ভোলায় চরমোনাই+কওমীপন্থী অন্যান্যদের দ্বারা আহলে হাদীসদের মসজিদ ভাঙ্গা এবং আল-ওয়ালা ওয়াল বারার আকীদার ভিত্তিতে কিছু কথা।
প্রথমতঃ চরমোনাই+কওমীপন্থী এবং আহলে হাদীসের মধ্যে বিরোধ ঈমান বনাম কুফরের মতো মৌলিক কোনো বিষয় নিয়ে নয় বরং আকীদা ও আমলের বিভিন্ন শাখা প্রশাখাগত বিষয় এবং মাযহাব, ফিকহ,ইজতেহাদী কিছু বিষয় ইত্যাদি নিয়ে। ফলে এই উভয় দল কেউ কাউকে কাফির মনে করে না। যদিও চরমোনাই+কওমীপন্থী অনেকেই আহলে হাদীসদেরকে ইহুদী-খ্রিস্টানদের দালাল বলে প্রোপাগান্ডা করে থাকে। অবশ্য উভয় দলের কিছু ব্যক্তি একে অপরকে কাফির-মুশরিক আখ্যাও দিয়ে থাকে।
.
দ্বিতীয়তঃ জিহাদ বিরোধীতা এবং জিহাদ ও জিহাদপন্থীদের দমন করতে ত্বগুত শাসকদের পক্ষে চরমোনাই+সমমনা এবং আহলে হাদীসদের মধ্যে মৌলিক কোনো তফাৎ নেই। অর্থাৎ জিহাদের বিকৃতি এবং জিহাদ ও মুজাহিদদের ক্ষতিসাধনে এই উভয় দলের সক্রিয় অংশগ্রহণ রয়েছে।
আমরা যদি ইসলামের বিরুদ্ধে বর্তমান পৃথিবীর ইহুদী-খ্রিস্টানদের সবচেয়ে বড় এজেন্ডা দেখি তা হচ্ছে জিহাদের বিরোধিতা এবং মুসলিমদের হৃদয় ও আমল থেকে জিহাদের প্রতি ভালোবাসা মুছে ফেলা কিংবা তা বিকৃত করা। এক্ষেত্রে এই উভয় দলই নিজেদের অজান্তেই ইহুদী-খ্রিস্টানদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখছে।
.
তৃতীয়তঃ চরমোনাই দলটি আকীদাগতভাবে বিভিন্ন কুফর ও শিরকে নিমজ্জিত,যা তাদের মুরব্বীদের লিখিত পুস্তকসমূহে এবং শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের বক্তব্যে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ আছে। এমনকি চরমোনাইর প্রথম পীর মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ এছহাক লিখিত “ভেদে মারেফাত” পুস্তকের ১৫ পৃষ্ঠায় আল্লাহ তা’আলার আন্দাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এধরণের কুফুরী বক্তব্য থাকার পরে যদি কারো কাছে এই দলটিকে হক্ব মনে হয়,তাহলে বুঝতে হবে তাদের মানদণ্ড কুরআন-সুন্নাহ নয় অন্য কিছু।
.
চতুর্থতঃ চরমোনাই এবং আহলে হাদীস উভয় দলই ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী জিন্দিক ও ত্বগুত দল আওয়ামীলীগকে ইসলামের শত্রু মনে করে না বরং মুসলিম দল মনে করে এবং ভাই মনে করে। কিন্তু চরমোনাই এবং আহলে হাদীস একে অপরকে বাতিল মনে করে। ফলে চরমোনাই +সমমনা দলগুলো ভোলায় আওয়ামীলীগের স্থানীয় চেয়ারম্যান ও নেতা-কর্মীদেরকে নিয়ে তাদের দাবিতে বাতিল আহলে হাদীসের মসজিদ ভেঙ্গেছে।
ধর্মনিরপেক্ষতাবাতী ত্বগুত দল আওয়ামীলীগের ব্যাপারে চরমোনাই এবং আহলে হাদীস কাছাকাছি আকীদা পোষণ করে। ফলে উভয় দলই এই ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী ত্বগুত দলটির বড় বড় নেতাদেরকে মাহফিলের অতিথি বানিয়ে নিজেদেরকে হক্বের ঠিকাদার হিসেবে পেশ করে থাকে। এছাড়া উভয় দলই বিশ্বব্যাপী পরিচালিত জিহাদের বিরোধিতার মাধ্যমে ত্বগুতের কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করে থাকে।
.
