Tweet
হুকুমতকে ধোঁকা দেয়ার জন্য তাবলিগ জামাতে বের হওয়া প্রসঙ্গে
عن جواز الخروج مع جماعة الدعوة والتبليغ للتمويه على الحكومات المحاربة للمنهج السلفي الجهادي ؟
رقم السؤال:122
تاريخ النشر: 28/9/2009 المجيب: الشيخ أبو محمد المقدسي
نص السؤال:
السلام عليكم ...
1-شيخنا الحبيب ما هو الحكم الشرعي في الخروج مع مشايخ الدعوة والتبليغ؟
2-هل أنتمي لهذه الجماعة بس مجرد دفع شبهة أمنية عني لأن المنهج السلفي في غزة الحبيبة أصبح شبهة في ظل حكومة حماس ؟وأنا من شباب السلفية الجهادية ومحبهم في الله؟
السائل: أبو حمزة المقدسي
* * *
الجواب:
أخانا الفاضل :
ما دمت من أتباع المنهج السلفي الجهادي وتفهم دعوة التوحيد والجهاد فالواجب عليك الانحياز إلى إخوانك من أبناء هذا التيار وتكثير سوادهم ونصرتهم في الدعوة والجهاد وعدم إضاعة جهدك ووقتك وشبابك وعمرك لتستفيد منه وتقطف ثمرته جماعات ليست على المنهج الحق ؛ هذا هو الأصل ..
لكن كما تعلم للضرورات أحكام ، يعني إذا كنت في نازلة وفتنة وبلاء ورأيت أن خروجك مع هذه الجماعة مؤقتا أو تزييك بزيها ومخاطبتك لبعض أفرادها سيفيد في التمويه على أعدائك ويدفع عنك أذاهم فلا بأس في ذلك دون أن تقر الجماعة التي ستخالطها - مؤقتا بالطبع حتى زوال الحاجة لذلك - دون أن تقرهم على بدعة أو منكر فضلا عن شرك أو نحوه فيما لو وجد عندهم .
أما الانتماء للجماعة المذكورة فلا نختار لك هذا ولا نراه ضرورة .. ونحن نعرف أن هذه الجماعة ليست حزبا أو تنظيما يوجد فيه انتماء رسمي ؛ ولكننا نجيب على تساؤلك الذي ذكرت .. وفقك الله لما فيه نصرة دينك ..
হুকুমতকে ধোঁকা দেয়ার জন্য তাবলিগ জামাতে বের হওয়া প্রসঙ্গে
প্রশ্ন: আসসালামু আলাইকুম ...
১. প্রিয় শায়খ, দাওয়াত ও তাবলিগের শায়খদের সাথে তাবলিগে বের হওয়ার কি বিধান?
২. আমি কি এ জামাতের সদস্য হব? (অন্য কিছুর জন্য নয়,) শুধু আমার উপর থেকে নিরাপত্তাগত সন্দেহ দূর করার জন্য? কেননা, প্রিয় গাজাতে সালাফি (জিহাদি) মানহাজ হামাস হুকুমতের কাছে একটা সন্দেহের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর আমি একজন সালাফি জিহাদি মানহাজের যুবক এবং তাদেরকে আল্লাহর জন্য ভালবাসি।
-আবু হামযা আলমাকদিসী
উত্তর:
সম্মানিত ভাই! যতদিন আপনি সালাফি জিহাদি মানহাজের অনুসারি আছেন, দাওয়াতুত তাওহিদ ওয়াল জিহাদ বুঝেন- ততদিন আপনার অবশ্য কর্তব্য, আপনার এই ধারার ভাইদের সাথে জুড়া। তাদের দল ভারি করা। দাওয়াত ও জিহাদে তাদের সাহায্য করা। নিজের শ্রম-চেষ্টা, নিজের সময়, যৌবন ও হায়াত এমন পথে নষ্ট না করা; যার দ্বারা সঠিক মানহাজের উপর নেই এমনসব দল এর ফায়েদা লুটে নেবে এবং এর ফল ভোগ করবে। এটাই মূলকথা।
