সম্মানিত ভাইয়েরা! আমরা পর্ব পর্ব করে ইসলামি জীবনব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ ইসলামি বিচারব্যবস্থার কিছু মৌলিকদিক সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে পারছি। এজন্য আমরা আমাদের অন্তরের অন্তরস্থল থেকে আল্লাহ পাকের শুকুর আদায় করি। পাশাপাশি আমাদের বাস্তব সেই অভিজ্ঞতাটুকুকে একটু সময়ের জন্য স্মৃতির কাছে টেনে আনি যে, “ ইসলামের পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন ইসলামি জীবনব্যবস্থার পরিপূর্ণ জ্ঞানার্জন ছাড়া সম্ভব নয় ”। যে ব্যক্তি ইসলাম সম্পর্কে কিছু জানেই না সে কীভাবে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করবে? এ প্রশ্নের প্রতিউত্তর সব ক্ষেত্রে সমান ভাবেই প্রয়োগ হবে। ইসলামি বিচারব্যবস্থার ক্ষেত্রেও প্রয়োগ হবে। যদ্দরুণ আমাদের ক্ষেত্রেও বলা যাবে যে, আমরা যদি ইসলামি বিচারব্যবস্থা সম্পর্কে জ্ঞান না রাখি, তা হলে আমরাই বা কীভাবে ইসলাম অনুযায়ি বিচার ফায়সালা করব? এসবের সামাধান একটিই আমাদের জানতে হবে। যে ধারাবাহিকতায় আজ আমরা অনেক জিহাদী মাসলা-মাসায়েল সম্পর্কে আমাদের কিছুটা ধারণা রাখি। একেবারে ক্লেয়ারকাট ভাবেই আমাদের অনেকের জানা আছে ‘হাকিমিয়্যাহ, ‘আল-ওয়ালা ওয়াল বারাহ, ও ইত্যাদি ইত্যাদি মাসয়ালা সম্পর্কে। আমাদের মনে রাখতে হবে, আমাদের মনস্তান্তিক পরিবর্তনের চলমান এ ধারাটি জাস্ট কোনো তানযীমি অবকাটামোরই অংশ নয়। বরং মনে করতে পারি তাওহিদের ঝাণ্ডা উত্তলন কারীদের মনস্তান্তিক পরিবর্তন এমনই হতে হয়। তাওহিদের পক্ষে লড়াইকারী সৈনিকদের আদর্শিক পরিবর্তনের স্রোতধারা প্রতিটি যোগে এ ধারায় প্রবাহিত হতে হয়। কোরআন আমাদের কাছে এ চিত্রই তুলে ধরছে। দেখুন...
إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ الَّذِينَ آمَنُوا بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ ثُمَّ لَمْ يَرْتَابُوا وَجَاهَدُوا بِأَمْوَالِهِمْ وَأَنْفُسِهِمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ أُولَئِكَ هُمُ الصَّادِقُونَ
মুমিন কেবল তারাই যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান এনেছে, তারপর সন্দেহ পোষণ করেনি। আর নিজদের সম্পদ ও নিজদের জীবন দিয়ে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করেছে। এরাই সত্যনিষ্ঠ। (হুজরাত:১৫)
يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا هَلْ أَدُلُّكُمْ عَلَى تِجَارَةٍ تُنْجِيكُمْ مِنْ عَذَابٍ أَلِيمٍ (10) تُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ وَتُجَاهِدُونَ فِي سَبِيل اللَّهِ بِأَمْوَالِكُمْ وَأَنْفُسِكُمْ ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَكُمْ إِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُونَ
তোমরা আল্লাহর প্রতি ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান আনবে এবং তোমরা তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে জিহাদ করবে। এটাই তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা জানতে। (সাফ্ফা: ১১)
الَّذِينَ آمَنُوا يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَالَّذِينَ كَفَرُوا يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ الطَّاغُوتِ فَقَاتِلُوا أَوْلِيَاءَ الشَّيْطَانِ إِنَّ كَيْدَ الشَّيْطَانِ كَانَ ضَعِيفًا
যারা ঈমান এনেছে তারা লড়াই করে আল্লাহর রাস্তায়, আর যারা কুফরী করেছে তারা লড়াই করে তাগূতের পথে। সুতরাং তোমরা লড়াই কর শয়তানের বন্ধুদের বিরদ্ধে। নিশ্চয় শয়তানের চক্রান্ত দুর্বল। (নিসা:৭৬)
তাওহিদের সেই ছোট্র বটবৃক্ষের গোড়ায় যারা নিজেদের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে সে বৃক্ষকে মুক্ত আকাশের দিকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সহযোগিতা করেছিল। কোরআন পৃষ্টা পর পৃষ্টা সূরা পর সূরা আমাদেরকে তাদের সেই শোণিতধারার বর্ণনাই শুনিয়েছে। যা আজও শুনিয়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যতেও শুনাবে। দেখুন...
