Announcement

Collapse
No announcement yet.

তাকফির বিষয়ক প্রশ্ন:-

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • তাকফির বিষয়ক প্রশ্ন:-

    বিসমিল্লাহিররাহমানিররাহিম।।
    আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহ মাতুল্লাহ।।
    প্রিয় ভাই...!! আজ এক লা মাজহাবি ভাই আমাকে বললো,, যে
    যারা ইচ্ছাকৃত ভাবে সালাত তরক করে,, তারা কাফের।।
    ১/এ কথাটা কি? ঠিক..!
    দলীলের প্রয়োজন...!
    ২/যদি ঠিক না হয়,, ভাই!! তাও দলীলের প্রয়োজন...!!

    দয়া করে ভাই জানান....
    হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

  • #2
    ইচ্ছাকৃত নামায তরক করার দ্বারা যদি কাফির হয়ে যায় তাহলে তারা যাদেরকে মুসলিম শাসক ভাবেন তারা জীবনে কত হাজার রাকাত নামায তরক করেছে আল্লাহ মালুম। আমাদের দেশের এম্পি মন্ত্রীরা কি ইচ্ছাকৃতভাবে নামায তরক করে না? এর উত্তর ওনাদেরই জিজ্ঞেস করুন। দারুন কথা বলেছেন, এ কথার দ্বারা হাজার হাজার মুসলিম কাফির হয়ে যায় নাউজুবিল্লা।অথচ আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কেও জিনা করলেও কাফির হয় না। আল্লাহ আমাদের হিফাজত করুন। আমিন।
    আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
    আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

    Comment


    • #3
      যাজাকাল্লাহু খাইরান... আহসানাল যাজা....
      কিন্তু ভাই আমি ঐ লোকটাকে কি? ভাবে, বুঝাব.! আমি বলেছিলাম যে আমি আপনাকে স্পষ্ট দলীল দিয়ে বুঝিয়ে দিব ইংশা আল্লাহ।।
      ভাই কয়েকটা দলীল ও যদি বলেদিতেন ইংশা আল্লাহ ভালো হতো...!!
      হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

      Comment


      • #4
        প্রিয় আখিঁ, আপনি অপেক্ষা করুন, ভাইয়েরা আপনাকে সাহায্য করবেন। আর সামনে তাকফিরীদের সাথে তর্ক লিপ্ত হবেন না। হিকমতে দাওয়াত দিবেন, না আসলে, না বুঝলে এটা তার ব্যাপা।।
        وَلَوْ أَرَادُوا الْخُرُوجَ لَأَعَدُّوا لَهُ عُدَّةً وَلَٰكِن كَرِهَ اللَّهُ انبِعَاثَهُمْ فَثَبَّطَهُمْ وَقِيلَ اقْعُدُوا مَعَ الْقَاعِدِينَ
        سورة توبة ٤٦

        Comment


        • #5
          Alqlam ভাই, আপনি একটু ধৈর্য ধরুন, ভাইয়েরা আপনাকে সাহায্য করবেন।
          #তাকরিরের ব্যাপারে সতর্ক হউন বইটাপড়ে নিতে পারেন। বইটি আপনি ফোরামেই পাবেন, important এ দেয়া আছে।
          আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
          আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

          Comment


          • #6
            নামায তরক করা কুফর বলে হাদিসে এসেছে। তদ্রূপ সাহাবায়ে কেরাম থেকেও বর্ণিত যে, তারা নামায তরক করাকে কুফর মনে করতেন। তবে শরীয়তের অন্যান্য দলীল থেকে নামায তরক করা কুফর হওয়া সুস্পষ্ট নয়। মোটকথা উভয় দিকেই দলীল আছে। এ কারণে এ ব্যাপারে আইম্মায়ে কেরামের ইখতিলাফ রয়েছে। চার মাযহাবের মধ্যে ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল রহ. এর মাযহাব হলো, নামায তরক করা কুফর। অন্যান্য মাযহাবে নামায তরক কুফর নয়। তবে তরককারীকে নামায পড়তে বাধ্য করা হবে। প্রহার করা হবে। বন্দী করা হবে। দীর্ঘ দিন জেলে আটকে রেখে শাস্তি দেয়া হবে। যদি এতেও সে নামায পড়তে অস্বীকার করে তাহলে মালেকী মাযহাব মতে হত্যা করে দেয়া হবে। তবে এ হত্যা হদরূপে; মুরতাদি হিসেবে নয়। আর আমাদের হানাফি মাযহাব মতে হত্যা করা হবে না। তবে যতদিন তাওবা করে নামায পড়তে রাজি না হবে ততদিন জেলে আটকে রেখে শাস্তি দেয়া হবে।