পঞ্চমতঃ চরমোনাই ও সমমনা দলগুলো যেভাবে আহলে হাদীসকে মোকাবেলায় ক্ষমতাসীন ত্বগুতদের সহায়তা নিচ্ছে, একইভাবে আহলে হাদীসরাও টিকে থাকার জন্য এবং নিজেদের মতবাদ প্রচার করার জন্য ক্ষমতাসীন ত্বগুতদের সহায়তা নিচ্ছে এবং নিবে। এতে প্রমাণিত হয়, শাখা-প্রশাখাগত বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে গিয়ে এই দলগুলো ত্বগুতের নৈকট্যে যাচ্ছে। এরফলে ত্বগুতী শক্তি নিজেদের কুফুরী এজেন্ডা বাস্তবায়নে এই দলগুলোকে ব্যবহারের পূর্ণ সুযোগ কাজে লাগিয়ে থাকে।
উদাহরণস্বরূপঃ এদেশে ‘জঙ্গিবাদ’ নাম দিয়ে জিহাদের বিরোধিতার ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন ত্বগুত সরকার এই উভয় মতবাদের অনুসারীদেরকে পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগিয়েছে এবং এখনো লাগাচ্ছে।
.
ষষ্ঠতঃ একে অপরকে সার্বিকভাবে কাফির দল মনে না করার পরও নির্মূল করার চিন্তা থেকে এটি পরিষ্কার যে, এই দলগুলো ইসলামের পক্ষ-বিপক্ষ চিনতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে এবং এদের মতবাদে ইসলামের আল-ওয়ালা ওয়াল-বারা অনুপস্থিত। ফলে এই দলগুলো কুফুরী নয় এমন মতপার্থক্য ভুলে গিয়ে চরম ইসলাম বিদ্বেষী ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী ত্বগুত-মুরতাদদের বিরুদ্ধে কখনো ঐক্যবদ্ধ হতে পারেনি এবং এই চিন্তাও তাদের মাথায় আছে কিনা সন্দেহ।
.
সপ্তমতঃ নিজেদের বাতিল আকীদার সংশোধন এবং নিজেদের পারস্পরিক মতভেদকে সর্বনিম্ন পর্যায়ে রেখে চরম ইসলাম বিদ্বেষী সেক্যুলার ত্বগুতী শক্তির বিরুদ্ধে কোনো ধরণের চেষ্টা এই দলগুলোর মধ্যে পরিলক্ষিত হয় না। ফলে ত্বগুত আরো পাকাপোক্ত হচ্ছে এবং ইসলামের নামে গঠিত ও নিজেদেরকে হক্কানী দাবীদার এই দলগুলো মানুষকে আরো বেশি গোমরাহ করছে।
.
অষ্টমতঃ মুসলিম উম্মাহর মধ্যে এধরণের দল ও তাদের অনুসারীর আধিক্য আমাদেরকে পরিষ্কারভাবে স্পেন ও বোখারা-সমরকন্দের হৃদয়বিদারক ও করুণ পরিণতি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। ফলে আমরা যদি ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি থেকে মুসলিম উম্মাহকে রক্ষা করতে চাই, তাহলে তাওহীদের আকীদার ভিত্তিতে মুসলিমদের মাঝে ইখতেলাফী মতবিরোধকে সর্বনিম্ন পর্যায়ে রেখে সকল ইসলাম বিদ্বেষী ত্বগুতী শক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে এবং সর্বাত্মক লড়াইয়ে শরীক হতে হবে।
.
