بسم الله الرحمن الرحيم
ইসলামে ছবি উঠানোর হুকুম
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাহ এরশাদ করেন, إن أشد الناس عذابا عند الله يوم القيامة المصورون
“ কেয়ামতের দিন অাল্লাহর নিকট ঐ সমস্ত লোক সবচেয়ে বেশী আজাবে পতিত হবে যারা (প্রাণীর) ছবি তুলে”(-বুখারী ২য় খন্ড পৃষ্ঠা: ৮৮২)। এ প্রসঙ্গে উলামায়ে কেরামের ভাষ্য বিভিন্ন রকম। তবে এ বিষয়ে সবাই একমত যে, হাদিসের ভাষায় “নিষিদ্ধ ছবি” হলো, যা তুলি দিয়ে শিল্পীরা একে থাকে। যেমন আমাদের দেশে দেয়ালে দেয়ালে যে প্রানীর ছবিগুলো আকা হয়। বা যে ছবিগুলো কাগজে প্রিন্ট করা হয়। মতবিরোধ হলো, মোবাইলে যে ছবি তোলা হয় তা মোবাইল থেকে প্রিন্ট করার আগ পর্যন্ত “নিষিদ্ধ ছবি”র অন্তর্ভুক্ত কি না এ নিয়ে।
অধিকাংশ আরব উলামাদের মতে মোবাইলে যে ছবি তোলা হয় তা মোবাইল থেকে প্রিন্ট করার আগ পর্যন্ত “নিষিদ্ধ ছবি”র অন্তর্ভুক্ত নয়। তাই তা জায়েয। তবে প্রিন্ট করার পর তা “নিষিদ্ধ ছবি”র অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়।
কিছু সংখ্যক আরব ও অধিকাংশ হিন্দুস্তানী আলেমদের মতে মোবাইলের ছবি প্রিন্ট করার আগ পর্যন্তও “নিষিদ্ধ ছবি”র অন্তর্ভুক্ত। তাই তা উঠানো নাজায়েয। তারা বলেন, আগের জমানায় তুলি দিয়ে ছবি আকা হতো আর মোবাইল, ক্যামেরা এগুলো তারই আধুনিক রূপ। আগে যা হাতে আকা হতো এখন তা মেশিন দিয়ে তা আকা হয়। সুতরাং হুকুমের দিক দিয়ে দুটির মাঝে কোন পার্থক্য নেই। মুফতি শফী রহ. এটাকে নাজায়েয ফতোয়া দিয়ে একটি কিতাব লেখেছেন তার নাম, তাসবীর কি শরয়ী আহকাম। আর কোন কোন হিন্দুস্তানী আলেমদের মতে জায়েয। এটা পাকিস্তানের মাও. তাক্বী উসমানী সাহেবের অভিমত। তবে অন্যান্য আলেমগণ তার বক্তব্যকে খন্ডন করেছেন। হযরত মাও. মুফতী সালমান মনসুরপুরী সাহেব তার রচিত কিতাব ‘কিতাবুন নাওয়াযেলে’ তাক্বী উসমানী সাহেবের এ মতামতকে বিস্তারিত ভাবে খন্ডন করেছেন।
মোটকথা, হিন্দুস্তানী আলেমদের মতে মোবাইলে ছবি উঠানো নাজায়েয। এমনকি তা নাজায়েয ফতোয়া দিয়ে দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে প্রায় ২০ পৃষ্ঠার একটি ফতোয়াও দেওয়া হয়েছে। তাতে হযরত মাও. সাঈদ আহমাদ পালনপুরী সাহেব সহ আরো বড় বড় আলেমদের স্বাক্ষর রয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের প্রশিদ্ধ এক বড় মাদরাসায় ২০১৭ সালে একটি আলোচনা সভা হয়েছে। তাতেও এটাকে নাজায়েয ফতোয়া দেওয়া হয়েছে। আরেকটি কথা, যারা ছবিকে নাজায়েয বলে তারা ভিডিওকেও নাযায়েয বলে।