            হাম্বলী মাযহাব মতেও নামায না পড়লে যে কাফের হয়ে যায়, সেটা নিঃশর্তভাবে সকলের উপর প্রযোজ্য নয়। বরং এ হুকুম ঐ ব্যক্তির ক্ষেত্রে, যে নামায পড়তে অস্বীকার করার কারণে ইমামুল মুসলিমীন তাকে গ্রেফতার করে জেলে ভরেছে। শাস্তি দিয়েছে। কিন্তু কোনভাবেই তাকে নামায পড়তে রাজি করানো যাচ্ছে না। এমতাবস্থায় ইমাম আহমাদ রহ. বলেন, সে মুরতাদ হয়ে যাবে। তাকে হত্যা করে দিতে হবে। আর ইমাম মালেক ও অন্য ইমামগণের মতে কাফের হবে না। তবে ইমাম মালেক রহ. বলেন, তাকে হদরূপে হত্যা করে দিতে হবে, যেমন বিবাহিত ব্যক্তি যিনা করলে হত্যা করতে হয়। আর হানাফি ইমামগণের মতে, হত্যা করা হবে না, তবে যতদিন নামায পড়তে রাজি না হবে ততদিন জেলে আটকে রেখে শাস্তি দেয়া হবে।


            এ হলো এ মাসআলাতে চারমাযহাবে সারকথা। তো দেখা যাচ্ছে, হাম্বলী মাযহাব মতে নামায না পড়লে যে কাফের হয়ে যায়, সেটা ব্যাপকভাবে প্রযোজ্য নয়। বরং ঐ ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, যাকে ইমামুল মুসলিমীন গ্রেফতার করে জেলে ভরে শাস্তি দিয়েও নামায পড়াতে রাজি করাতে পারছেন না। আর সুস্পষ্ট যে, বর্তমানে ইমামুল মুসলিমীনও নেই, আর অল্প দু’চার ভূখণ্ড ছাড়া ইসলামী শাসনও নেই। কাজেই ব্যাপকভাবে মুসলমানরা নামায না পড়ার কারণে কাফের হয়ে যাবে- এ কথাটা কোনভাবেই সহীহ নয়। যদি ইসলামী শাসন থাকতো, তাহলে দু’চার ব্যক্তি ছাড়া সকলেই নামায পড়তো। অধিকন্তু সমাজের বিকৃতির কারণে, পরিবেশের বৈরিতার কারণে নামায তরক করাটা একটা সাধরণ ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। তাই, বর্তমান অবস্থায় নামায তরক করাকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিংবা পরবর্তী খুলাফায়ে রাশিদীন ও খেলাফতের যামানায় নামায তরক করার সাথে মিলিয়ে উভয়ের উপর একই বিধান (তথা কুফরের বিধান) আরোপ করা কিছুতেই সমীচিন নয়। যেসকল ইমাম নামায তরক করাকে কুফর মনে করেন, স্বয়ং তাদের মাযহাব মতেও এ বক্তব্য সহীহ নয়।


            রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যামানায় কোন মুসলমান নামায তরক করতো না। মুনাফিকরাই কেবল নামাযে শিথিলতা করতো। তাই তখন কোন ব্যক্তি ইসলামের দাবিদার হওয়া সত্ত্বেও নামায না পড়া সে মুনাফিক হওয়ার দলীল হতো। কিন্তু পরবর্তীতে অবস্থাটা এমন থাকেনি। আস্তে আস্তে নামাযের ব্যাপারে শিথিলতা চলে এসেছে। তাই বর্তমান অবস্থাকে ঐ অবস্থার সাথে মিলানো ঠিক হবে না। ওয়াল্লাহু সুবহানাহু ওয়া তাআলা আ’লাম।


            ব্যস্ততার কারণে সংক্ষিপ্তাকারে জওয়াব দিলাম। যদি বিস্তারিত জানার দরকার পড়ে তাহলে জানাতে পারেন। তখন সময় সুযোগ হলে দলীলভিত্তিক আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।

            Comment


            • #7
              আখিঁ ইলম ও জিহাদ, আপনাকে হাজারো শুকরিয়া ও জাযাকাল্লাহ।
              আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
              আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

              Comment


              • #8
                ওয়াল্লাহি !!! ইলম ও জিহাদ ভাইয়ের অালোচনায় অামাদের অনেক বড় রকমের উপকার হয়েছে ৷ বিশেষ করে অামিও এ বিষয়ে এর পূর্বে গাফেল ছিলাম ৷ ALQALAm ভাই এবং ইলমও জিহাদ ভাই.. যাজাকাল্লাহ ৷

                Comment


                • #9
                  যাজাকাল্লাহু খাইরান...!!
                  জি ভাই ঠিক আছে ইংশা আল্লাহ... এমন লোকেদের সাথে তর্কে জরাবনা..।
                  হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

                  Comment


                  • #10
                    যাজাকাল্লাহু খাইরান আহসানাল যাজা...
                    জি ভাই ঠিক আছে ইংশা আল্লাহ ডাউনলোড করেনিব.।।
                    হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

                    Comment


                    • #11
                      যাজাকাল্লাহু খাইরান আহসানাল যাজা...
                      জি ভাই ঠিক আছে ইংশা আল্লাহ ডাউনলোড করেনিব.।।
                      হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

