আল-মুতারজিম মিডিয়া
রমাদানের আহবান
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।
সম্মানিত মুজাহিদ ভায়েরা ! আজ রমাদানের ১৭ তারিখ। একে একে কেটে গেল ১৬ টি রোযা। এভাবেই বাকীগুলো কেটে যাবে। কিন্তু, আমাদের চিন্তার বিষয় হলো, আমরা কি রমাদানকে কাজে লাগাতে পেরেছি?
১) আমি রমাদানের আগে যেই গুনাহগুলিতে লিপ্ত ছিলাম তা কি পরিত্যাগ করার অভ্যাস করতে পেরেছি?
২) যে নেক আমলগুলো রমাদানের পূর্বে ছুটে যেত, সেগুলো কি আমলে আনতে পেরেছি?
৩) যে বদ অভ্যাসগুলো আমার মাঝে বিদ্যমান ছিল, সেগুলো কি দূর করতে পেরেছি?
৪) আমার মাঝে যে গাফলতি ছিলো, তা কি পরিবর্তন করে দ্বীনী কাজে উদ্যমী হতে পেরেছি?
হে আমার দ্বীনী ভাই ! যদি আমি এগুলোর কোনটাই করতে না পারি, তাহলে কি আমি রমাদানকে কাজে লাগাতে পেরেছি? রমাদানের হক আদায় করতে পেরেছি? আল্লাহ তায়ালা বলেন,
شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِي أُنْزِلَ فِيهِ الْقُرْآنُ هُدًى لِلنَّاسِ وَبَيِّنَاتٍ مِنَ الْهُدَى وَالْفُرْقَانِ
রমাদান মাস যাতে কোরআন নাযিল করা হয়েছে মানুষের হিদায়াতের জন্য, হিদায়াতের সুস্পষ্ট প্রমাণ এবং হক বাতিলের পার্থক্য নিরোপণের জন্য। ( সুরা বাকারা)
তাফসীরে জালালাইনে এসেছে,
{شَهْر رَمَضَان الَّذِي أُنْزِلَ فِيهِ الْقُرْآن} مِنْ اللَّوْح الْمَحْفُوظ إلَى السَّمَاء الدُّنْيَا فِي لَيْلَة الْقَدْر مِنْهُ {هُدًى} حَال هَادِيًا مِنْ الضَّلَالَة {لِلنَّاسِ وَبَيِّنَات} آيَات وَاضِحَات {مِنْ الْهُدَى} بِمَا يَهْدِي إلَى الْحَقّ مِنْ الْأَحْكَام {و} من {الْفُرْقَان} مِمَّا يُفَرَّق بَيْن الْحَقّ وَالْبَاطِل
সুতরাং বুঝা গেল, রমাদান মাস কোরআন নাযিলের মাস। আর কোরআন নাযিল করা হয়েছে সুস্পষ্ট দলীলের আলোকে মানুষের হিদায়াতের জন্য, হক ও বাতিলের মাঝে পার্থক্য সৃষ্টির জন্য।
সত্যিই এই মাস হক বাতিলের মাঝে পার্থক্য করেছে। বদরের যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছে রমাদান মাসের ১৭ তারিখে। বদর যুদ্ধের ব্যাপারে সুরা আনফালে এসেছে,
وَإِذْ يَعِدُكُمُ اللَّهُ إِحْدَى الطَّائِفَتَيْنِ أَنَّهَا لَكُمْ وَتَوَدُّونَ أَنَّ غَيْرَ ذَاتِ الشَّوْكَةِ تَكُونُ لَكُمْ وَيُرِيدُ اللَّهُ أَنْ يُحِقَّ الْحَقَّ بِكَلِمَاتِهِ وَيَقْطَعَ دَابِرَ الْكَافِرِينَ (7) لِيُحِقَّ الْحَقَّ وَيُبْطِلَ الْبَاطِلَ وَلَوْ كَرِهَ الْمُجْرِمُونَ (8)
............ যেন আল্লাহ তায়ালা হককে হক হিসেবে এবং বাতিলকে বাতিল হিসেবে প্রমাণ করতে পারেন। যদিও অপরাধীরা তা অপছন্দ করে।
বদর যুদ্ধের মাধ্যমে আসলেই হক বাতিলের পার্থক্য হয়েছিল। সকলে বুঝতে পেরেছিল কারা হক আর কারা বাতিল। এমনিভাবে মক্কা বিজয়ও সংগঠিত হয়েছে এই রমাদান মাসেই। কুফর শিরকের উপর ইসলামের মহা বিজয় সাধিত হয়েছে এই রমাদান মাসেই। আর হবেই না কেন? রমাদান হলো, আল্লাহ তায়ালার পবিত্র নাম। উপরে উল্যেখিত বাকারার আয়াতের ব্যাখ্যায় ইবনে কাসীরে এ ব্যাপারে একটি হাদীস উল্যেখিত আছে।
সুতরাং, হে আমার তাওহীদবাদী ভাই ! সবদিক দিয়েই রমাদান হলো হকের বিজয় আর বাতিলের পরাজয়ের মাস। তাহলে,
১) আমি কি পেরেছি গুনাহ নামক বাতিলের উপর গুনাহ বর্জন নামক হককে আমার মাঝে বিজয় লাভ করাতে?
