মেইন পোস্ট দেখতে এই লিংক দেখুনঃhttps://dawahilallah.com/showthread....A6%A4%E0%A6%AE
মাশাআল্লাহ যেন
قطعت جهيزة قول كل خطيب হ*য়ে*ছে!
এখানে সহজ একটি বিষয় আমরা এভাবেও বুঝতে পারি , কারো সৌন্দর্যের প্রশংসায় বলা হলোঃ
তার পুরো শরীরের মধ্যে ঠোট দুটি সবচেয়ে সুন্দর, সর্বাধিক চিত্তাকর্ষক , সবচেয়ে মুগ্ধকর, চোখের চেয়ে বেশী উন্মাদনা সৃষ্টিকারী নাকের চেয়ে বেশী হৃদয়গ্রাহী গালের চেয়ে বেশী উজ্জ্বল...।
তাহলে কি এর অর্থ দাঁড়ায় সেগুলোর মুকাবিলায় এটি একা বেশী সুন্দর ? নাকি সেগুলোর সাথে থেকে সুন্দর ?
এমনিভাবে আ'মালের সাথে যদি যিকির থাকে তাহলে সেটি আল্লাহর নৈকট্যের যেমন উসিলা হবে যিকির শূন্য আমাল তেমন হবেনা।
যিকর শূন্য গাফলতের নামাযের চেয়ে ইহছানের নামাযের মূল্য বেশী।
ইহছানের অর্থ কী ...?
"আল্লাহ কে আমি দেখছি /আল্লাহ আমাকে দেখছেন এই ধ্যান নিয়ে কাজ করা"। তাই নয় কি?
আপনি যদি ইহছান আদায় করতে গিয়ে আল্লাহ আমাকে দেখতেছেন এই ধ্যান নিয়ে বসে থেকে নামাযের সময় পার করে দেন ,
আর দলীল পেশ করেন যে,
إِنَّ الصَّلَاةَ تَنْهَى عَنِ الْفَحْشَاءِ وَالْمُنْكَرِ وَلَذِكْرُ اللَّهِ أَكْبَرُ
"নামাজ অশ্লীলতা ও অন্যায় থেকে নিষেধ করে আর আল্লাহর যিকির সবচেয়ে বড়।"
وَأَقِمِ الصَّلَاةَ لِذِكْرِي
"আমার স্মরণের উদ্দেশ্যে নামাজ আদায় করো "
যেমন পাকিস্তানের যিক্রি গ্রুপ নামাজ বাদ দিয়ে ৫ ওয়াক্ত যিকির করে থাকে।
আপনিই বলুন ! এই ইহছানি যিকির আর যিকির বিহীন নামাযের মধ্যে 'কোনটি উত্তমের' কোন প্রশ্ন হতে পাড়ে !?
একজন 'ধ্যান' করে কিন্তু নামাজ পড়েনা, অন্যজন 'ধ্যান' ছাড়া নামাজ পড়ে, কে উত্তম ?!
জিহাদ যখন ফরযে আইন , (অথবা বর্তমানের খবর না থাকার কারণে হয়তো কেহ কিফায়া বলবেন; এখন কাফি পরিমানে) সেটি আদায় হওয়া ছাড়া যদি মন-যবান দ্বারা যিকিরে ধ্যানে মগ্ন হয়ে থাকেন আর জিহাদ তরকের ফিসকের সাথে থাকা হয়, তাহলে সে কি যিকির বিহীন মুজাহিদ থেকে উত্তম হয়ে যাবে ?