তবে এ বিষয়ে সকলেই একমত যে, বিশেষ প্রয়োজনে ছবি উঠানো জায়েয এবং দ্বীনি দাওয়াতের জন্য ভিডিও করা জায়েয। বিশেষ করে এমন দাওয়াত যা উম্মতের জন্য অনেক প্রয়োজন তবে তা প্রকাশ্যে মানুষের সামনে এসে দেওয়া সম্ভব নয়।
এখন কথা হলো, মুজাহিদ ভাইয়েরা যে ছবি উঠায় বা ভিডি করে তা দ্বীনি প্রয়োজনের কাতারে পরে কি না? এ বিষয়ে আমি এমন কিছু বড় বড় আলেমদের সাথে কথা বলেছি যারা বর্তমানে জিহাদকে ফরজে আইন বলেনা। খুশির কথা তারা সকলেই এটাকে জায়েয বলেছেন। মুজাহিদ ভাইদের ভিডিও যে কত বড় দ্বীনি দাওয়াত তা বলার অপেক্ষা রাখেনা এবং যার সুস্থ বুঝ আছে সেও এটা অস্বীকার করতে পারবেনা। তাই তা নিঃসন্দেহে জায়েয। তবে কথা হলো, ছবি নিয়ে। এটা নিয়ে আমার দ্বিধা ছিল। আমি কয়েক ভাইয়ের কাছে জানতে চাইলাম যে, মুজাহিদ ভাইদের ছবি দ্বারা দ্বীনি কোন দাওয়াত হয় কি না? তারা আমাকে জানালো, জি ভাই এটা দ্বারাও দাওয়াত হয়। কারণ, যখন আমরা কোন শহীদের ছবি দেখি তখন আমাদেরও শহীদ হওয়ার ইচছা আরো প্রবল হতে থাকে। তাদের একা শুনে আমার দ্বিধা দুর হয়ে যায়।
আল হামদুলিল্লাহ। এখন কোন দ্বিধা-দ্বন্দ ছাড়াই বলছি, মুজাহিদ ভাইদের ভিডিও ও ছবি উভয়টাই জায়েয।
আল্লাহ আমাদের সকলকে বুঝার ও আমল করার তৌফিক দান করেন। আমীন
فقط. والله اعلم بالصواب.
ইসলামে ছবি উঠানোর হুকুম
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাহ এরশাদ করেন, إن أشد الناس عذابا عند الله يوم القيامة المصورون
“ কেয়ামতের দিন অাল্লাহর নিকট ঐ সমস্ত লোক সবচেয়ে বেশী আজাবে পতিত হবে যারা (প্রাণীর) ছবি তুলে”(-বুখারী ২য় খন্ড পৃষ্ঠা: ৮৮২)। এ প্রসঙ্গে উলামায়ে কেরামের ভাষ্য বিভিন্ন রকম। তবে এ বিষয়ে সবাই একমত যে, হাদিসের ভাষায় “নিষিদ্ধ ছবি” হলো, যা তুলি দিয়ে শিল্পীরা একে থাকে। যেমন আমাদের দেশে দেয়ালে দেয়ালে যে প্রানীর ছবিগুলো আকা হয়। বা যে ছবিগুলো কাগজে প্রিন্ট করা হয়। মতবিরোধ হলো, মোবাইলে যে ছবি তোলা হয় তা মোবাইল থেকে প্রিন্ট করার আগ পর্যন্ত “নিষিদ্ধ ছবি”র অন্তর্ভুক্ত কি না এ নিয়ে।
অধিকাংশ আরব উলামাদের মতে মোবাইলে যে ছবি তোলা হয় তা মোবাইল থেকে প্রিন্ট করার আগ পর্যন্ত “নিষিদ্ধ ছবি”র অন্তর্ভুক্ত নয়। তাই তা জায়েয। তবে প্রিন্ট করার পর তা “নিষিদ্ধ ছবি”র অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়।
