Announcement

Collapse
No announcement yet.

থানা মসজিদে ইমামতি করার হুকুম প্রসঙ্গে

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • থানা মসজিদে ইমামতি করার হুকুম প্রসঙ্গে

    আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।
    সম্মনিত মুফতিয়ানে কেরাম! আপনাদের থেকে একটি মাসআলার উত্তর কামনা করছি।
    তা হল থানার ভিতরস্ত মসজিদে ইমামতি করাতে কোন সমস্যা আছে কি না? যেখানে মসজিদ কমিটির প্র্রধানরা পুলিশের বড় বড় অফিসার। মসজিদের বেতন সরকারের পক্ষ থেকে আসে। তবে থানার আশপাশের মহল্লা থেকেও হালকা পাতলা নেওয়া হয়। ইমামকে স্বপরিবারে থাকার জন্য সরকারী কোয়াটার দেওয়া হয়। সরকারী বেতনের স্কেল যেভবে নির্দিষ্ট সময়ে সময়ে বাড়ে, সেভাবে ইমামের বেতনও একটা পরিমাণে বাড়ে।
    সম্মানিত ভাইয়েরা! আশা করি, উত্তরটি প্রদান করে আমাকে ও সকলকে উপকৃত করবেন। উত্তরটি জরুরী ভিত্তিতে দরকার। আল্লাহ আপনাদেরকে উত্তম প্রতিদান দান করুন!

  • #2
    আমাদের ফোরামে তো অনেক যোগ্য ও বিজ্ঞ আলেম ভাইগণ আছেন, যেমন আহমাদ আলহিন্দি ভাই, ইলম ও জিহাদ ভাই, তালিবুল ইলম ভাই, এছাড়াও নতুন নতুন আইডির আরো অনেক ভাইকে দেখি বেশি তথ্য নির্ভর গভীর ইলমী আলোচনা করতে। তো তাদের থেকে উত্তরটি কামনা করছি।
    থানা মসজিদে ইমামতি করাতে কোন সমস্যা আছে কি না?

    Comment


    • #3


      সমস্যা আছে। যদি ইমাম সাহেব তাগুতদের কোন প্রকার সহায়তা না করেন, তাদের কুফর ও জুলুমে সহযোগী নাও হন- তাহলেও তাগুতদের অধীনে ইমাম বা মুআযযিন হিসেবে কাজ করা মাকরুহ হবে। আমাদের উচিৎ তাগুতদের থেকে সম্পূর্ণ বারাআত ঘোষণা করা, তাদের বশ্যতা স্বীকার করা নয়।

      এ সম্পর্কে মিম্বারুত তাওহিদের একটি সওয়াল ও জওয়াব দিচ্ছি। আশাকরি আপনি আরবি বুঝেন। সেখান থেকে সহজে বুঝতে পারবেন। বিশেষত সংশ্লিষ্ট অংশটুকু মার্ক করে দিচ্ছি।

      যদি কোন ভাই সওয়ালটিকে মানসম্মত তরজমা করে আলাদা একটা পোস্ট হিসেবে দিয়ে দেন, তাহলে এই একটা পোস্ট থেকেই অনেকের অনেক প্রশ্নের উত্তর হয়ে যাবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এ পর্যন্ত যত বার কোন কিছু তরজমা করার আবেদন করেছি, কোন বারই কোন ভাই সাড়া দেননি। আল্লাহ মা’লূম- কি আমাদের আরবি বুঝেন মতো লোকের অভাব না’কি আমাদের সময় হয় না, না’কি গুরুত্ব বোধ হয় না।


