" শান্তির ধর্মের দোহাই দিয়ে উলামায়ে সূ'দের অশান্তির পায়তারা "
بسم الله الرحمن الرحيم
نحمده ونصلي علي رسوله الكريم اما بعد
"ইসলাম শান্তির ধর্ম" "শান্তির নামই ইসলাম" "ইসলামে না আছে মারামারি - কাটাকাটি আর না আছে মানুষ হত্যার কোন আয়োজন!"
বাহ! চমৎকার কিছু বাক্য!! সবগুলো বাক্যই খুব চতুরতার সাথে সাজানো! সবগুলো বাক্য যদিও মিথ্যে নয়, তবে উদ্দেশ্য আদায়ের ক্ষেত্রে রয়েছে বিশাল গড়বড়। আর উলামায়ে সূ'দের বক্তব্য কতটাইবা ভালো হবে?
আজ সমগ্র বিশ্ব যেখানে মুসলিম নিধনের আয়োজন সম্পন্ন করতে, তাদের ধর্মে "ধর্মযুদ্ধ" বলতে কিছু না থাকা সত্ত্বেও নিজেরা ধর্মযুদ্ধের প্রবর্তন করে নিয়েছে, সেখানে আজ মুসলিম উম্মাহর কতিপয় কলংক সদস্য নিজেদের ধর্মগ্রন্থে উল্লেখিত "ধর্মযুদ্ধ" তথা পবিত্র জিহাদকে কবর দিয়ে মুসলিম উম্মাহর পরাজয়কে নিশ্চিত করার জন্য কুফ্ফারদেরকে সহযোগিতা করছে।
তারা সাধারণ মুসলিম জনতার সামনে ইসলামকে এমনভাবে উপস্থাপন করে যে, ইসলাম শুধু সয়ে যাওয়ার নাম! প্রতিবাদ, প্রতিরোধ ও প্রতিশোধের অনুমোদন ইসলাম দেয়না। কেননা, ইসলাম তো শান্তির ধর্ম! আর শান্তি মানেই তো রক্তপাত না হওয়া। মারামারি-কাটাকাটি না থাকা। এই হলো তাদের বিষ মিশ্রিত মধুর বাক্য।
প্রিয় পাঠক! তাদের বক্তব্য ইসলাম শান্তির ধর্ম কথাটি যেমন সত্য, আর শান্তি মানেই মারামারি-কাটাকাটি, রক্তপাত না থাকা একথাগুলোও তেমনি মিথ্যা। ব্যপকভাবে এভাবে বলাটা আদৌ উচিত হবেনা। শরিয়তের গন্ডিতে থেকেই কথা বলতে হবে। অবশ্য দরবারি আলেমরা একথাগুলো বলতে সামান্য দ্বিধাবোধও করেনা। কারণ তারাতো আল্লাহকে বাদ দিয়ে তাগুতকে রব হিসেবে মেনেই নিয়েছে। সুতরাং গোলামি তাগুতের করবেনা তো করবে কার?
আচ্ছা বলুনতো! কোন চোর যদি চুরি করে তাহলে তার হাত কাটাটা শান্তির কারণ হবে নাকি না কাটাটা শান্তির কারণ হবে? আরে ভাই হাত না কাটলে তো এক চোর বারবার চুরি করবে। ছোট চোর ক'দিন পর বড় চোর হবে। এরপর ডাকাত হবে। মানুষের বাড়িঘরে হামলা করবে। মানুষের সম্পদ ছিনিয়ে নেবে। তাহলে হাত না কাটাটা শান্তির কারণ হলো নাকি অশান্তির কারণ হলো? নিঃসন্দেহে অশান্তির কারণ হলো।
পক্ষান্তরে আপনি যদি চোরের হাতটা কেটে দেন; রক্তপাত ঘটান; তাহলে, তা দেখে বাকি চোরগুলোও ভালো হয়ে যাবে। চুরি বন্ধ হয়ে যাবে। মানুষের বাড়িঘরগুলো নিরাপদ থাকবে। সকলে শান্তিতে ঘুমোতে পারবে। তাহলে বলুনতো! এখানে হাতকাটা, রক্ত প্রবাহিত করা শান্তির কারণ হলো কিনা? অবশ্যই শান্তির কারণ হলো।
সুতরাং, আমরা বুঝতে পারলাম- মারামারি-কাটাকাটি, রক্তপাত এগুলো সবজায়গাতেই খারাপ নয়! এবং সবজায়গাতেই এগুলো অশান্তির কারণ নয়!! বরং স্থান ও অবস্থাভেদে এগুলোর ভালোমন্দ নির্ণয় হয়। তাহলে শান্তি কোথায়? আর অশান্তি কোথায়? হ্যাঁ! মারামারি-কাটাকাটি, রক্ত প্রবাহ করা এগুলো কেবল সেখানেই শান্তির কারণ, যেখানে ইসলাম এগুলোর অনুমোদন দিয়েছে কিংবা উৎসাহিত করেছে অথবা নির্দেশ প্রদান করেছে।