هَذَانِ خَصْمَانِ اخْتَصَمُوا فِي رَبِّهِمْ فَالَّذِينَ كَفَرُوا قُطِّعَتْ لَهُمْ ثِيَابٌ مِنْ نَارٍ يُصَبُّ مِنْ فَوْقِ رُءُوسِهِمُ الْحَمِيمُ
এরা দু’টি বিবদমান দল, যারা তাদের রব সম্পর্কে বিতর্ক করে। তবে যারা কুফরী করে তাদের জন্য আগুনের পোশাক প্রস্তুত করা হয়েছে। তাদের মাথার উপর থেকে ঢেলে দেয়া হবে ফুটন্ত পানি। (হজ্ব:১৯)
فَهَزَمُوهُمْ بِإِذْنِ اللَّهِ وَقَتَلَ دَاوُودُ جَالُوتَ وَآتَاهُ اللَّهُ الْمُلْكَ وَالْحِكْمَةَ وَعَلَّمَهُ مِمَّا يَشَاءُ وَلَوْلَا دَفْعُ اللَّهِ النَّاسَ بَعْضَهُمْ بِبَعْضٍ لَفَسَدَتِ الْأَرْضُ وَلَكِنَّ اللَّهَ ذُو فَضْلٍ عَلَى الْعَالَمِينَ
অতঃপর তারা আল্লাহর হুকুমে তাদেরকে পরাজিত করল এবং দাঊদ জালূতকে হত্যা করল। আর আল্লাহ দাঊদকে রাজত্ব ও প্রজ্ঞা দান করলেন এবং তাকে যা ইচ্ছা শিক্ষা দিলেন। আর আল্লাহ যদি মানুষের কতককে কতকের দ্বারা প্রতিহত না করতেন, তবে অবশ্যই যমীন ফাসাদপূর্ণ হয়ে যেত। কিন্তু আল্লাহ বিশ্ববাসীর উপর অনুগ্রহশীল। (বাকারাহ:২৫১)
وَإِذْ غَدَوْتَ مِنْ أَهْلِكَ تُبَوِّئُ الْمُؤْمِنِينَ مَقَاعِدَ لِلْقِتَالِ وَاللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ (121) إِذْ هَمَّتْ طَائِفَتَانِ مِنْكُمْ أَنْ تَفْشَلَا وَاللَّهُ وَلِيُّهُمَا وَعَلَى اللَّهِ فَلْيَتَوَكَّلِ الْمُؤْمِنُونَ (122) وَلَقَدْ نَصَرَكُمُ اللَّهُ بِبَدْرٍ وَأَنْتُمْ أَذِلَّةٌ فَاتَّقُوا اللَّهَ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ
আর স্মরণ কর, যখন তুমি তোমার পরিবার পরিজন থেকে সকাল বেলায় বের হয়ে মুমিনদেরকে লড়াইয়ের স্থানসমূহে বিন্যন্ত করেছিলে; আর আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। যখন তোমাদের মধ্য থেকে দু’দল পিছু হটার ইচ্ছা করল, অথচ আল্লাহ তাদের উভয়ের অভিভাবক। আর আল্লাহর উপরই যেন মুমিনগণ তাওয়াক্কুল করে। (আলে ইমরান: ১২১- ১২২- ১২৩)
وَإِذْ يُرِيكُمُوهُمْ إِذِ الْتَقَيْتُمْ فِي أَعْيُنِكُمْ قَلِيلًا وَيُقَلِّلُكُمْ فِي أَعْيُنِهِمْ لِيَقْضِيَ اللَّهُ أَمْرًا كَانَ مَفْعُولًا وَإِلَى اللَّهِ تُرْجَعُ الْأُمُورُ
আর যখন তোমরা মুখোমুখি হয়েছিলে, তিনি তোমাদের চোখে তাদেরকে স্বল্প দেখিয়েছিলেন এবং তাদের চোখেও তোমাদেরকে স্বল্প দেখিয়েছিলেন যাতে আল্লাহ সম্পন্ন করেন এমন কাজ যা হওয়ারই ছিল এবং আল্লাহর দিকেই সকল বিষয় ফেরানো হবে। (আনফাল:৪৪)
لَقَدْ نَصَرَكُمُ اللَّهُ فِي مَوَاطِنَ كَثِيرَةٍ وَيَوْمَ حُنَيْنٍ إِذْ أَعْجَبَتْكُمْ كَثْرَتُكُمْ فَلَمْ تُغْنِ عَنْكُمْ شَيْئًا وَضَاقَتْ عَلَيْكُمُ الْأَرْضُ بِمَا رَحُبَتْ ثُمَّ وَلَّيْتُمْ مُدْبِرِينَ