      ================


      ماحكم العمل كمدرس في مدارس حكومة الطواغيت في العراق ؟
      رقم السؤال:92 القسم : العقيده
      تاريخ النشر: 6 /10/2009 المجيب: اللجنة الشرعية في المنبر
      نص السؤال:
      السلام عليكم..ما حكم العمل كمدرس في مدارس حكومة الطاغوت في العراق وحكم الانتساب إليها.
      السائل: أبو عبيدة السلفي
      * * *
      الجواب:
      الحمد لله رب العالمين والصلاة والسلام على خاتم الأنبياء والمرسلين وعلى آله وصحبه ومن تبعهم بإحسان إلى يوم الدين، وبعد:
      إعلم أخي السائل وفقنا الله وإياك لما يحب ويرضى، أن حكم العمل في الوظائف الحكومية الطاغوتية سواء أكان ذلك في العراق أو في غيرها من بلاد المسلمين التي علت فيها أحكام الكفر وساد أصحابها ـ والله المستعان ـ لا يخرج عن إحدى ثلاثة أحكام: إما أن يكون كفراً وإما أن يكون محرماً وإما أن يكون مكروهاً، كل حكم بحسب تحقيق مناطه، فإذا كانت الوظيفة تتضمن تولياً لتلك الحكومات وأهلها، ومناصرة ومظاهرة لهم ولتشريعاتهم وقوانينهم، سواء كان ذلك بالدعوة إليها أو بالحكم بها أو بالتحاكم إليها عن رضى أو قبول بها فلا شك أن العمل في مثل هذه الوظائف هو كفر بواح وشرك صراح وردة سافرة عن دين الله سبحانه وتعالى، ومن عمل في مثل هذه الوظائف فقد نقض أصل اجتناب الطاغوت الذي لا يصح إسلام أحد إلا بتحقيقه.
      وإذا كانت الوظيفة تتضمن إعانة تلك الحكومات الطاغوتية على ظلم الناس وأكل أموالهم بالباطل كمثل جباة المكس والضرائب وما يسمى بالجمارك في بعض بلاد المسلمين أو إعانتها على أكل الربا من خلال ما تقدمه من قروض ربوية للتجار والمزارعين وغيرهم بعد التضييق عليهم بحيث يصبحون مجبرين على ذلك، فيكون الموظف كاتباً لتلك المعاملات الربوية أو شاهداً عليها، فإن العمل في مثل هذه الوظائف حرام قطعاً وكبيرة من الكبائر، ومن عمل في مثل هذه الوظائف فإنه لم يحقق كمال الاجتناب الواجب للطاغوت الذي ينقص إيمان المسلم ويضعف بحسب المعصية التي يرتكبها أو يعين عليها . وإما إذا كانت الوظيفة لا تتضمن أحد مناطي الحكمين السابقين أو كلاهما، كأئمة الأوقاف وخطبائهم ومؤذنيهم، وكالمدرسين أو الموظفين في وزارات التربية والتعليم، وموظفي وزارات الصحة وموظفي البلديات وغيرها من الوظائف التي يكون أقل أحوال العامل فيها أنه مكثر لسواد تلك الحكومات وذليل صاغر تحت وطأتها، فمثل هذه الوظائف - إن لم يتخللها شيء من المعاصي - تندرج تحت الحكم الثالث من الأحكام التي ذكرناها آنفاً وهو الكراهة، والتي لا يكون العامل فيها قد حقق كمال الاجتناب المستحب للطاغوت .