যেমন: একজন "মুরতাদ" বা "শাতেমে রাসূল" সা:। ইসলাম এদের রক্ত প্রবাহের নির্দেশ দিয়েছে। সুতরাং, এদেরকে হত্যা করা, এদের রক্ত প্রবাহিত করা নিঃসন্দেহে শান্তির কারণ। এবং এক্ষেত্রে এরক্তপ্রবাহকরণের সাথেই ইসলাম শান্তির ধর্ম। এখানে রক্ত প্রবাহকরণ কখনোই শান্তির জন্য প্রতিবন্ধক নয়। বরং এখানে রক্তপ্রবাহকরণটাই শান্তিকে সুনিশ্চিত করেছে।
অতএব, ইসলামকে শান্তি ধর্ম প্রমাণ করার জন্য অপব্যাখ্যার আশ্রয় নেয়ার কোন প্রয়োজন বা সুযোগ তো ইসলাম রাখেইনি। তাহলে উলামায়ে সূ'রা কিভাবে এর অপব্যাখ্যা করে চলেছে? আসল কথা কি, উদ্দেশ্য যদি হয় শান্তির অন্তরালে অশান্তির পায়তারা, তখন ব্যপারগুলোকে তো উলামায়ে সূ'রা ঘোলাটে করবেই। আর এর দ্বারা তারা সাধারণ জনমনে দ্বিধাদন্দের দ্বার উন্মোচন করে দেয়। অথচ, এদের কথাগুলো যদি মেনে নেয়া হয়, তাহলে একথাও মেনে নিতে হবে{معاذ الله} কোরআন অশান্তির নির্দেশ দিয়েছে। রাসূল সাঃ ও সাহাবায়ে কেরাম রাঃ অশান্তির কাজ করেছেন। তখন তো আবার তাদের কথার দ্বারাই ইসলাম শান্তির ধর্ম থাকেনা।
প্রিয় পাঠক! অথচ, দেখুন কোরআন যুদ্ধের নির্দেশ দিচ্ছে। আর যুদ্ধ হচ্ছে রক্ত প্রবাহের সবচেয়ে বড় মাধ্যম!!
وقاتلوهم حتي لا تكون فتنة ويكون الدين كله لله
অর্থাৎ, আর তোমরা তাদের বিরুদ্ধে কিতাল করতে থাকো, যাবৎনা ফেতনা দূর হয়ে যায় ও দীন সম্পূর্ণভাবে আল্লাহর জন্য হয়ে যায়।
অপর আয়াতে আল্লাহ তা'আলা বলেন-
قاتلوا الذين لا يؤمنون بالله ولا باليوم الاخر ولا يحرمون ما حرم الله ورسوله
অর্থাৎ, তোমরা যুদ্ধ করতে থাকো, সেসব লোকদের সাথে যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসে ঈমান রাখেনা। এবং যারা সেসকল বিষয়কে হারাম মনে করেনা যা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল হারাম করেছেন।
এব্যপারে নবীজী সাঃ এরশাদ করেন-
امرت ان اقاتل الناس حتي يقول لا اله الا الله ويقيموا الصلاة ويؤتوا الزكوة
অর্থাৎ, আমাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, আমি যেনে লোকদের সাথে কিতাল করতে থাকি যতক্ষণ না তারা লা ইলাহা ইল্লাহ বলে, নামায কায়েম করে এবং যাকাত প্রদান করে।
সুতরাং, উল্লেখিত আয়াত ও হাদীসের মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারলাম- ইসলামে মারামারি-কাটাকাটি, রক্তপাত আছে। এবং এর অনুমোদন ও নির্দেশ ইসলাম দিয়েছে তার সুনির্দিষ্ট স্থানে। এবং ইসলাম যেখানে এগুলোর কথা বলেছে, সেখানে এগুলো শুধু বৈধই নয়!! বরং সর্বাধিক পূণ্যের কাজ। যেমনটি আল্লাহ তা'আলা এরশাদ করেছেন-