পরিশেষে আফসোসের সাথে বলতে চাই, আল্লাহদ্রোহী মতবাদের অনুসারীদের সরাসরি সহায়তায় আজকে হয়তো একদল প্রতিপক্ষ মুসলিম দলের মসজিদ ভাঙ্গছে । এমন কঠিন দিনও হয়তো দেখা লাগতে পারে যেদিন, এই আল্লাহদ্রোহী ত্বগুত দলটি এই হক্কানী (!) ও সহীহ (!) দলের অ
নুসারীদেরকে মসজিদে গুলি করে মারবে এবং তাদের মসজিদে তালা ঝুলাবে।
তবে ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শের সাথে মিল-মহব্বত রেখে তাল মিলিয়ে চললে হয়তো তেমনটি নাও দেখা লাগতে পারে।
.
শেষ করার পূর্বে বেদনাহত আহলে হাদীস সমর্থকদেরকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, জিহাদের কথা স্পষ্টভাবে বলা এবং জিহাদের সাথে সম্পর্ক রাখার কারণে যেসব আলিম এবং ভাইয়েরা ত্বগুতের কারাগারে নির্মম নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন, আপনাদের শায়েখরা কী সেইসব জিহাদপন্থী আলিম ও ভাইদেরকে কটাক্ষ করেনি ??
আপনাদের শায়েখ মতিউর রহমান মাদানী কী ত্বগুতের কারাগারে বন্দী এই ভূমিতে তাওহীদ এবং জিহাদের অগ্রসেনানী ও মহান আলিম মুফতি জসিমুদ্দীন রাহমানী হাফিঃ কে ত্বগুত কর্তৃক নির্যাতনকে ‘উচিৎ শিক্ষা’ বলেনি ?? অর্থাৎ আপনারা ত্বগুত-মুরতাদের হাতে মুসলিমদের নির্যাতনকে খোশ আমদেদ জানিয়েছেন !
সুতরাং এখন সেই “উলুল আমর” ত্বগুত সরকারের দলীয় নেতাকর্মীরা আপনাদের মসজিদ ভেঙ্গেছে, যা আপনাদের আল-ওয়ালা ওয়াল বারা বিহীন মতবাদের প্রাপ্য একটি প্রতিদান মাত্র।
আপনাদের শায়েখরা ত্বগুতকে যেভাবে সন্তুষ্ট করার আপ্রাণ চেষ্টায় লিপ্ত আছে, ত্বগুতকে আরো বেশি সন্তুষ্ট করতে পারলে হয়তো আবার এই মসজিদ পুনঃর্নির্মাণও করে দিতে পারে ! !
.
এই দলগুলোকে স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দিতে চাই, তালিবান ও তানযীম আল-কায়েদার অধীনে তাওহীদ ও জিহাদের বিশুদ্ধ মানহাজে বিশ্বব্যাপী পরিচালিত জিহাদের সাথে যুক্ত ব্যক্তিগণ এইসব বাতিল দলগুলোকে কখনো কাফির-মুরতাদদের হাতে নির্যাতিত হতে দেখে সন্তুষ্ট হন না । আমরা কখনোই একজন মুসলিমকে কাফির-মুরতাদদের হাতে সোপর্দ করি না কিংবা যত ক্ষতিই করুক না কেনো এসব দলের কাউকে কাফির-মুশরিকদের মাধ্যমে কোনো ক্ষতি করার চেষ্টা করি না, যা এসব দলের অনুসারীরা নিয়মিতই করে থাকে।
কারণ, আমাদের মানহাজ কুরআন এবং সুন্নাহর উপর সুদৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত।
আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে সকল বাতিল থেকে হিফাযত করে হক্বের উপর ইস্তিকামাত রাখুন।
.
