সাহাবায়ে কেরাম রাযি. অনেক সময় বিষয়বস্তু বা বিধানাবলির কাঠিন্যতার কারণে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লামের দৃষ্টিআকর্ষণ করে এভাবে বলতেন, ‘راعنا’-ওগো আল্লাহর রাসূল আমাদের বিষয়টাও একটু বিবেচনা করবেন!’ মুনাফিকরা সুযোগটা হাতছাড়া করতে চাইলো না। তারাও বলতে শুরু করলো, ‘راعنا’ বাক্য দুটি দেখতে-শুনতে একই হলেও মুনাফিকদের অন্তরে ছিল ভিন্ন উদ্দেশ্য! তারা বাক্যটি বানিয়েছে ‘ رعونة’ থেকে, সে হিসেবে راعن অর্থ হচ্ছে নির্বোধ, বেকুফ! শেষে الف বৃদ্ধি করা হয়েছে ডাকার জন্যে, হাঁক দেওয়ার জন্যে, আওয়াজকে লম্বা করার জন্যে।
যার অর্থ দাঁড়ায় ওহে নির্বোধ! মুমিনদের উদ্দেশ্য হলো رعایة শব্দ থেকে راعنا মানে راعن نا আমাদের বিষয়ে একটু বিবেচনা করবেন। علیم بذات الصدور রব তাদের মনের খবর ভালো করেই জানেন, তাই মুমিনদেরকে সতর্ক করেছেন যেন মুনাফিকরা সুযোগ না নিতে পারে। আয়াত নাযেল হলো یا ایهاالذین امنوا لاتقولوا راعنا وقولواانظرنا واسمعوا وللکافرین عذاب الیم “হে ঈমানদারগণ! তোমরা ‘রায়িনা’ বলো না, (একই অর্থ বহনকারী ভিন্ন শব্দ) ‘ উনযুরনা’ বলো এবং শুনতে থাক। আর কাফেরদের জন্যে রয়েছে বেদনাদায়ক শাস্তি।”
শব্দের মারপ্যাঁচে শত্রুকে সুযোগ না দেওয়া কুরআনের নির্দেশ। ঠিক এমনই এক শব্দ জঙ্গী আর জঙ্গীবাদ। আমরাও বলি, ওরাও বলে। আমাদের উদ্দেশ্য, জিহাদের অপব্যাখ্যা করে ওদের ক্রীড়নক হয়ে যারা কাজ করে সন্ত্রাস সৃষ্টি করে। ওদের উদ্দেশ্য, জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্মানিত মুজাহিদীন। বন্ধু, কখনো ওদের নিয়তের সাথে আমাদের নিয়ত মিলে গেলে ঈমানটা চলে যাবে, খবর আছে কি? তাই শব্দ ব্যবহারে সাবধান হই।
কুরাআনী নির্দেশ মান্য করে ভিন্ন শব্দে তাদের ডাকি। সেটা হতেপারে ষড়যন্ত্র বা ষড়যন্ত্রকারী, জঙ্গী বা জঙ্গীবাদ নয়।
[সূত্র: আল হুদা নিউজ]
Comment