      قال شيخنا الوالد أبو محمد المقدسي حفظه الله تعالى ورعاه في المسألة الثانية من رسالته الإشراقة في سؤالات سواقة: فالذي قلناه ونقوله: ( أننا نحب للأخ الموحد أن يكون بعيداً عن هذه الحكومات من باب كمال اجتنابه لها، ولا شك أن منهاج حياة كل موحد هو قوله تعالى: {أن اعبدوا الله واجتنبوا الطاغوت} فذلك معنى "لا إله إلا الله"، لكن منه ما هو شرط للإيمان وتركه ناقض للإيمان، كاجتناب عبادة الطاغوت واجتناب التحاكم إليه مختاراً واجتناب حراسة تشريعاته وقوانينه الكفرية أو القسم على احترامها ونحو ذلك، ومنه ما هو من كمال الإيمان وتركه ناقص للإيمان وليس بناقض للإيمان كيسير الركون والمداهنة أو تكثير سواد ظلمهم ونحو ذلك من المعاصي. أ.هـ ، ثم عقب الشيخ في حاشية المسألة بقوله: ولا يفهم من هذا التهوين من شأن هذه المعاصي، فإن فيها ما هو من الكبائر ولكن المراد تمييزها عن المكفرات، ومن كان له قلب يكفيه الوعيد الذي ذكره الله عز وجل في كثير من الآيات كقوله تعالى في الركون اليسير: {ولولا أن ثبتناك لقد كدت تركن إليهم شيئاً قليلاً إذا لأذقناك ضعف الحياة والضعف الممات ثم لا تجد لك علينا نصيرا.]
      هذا بالنسبة للعمل والانتساب إلى الحكومات الطاغوتية الحاكمة في بلاد المسلمين عامة، وأما العمل في حكومة العراق الطاغوتية والانتساب إليها، والحال كما هو الحال فيها وقد أضرمت نيران الحرب وسعّرت بين عبّاد الصليب وأذنابهم من أهل الشرك والتنديد وبين حماة الإسلام وجنود التوحيد، ودارت رحى المعركة بين أولياء الرحمن وأولياء الشيطان، فإذا كان المدرس لا يكفر ولا يأثم في تدريسه لبعض المواد المباحة كالرياضيات ونحوها مثلا من المواد التي ليس فيها تمجيدا للقوانين والحاكمين بها ، فإنه لا بد آثمٌ إذا كان خاذلا لإخوانه المجاهدين في ظل هذا الإحتلال ؛ تاركاً للجهاد في سبيل الله الذي هو من أهم فروض الأعيان، قال شيخ الإسلام ابن تيمية رحمه الله تعالى: ( العدو الصائل الذي يفسد الدين والدنيا لا شيء أوجب بعد الإيمان من دفعه.) أ.هـ. الفتاوى الكبرى
      ولذلك فنوصيك أيها الأخ السائل أن تحرص على عدم تفويت الفرصة في أن تكون من جنود دولة العراق الإسلامية التي رفعت لواء التوحيد والجهاد واحرص على أن تكون من العاملين فيها ولأجل نصرتها وفي عدوتها حتى لو لم تستطع إلا تكثير سواد أهلها فلا تتوانى في ذلك، زادنا الله وإياك حرصاً على ما يقربنا إليه ويرضيه عنا. هذا والله أعلم وأحكم، وصلى الله على نبينا محمد وعلى آله وصحبه أجمعين.
      إجابة عضو اللجنة الشرعية :
      الشيخ أبو النور الفلسطيني