অবশ্যই আল্লাহ তোমাদেরকে সাহায্য করেছেন বহু জায়গায় এবং হুনাইনের দিনেও, যখন তোমাদের সংখ্যাধিক্য তোমাদেরকে উৎফুল¬ করেছিল, অথচ তা তোমাদের কোন কাজে আসেনি। আর যমীন প্রশস্ত হওয়া সত্ত্বেও তোমাদের উপর সংকীর্ণ হয়ে গিয়েছিল। অতঃপর তোমরা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করে পলায়ন করেছিলে। (তাওবাহ:২৫)
إِذْ جَاءُوكُمْ مِنْ فَوْقِكُمْ وَمِنْ أَسْفَلَ مِنْكُمْ وَإِذْ زَاغَتِ الْأَبْصَارُ وَبَلَغَتِ الْقُلُوبُ الْحَنَاجِرَ وَتَظُنُّونَ بِاللَّهِ الظُّنُونَا (10) هُنَالِكَ ابْتُلِيَ الْمُؤْمِنُونَ وَزُلْزِلُوا زِلْزَالًا شَدِيدًا
যখন তারা তোমাদের কাছে এসেছিল তোমাদের উপরের দিক থেকে এবং তোমাদের নিচের দিক থেকে আর যখন চোখগুলো বাঁকা হয়ে পড়েছিল এবং প্রাণ কন্ঠনালী পর্যন্ত পৌঁছেছিল। আর তোমরা আল্লাহ সম্পর্কে নানা রকম ধারণা পোষণ করছিলে। তখন মুমিনদেরকে পরীক্ষা করা হয়েছিল। আর সেদিন তারা ভীষণভাবে প্রকম্পিত হয়েছিল। (আহজাব: ১০- ১১)
مِنَ الْمُؤْمِنِينَ رِجَالٌ صَدَقُوا مَا عَاهَدُوا اللَّهَ عَلَيْهِ فَمِنْهُمْ مَنْ قَضَى نَحْبَهُ وَمِنْهُمْ مَنْ يَنْتَظِرُ وَمَا بَدَّلُوا تَبْدِيلًا
মুমিনদের মধ্যে কিছু লোক রয়েছে যারা আল্লাহর সাথে তাদের কৃত প্রতিশ্রুতি সত্যে পরিণত করেছে। তাদের কেউ কেউ তো [যুদ্ধে শাহাদাত বরণ করেছে] তার প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করেছে, অন্যরা [শাহাদাত বরণের] প্রতীক্ষায় রয়েছে। তারা (প্রতিশ্রুতিতে) কোন পরিবর্তনই করেনি।
অতীতকে আমাদের সকলের সামনে রাখতে হবে। কারণ তখন তো আমাদের হৃদয়গুলো শুধু জিহাদ আর জিহাদীপ্রেরণায়ই লালন করত। জিহাদ ও জিহাদীপ্রেরণায় তা ভরপোর ছিল। কিন্তু আজ কি শুধু তাতে জিহাদ ও জিহাদীপ্রেরণায় বিদ্যমান? না, এখন আমরা আমাদের জিহাদীপ্রেরণাকে এক আদর্শিক অদৃশ্য রঙে রঙিন করে নিয়েছি। যে রঙিনাবস্থার বাহ্যিক দিকটি জিহাদীপ্রেরণা আর জিহাদীজযবা শুন্য হলেও ভেতরটি সব সময় শুধু জিহাদের জন্যই কাঁন্নারত। এসব কিছু শুধু জিহাদেরই ফেক্ট্রিকেলি দিক্ষা। জিহাদীপথের বাস্তব অভিজ্ঞতা। যাক, আজ আমরা “ইসলামের পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন ইসলামি জীবনব্যবস্থার পরিপূর্ণ জ্ঞানার্জন ছাড়া সম্ভব নয়” এ বাস্তবতাটি মাথায় রেখে খুব মনযোগ দিয়ে হদ-কিসাসের তৃত্বীয় পর্বটি ভালোভাবে পড়ব। (ইনশা আল্লাহ)
(এখানে নোট হিসাবে একটি কথা আমরা জেনে নেই। হদ-কিসাস তৃত্বীয় পর্বে আমরা যা কিছু আলোচনা করব এ পুরোটাই হদ্ সম্পর্কে। এ পর্বে আমরা হদের সজ্ঞা ও পরিচিতি সম্পর্কে জানব।)