কিছু সংখ্যক আরব ও অধিকাংশ হিন্দুস্তানী আলেমদের মতে মোবাইলের ছবি প্রিন্ট করার আগ পর্যন্তও “নিষিদ্ধ ছবি”র অন্তর্ভুক্ত। তাই তা উঠানো নাজায়েয। তারা বলেন, আগের জমানায় তুলি দিয়ে ছবি আকা হতো আর মোবাইল, ক্যামেরা এগুলো তারই আধুনিক রূপ। আগে যা হাতে আকা হতো এখন তা মেশিন দিয়ে তা আকা হয়। সুতরাং হুকুমের দিক দিয়ে দুটির মাঝে কোন পার্থক্য নেই। মুফতি শফী রহ. এটাকে নাজায়েয ফতোয়া দিয়ে একটি কিতাব লেখেছেন তার নাম, তাসবীর কি শরয়ী আহকাম। আর কোন কোন হিন্দুস্তানী আলেমদের মতে জায়েয। এটা পাকিস্তানের মাও. তাক্বী উসমানী সাহেবের অভিমত। তবে অন্যান্য আলেমগণ তার বক্তব্যকে খন্ডন করেছেন। হযরত মাও. মুফতী সালমান মনসুরপুরী সাহেব তার রচিত কিতাব ‘কিতাবুন নাওয়াযেলে’ তাক্বী উসমানী সাহেবের এ মতামতকে বিস্তারিত ভাবে খন্ডন করেছেন।
মোটকথা, হিন্দুস্তানী আলেমদের মতে মোবাইলে ছবি উঠানো নাজায়েয। এমনকি তা নাজায়েয ফতোয়া দিয়ে দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে প্রায় ২০ পৃষ্ঠার একটি ফতোয়াও দেওয়া হয়েছে। তাতে হযরত মাও. সাঈদ আহমাদ পালনপুরী সাহেব সহ আরো বড় বড় আলেমদের স্বাক্ষর রয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের প্রশিদ্ধ এক বড় মাদরাসায় ২০১৭ সালে একটি আলোচনা সভা হয়েছে। তাতেও এটাকে নাজায়েয ফতোয়া দেওয়া হয়েছে। আরেকটি কথা, যারা ছবিকে নাজায়েয বলে তারা ভিডিওকেও নাযায়েয বলে।
তবে এ বিষয়ে সকলেই একমত যে, বিশেষ প্রয়োজনে ছবি উঠানো জায়েয এবং দ্বীনি দাওয়াতের জন্য ভিডিও করা জায়েয। বিশেষ করে এমন দাওয়াত যা উম্মতের জন্য অনেক প্রয়োজন তবে তা প্রকাশ্যে মানুষের সামনে এসে দেওয়া সম্ভব নয়।
এখন কথা হলো, মুজাহিদ ভাইয়েরা যে ছবি উঠায় বা ভিডি করে তা দ্বীনি প্রয়োজনের কাতারে পরে কি না? এ বিষয়ে আমি এমন কিছু বড় বড় আলেমদের সাথে কথা বলেছি যারা বর্তমানে জিহাদকে ফরজে আইন বলেনা। খুশির কথা তারা সকলেই এটাকে জায়েয বলেছেন। মুজাহিদ ভাইদের ভিডিও যে কত বড় দ্বীনি দাওয়াত তা বলার অপেক্ষা রাখেনা এবং যার সুস্থ বুঝ আছে সেও এটা অস্বীকার করতে পারবেনা। তাই তা নিঃসন্দেহে জায়েয। তবে কথা হলো, ছবি নিয়ে। এটা নিয়ে আমার দ্বিধা ছিল। আমি কয়েক ভাইয়ের কাছে জানতে চাইলাম যে, মুজাহিদ ভাইদের ছবি দ্বারা দ্বীনি কোন দাওয়াত হয় কি না? তারা আমাকে জানালো, জি ভাই এটা দ্বারাও দাওয়াত হয়। কারণ, যখন আমরা কোন শহীদের ছবি দেখি তখন আমাদেরও শহীদ হওয়ার ইচছা আরো প্রবল হতে থাকে। তাদের একা শুনে আমার দ্বিধা দুর হয়ে যায়।
আল হামদুলিল্লাহ। এখন কোন দ্বিধা-দ্বন্দ ছাড়াই বলছি, মুজাহিদ ভাইদের ভিডিও ও ছবি উভয়টাই জায়েয।
আল্লাহ আমাদের সকলকে বুঝার ও আমল করার তৌফিক দান করেন। আমীন
فقط. والله اعلم بالصواب.
Comment