যিকির যেমন যবানের দ্বারা হয় তেমন অন্তর দ্বারাও হয় আবার অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দ্বারাও হয়। এসব ধাপের মধ্যে কিছু আছে ফরজ
যেমন কিরাত পড়া(যবানের যিকর)।
নিয়্যত করা(অন্তরের যিকর)।
রুকুসিজদা করা(অংগ প্রত্যাঙ্গের যিকর)।
কোন এক প্রকারের ফরজ দিয়ে অন্য প্রকারের ফরজ আদায় করার চিন্তা করা যায়না ।
কোন ভাবেই এক প্রকারের ফরজ এর মুকাবিলায় অন্য প্রকারের নফল মুস্তাহাবকে দাঁড় করানো যাবে না।
এখন মাথা নুইয়ে রুকু করা আর কপাল ঠেকিয়ে সিজদা করা এটি ও যিকর আবার সিজদায় সুবহানা রাব্বিয়াল আ'লা পড়া এটিও যিকর ।
আবার অন্তরে সুবহানা রাব্বিয়াল আ'লার অর্থ খেয়াল করে ধ্যান করা সেটিও যিকির।
তবে মাথা নুইয়ে পিঠদিয়ে রুকু করা এটি ফরজ আর তাসবীহ পড়া সুন্নত ...। কোনটি উত্তম বলুন?!
যখন নামাজের উদ্দ্যেশ্যই হলো যিকির!
বলুন ! নামাজের মধ্যে লম্বা কিয়াম উত্তম না লম্বা সিজদা উত্তম?
মুজতাহিদগণের সে ব্যাপারে ভিন্ন ভিন্ন মত রয়েছে কিন্তু কেউ কি একটি ছেড়ে অপরটি লম্বা করার কথা বলেছেন?
যেন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জানিয়ে দিচ্ছেনঃ
"হে নামাজী ! তোমার খুশু তোমাকে আল্লাহর যে সান্নিধ্যে পৌছাঁবে শুধু রুকু সে সান্নিধ্যে পৌছাবে না, ..."
"হে মুজাহিদ ! তোমার যিকির তোমার জন্য আল্লাহর যে নুছরত বয়ে আনবে তোমার আঘাতে সে কাজ হবেন..."
(আল্লাহু আলাম)
মোট কথা প্রত্যেক আমলের সাথেই যিকিরের সম্পর্ক আছে ,
إِلَيْهِ يَصْعَدُ الْكَلِمُ الطَّيِّبُ وَالْعَمَلُ الصَّالِحُ يَرْفَعُهُ
এই আয়াতে বলা হয়েছেঃ
"আল্লাহর দিকে পবিত্র বাণী (যিকর) আরোহণ করে , আর সেটি আমলে ছালেহ কে উন্নত করে।"
আয়াতের আরেকটি স্বীকৃত তাফসীর হলঃ
"আল্লাহর দিকে পবিত্র বাণী আরোহন করে এবং আমলে ছালেহ তাকে উপরে উঠায় ।"
এখন আমল বাদ দিয়ে যিকর করলে এই যিকর কাকে উপরে উঠাবে ?
আর যিকর ছাড়া আমল উন্নত হবে কিভাবে ?
প্রত্যেক আমলকারী কে বলা হচ্ছে আমলের অহমিকায় না থেকে সেটিকে আল্লাহর স্মরণে ন্যাস্ত করতে ।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতিনিয়ত যিকিরের সাথে থাকতেন।
সাহাবায়ে কিরাম এই হাদিস শুনে জিহাদ ছেড়ে যিকরে বসে যাননি , যেমনটি পাকিস্তানের যিক্রি গ্রুপ শুরু করেছে।
তারা নামাজের বিকল্প যিক্রি গ্রুপ হয়েছে আর এখন কিছু লোক জিহাদের বিকল্প যিক্রি হওয়ার ততপড়তায় লিপ্ত !
গুমরাহি কিন্তু একই।!