বিঃদ্রঃ চরমোনাই+সমমনা কওমী অনুসারীরা গত বুধবার ১১ জুলাই ভোলা জেলা সদরের বাপ্তা ইউনিয়নে অবস্থিত আহলে হাদীসের এই মসজিদটি ভেঙ্গে ফেলে।
প্রথমতঃ চরমোনাই+কওমীপন্থী এবং আহলে হাদীসের মধ্যে বিরোধ ঈমান বনাম কুফরের মতো মৌলিক কোনো বিষয় নিয়ে নয় বরং আকীদা ও আমলের বিভিন্ন শাখা প্রশাখাগত বিষয় এবং মাযহাব, ফিকহ,ইজতেহাদী কিছু বিষয় ইত্যাদি নিয়ে। ফলে এই উভয় দল কেউ কাউকে কাফির মনে করে না। যদিও চরমোনাই+কওমীপন্থী অনেকেই আহলে হাদীসদেরকে ইহুদী-খ্রিস্টানদের দালাল বলে প্রোপাগান্ডা করে থাকে। অবশ্য উভয় দলের কিছু ব্যক্তি একে অপরকে কাফির-মুশরিক আখ্যাও দিয়ে থাকে।
.
দ্বিতীয়তঃ জিহাদ বিরোধীতা এবং জিহাদ ও জিহাদপন্থীদের দমন করতে ত্বগুত শাসকদের পক্ষে চরমোনাই+সমমনা এবং আহলে হাদীসদের মধ্যে মৌলিক কোনো তফাৎ নেই। অর্থাৎ জিহাদের বিকৃতি এবং জিহাদ ও মুজাহিদদের ক্ষতিসাধনে এই উভয় দলের সক্রিয় অংশগ্রহণ রয়েছে।
আমরা যদি ইসলামের বিরুদ্ধে বর্তমান পৃথিবীর ইহুদী-খ্রিস্টানদের সবচেয়ে বড় এজেন্ডা দেখি তা হচ্ছে জিহাদের বিরোধিতা এবং মুসলিমদের হৃদয় ও আমল থেকে জিহাদের প্রতি ভালোবাসা মুছে ফেলা কিংবা তা বিকৃত করা। এক্ষেত্রে এই উভয় দলই নিজেদের অজান্তেই ইহুদী-খ্রিস্টানদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখছে।
.
তৃতীয়তঃ চরমোনাই দলটি আকীদাগতভাবে বিভিন্ন কুফর ও শিরকে নিমজ্জিত,যা তাদের মুরব্বীদের লিখিত পুস্তকসমূহে এবং শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের বক্তব্যে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ আছে। এমনকি চরমোনাইর প্রথম পীর মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ এছহাক লিখিত “ভেদে মারেফাত” পুস্তকের ১৫ পৃষ্ঠায় আল্লাহ তা’আলার আন্দাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এধরণের কুফুরী বক্তব্য থাকার পরে যদি কারো কাছে এই দলটিকে হক্ব মনে হয়,তাহলে বুঝতে হবে তাদের মানদণ্ড কুরআন-সুন্নাহ নয় অন্য কিছু।
.
চতুর্থতঃ চরমোনাই এবং আহলে হাদীস উভয় দলই ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী জিন্দিক ও ত্বগুত দল আওয়ামীলীগকে ইসলামের শত্রু মনে করে না বরং মুসলিম দল মনে করে এবং ভাই মনে করে। কিন্তু চরমোনাই এবং আহলে হাদীস একে অপরকে বাতিল মনে করে। ফলে চরমোনাই +সমমনা দলগুলো ভোলায় আওয়ামীলীগের স্থানীয় চেয়ারম্যান ও নেতা-কর্মীদেরকে নিয়ে তাদের দাবিতে বাতিল আহলে হাদীসের মসজিদ ভেঙ্গেছে।
ধর্মনিরপেক্ষতাবাতী ত্বগুত দল আওয়ামীলীগের ব্যাপারে চরমোনাই এবং আহলে হাদীস কাছাকাছি আকীদা পোষণ করে। ফলে উভয় দলই এই ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী ত্বগুত দলটির বড় বড় নেতাদেরকে মাহফিলের অতিথি বানিয়ে নিজেদেরকে হক্বের ঠিকাদার হিসেবে পেশ করে থাকে। এছাড়া উভয় দলই বিশ্বব্যাপী পরিচালিত জিহাদের বিরোধিতার মাধ্যমে ত্বগুতের কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করে থাকে।
.