      Comment


      • #4
        জি ভাই, আমি ফাতওয়াটির তরজমা করে দিচ্ছি ইংশাআল্লাহ, কিছুক্ষণের মধ্যে।

        Comment


        • #5
          উপরের আরবী ফাতওয়াটির অনুবাদ

          সম্মানিত ভাই! উপরুক্ত ফাতওয়াটি গতকাল অনুবাদ করতে বসেছিলাম। কিন্ত তখনই অন্য একটি ব্যস্ততা এসে যাওয়ার ফলে তা অফ রাখতে হয়েছিল। একারণে একটু দেরি হল। ফাতওয়ার অনুবাদটি নিচে দেওয়া হল:


          ইরাকে তাগুতদের সরকারি বিদ্যালয়সমূহে শিক্ষক হিসাবে চাকুরী করার বিধান কি?
          প্রশ্ন নং ৯২, বিষয়: আকিদা।
          প্রকাশকাল: ৬/১০/২০০৯ ইং।
          প্রশ্নের বিবরণ:
          আস-সালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ। ইরাকের তাগুত সরকারের বিদ্যালয়সমূহে নিয়োগ হওয়া এবং শিক্ষক হিসাবে চাকুরী করার বিধান কি?
          প্রশ্নকারী: আবু উবায়দা আস-সালাফী।
          উত্তর:
          সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি জগতসমূহের প্রতিপালক। দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক সর্বশেষ নবী ও সর্বশেষ রাসূলের উপর এবং তাঁর পরিবারবর্গ, সাহাবা ও যারা কিয়ামত পর্যন্ত তাদের যথাযথ অনুসরণ করে তাদের উপর। আম্মাবাদ,
          প্রশ্নকারী ভাই! আল্লাহ আপনাকে ও আমাদেরকে সে কাজ করার তাওফিক দান করুন, যা তিনি ভালবাসেন এবং যাতে তিনি সন্তুষ্ট হন। জেনে রাখুন, তাগুতী শাসনব্যবস্থার বিভিন্ন পদে চাকুরী করার বিধান- চাই সেটা ইরাকে হোক বা অন্য কোন মুসলিম দেশে হোক, যেখানে কুফরী বিধি-বিধান বিজয়ী এবং কুফরের কর্তারা নেতৃত্ব দেয়- তা তিনটি বিধানের যেকোন একটির বাইরে হবে না। হয়ত কুফরী হবে, নয়ত হারাম হবে, নয়ত মাকরূহ হবে। প্রতিটি হুকুম সাব্যস্ত হবে হুকুমের উৎপত্তি বিশ্লেষণের ভিত্তিতে।
          তাই যখন চাকুরির মধ্যে তাগুত সরকার ও তার কর্তাদের সাথে বন্ধুত্ব করা, তাদের সমর্থন ও সহযোগীতা করা এবং তাদের আইন ও বিধানের সমর্থন ও সহযোগীতা করা পাওয়া যাবে- এটা চাই উক্ত শাসনব্যবস্থার প্রতি আহ্বান করার মাধ্যমে হোক বা তার দ্বারা শাসন পরিচালনা করার মাধ্যমে হোক বা সন্তুষ্টি ও গ্রহণের সাথে তার নিকট বিচার প্রার্থনা করার মাধ্যমে হোক- তাহলে কোন সন্দেহ নেই যে, এধরণের পদে চাকুরী করা প্রকাশ্য কুফর, স্পষ্ট শিরক্ এবং আল্লাহর দ্বীন থেকে বহুদূরে বের হয়ে যাওয়া। যে এ ধরণের পদসমূহে চাকুরী করবে, সে তাগুতদেরকে বর্জন করার সেই আবশ্যকীয় রুকনটি ভঙ্গ করল, যেটা ব্যতিত কারো ইসলাম গ্রহণই সহীহ হয় না।
          আর যখন চাকুরীতে তাগুত সরকারকে মানুষের উপর জুলুম করার ব্যাপারে অথবা অন্যায়ভাবে মানুষের মাল ভক্ষণ করার ব্যাপারে সাহায্য করা হবে, যেমন ট্যাক্স, টোল বা কোন কোন দেশে যেগুলোকে রাজস্ব বলে নামকরণ করা হয়, তা উসূলকারী হওয়া বা তাগুত সরকারকে সুদ খাওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করা, যেমন তাগুতরা জনগণকে প্রথমে সংকীর্ণতায় ফেলে দেওয়ার পর ব্যবসার জন্য বা কৃষির জন্য সুদভিত্তিক যে ঋণ দেয়্ এবং এর ফলে জনগণ যা নিতে বাধ্য হয়, সেই সমস্ত মুআমালার লেখক বা সাক্ষী হওয়া- এ ধরণের পদে চাকুরী করা অকাট্যভাবে হারাম এবং কবিরাহ গুনাহসমূহের মধ্যে অন্যতম কবিরাহ গুনাহ।