আল্লাহ তায়ালা সঠিক বুঝ নছীব করেন।
ভুলে গেলে চলবে না যে, জিহাদ বর্তমানে ফরযে আইন। যিকির করা ফরয নয়, মুস্তাহাব। যারা সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও জিহাদ ছেড়ে যিকিরে লিপ্ত আছেন, তারা- যদি সব ধরণের শিরিক বিদআত থেকে মুক্ত থাকেন- তাহলে অন্তত এতটুকু বলতে হবে যে, ফরযে আইন তরকের গুনাহে লিপ্ত আছেন। আর যেসব মুজাহিদ ইস্তিহজার ও কামেল যিকির ছাড়া শুধু জিহাদে লিপ্ত আছেন, তাদের ক্ষেত্রে এটা নিশ্চিত যে, তারা নফল যিকিরের ফজিলত না পেলেও অন্তত কোন ফরয তরকের গুনাহে লিপ্ত নন। অতএব, এ হিসাবে জিহাদে লিপ্ত যেকোন মুজাহিদ- যদি তিনি অন্যান্য গুনাহ থেকে বিরত থাকেন, জিহাদ তরককারী- যদিও অন্য সকল ফরয আদায়কারী হয়ে থাকেন- যেকোন যিকিরকারীর চেয়ে উত্তম। কেননা, যিকিরকারী ফরযে আইন তরকের গুনাহে লিপ্ত, আর মুজাহিদ নফলে লিপ্ত না থাকলেও কোন ফরয তরকের গুনাহে লিপ্ত নন। আর স্পষ্ট যে, আল্লাহর নাফরমানীতে লিপ্ত ব্যক্তি কিছুতেই ঐ ব্যক্তির মতো নয়, যে আল্লাহর সবগুলো ফরয আদায়ে লিপ্ত আছেন এবং কোন ধরণের নাফরমানীতে লিপ্ত নন।
قطعت جهيزة قول كل خطيب হ*য়ে*ছে!
এখানে সহজ একটি বিষয় আমরা এভাবেও বুঝতে পারি , কারো সৌন্দর্যের প্রশংসায় বলা হলোঃ
তার পুরো শরীরের মধ্যে ঠোট দুটি সবচেয়ে সুন্দর, সর্বাধিক চিত্তাকর্ষক , সবচেয়ে মুগ্ধকর, চোখের চেয়ে বেশী উন্মাদনা সৃষ্টিকারী নাকের চেয়ে বেশী হৃদয়গ্রাহী গালের চেয়ে বেশী উজ্জ্বল...।
তাহলে কি এর অর্থ দাঁড়ায় সেগুলোর মুকাবিলায় এটি একা বেশী সুন্দর ? নাকি সেগুলোর সাথে থেকে সুন্দর ?
এমনিভাবে আ'মালের সাথে যদি যিকির থাকে তাহলে সেটি আল্লাহর নৈকট্যের যেমন উসিলা হবে যিকির শূন্য আমাল তেমন হবেনা।
যিকর শূন্য গাফলতের নামাযের চেয়ে ইহছানের নামাযের মূল্য বেশী।
ইহছানের অর্থ কী ...?
"আল্লাহ কে আমি দেখছি /আল্লাহ আমাকে দেখছেন এই ধ্যান নিয়ে কাজ করা"। তাই নয় কি?
আপনি যদি ইহছান আদায় করতে গিয়ে আল্লাহ আমাকে দেখতেছেন এই ধ্যান নিয়ে বসে থেকে নামাযের সময় পার করে দেন ,
আর দলীল পেশ করেন যে,
إِنَّ الصَّلَاةَ تَنْهَى عَنِ الْفَحْشَاءِ وَالْمُنْكَرِ وَلَذِكْرُ اللَّهِ أَكْبَرُ
"নামাজ অশ্লীলতা ও অন্যায় থেকে নিষেধ করে আর আল্লাহর যিকির সবচেয়ে বড়।"
وَأَقِمِ الصَّلَاةَ لِذِكْرِي
"আমার স্মরণের উদ্দেশ্যে নামাজ আদায় করো "
যেমন পাকিস্তানের যিক্রি গ্রুপ নামাজ বাদ দিয়ে ৫ ওয়াক্ত যিকির করে থাকে।
আপনিই বলুন ! এই ইহছানি যিকির আর যিকির বিহীন নামাযের মধ্যে 'কোনটি উত্তমের' কোন প্রশ্ন হতে পাড়ে !?
একজন 'ধ্যান' করে কিন্তু নামাজ পড়েনা, অন্যজন 'ধ্যান' ছাড়া নামাজ পড়ে, কে উত্তম ?!
জিহাদ যখন ফরযে আইন , (অথবা বর্তমানের খবর না থাকার কারণে হয়তো কেহ কিফায়া বলবেন; এখন কাফি পরিমানে) সেটি আদায় হওয়া ছাড়া যদি মন-যবান দ্বারা যিকিরে ধ্যানে মগ্ন হয়ে থাকেন আর জিহাদ তরকের ফিসকের সাথে থাকা হয়, তাহলে সে কি যিকির বিহীন মুজাহিদ থেকে উত্তম হয়ে যাবে ?
