যে, আমাদের দেশে পৌনে দুই সের আটার হিসাবে ফিতরার একটা টাকা নির্ধারণ করে দেয়া হয় (যেমন, ৬০/৬৫ … টাকা)। এতে জনগণ মনে করে, শরীয়তে ফিতরার এই একটা পরিমাণই নির্ধারিত। এরপর ধনী-গরীব সকলেই এই একই ফিতরা আদায় করে। এটি ঠিক নয়। শরীয়তের নিয়ম হল, যদি গম বা আটা দিয়ে দেয়া হয় তাহলে পৌনে দুই সের দেবে আর যদি খেজুর বা কিসমিস দিয়ে দেয়া হয় তাহলে সাড়ে তিন কেজি দেবে। সরাসরি গম, আটা, খেজুর বা কিসমিসও দিতে পারে, ইচ্ছা করলে সেগুলোর বাজারমূল্যও দিতে পারে। তবে মূল্য দেয়াই উত্তম।


      খেজুর বা কিসমিস দিয়ে ফিতরা দিলে অনেক টাকা আসবে। গরীবরা আটার হিসাবে দিলেও সামর্থ্যবান ধনী লোকেরা খেজুর বা কিসমিসের হিসাবে দিতে পারেন। এতে গরীবদের উপর রহম হবে।

      Comment


      • #4
        জাযাকাল্লাহু খাইরান।
        আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
        আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

        Comment


        • #5
          عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ فَرَضَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم زَكَاةَ الْفِطْرِ طُهْرَةً لِلصَّائِمِ مِنَ اللَّغْوِ وَالرَّفَثِ وَطُعْمَةً لِلْمَسَاكِيْنِ

          ইবনু আববাস (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যাকাতুল ফিৎর ফরয করেছেন ছিয়াম পালনকারীর অসারতা ও যৌনাচারের পঙ্কিলতা থেকে পবিত্র করার জন্য এবং মিসকীনদের খাদ্য স্বরূপ।


          . আবুদাউদ হা/১৬০৯; ইবনু মাজাহ হা/১৮২৭; আলবানী, সনদ হাসান।

          Comment

          Working...
          X