ان الله يحب الذين يقاتلون في سبيله صفا كانهم بنيان مرصوص
অর্থাৎ, নিশ্চয়ই আল্লাহ তা'আলা ভালবাসেন সেসকল লোকদেরকে, যারা তাঁর রাহে সারিবদ্ধ অবস্থায় যুদ্ধ করে। মনে হয় যেনো তাঁরা সীসাঢালা প্রাচীর।
অতএব, বাস্তব সম্মত কথা হলো এই যে, ইসলাম শান্তির ধর্ম। এবং মারামারি-কাটাকাটি, রক্তপ্রবাহ এগুলোও শান্তির প্রতিক, যেখানে ইসলাম বলে। সুতরাং, কেউ যদি শান্তির ধর্মের দোহাই দিয়ে মুসলমানদেরকে আল্লাহর নির্দেশিত ফরয বিধান "কিতাল" থেকে বিমুখ করতে চায়, তাহলে সে অবশ্যই কোরআানের বিরোধিতা করলো। সুন্নাতে রাসূল সাঃ ও আছারে সাহাবা রাঃ কে অস্বীকার করলো। এবং সে নিজেকে মুসলিমদের সামনে গাদ্দার হিসেবে উপস্থাপন করলো।
প্রিয় পাঠক! তাই এই মুহুর্তে আমাদের করণীয় হলো, এসকল দরবারি আলেমদের মিষ্টি কথার ফাঁদে না পড়ে নিজের দীন ও ঈমানকে হেফাজত করা। " ইসলাম শান্তির ধর্ম" একথার সঠিক ব্যাখ্যা নিজে বুঝা এবং উম্মাহকে বুঝানের চেষ্টা করা। আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে তাওফিক দান করুন! আমীন! ইয়া রব্বাল আলামিন!
بسم الله الرحمن الرحيم
نحمده ونصلي علي رسوله الكريم اما بعد
"ইসলাম শান্তির ধর্ম" "শান্তির নামই ইসলাম" "ইসলামে না আছে মারামারি - কাটাকাটি আর না আছে মানুষ হত্যার কোন আয়োজন!"
বাহ! চমৎকার কিছু বাক্য!! সবগুলো বাক্যই খুব চতুরতার সাথে সাজানো! সবগুলো বাক্য যদিও মিথ্যে নয়, তবে উদ্দেশ্য আদায়ের ক্ষেত্রে রয়েছে বিশাল গড়বড়। আর উলামায়ে সূ'দের বক্তব্য কতটাইবা ভালো হবে?
আজ সমগ্র বিশ্ব যেখানে মুসলিম নিধনের আয়োজন সম্পন্ন করতে, তাদের ধর্মে "ধর্মযুদ্ধ" বলতে কিছু না থাকা সত্ত্বেও নিজেরা ধর্মযুদ্ধের প্রবর্তন করে নিয়েছে, সেখানে আজ মুসলিম উম্মাহর কতিপয় কলংক সদস্য নিজেদের ধর্মগ্রন্থে উল্লেখিত "ধর্মযুদ্ধ" তথা পবিত্র জিহাদকে কবর দিয়ে মুসলিম উম্মাহর পরাজয়কে নিশ্চিত করার জন্য কুফ্ফারদেরকে সহযোগিতা করছে।
তারা সাধারণ মুসলিম জনতার সামনে ইসলামকে এমনভাবে উপস্থাপন করে যে, ইসলাম শুধু সয়ে যাওয়ার নাম! প্রতিবাদ, প্রতিরোধ ও প্রতিশোধের অনুমোদন ইসলাম দেয়না। কেননা, ইসলাম তো শান্তির ধর্ম! আর শান্তি মানেই তো রক্তপাত না হওয়া। মারামারি-কাটাকাটি না থাকা। এই হলো তাদের বিষ মিশ্রিত মধুর বাক্য।
প্রিয় পাঠক! তাদের বক্তব্য ইসলাম শান্তির ধর্ম কথাটি যেমন সত্য, আর শান্তি মানেই মারামারি-কাটাকাটি, রক্তপাত না থাকা একথাগুলোও তেমনি মিথ্যা। ব্যপকভাবে এভাবে বলাটা আদৌ উচিত হবেনা। শরিয়তের গন্ডিতে থেকেই কথা বলতে হবে। অবশ্য দরবারি আলেমরা একথাগুলো বলতে সামান্য দ্বিধাবোধও করেনা। কারণ তারাতো আল্লাহকে বাদ দিয়ে তাগুতকে রব হিসেবে মেনেই নিয়েছে। সুতরাং গোলামি তাগুতের করবেনা তো করবে কার?