                      Comment


                      • #12
                        ইলম ও জিহাদ,, ভাই!! যাজাকাল্লাহু খাইরান আহসানাল যাজা.....!!
                        ভাই!! আপনাকে যে কোন ভাষায় কৃতঙ্গতা জানাবো বুঝতে পারতেছিনা....
                        আল্লাহ তায়ালা আপনার ইলমে বারাকাহ দান করুন আমিন...
                        হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

                        Comment


                        • #13
                          এ হলো এ মাসআলাতে চারমাযহাবে সারকথা। তো দেখা যাচ্ছে, হাম্বলী মাযহাব মতে নামায না পড়লে যে কাফের হয়ে যায়, সেটা ব্যাপকভাবে প্রযোজ্ব্রংকাইারংবার ঐ ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, যাকে ইমামুল মুসলিমীন গ্রেফতার করে জেলে ভরে শাস্তি দিয়েও নামায পড়াতে রাজি করাতে পারছেন না। আর সুস্পষ্ট যে, বর্তমানে ইমামুল মুসলিমীনও নেই, আর অল্প দু’চার ভূখণ্ড ছাড়া ইসলামী শাসনও নেই। কাজেই ব্যাপকভাবে মুসলমানরা নামায না পড়ার কারণে কাফের হয়ে যাবে- এ কথাটা কোনভাবেই সহীহ নয়। যদি ইসলামী শাসন থাকতো, তাহলে দু’চার ব্যক্তি ছাড়া সকলেই নামায পড়তো। অধিকন্তু সমাজের বিকৃতির কারণে, পরিবেশের বৈরিতার কারণে নামায তরক করাটা একটা সাধরণ ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। তাই, বর্তমান অবস্থায় নামায তরক করাকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিংবা পরবর্তী খুলাফায়ে রাশিদীন ও খেলাফতের যামানায় নামায তরক করার সাথে মিলিয়ে উভয়ের উপর একই বিধান (তথা কুফরের বিধান) আরোপ করা কিছুতেই সমীচিন নয়। যেসকল ইমাম নামায তরক করাকে কুফর মনে করেন, স্বয়ং তাদের মাযহাব মতেও এ বক্তব্য সহীহ নয়।

                          ভাই....!! এ খানে আমার মনে একটা প্রশ্ন উঠছে..
                          তার আগে ভাই আমি হ্মমা চেয়ে নিচ্ছি... এ প্রশ্নটা করে যদি ভুল করে থাকি তো আপনাদের ছোটো ভাই হিসাবে হ্মমার নজরে দেখবেন ইংশা আল্লাহ....!

                          প্রশ্নটা আমার মনে ঐ ব্যক্তির পহ্ম থেকে আসছে যে জিহাদ থেকে ফিরে থাকার জন্য অযুহাত তালাশ করে....
                          ""তারা বলে যে তখনকার জিহাদের সাথে,, সাহাবায়ে কেরামদের ইমানের সাথে আমাদের তুলনা কররে লাভ নাই
                          উনারাতো উনারাই... ""
                          এসব লোকেদের জন্য সুবিধা হয়ে গেলো....
                          এখন তারা এটা বলতে পারেযে ★নামাজের মধ্য যেমন ঐ সময় এর সাথে তুলনা করে ফতুয়া দেওয়া যায়না তো জিহাদের হ্মেত্রেও তদ্রুপই হবে★
                          এটার উত্তর কি? হবে।
                          হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

                          Comment


                          • #14
                            ইলম ও জিহাদ,, ভাই....!!
                            যে লোকটাকে আমি বলেছিলাম যে ইংশা আল্লাহ আপনাকে স্পষ্ট দলীল প্রমান সহ বুঝিয়ে দিব..."!
                            *ঐ লোকটি আহলে হাদিস** তাই আমি যদি শুরুতেই এভাবে বলা শুরু করি তো...!! ঐ লোক আমি শুরু করার আগেই শেষ করেদিবে...!!
                            ★★ভাই আপনার যখনি সময় হয় আপনি দয়া করে আরো একটু বিস্তারিত বর্ননা করলে অনেক উপকৃত হব ইংশা আল্লাহু তায়ালা....!!★★
                            হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

                            Comment


                            • #15
                              অন্য মাজহাবের লোককে আপনি কীভাবে দলিল দিয়ে সন্তুষ্ট করবেন? সেতু আপনাকেই বাতেল বলছে।সে আপনার দলিল মনে হয় মানবে না।
                              وَلَوْ أَرَادُوا الْخُرُوجَ لَأَعَدُّوا لَهُ عُدَّةً وَلَٰكِن كَرِهَ اللَّهُ انبِعَاثَهُمْ فَثَبَّطَهُمْ وَقِيلَ اقْعُدُوا مَعَ الْقَاعِدِينَ
                              سورة توبة ٤٦

                              Comment

                              Working...
                              X