যিকির যেমন যবানের দ্বারা হয় তেমন অন্তর দ্বারাও হয় আবার অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দ্বারাও হয়। এসব ধাপের মধ্যে কিছু আছে ফরজ
যেমন কিরাত পড়া(যবানের যিকর)।
নিয়্যত করা(অন্তরের যিকর)।
রুকুসিজদা করা(অংগ প্রত্যাঙ্গের যিকর)।
কোন এক প্রকারের ফরজ দিয়ে অন্য প্রকারের ফরজ আদায় করার চিন্তা করা যায়না ।
কোন ভাবেই এক প্রকারের ফরজ এর মুকাবিলায় অন্য প্রকারের নফল মুস্তাহাবকে দাঁড় করানো যাবে না।
এখন মাথা নুইয়ে রুকু করা আর কপাল ঠেকিয়ে সিজদা করা এটি ও যিকর আবার সিজদায় সুবহানা রাব্বিয়াল আ'লা পড়া এটিও যিকর ।
আবার অন্তরে সুবহানা রাব্বিয়াল আ'লার অর্থ খেয়াল করে ধ্যান করা সেটিও যিকির।
তবে মাথা নুইয়ে পিঠদিয়ে রুকু করা এটি ফরজ আর তাসবীহ পড়া সুন্নত ...। কোনটি উত্তম বলুন?!
যখন নামাজের উদ্দ্যেশ্যই হলো যিকির!
বলুন ! নামাজের মধ্যে লম্বা কিয়াম উত্তম না লম্বা সিজদা উত্তম?
মুজতাহিদগণের সে ব্যাপারে ভিন্ন ভিন্ন মত রয়েছে কিন্তু কেউ কি একটি ছেড়ে অপরটি লম্বা করার কথা বলেছেন?
যেন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জানিয়ে দিচ্ছেনঃ
"হে নামাজী ! তোমার খুশু তোমাকে আল্লাহর যে সান্নিধ্যে পৌছাঁবে শুধু রুকু সে সান্নিধ্যে পৌছাবে না, ..."
"হে মুজাহিদ ! তোমার যিকির তোমার জন্য আল্লাহর যে নুছরত বয়ে আনবে তোমার আঘাতে সে কাজ হবেন..."
(আল্লাহু আলাম)
মোট কথা প্রত্যেক আমলের সাথেই যিকিরের সম্পর্ক আছে ,
إِلَيْهِ يَصْعَدُ الْكَلِمُ الطَّيِّبُ وَالْعَمَلُ الصَّالِحُ يَرْفَعُهُ
এই আয়াতে বলা হয়েছেঃ
"আল্লাহর দিকে পবিত্র বাণী (যিকর) আরোহণ করে , আর সেটি আমলে ছালেহ কে উন্নত করে।"
আয়াতের আরেকটি স্বীকৃত তাফসীর হলঃ
"আল্লাহর দিকে পবিত্র বাণী আরোহন করে এবং আমলে ছালেহ তাকে উপরে উঠায় ।"
এখন আমল বাদ দিয়ে যিকর করলে এই যিকর কাকে উপরে উঠাবে ?
আর যিকর ছাড়া আমল উন্নত হবে কিভাবে ?
প্রত্যেক আমলকারী কে বলা হচ্ছে আমলের অহমিকায় না থেকে সেটিকে আল্লাহর স্মরণে ন্যাস্ত করতে ।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতিনিয়ত যিকিরের সাথে থাকতেন।
সাহাবায়ে কিরাম এই হাদিস শুনে জিহাদ ছেড়ে যিকরে বসে যাননি , যেমনটি পাকিস্তানের যিক্রি গ্রুপ শুরু করেছে।
তারা নামাজের বিকল্প যিক্রি গ্রুপ হয়েছে আর এখন কিছু লোক জিহাদের বিকল্প যিক্রি হওয়ার ততপড়তায় লিপ্ত !
গুমরাহি কিন্তু একই।!
আল্লাহ তায়ালা সঠিক বুঝ নছীব করেন।
Comment