আচ্ছা বলুনতো! কোন চোর যদি চুরি করে তাহলে তার হাত কাটাটা শান্তির কারণ হবে নাকি না কাটাটা শান্তির কারণ হবে? আরে ভাই হাত না কাটলে তো এক চোর বারবার চুরি করবে। ছোট চোর ক'দিন পর বড় চোর হবে। এরপর ডাকাত হবে। মানুষের বাড়িঘরে হামলা করবে। মানুষের সম্পদ ছিনিয়ে নেবে। তাহলে হাত না কাটাটা শান্তির কারণ হলো নাকি অশান্তির কারণ হলো? নিঃসন্দেহে অশান্তির কারণ হলো।
পক্ষান্তরে আপনি যদি চোরের হাতটা কেটে দেন; রক্তপাত ঘটান; তাহলে, তা দেখে বাকি চোরগুলোও ভালো হয়ে যাবে। চুরি বন্ধ হয়ে যাবে। মানুষের বাড়িঘরগুলো নিরাপদ থাকবে। সকলে শান্তিতে ঘুমোতে পারবে। তাহলে বলুনতো! এখানে হাতকাটা, রক্ত প্রবাহিত করা শান্তির কারণ হলো কিনা? অবশ্যই শান্তির কারণ হলো।
সুতরাং, আমরা বুঝতে পারলাম- মারামারি-কাটাকাটি, রক্তপাত এগুলো সবজায়গাতেই খারাপ নয়! এবং সবজায়গাতেই এগুলো অশান্তির কারণ নয়!! বরং স্থান ও অবস্থাভেদে এগুলোর ভালোমন্দ নির্ণয় হয়। তাহলে শান্তি কোথায়? আর অশান্তি কোথায়? হ্যাঁ! মারামারি-কাটাকাটি, রক্ত প্রবাহ করা এগুলো কেবল সেখানেই শান্তির কারণ, যেখানে ইসলাম এগুলোর অনুমোদন দিয়েছে কিংবা উৎসাহিত করেছে অথবা নির্দেশ প্রদান করেছে।
যেমন: একজন "মুরতাদ" বা "শাতেমে রাসূল" সা:। ইসলাম এদের রক্ত প্রবাহের নির্দেশ দিয়েছে। সুতরাং, এদেরকে হত্যা করা, এদের রক্ত প্রবাহিত করা নিঃসন্দেহে শান্তির কারণ। এবং এক্ষেত্রে এরক্তপ্রবাহকরণের সাথেই ইসলাম শান্তির ধর্ম। এখানে রক্ত প্রবাহকরণ কখনোই শান্তির জন্য প্রতিবন্ধক নয়। বরং এখানে রক্তপ্রবাহকরণটাই শান্তিকে সুনিশ্চিত করেছে।
অতএব, ইসলামকে শান্তি ধর্ম প্রমাণ করার জন্য অপব্যাখ্যার আশ্রয় নেয়ার কোন প্রয়োজন বা সুযোগ তো ইসলাম রাখেইনি। তাহলে উলামায়ে সূ'রা কিভাবে এর অপব্যাখ্যা করে চলেছে? আসল কথা কি, উদ্দেশ্য যদি হয় শান্তির অন্তরালে অশান্তির পায়তারা, তখন ব্যপারগুলোকে তো উলামায়ে সূ'রা ঘোলাটে করবেই। আর এর দ্বারা তারা সাধারণ জনমনে দ্বিধাদন্দের দ্বার উন্মোচন করে দেয়। অথচ, এদের কথাগুলো যদি মেনে নেয়া হয়, তাহলে একথাও মেনে নিতে হবে{معاذ الله} কোরআন অশান্তির নির্দেশ দিয়েছে। রাসূল সাঃ ও সাহাবায়ে কেরাম রাঃ অশান্তির কাজ করেছেন। তখন তো আবার তাদের কথার দ্বারাই ইসলাম শান্তির ধর্ম থাকেনা।
প্রিয় পাঠক! অথচ, দেখুন কোরআন যুদ্ধের নির্দেশ দিচ্ছে। আর যুদ্ধ হচ্ছে রক্ত প্রবাহের সবচেয়ে বড় মাধ্যম!!