হদ হলো সে সকল দণ্ডবিধি যা কোরআন সুন্নাহর নুসুস ( মূল পাঠ –Text) দ্বারা সাব্যস্ত এবং সুনির্ধারিত; যেসব বিধি-বিধানে পরিবর্তনের কোনো সম্ভাবনা নেই। এ প্রকারের বিধানাবলি মৌলিক অপরাধকর্মের সাথে সম্পৃক্ত; যেগুলো মৌলিক অপরাধ এবং সমাজে প্রচারিত প্রসারিত করমারি বিপথগামিতা এবং স্খলনের শেকড়। যেগুলো সাধারণত তিন অবস্থা থেকে মুক্ত নয়-
১ . মহান আল্লাহ তায়ালার কোনো সামগ্রিক হক লঙ্ঘিত হওয়া।
২ . মানুষের কোনো সামগ্রিক অধিকার খর্ব হওয়া।
৩ . সামাজিক বিচারে গুরুত্বপূর্ণ এবং সবিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ চারিত্রিক মূল্যবোধ বিনষ্ট হওয়া।
সহজ ভাষায় বললে, তা হলো সে-সকল অপরাধ , যা মানুষের মৌলিক পাঁচ অধিকার (ইসলামি জীবনব্যবস্থা যে অধিকারগুলোর প্রতিষ্ঠা ও সুরক্ষার দায়িত্ব নিয়েছে) সম্পৃক্ত অপরিহার্য বিষয়সমূহকে লঙ্ঘনকারী হিসেবে বিবেচিত হয়। মানুষের মৌলিক পাঁচ অধিকার হলো;
১ . দ্বীন/ধর্ম
২ . জীবন
৩ . বিবেক
৪ . বংশধারা
৫ . সম্পদ
প্রকৃতপক্ষে একটি জীবনব্যবস্থার কাছে মানুষের এসব মৌলিকঅধিকার সমূহের দাবি গুরুত্বেরই দাবী রাখে। যা কিনা শুধু ইসলামি জীবনব্যস্থা সুপষ্ট ও দ্ব্যর্থহীন ভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এজন্য কোরআন সুন্নার আলোকে এসব অধিকার লঙ্ঘেনে সুস্পষ্ট ও সুনির্ধারিত শাস্তির বিধান স্থির করেছে। এক্ষেত্রে গুরুত্বের প্রতি লক্ষ করত: এসব অপরাধকর্মের বিষয়টি বিজ্ঞ কোনো আলিম ও বিচারকের ইজতিহাদের (গবেষনালব্ধ সিদ্ধন্তের) উপর ন্যস্ত করা হয়নি। একদিকে ইজতেহাদি (গবেষনালব্ধ) ভুল-ভ্রান্তির বিবেচনায় রেখে। অপরদিকে শাস্তি প্রয়োগের ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি ও শৈথিল্যতা প্রতিরোধের স্বার্থে।
হদ প্রকারের দণ্ডবিধিগুলো নিন্মরোপ;
১ . মুরতাদকে (ইসলাম ধর্ম পরিত্যাগ কারীকে) হত্যা করার বিধান। ইসলামি জীবনব্যবস্থা এই বিধান প্রবর্তন করেছে ইসলামের সুরক্ষার জন্য। যদিও ইসলামে প্রবেশপর্বে কোনো রকম বাধ্যবাধকতা নেই।
২ . মদ্দ পানের শাস্তি বিধান। ইসলামি বিচারব্যবস্থায় এই বিধান প্রবতন করা হয়েছে বিবেক-বুদ্ধির সুরক্ষার জন্য।
৩ . ব্যভিচার ও ব্যভিচারের অপবাদ আরোপের বিধান। ইসলামি বিচারব্যবস্থায় এ দুটির বিধান প্রবর্তন করা হয়েছে বংশধারা এবং সম্ভম সুরক্ষার জন্য।
৪ . চুরি ও ডাকাতির বিধান। ইসলামি বিচারব্যবস্থায় এ দুটির বিধান প্রবতন করা হয়েছে মানুষের সম্পদের সুরক্ষার জন্য।
উল্লিখিত দণ্ডবিধিগুলো হলো ইসলামি বিচারব্যবস্থায় হদ বলে পরিচিত। (উল্লেখ্য, কিসাস হদের অন্তরর্ভূক্ত কি অন্তর্ভূক্ত নয় এ ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে এবং “কিসাস হদের অন্তর্ভূক্ত নয়” মতটিই গ্রহনযোগ্য। তাই এখানে কিসাসের আলোচনা করা হয়নি।)
উল্লেখ্য, নিন্মে হদ শাস্তির ধরন উল্লেখ করা হলো:
১ . হত্যা যেমন: বিবাহিত নারী-পুরুষের ক্ষেত্রে যিনার হদ (শাস্তি)।
২ . অঙ্গ কর্তন যেমন: চুরি এবং ডাকাতির হদ (শাস্তি)।
৩ . বেত্রাঘাত যেমন: অবিবাহিত নারী-পুরুষের ক্ষেত্রে যিনার হদ (শাস্তি)।
৪ . দেশান্তর ও নির্বাসনের সঙ্গে বেত্রতাঘাত। অবিবাহিত নারী-পুরুষের ক্ষেত্রে যিনার হদ (শাস্তি)। এর প্রকার শাস্তি ইমাম শাফি রাহ: মতানুসারে।
إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ الَّذِينَ آمَنُوا بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ ثُمَّ لَمْ يَرْتَابُوا وَجَاهَدُوا بِأَمْوَالِهِمْ وَأَنْفُسِهِمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ أُولَئِكَ هُمُ الصَّادِقُونَ
মুমিন কেবল তারাই যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান এনেছে, তারপর সন্দেহ পোষণ করেনি। আর নিজদের সম্পদ ও নিজদের জীবন দিয়ে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করেছে। এরাই সত্যনিষ্ঠ। (হুজরাত:১৫)
يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا هَلْ أَدُلُّكُمْ عَلَى تِجَارَةٍ تُنْجِيكُمْ مِنْ عَذَابٍ أَلِيمٍ (10) تُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ وَتُجَاهِدُونَ فِي سَبِيل اللَّهِ بِأَمْوَالِكُمْ وَأَنْفُسِكُمْ ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَكُمْ إِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُونَ
তোমরা আল্লাহর প্রতি ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান আনবে এবং তোমরা তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে জিহাদ করবে। এটাই তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা জানতে। (সাফ্ফা: ১১)
الَّذِينَ آمَنُوا يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَالَّذِينَ كَفَرُوا يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ الطَّاغُوتِ فَقَاتِلُوا أَوْلِيَاءَ الشَّيْطَانِ إِنَّ كَيْدَ الشَّيْطَانِ كَانَ ضَعِيفًا
যারা ঈমান এনেছে তারা লড়াই করে আল্লাহর রাস্তায়, আর যারা কুফরী করেছে তারা লড়াই করে তাগূতের পথে। সুতরাং তোমরা লড়াই কর শয়তানের বন্ধুদের বিরদ্ধে। নিশ্চয় শয়তানের চক্রান্ত দুর্বল। (নিসা:৭৬)
তাওহিদের সেই ছোট্র বটবৃক্ষের গোড়ায় যারা নিজেদের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে সে বৃক্ষকে মুক্ত আকাশের দিকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সহযোগিতা করেছিল। কোরআন পৃষ্টা পর পৃষ্টা সূরা পর সূরা আমাদেরকে তাদের সেই শোণিতধারার বর্ণনাই শুনিয়েছে। যা আজও শুনিয়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যতেও শুনাবে। দেখুন...