কিন্তু- আপনিও জানেন- জরুরতের মাসআলা ভিন্ন। যদি আপনি বালা-মুসিবত বা কোন পরীক্ষার সম্মুখিন হয়ে থাকেন এবং মনে করেন, সাময়িক সময়ের জন্য এই জামাতের সাথে বের হওয়া বা তাদের বেশ ধরা বা তাদের কতকের সাথে কথা-বার্তা বলার দ্বারা শত্রুকে ধোঁকা দেওয়া এবং নিজের উপর থেকে শত্রুর অনিষ্ট প্রতিহত করা সম্ভব হবে, তাহলে এতে কোন সমস্যা নেই। তবে শর্ত হল, আপনি যে জামাতের সাথে মিশতে যাচ্ছেন- আর মিশাটা স্বাভাবিক যে, তা প্রয়োজন শেষ হওয়া পর্যন্ত (এর বেশি নয়)- সে জামাতের কোন বিদআত বা কোন মন্দ কিছুতেও সায় দিতে পারবেন না; শিরক বা শিরক জাতীয় কিছু- যদি তা তাদের মাঝে পাওয়া যায়- তাতে সমর্থন দেয়া তো দূরের কথা।
আর উক্ত জামাতের সদস্য হওয়ার ব্যাপারে কথা হল- আমরা আপনার জন্য এর সমর্থন দেই না, আর এর জরুরত আছে বলেও মনে করি না। আমরা জানি, এ জামাত এমন কোন দল বা তানজীম নয়, যাতে সাংগঠনিক সদস্য হওয়ার সিস্টেম আছে। তবে আপনি যেভাবে প্রশ্ন করেছেন, আমরা সেভাবেই জওয়াব দিচ্ছি। (অর্থাৎ তাবলীগ জামাতে মূলত সদস্য হওয়ার কিছু নেই। তাই সদস্য হওয়া না হওয়ার প্রসঙ্গ উঠারই কথা ছিল না। তবে আপনি যেহেতু সদস্য হওয়া না হওয়ার ব্যাপারে প্রশ্ন করেছেন, তাই আমরা এর জওয়াব দিচ্ছি এবং আপনাকে সদস্য হতে নিষেধ করছি। অন্যথায় এ প্রসঙ্গে কোন আলোচনার দরকার ছিল না। অনুবাদক।) আল্লাহ তাআলা আপনাকে সে পথে চলার তাওফিক দান করুন, যে পথে আপনার দ্বীনের নুসরত হবে।
উত্তর প্রদানে:
শায়খ আবু মুহাম্মদ আলমাকদিসি
সদস্য: মিম্বারুত তাওহিদ
২৮/০৯/২০০৯
=============
বি.দ্র. হকপন্থী মুজাহিদগণ তাগুতদের থেকে বারাআত ঘোষণা করে সালাফে সালেহিনের অনুসৃত পন্থায় জিহাদ করেন বলে অনেকে তাদের মানহাজকে ‘সালাফি জিহাদি মানহাজ’ বলে থাকেন।
উপরোক্ত ফতোয়া থেকে বুঝা গেল:
- সকলের উচিৎ সালাফে সালেহিনের পন্থায় যারা দাওয়াত ও জিহাদের কাজ করে যাচ্ছেন, তাদের সাথে যোগ দেয়া।
- এমন কোন দল বা ফেরকায় যোগ দিয়ে নিজের শ্রম-চেষ্টা ও মূল্যবান হায়াত নষ্ট না করা, যারা হকের উপর নেই (যেমন- প্রচলিত তাবলিগ জামাত)।
- নিয়মিত তাবলিগ জামাতে সময় লাগানো উচিৎ নয়। কেননা, তাবলিগ হকের উপর প্রতিষ্ঠিত নয়। তাই তাদের দল ভারি করা ও তাদের পথে নিজের জীবন নষ্ট করা উচিৎ নয়।
- একান্ত জরুরত দেখা দিলে তখন সাময়িক সময়ের জন্য তাবলিগে যাওয়া যাবে বা তাদের বেশ ধরা যাবে। প্রয়োজন শেষে তাড়াতাড়ি সরে পড়তে হবে।
- একান্ত জরুরতে সাময়িক সময়ের জন্য বের হওয়ার ক্ষেত্রেও শর্ত হল: তাদের মাঝে বিদ্যমান বিদআত ও মন্দ কাজগুলোর কোনটাকে সমর্থন করা যাবে না। আর কুফর-শিরক দেখা গেলে তাতে সমর্থন দেয়ার তো কোন প্রশ্নই নেই।
Comment