পঞ্চমতঃ চরমোনাই ও সমমনা দলগুলো যেভাবে আহলে হাদীসকে মোকাবেলায় ক্ষমতাসীন ত্বগুতদের সহায়তা নিচ্ছে, একইভাবে আহলে হাদীসরাও টিকে থাকার জন্য এবং নিজেদের মতবাদ প্রচার করার জন্য ক্ষমতাসীন ত্বগুতদের সহায়তা নিচ্ছে এবং নিবে। এতে প্রমাণিত হয়, শাখা-প্রশাখাগত বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে গিয়ে এই দলগুলো ত্বগুতের নৈকট্যে যাচ্ছে। এরফলে ত্বগুতী শক্তি নিজেদের কুফুরী এজেন্ডা বাস্তবায়নে এই দলগুলোকে ব্যবহারের পূর্ণ সুযোগ কাজে লাগিয়ে থাকে।
উদাহরণস্বরূপঃ এদেশে ‘জঙ্গিবাদ’ নাম দিয়ে জিহাদের বিরোধিতার ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন ত্বগুত সরকার এই উভয় মতবাদের অনুসারীদেরকে পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগিয়েছে এবং এখনো লাগাচ্ছে।
.
ষষ্ঠতঃ একে অপরকে সার্বিকভাবে কাফির দল মনে না করার পরও নির্মূল করার চিন্তা থেকে এটি পরিষ্কার যে, এই দলগুলো ইসলামের পক্ষ-বিপক্ষ চিনতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে এবং এদের মতবাদে ইসলামের আল-ওয়ালা ওয়াল-বারা অনুপস্থিত। ফলে এই দলগুলো কুফুরী নয় এমন মতপার্থক্য ভুলে গিয়ে চরম ইসলাম বিদ্বেষী ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী ত্বগুত-মুরতাদদের বিরুদ্ধে কখনো ঐক্যবদ্ধ হতে পারেনি এবং এই চিন্তাও তাদের মাথায় আছে কিনা সন্দেহ।
.
সপ্তমতঃ নিজেদের বাতিল আকীদার সংশোধন এবং নিজেদের পারস্পরিক মতভেদকে সর্বনিম্ন পর্যায়ে রেখে চরম ইসলাম বিদ্বেষী সেক্যুলার ত্বগুতী শক্তির বিরুদ্ধে কোনো ধরণের চেষ্টা এই দলগুলোর মধ্যে পরিলক্ষিত হয় না। ফলে ত্বগুত আরো পাকাপোক্ত হচ্ছে এবং ইসলামের নামে গঠিত ও নিজেদেরকে হক্কানী দাবীদার এই দলগুলো মানুষকে আরো বেশি গোমরাহ করছে।
.
অষ্টমতঃ মুসলিম উম্মাহর মধ্যে এধরণের দল ও তাদের অনুসারীর আধিক্য আমাদেরকে পরিষ্কারভাবে স্পেন ও বোখারা-সমরকন্দের হৃদয়বিদারক ও করুণ পরিণতি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। ফলে আমরা যদি ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি থেকে মুসলিম উম্মাহকে রক্ষা করতে চাই, তাহলে তাওহীদের আকীদার ভিত্তিতে মুসলিমদের মাঝে ইখতেলাফী মতবিরোধকে সর্বনিম্ন পর্যায়ে রেখে সকল ইসলাম বিদ্বেষী ত্বগুতী শক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে এবং সর্বাত্মক লড়াইয়ে শরীক হতে হবে।
.