هَذَانِ خَصْمَانِ اخْتَصَمُوا فِي رَبِّهِمْ فَالَّذِينَ كَفَرُوا قُطِّعَتْ لَهُمْ ثِيَابٌ مِنْ نَارٍ يُصَبُّ مِنْ فَوْقِ رُءُوسِهِمُ الْحَمِيمُ
এরা দু’টি বিবদমান দল, যারা তাদের রব সম্পর্কে বিতর্ক করে। তবে যারা কুফরী করে তাদের জন্য আগুনের পোশাক প্রস্তুত করা হয়েছে। তাদের মাথার উপর থেকে ঢেলে দেয়া হবে ফুটন্ত পানি। (হজ্ব:১৯)
فَهَزَمُوهُمْ بِإِذْنِ اللَّهِ وَقَتَلَ دَاوُودُ جَالُوتَ وَآتَاهُ اللَّهُ الْمُلْكَ وَالْحِكْمَةَ وَعَلَّمَهُ مِمَّا يَشَاءُ وَلَوْلَا دَفْعُ اللَّهِ النَّاسَ بَعْضَهُمْ بِبَعْضٍ لَفَسَدَتِ الْأَرْضُ وَلَكِنَّ اللَّهَ ذُو فَضْلٍ عَلَى الْعَالَمِينَ
অতঃপর তারা আল্লাহর হুকুমে তাদেরকে পরাজিত করল এবং দাঊদ জালূতকে হত্যা করল। আর আল্লাহ দাঊদকে রাজত্ব ও প্রজ্ঞা দান করলেন এবং তাকে যা ইচ্ছা শিক্ষা দিলেন। আর আল্লাহ যদি মানুষের কতককে কতকের দ্বারা প্রতিহত না করতেন, তবে অবশ্যই যমীন ফাসাদপূর্ণ হয়ে যেত। কিন্তু আল্লাহ বিশ্ববাসীর উপর অনুগ্রহশীল। (বাকারাহ:২৫১)
وَإِذْ غَدَوْتَ مِنْ أَهْلِكَ تُبَوِّئُ الْمُؤْمِنِينَ مَقَاعِدَ لِلْقِتَالِ وَاللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ (121) إِذْ هَمَّتْ طَائِفَتَانِ مِنْكُمْ أَنْ تَفْشَلَا وَاللَّهُ وَلِيُّهُمَا وَعَلَى اللَّهِ فَلْيَتَوَكَّلِ الْمُؤْمِنُونَ (122) وَلَقَدْ نَصَرَكُمُ اللَّهُ بِبَدْرٍ وَأَنْتُمْ أَذِلَّةٌ فَاتَّقُوا اللَّهَ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ
আর স্মরণ কর, যখন তুমি তোমার পরিবার পরিজন থেকে সকাল বেলায় বের হয়ে মুমিনদেরকে লড়াইয়ের স্থানসমূহে বিন্যন্ত করেছিলে; আর আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। যখন তোমাদের মধ্য থেকে দু’দল পিছু হটার ইচ্ছা করল, অথচ আল্লাহ তাদের উভয়ের অভিভাবক। আর আল্লাহর উপরই যেন মুমিনগণ তাওয়াক্কুল করে। (আলে ইমরান: ১২১- ১২২- ১২৩)
وَإِذْ يُرِيكُمُوهُمْ إِذِ الْتَقَيْتُمْ فِي أَعْيُنِكُمْ قَلِيلًا وَيُقَلِّلُكُمْ فِي أَعْيُنِهِمْ لِيَقْضِيَ اللَّهُ أَمْرًا كَانَ مَفْعُولًا وَإِلَى اللَّهِ تُرْجَعُ الْأُمُورُ
আর যখন তোমরা মুখোমুখি হয়েছিলে, তিনি তোমাদের চোখে তাদেরকে স্বল্প দেখিয়েছিলেন এবং তাদের চোখেও তোমাদেরকে স্বল্প দেখিয়েছিলেন যাতে আল্লাহ সম্পন্ন করেন এমন কাজ যা হওয়ারই ছিল এবং আল্লাহর দিকেই সকল বিষয় ফেরানো হবে। (আনফাল:৪৪)
لَقَدْ نَصَرَكُمُ اللَّهُ فِي مَوَاطِنَ كَثِيرَةٍ وَيَوْمَ حُنَيْنٍ إِذْ أَعْجَبَتْكُمْ كَثْرَتُكُمْ فَلَمْ تُغْنِ عَنْكُمْ شَيْئًا وَضَاقَتْ عَلَيْكُمُ الْأَرْضُ بِمَا رَحُبَتْ ثُمَّ وَلَّيْتُمْ مُدْبِرِينَ