          যে এ সমস্ত পদে চাকুরী করে, সে তাগুতকে পরিপূর্ণ বর্জন করার সেই ওয়াজিব হুকুমটি পালন করল না, যা উক্ত গুনাহের পরিমাণ অনুযায়ী ঈমানকে ত্রুটিপূর্ণ ও দুর্বল করে দেয়।
          তবে যদি চাকুরীর মধ্যে পুর্বোক্ত দু’টি কারণের কোন কারণ না পাওয়া যায়- যেমন ওয়াকফ মন্ত্রণালয়ে ইমামতি করা, সেখানকার খতিব হওয়া বা মুআয্যিন হওয়া অথবা শিক্ষা ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে শিক্ষক বা অন্য কোন কর্মকর্তা হিসা যোগ দেওয়া বা এগুলো ছাড়া অন্যান্য ঐ সকল পদে যোগ দেওয়া, যেগুলোতে চাকুরীকারী ব্যক্তির সর্বনিম্ন অবস্থা হয় এই যে, সে ঐ সরকারের দল ভারিকারী এবং তার পদতলে লাঞ্ছিত ও অবনত থাকে- তাহলে এ ধরণের চাকুরীতে যদি অন্য কোন গুনাহ না পাওয়া যায়, তবে এটা আমরা এক্ষণে যে হুকুমগুলো উল্লেখ করলাম তার মধ্যে তৃতীয় নম্বরটি হবে। অর্থাৎ মাকরুহ হবে। অতএব এ ধরণের চাকুরিকারী ব্যক্তি তাগুতকে পরিপূর্ণ বর্জন করার মুস্তাহাব অংশটি বাস্তবায়ন করল না।
          আমাদের শায়খ আবু মুহাম্মদ আল-মাকদিসি (হাফিজাহুল্লাহ)তার পুস্তক “আলইশরাকাহ ফি সুওয়ালাতে সাওয়াকা” এর দ্বিতীয় মাসআলায় বলেন, আমরা যেটা বলেছি এবং বলবো, তা হল: আমরা একজন তাওহিদবাদী ভাইয়ের জন্য এটাই চাই যে, তিনি এই তাগুতী শাসনব্যস্থাকে পরিপূর্ণ বর্জন করার জন্য তা থেকে পরিপূর্ণ দূরে থাকবেন। কোন সন্দেহ নেই যে, প্রতিটি তাওহিদবাদীর জীবন পরিচালনার নীতিমালা হল আল্লাহ তা’আলার বাণী-{أن اعبدوا الله واجتنبوا الطاغوت} “তোমরা আল্লাহর ইবাদত করো আর তাগুত থেকে বেচে থাক।”
          এটাই লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এর অর্থ। কিন্তু এর থেকে (অর্থাৎ তাগুতকে বর্জন করার পর্যায়সমূহ থেকে) কিছু হল ঈমানের জন্য শর্ত, যা পরিত্যাগ করা ঈমানকে ভঙ্গ করে দেয়। যেমন তাগুতদের গোলামদের থেকে দূরে থাকা, ইচ্ছাকৃতভাবে তাগুতদের নিকট বিচার প্রার্থনা করা থেকে বিরত থাকা, তাগুতদের কুফরী আইন ও বিধি-বিধানের প্রহরা দেওয়া বা তাকে শ্রদ্ধা করার ব্যাপারে শপথ করা বা এজাতীয় বিষয়গুলো থেকে বিরত থাকা।
          আর কিছু হল ঈমানের পূর্ণাঙ্গতার অংশ। এগুলো পরিত্যাগ করা ঈমানকে ত্রুটিপূর্ণ করে দেয়। কিন্তু ঈমানকে ভেঙ্গে দেয় না। যেমন তাগুতের প্রতি কিছুটা নতঝানু হওয়া, শৈথিল্য করা, তাদের জুলুমের ক্ষেত্রে তাদের দল ভারী করা বা এজাতীয় গুনাহগুলো।
          অত:পর শায়খ রহ. এই মাসআলার টিকায় লিখেন: এর দ্বারা এ সকল গুনাহগুলোর ভয়াবহতা কম বুঝা উচিত নয়। কারণ এগুলোর মধ্যে কতিপয় আছে কবিরা গুনাহের অন্তর্ভূক্ত। তবে আমাদের কথার উদ্দেশ্য ছিল, এ সকল গুনাহকে কুফরী কাজ থেকে পৃথক করা। যার গ্রহণকারী অন্তর রয়েছে, তার জন্য আল্লাহ তা’আলার এই ধমকি বাণীই যথেষ্ট, যা আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কুরআনে কাফেরদের প্রতি সামান্য ঝুকে যাওয়ার ব্যাপারে উল্লেখ করেছেন-