২) নেক কাজ না করা নামক বাতিলকে পরাজিত করে নেক কাজ করা নামক হককে বিজয়মাল্য পরাতে?
৩) বদ অভ্যাস নামক বাতিলকে পদদলিত করে সদাচারণ নামক হককে বিজয়ী করতে?
৪) গাফলতি নামক বাতিলকে চূর্মার করে উদ্যমতার হককে নিজের মাঝে প্রতিষ্ঠা করতে?
এমনিভাবে সকল খারাবীকে পরাজিত করে হককে বিজয়ী করতে পেরেছি? না কি আমি ( নাঊযুবিল্লাহ) বাতিলের উপরেই আছি আর হক আমার থেকে দূরেই রয়ে গেছে?
হে হিদায়াতদাতা ! আমদের তুমি হিদায়াত দাও।
হে সঠিক উপলব্ধি দানকারী ! আমাদেরকে সঠিক উপলব্ধি দান করো। আমীন।।
✍️:মাওলানা আহমাদ লাবীব হাফি. ।।
রমাদানের আহবান
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।
সম্মানিত মুজাহিদ ভায়েরা ! আজ রমাদানের ১৭ তারিখ। একে একে কেটে গেল ১৬ টি রোযা। এভাবেই বাকীগুলো কেটে যাবে। কিন্তু, আমাদের চিন্তার বিষয় হলো, আমরা কি রমাদানকে কাজে লাগাতে পেরেছি?
১) আমি রমাদানের আগে যেই গুনাহগুলিতে লিপ্ত ছিলাম তা কি পরিত্যাগ করার অভ্যাস করতে পেরেছি?
২) যে নেক আমলগুলো রমাদানের পূর্বে ছুটে যেত, সেগুলো কি আমলে আনতে পেরেছি?
৩) যে বদ অভ্যাসগুলো আমার মাঝে বিদ্যমান ছিল, সেগুলো কি দূর করতে পেরেছি?
৪) আমার মাঝে যে গাফলতি ছিলো, তা কি পরিবর্তন করে দ্বীনী কাজে উদ্যমী হতে পেরেছি?