অবশ্যই আল্লাহ তোমাদেরকে সাহায্য করেছেন বহু জায়গায় এবং হুনাইনের দিনেও, যখন তোমাদের সংখ্যাধিক্য তোমাদেরকে উৎফুল¬ করেছিল, অথচ তা তোমাদের কোন কাজে আসেনি। আর যমীন প্রশস্ত হওয়া সত্ত্বেও তোমাদের উপর সংকীর্ণ হয়ে গিয়েছিল। অতঃপর তোমরা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করে পলায়ন করেছিলে। (তাওবাহ:২৫)
إِذْ جَاءُوكُمْ مِنْ فَوْقِكُمْ وَمِنْ أَسْفَلَ مِنْكُمْ وَإِذْ زَاغَتِ الْأَبْصَارُ وَبَلَغَتِ الْقُلُوبُ الْحَنَاجِرَ وَتَظُنُّونَ بِاللَّهِ الظُّنُونَا (10) هُنَالِكَ ابْتُلِيَ الْمُؤْمِنُونَ وَزُلْزِلُوا زِلْزَالًا شَدِيدًا
যখন তারা তোমাদের কাছে এসেছিল তোমাদের উপরের দিক থেকে এবং তোমাদের নিচের দিক থেকে আর যখন চোখগুলো বাঁকা হয়ে পড়েছিল এবং প্রাণ কন্ঠনালী পর্যন্ত পৌঁছেছিল। আর তোমরা আল্লাহ সম্পর্কে নানা রকম ধারণা পোষণ করছিলে। তখন মুমিনদেরকে পরীক্ষা করা হয়েছিল। আর সেদিন তারা ভীষণভাবে প্রকম্পিত হয়েছিল। (আহজাব: ১০- ১১)
مِنَ الْمُؤْمِنِينَ رِجَالٌ صَدَقُوا مَا عَاهَدُوا اللَّهَ عَلَيْهِ فَمِنْهُمْ مَنْ قَضَى نَحْبَهُ وَمِنْهُمْ مَنْ يَنْتَظِرُ وَمَا بَدَّلُوا تَبْدِيلًا
মুমিনদের মধ্যে কিছু লোক রয়েছে যারা আল্লাহর সাথে তাদের কৃত প্রতিশ্রুতি সত্যে পরিণত করেছে। তাদের কেউ কেউ তো [যুদ্ধে শাহাদাত বরণ করেছে] তার প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করেছে, অন্যরা [শাহাদাত বরণের] প্রতীক্ষায় রয়েছে। তারা (প্রতিশ্রুতিতে) কোন পরিবর্তনই করেনি।
অতীতকে আমাদের সকলের সামনে রাখতে হবে। কারণ তখন তো আমাদের হৃদয়গুলো শুধু জিহাদ আর জিহাদীপ্রেরণায়ই লালন করত। জিহাদ ও জিহাদীপ্রেরণায় তা ভরপোর ছিল। কিন্তু আজ কি শুধু তাতে জিহাদ ও জিহাদীপ্রেরণায় বিদ্যমান? না, এখন আমরা আমাদের জিহাদীপ্রেরণাকে এক আদর্শিক অদৃশ্য রঙে রঙিন করে নিয়েছি। যে রঙিনাবস্থার বাহ্যিক দিকটি জিহাদীপ্রেরণা আর জিহাদীজযবা শুন্য হলেও ভেতরটি সব সময় শুধু জিহাদের জন্যই কাঁন্নারত। এসব কিছু শুধু জিহাদেরই ফেক্ট্রিকেলি দিক্ষা। জিহাদীপথের বাস্তব অভিজ্ঞতা। যাক, আজ আমরা “ইসলামের পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন ইসলামি জীবনব্যবস্থার পরিপূর্ণ জ্ঞানার্জন ছাড়া সম্ভব নয়” এ বাস্তবতাটি মাথায় রেখে খুব মনযোগ দিয়ে হদ-কিসাসের তৃত্বীয় পর্বটি ভালোভাবে পড়ব। (ইনশা আল্লাহ)
(এখানে নোট হিসাবে একটি কথা আমরা জেনে নেই। হদ-কিসাস তৃত্বীয় পর্বে আমরা যা কিছু আলোচনা করব এ পুরোটাই হদ্ সম্পর্কে। এ পর্বে আমরা হদের সজ্ঞা ও পরিচিতি সম্পর্কে জানব।)
হদ পরিচিতি
হদ হলো সে সকল দণ্ডবিধি যা কোরআন সুন্নাহর নুসুস ( মূল পাঠ –Text) দ্বারা সাব্যস্ত এবং সুনির্ধারিত; যেসব বিধি-বিধানে পরিবর্তনের কোনো সম্ভাবনা নেই। এ প্রকারের বিধানাবলি মৌলিক অপরাধকর্মের সাথে সম্পৃক্ত; যেগুলো মৌলিক অপরাধ এবং সমাজে প্রচারিত প্রসারিত করমারি বিপথগামিতা এবং স্খলনের শেকড়। যেগুলো সাধারণত তিন অবস্থা থেকে মুক্ত নয়-