          ولولا أن ثبتناك لقد كدت تركن إليهم شيئاً قليلاً إذا لأذقناك ضعف الحياة والضعف الممات ثم لا تجد لك علينا نصيرا
          “আমি যদি তোমাকে অবিচলিত না রাখতাম, তবে তুমিও তাদের দিকে খানিকটা ঝুকে পড়ার উপক্রম হতে। আর তাহলে আমি দুনিয়ায়ও তোমাকে দিগুণ শাস্তি দিতাম এবং মৃত্যুর পরেও দিগুণ। অত:পর আমার বিরুদ্ধে তুমি কোন সাহায্যকারী পেতে না।”
          এ ছিল সাধারণভাবে সকল মুসলিম দেশে বিরাজমান তাগুতী শাসনব্যবস্থায় যোগ দেওয়া বা সেখানে চাকুরী করার ব্যাপারে। এবার আসি ইরাকের তাগুতী শাসনব্যবস্থায় যোগ দেওয়া ও তাতে চাকুরী করার প্রসঙ্গে। সেখানকার অবস্থা তো সকলের জানাশোনা। যুদ্ধের আগুন জ্বলে উঠেছে। আল্লাহর সাথে শরীককারী ক্রুসেডের পূজারী এবং ইসলামের রক্ষক ও তাওহিদের সৈনিকদের মাঝে ঘোরতর লড়াই চলছে। রহমানের বন্ধু আর শয়তানের বন্ধুদের মাঝে যুদ্ধের চাকা ঘুরপাক খাচ্ছে। তাই যদি কিছু বৈধ বিষয় থাকার কারণে সেখানে অধ্যাপনাকারী কাফের সাব্যস্ত নাও হয় বা গুনাহগার নাও হয়,-যেমন ব্যায়াম বা এজাতীয় বিষয়গুলো বা এমন বিষয়াবলী, যেগুলোতে তাগুতী আইন ও তার শাসকদেরকে সম্মান করা হয় না- তথাপিও সে গুনাহগার হবে, যদি এই আগ্রাসনের ছত্রছায়ায় থেকে তার মুজাহিদ ভাইদের সাহায্য পরিত্যাগ করে এবং আল্লাহর পথে জিহাদ ছেড়ে দেয়, যেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফরজে আইন। শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ. বলেন: যে আগ্রাসী দুশমন দ্বীন-দুনিয়া সব বরবাদ করে দেয়, ঈমানের পর তাকে দমন করা থেকে বড় ওয়াজিব আর কিছু থাকে না।
          একারণে হে প্রশ্নকারী ভাই! আমি আপনাকে উপদেশ দিব, আপনি ইরাকের ইসলামী সেনাবাহিনীর অন্তর্ভূক্ত হওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করবেন না! যারা তাওহিদ ও জিহাদের পতাকা সুউচ্চ করেছে। আপনি তাদের কর্মী, তাদের সাহায্যকারী ও তাদের দলভূক্ত হওয়ার প্রতি আগ্রহি হোন। এমনকি যদি শুধু তাদের দল ভারি করা ব্যতিত আর কিছুই না করতে পারেন, তবে এর মধ্যেও শৈথিল্য করবেন না।
          আল্লাহ আমাদের ও আপনাদের ঐ সকল বিষেয়ে আগ্রহ বাড়িয়ে দিন, যা আমাদেরকে আল্লাহর নিকটবর্তী করবে এবং আমাদের প্রতি আল্লাহকে সন্তুষ্ট করবে। এ ছিল আমার কথা। প্রকৃতপক্ষে আল্লাহই সর্বাধিক জ্ঞানী ও প্রজ্ঞাশীল।
          ওয়াসাল্লাল্লঅহু আলা নাবিয়্যিনা মুহাম্মদিও ওয়ালা আলিহি ওয়াসাহবিহি আজমাঈন।

          উত্তর প্রদান করেছেন: আল-লাজনাতুশ শরইয়্যাহ এর সদস্য শায়খ আবুন নুর আল-ফিলিস্তিনী।



          Comment


          • #6
            মুহতারাম ভাই, জাযাকাল্লাহ আহসানাল জাযা। আমি আপনার তরজমাটাকে আরেকটু দেখে আলাদা থ্রেডে পোস্ট করে দিচ্ছি। এতে ফায়েদা বেশি হবে আশাকরি।

            Comment

            Working...
            X