হে আমার দ্বীনী ভাই ! যদি আমি এগুলোর কোনটাই করতে না পারি, তাহলে কি আমি রমাদানকে কাজে লাগাতে পেরেছি? রমাদানের হক আদায় করতে পেরেছি? আল্লাহ তায়ালা বলেন,
شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِي أُنْزِلَ فِيهِ الْقُرْآنُ هُدًى لِلنَّاسِ وَبَيِّنَاتٍ مِنَ الْهُدَى وَالْفُرْقَانِ
রমাদান মাস যাতে কোরআন নাযিল করা হয়েছে মানুষের হিদায়াতের জন্য, হিদায়াতের সুস্পষ্ট প্রমাণ এবং হক বাতিলের পার্থক্য নিরোপণের জন্য। ( সুরা বাকারা)
তাফসীরে জালালাইনে এসেছে,
{شَهْر رَمَضَان الَّذِي أُنْزِلَ فِيهِ الْقُرْآن} مِنْ اللَّوْح الْمَحْفُوظ إلَى السَّمَاء الدُّنْيَا فِي لَيْلَة الْقَدْر مِنْهُ {هُدًى} حَال هَادِيًا مِنْ الضَّلَالَة {لِلنَّاسِ وَبَيِّنَات} آيَات وَاضِحَات {مِنْ الْهُدَى} بِمَا يَهْدِي إلَى الْحَقّ مِنْ الْأَحْكَام {و} من {الْفُرْقَان} مِمَّا يُفَرَّق بَيْن الْحَقّ وَالْبَاطِل
সুতরাং বুঝা গেল, রমাদান মাস কোরআন নাযিলের মাস। আর কোরআন নাযিল করা হয়েছে সুস্পষ্ট দলীলের আলোকে মানুষের হিদায়াতের জন্য, হক ও বাতিলের মাঝে পার্থক্য সৃষ্টির জন্য।
সত্যিই এই মাস হক বাতিলের মাঝে পার্থক্য করেছে। বদরের যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছে রমাদান মাসের ১৭ তারিখে। বদর যুদ্ধের ব্যাপারে সুরা আনফালে এসেছে,
وَإِذْ يَعِدُكُمُ اللَّهُ إِحْدَى الطَّائِفَتَيْنِ أَنَّهَا لَكُمْ وَتَوَدُّونَ أَنَّ غَيْرَ ذَاتِ الشَّوْكَةِ تَكُونُ لَكُمْ وَيُرِيدُ اللَّهُ أَنْ يُحِقَّ الْحَقَّ بِكَلِمَاتِهِ وَيَقْطَعَ دَابِرَ الْكَافِرِينَ (7) لِيُحِقَّ الْحَقَّ وَيُبْطِلَ الْبَاطِلَ وَلَوْ كَرِهَ الْمُجْرِمُونَ (8)
............ যেন আল্লাহ তায়ালা হককে হক হিসেবে এবং বাতিলকে বাতিল হিসেবে প্রমাণ করতে পারেন। যদিও অপরাধীরা তা অপছন্দ করে।
বদর যুদ্ধের মাধ্যমে আসলেই হক বাতিলের পার্থক্য হয়েছিল। সকলে বুঝতে পেরেছিল কারা হক আর কারা বাতিল। এমনিভাবে মক্কা বিজয়ও সংগঠিত হয়েছে এই রমাদান মাসেই। কুফর শিরকের উপর ইসলামের মহা বিজয় সাধিত হয়েছে এই রমাদান মাসেই। আর হবেই না কেন? রমাদান হলো, আল্লাহ তায়ালার পবিত্র নাম। উপরে উল্যেখিত বাকারার আয়াতের ব্যাখ্যায় ইবনে কাসীরে এ ব্যাপারে একটি হাদীস উল্যেখিত আছে।
সুতরাং, হে আমার তাওহীদবাদী ভাই ! সবদিক দিয়েই রমাদান হলো হকের বিজয় আর বাতিলের পরাজয়ের মাস। তাহলে,
১) আমি কি পেরেছি গুনাহ নামক বাতিলের উপর গুনাহ বর্জন নামক হককে আমার মাঝে বিজয় লাভ করাতে?
২) নেক কাজ না করা নামক বাতিলকে পরাজিত করে নেক কাজ করা নামক হককে বিজয়মাল্য পরাতে?
৩) বদ অভ্যাস নামক বাতিলকে পদদলিত করে সদাচারণ নামক হককে বিজয়ী করতে?
৪) গাফলতি নামক বাতিলকে চূর্মার করে উদ্যমতার হককে নিজের মাঝে প্রতিষ্ঠা করতে?
এমনিভাবে সকল খারাবীকে পরাজিত করে হককে বিজয়ী করতে পেরেছি? না কি আমি ( নাঊযুবিল্লাহ) বাতিলের উপরেই আছি আর হক আমার থেকে দূরেই রয়ে গেছে?
হে হিদায়াতদাতা ! আমদের তুমি হিদায়াত দাও।
হে সঠিক উপলব্ধি দানকারী ! আমাদেরকে সঠিক উপলব্ধি দান করো। আমীন।।
✍️:মাওলানা আহমাদ লাবীব হাফি. ।।
Comment