১ . মহান আল্লাহ তায়ালার কোনো সামগ্রিক হক লঙ্ঘিত হওয়া।
২ . মানুষের কোনো সামগ্রিক অধিকার খর্ব হওয়া।
৩ . সামাজিক বিচারে গুরুত্বপূর্ণ এবং সবিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ চারিত্রিক মূল্যবোধ বিনষ্ট হওয়া।
সহজ ভাষায় বললে, তা হলো সে-সকল অপরাধ , যা মানুষের মৌলিক পাঁচ অধিকার (ইসলামি জীবনব্যবস্থা যে অধিকারগুলোর প্রতিষ্ঠা ও সুরক্ষার দায়িত্ব নিয়েছে) সম্পৃক্ত অপরিহার্য বিষয়সমূহকে লঙ্ঘনকারী হিসেবে বিবেচিত হয়। মানুষের মৌলিক পাঁচ অধিকার হলো;
১ . দ্বীন/ধর্ম
২ . জীবন
৩ . বিবেক
৪ . বংশধারা
৫ . সম্পদ
প্রকৃতপক্ষে একটি জীবনব্যবস্থার কাছে মানুষের এসব মৌলিকঅধিকার সমূহের দাবি গুরুত্বেরই দাবী রাখে। যা কিনা শুধু ইসলামি জীবনব্যস্থা সুপষ্ট ও দ্ব্যর্থহীন ভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এজন্য কোরআন সুন্নার আলোকে এসব অধিকার লঙ্ঘেনে সুস্পষ্ট ও সুনির্ধারিত শাস্তির বিধান স্থির করেছে। এক্ষেত্রে গুরুত্বের প্রতি লক্ষ করত: এসব অপরাধকর্মের বিষয়টি বিজ্ঞ কোনো আলিম ও বিচারকের ইজতিহাদের (গবেষনালব্ধ সিদ্ধন্তের) উপর ন্যস্ত করা হয়নি। একদিকে ইজতেহাদি (গবেষনালব্ধ) ভুল-ভ্রান্তির বিবেচনায় রেখে। অপরদিকে শাস্তি প্রয়োগের ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি ও শৈথিল্যতা প্রতিরোধের স্বার্থে।
হদ প্রকারের দণ্ডবিধিগুলো নিন্মরোপ;
১ . মুরতাদকে (ইসলাম ধর্ম পরিত্যাগ কারীকে) হত্যা করার বিধান। ইসলামি জীবনব্যবস্থা এই বিধান প্রবর্তন করেছে ইসলামের সুরক্ষার জন্য। যদিও ইসলামে প্রবেশপর্বে কোনো রকম বাধ্যবাধকতা নেই।
২ . মদ্দ পানের শাস্তি বিধান। ইসলামি বিচারব্যবস্থায় এই বিধান প্রবতন করা হয়েছে বিবেক-বুদ্ধির সুরক্ষার জন্য।
৩ . ব্যভিচার ও ব্যভিচারের অপবাদ আরোপের বিধান। ইসলামি বিচারব্যবস্থায় এ দুটির বিধান প্রবর্তন করা হয়েছে বংশধারা এবং সম্ভম সুরক্ষার জন্য।
৪ . চুরি ও ডাকাতির বিধান। ইসলামি বিচারব্যবস্থায় এ দুটির বিধান প্রবতন করা হয়েছে মানুষের সম্পদের সুরক্ষার জন্য।
উল্লিখিত দণ্ডবিধিগুলো হলো ইসলামি বিচারব্যবস্থায় হদ বলে পরিচিত। (উল্লেখ্য, কিসাস হদের অন্তরর্ভূক্ত কি অন্তর্ভূক্ত নয় এ ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে এবং “কিসাস হদের অন্তর্ভূক্ত নয়” মতটিই গ্রহনযোগ্য। তাই এখানে কিসাসের আলোচনা করা হয়নি।)
উল্লেখ্য, নিন্মে হদ শাস্তির ধরন উল্লেখ করা হলো:
১ . হত্যা যেমন: বিবাহিত নারী-পুরুষের ক্ষেত্রে যিনার হদ (শাস্তি)।
২ . অঙ্গ কর্তন যেমন: চুরি এবং ডাকাতির হদ (শাস্তি)।
৩ . বেত্রাঘাত যেমন: অবিবাহিত নারী-পুরুষের ক্ষেত্রে যিনার হদ (শাস্তি)।
৪ . দেশান্তর ও নির্বাসনের সঙ্গে বেত্রতাঘাত। অবিবাহিত নারী-পুরুষের ক্ষেত্রে যিনার হদ (শাস্তি)। এর প্রকার শাস্তি ইমাম শাফি রাহ: মতানুসারে।
Comment