পরিশেষে আফসোসের সাথে বলতে চাই, আল্লাহদ্রোহী মতবাদের অনুসারীদের সরাসরি সহায়তায় আজকে হয়তো একদল প্রতিপক্ষ মুসলিম দলের মসজিদ ভাঙ্গছে । এমন কঠিন দিনও হয়তো দেখা লাগতে পারে যেদিন, এই আল্লাহদ্রোহী ত্বগুত দলটি এই হক্কানী (!) ও সহীহ (!) দলের অ
নুসারীদেরকে মসজিদে গুলি করে মারবে এবং তাদের মসজিদে তালা ঝুলাবে।
তবে ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শের সাথে মিল-মহব্বত রেখে তাল মিলিয়ে চললে হয়তো তেমনটি নাও দেখা লাগতে পারে।
.
শেষ করার পূর্বে বেদনাহত আহলে হাদীস সমর্থকদেরকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, জিহাদের কথা স্পষ্টভাবে বলা এবং জিহাদের সাথে সম্পর্ক রাখার কারণে যেসব আলিম এবং ভাইয়েরা ত্বগুতের কারাগারে নির্মম নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন, আপনাদের শায়েখরা কী সেইসব জিহাদপন্থী আলিম ও ভাইদেরকে কটাক্ষ করেনি ??
আপনাদের শায়েখ মতিউর রহমান মাদানী কী ত্বগুতের কারাগারে বন্দী এই ভূমিতে তাওহীদ এবং জিহাদের অগ্রসেনানী ও মহান আলিম মুফতি জসিমুদ্দীন রাহমানী হাফিঃ কে ত্বগুত কর্তৃক নির্যাতনকে ‘উচিৎ শিক্ষা’ বলেনি ?? অর্থাৎ আপনারা ত্বগুত-মুরতাদের হাতে মুসলিমদের নির্যাতনকে খোশ আমদেদ জানিয়েছেন !
সুতরাং এখন সেই “উলুল আমর” ত্বগুত সরকারের দলীয় নেতাকর্মীরা আপনাদের মসজিদ ভেঙ্গেছে, যা আপনাদের আল-ওয়ালা ওয়াল বারা বিহীন মতবাদের প্রাপ্য একটি প্রতিদান মাত্র।
আপনাদের শায়েখরা ত্বগুতকে যেভাবে সন্তুষ্ট করার আপ্রাণ চেষ্টায় লিপ্ত আছে, ত্বগুতকে আরো বেশি সন্তুষ্ট করতে পারলে হয়তো আবার এই মসজিদ পুনঃর্নির্মাণও করে দিতে পারে ! !
.
এই দলগুলোকে স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দিতে চাই, তালিবান ও তানযীম আল-কায়েদার অধীনে তাওহীদ ও জিহাদের বিশুদ্ধ মানহাজে বিশ্বব্যাপী পরিচালিত জিহাদের সাথে যুক্ত ব্যক্তিগণ এইসব বাতিল দলগুলোকে কখনো কাফির-মুরতাদদের হাতে নির্যাতিত হতে দেখে সন্তুষ্ট হন না । আমরা কখনোই একজন মুসলিমকে কাফির-মুরতাদদের হাতে সোপর্দ করি না কিংবা যত ক্ষতিই করুক না কেনো এসব দলের কাউকে কাফির-মুশরিকদের মাধ্যমে কোনো ক্ষতি করার চেষ্টা করি না, যা এসব দলের অনুসারীরা নিয়মিতই করে থাকে।
কারণ, আমাদের মানহাজ কুরআন এবং সুন্নাহর উপর সুদৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত।
আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে সকল বাতিল থেকে হিফাযত করে হক্বের উপর ইস্তিকামাত রাখুন।
.
বিঃদ্রঃ চরমোনাই+সমমনা কওমী অনুসারীরা গত বুধবার ১১ জুলাই ভোলা জেলা সদরের বাপ্তা ইউনিয়নে অবস্থিত আহলে হাদীসের এই মসজিদটি ভেঙ্গে ফেলে।
Comment