وقاتلوهم حتي لا تكون فتنة ويكون الدين كله لله
অর্থাৎ, আর তোমরা তাদের বিরুদ্ধে কিতাল করতে থাকো, যাবৎনা ফেতনা দূর হয়ে যায় ও দীন সম্পূর্ণভাবে আল্লাহর জন্য হয়ে যায়।
অপর আয়াতে আল্লাহ তা'আলা বলেন-
قاتلوا الذين لا يؤمنون بالله ولا باليوم الاخر ولا يحرمون ما حرم الله ورسوله
অর্থাৎ, তোমরা যুদ্ধ করতে থাকো, সেসব লোকদের সাথে যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসে ঈমান রাখেনা। এবং যারা সেসকল বিষয়কে হারাম মনে করেনা যা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল হারাম করেছেন।
এব্যপারে নবীজী সাঃ এরশাদ করেন-
امرت ان اقاتل الناس حتي يقول لا اله الا الله ويقيموا الصلاة ويؤتوا الزكوة
অর্থাৎ, আমাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, আমি যেনে লোকদের সাথে কিতাল করতে থাকি যতক্ষণ না তারা লা ইলাহা ইল্লাহ বলে, নামায কায়েম করে এবং যাকাত প্রদান করে।
সুতরাং, উল্লেখিত আয়াত ও হাদীসের মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারলাম- ইসলামে মারামারি-কাটাকাটি, রক্তপাত আছে। এবং এর অনুমোদন ও নির্দেশ ইসলাম দিয়েছে তার সুনির্দিষ্ট স্থানে। এবং ইসলাম যেখানে এগুলোর কথা বলেছে, সেখানে এগুলো শুধু বৈধই নয়!! বরং সর্বাধিক পূণ্যের কাজ। যেমনটি আল্লাহ তা'আলা এরশাদ করেছেন-
ان الله يحب الذين يقاتلون في سبيله صفا كانهم بنيان مرصوص
অর্থাৎ, নিশ্চয়ই আল্লাহ তা'আলা ভালবাসেন সেসকল লোকদেরকে, যারা তাঁর রাহে সারিবদ্ধ অবস্থায় যুদ্ধ করে। মনে হয় যেনো তাঁরা সীসাঢালা প্রাচীর।
অতএব, বাস্তব সম্মত কথা হলো এই যে, ইসলাম শান্তির ধর্ম। এবং মারামারি-কাটাকাটি, রক্তপ্রবাহ এগুলোও শান্তির প্রতিক, যেখানে ইসলাম বলে। সুতরাং, কেউ যদি শান্তির ধর্মের দোহাই দিয়ে মুসলমানদেরকে আল্লাহর নির্দেশিত ফরয বিধান "কিতাল" থেকে বিমুখ করতে চায়, তাহলে সে অবশ্যই কোরআানের বিরোধিতা করলো। সুন্নাতে রাসূল সাঃ ও আছারে সাহাবা রাঃ কে অস্বীকার করলো। এবং সে নিজেকে মুসলিমদের সামনে গাদ্দার হিসেবে উপস্থাপন করলো।
প্রিয় পাঠক! তাই এই মুহুর্তে আমাদের করণীয় হলো, এসকল দরবারি আলেমদের মিষ্টি কথার ফাঁদে না পড়ে নিজের দীন ও ঈমানকে হেফাজত করা। " ইসলাম শান্তির ধর্ম" একথার সঠিক ব্যাখ্যা নিজে বুঝা এবং উম্মাহকে বুঝানের চেষ্টা করা। আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে তাওফিক দান করুন! আমীন! ইয়া রব্বাল আলামিন!
Comment