Announcement

Collapse
No announcement yet.

পিতা-মাতার অনুমতি ব্যতীত ই’দাদ গ্রহণের বিধান

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • পিতা-মাতার অনুমতি ব্যতীত ই’দাদ গ্রহণের বিধান

    প্রিয় মুজাহিদ ভাইয়েরা, মিম্বারুত তাওহিদের কথা আপনারা জানেন। সেখান থেকে প্রচারিত কিতাব, রিসালা ও ফতোয়া ফারায়েয ইসলামের সহীহ আকিদা এবং জিহাদের সঠিক রাহনুমায়ি করে। মিম্বারুত তাওহিদ থেকে কিছুটা ইস্তেফাদা করার তাওফিক আমার হয়েছে। চাচ্ছি সেখান থেকে কিছু ফতোয়া অনুবাদ করে ভাইদের খেদমতে পেশ করবো। আশাকরি এতে আমাদের অনেক ফায়েদা হবে। ভাইদের কাছে দোয়া চাই আল্লাহ তাআলা যেন প্রয়োজনীয় ফতোয়াগুলো নিয়মিত অনুবাদ করে ফোরামে পোস্ট করার তাওফিক দান করেন।


    আজ ছোট কিন্তু সবার জন্য জরুরী এমন একটা ফতোয়া দিয়ে শুরু করি---


    পিতা-মাতার অনুমতি ব্যতীত ই’দাদ গ্রহণের বিধান

    প্রশ্ন:
    আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ ...
    পিতা-মাতার অনুমতি ব্যতীত ই’দাদ গ্রহণের জন্য চলে যাওয়ার কি বিধান? বিশেষত আমার পিতা ইয়ামানের প্রসিদ্ধ মাশায়েখদের একজন। যদি আমি চলে যাই তাহলে তিনি আমার ধ্বংসের জন্য বদ দোয়া করবেন বলে ভয় দেখাচ্ছেন। তিনি এ মানহাজের লোক নন। যখন তিনি জানতে পেরেছেন যে, আমি এ মানহাজের উপর অটল আছি, তখন বলছেন: আমি নাফরমান ... ইত্যাদি আরোও বিভিন্ন কথা। এ ধরণের লোকের সাথে কেমন আচরণ হবে?
    -আবুল কা’কা’ আলইয়ামানী

    উত্তর:
    ওয়াআলাইকুমুস সালামু ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ ...
    প্রশ্নকারী ভাই, কোন সন্দেহ নেই যে, আমাদের এ যামানায় জিহাদের জন্য ই’দাদ গ্রহণ করা ফরযে আইন। বিশেষত বর্তমান সময়ে যখন জিহাদ ফরযে আইন হয়ে গেছে। কাজেই পিতা-মাতার অনুমতি ব্যতীত ই’দাদ গ্রহণে কোন সমস্যা নেই। বিশেষত যখন আপনার দৃঢ় বিশ্বাস হয় যে, আপনার পিতা কিছুতেই আপনার জন্য এর অনুমতি দেবে না। আপনার পিতার জন্য আপনাকে এ ফরয আঞ্জাম দেয়া থেকে বারণ করা জায়েয নয়। তিনি নামায-রোযায় আপনাকে যেমন উদ্বুদ্ধ করেন, ই’দাদ ও জিহাদেও তেমনি উদ্বুদ্ধ করবেন- এটাই ছিল স্বাভাবিক। আল্লাহ তাআলার নাফরমানী করে কোন বান্দার আনুগত্য বৈধ নয়। কাজেই আপনি আপনার এ কাজের দ্বারা নাফরমান হচ্ছেন না। বরং আল্লাহ তাআলা যে ফরয আপনার উপর ধার্য করেছেন, তা আঞ্জাম দেয়া থেকে বারণ করার দ্বারা তিনি নিজেই নাফরমান হচ্ছেন। যদি আপনার পিতার দিক থেকের ক্ষতি এড়িয়ে আপনি ই’দাদ গ্রহণ করতে পারেন, তাহলে তাই করুন। আর যদি নিজের ব্যাপারে ক্ষতির আশঙ্কায় থাকেন, তাহলে ক্ষতি এড়িয়েও ই’দাদ গ্রহণ করার মতো অনেক উপায় আছে। আপনি সেগুলো অবলম্বন করুন। আল্লাহ তাআলার কাছে সাহায্য চান। দুর্বল হয়ে পড়বেন না। ... ওয়াল্লাহুল মুওয়াফফিক।

    উত্তর প্রদানে:
    শায়খ আবু উসামা আশশামী
    সদস্য: মিম্বারুত তাওহিদ
    ২২/১০/২০০৯




  • #2
    মাশা আল্লাহ ভাই! উত্তম উদ্যোগ! নিয়মিত অনুবাদ করে যান, পরবর্তীতে এই কাজগুলো আশা করি সম্পাদনা করে আর্কাইভ করে সংরক্ষণ করা হবে। ইনশা আল্লাহ!

    Comment


    • #3
      অাল্লাহ তায়ালা আপনার মেহনতকে কবুল করুন।
      প্রিয় ভাই। অারবী ইবারত সহ দিলে আমাদের জন্য অারো ফায়দা হাসিল সম্ভব হবে। অাল্লাহ তায়ালা আপনাকে তৌফিক দান করুন। অামিন
      ফিরে এসো দ্বীনের পথে।

      Comment


      • #4
        জাঝাকাল্লাহ
        ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

        Comment


        • #5
          জাজাকাল্লাহ খাইরান

          Comment


          • #6
            আল্লাহ আপনাকে ধারাবাহিকতা বজায়ে রাখার তাউফীক দান করুন।

            Comment


            • #7
              ভাই আপনি তরজমা করে যান। এর দ্বারা আমাদের অনেক কিছু জানা হবে। আল্লাহ তায়ালা আপনার সহায় হোন।
              কে আছো জোয়ান, হও আগোয়ান।

              Comment


              • #8
                jajahkallah khairan ya habibi

                Comment


                • #9
                  অাল্লাহ তায়ালা আপনার মেহনতকে কবুল করুন।
                  প্রিয় ভাই। অারবী ইবারতসহ দিলে আমাদের জন্য অারো ফায়দা হাসিল সম্ভব হবে। অাল্লাহ তায়ালা আপনাকে তৌফিক দান করুন। অামিন

                  Comment

                  Working...
                  X