আমাদের কাছে কওমি মাদরাসার মর্যাদা ও অস্তিত্ব অধিক গুরুত্বপূর্ণ, নাকি ইসলামের মর্যাদা ও অস্তিত্ব?
রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ইসলাম বিকৃতিপ্রাপ্ত হলেও আমাদের সরব হতে দেখা যায় না। পক্ষান্তরে আমাদের নিজস্ব অঙ্গনটা স্বীকৃতিপ্রাপ্ত হলে আমরা ঠিকই আনন্দে আহ্লাদিত হই, শোকরানা মিছিলেও শরিক হই।
সরকার আমাদের কওমির শিক্ষাব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করলে আমরা তা মেনে নিই না। প্রতিবাদমুখর হয়ে নিজেদের দাবি আদায় করে নিই। কিন্তু তারা ইসলামে হস্তক্ষেপ করলে এবং রাজনীতি, অর্থনীতি ও বিচারব্যবস্থায় ইসলামকে পরিবর্তন করে ফেললেও আমরা নীরব থাকি। হিকমাতের দোহাই দিয়ে সবকিছু দেখেও না দেখার ভান করি।
আলিয়া মাদরাসা স্বীকৃতিপ্রাপ্ত। তাই তারা তাদের পাঠ্যপুস্তক থেকে জিহাদ-কিতাল-খিলাফাতের অধ্যায়গুলোকে ঝেটিয়ে বিদায় করেছে। আমরা তো মা শা আল্লাহ আরও স্মার্ট। স্বীকৃতি পাওয়ার বহুকাল আগ থেকেই আমরা এগুলোর চর্চা ত্যাগ করেছি। এমনকি এসব বইপত্র মাদরাসায় রাখাকেও বহিষ্কারযোগ্য অপরাধ বলে চিহ্নিত করেছি। নাউজুবিল্লাহি মিন জালিকা। যার ফলে কোনো সমকামী কিংবা চোর ক্ষমা চেয়ে পার পেয়ে গেলেও পিঠ বাঁচানোর অজুহাতে কোনো জিহাদিকে রেহাই দেওয়া হয় না। তাকে বিদায় করে প্রতিষ্ঠানের সম্ভ্রম বাঁচানো হয়। দীনের চেয়ে অঙ্গনের মর্যাদা বেড়ে যাওয়ার ফলই বুঝি এগুলো।
আমরা স্বীকৃতি পেয়েছি। তাই এখন আমরা তাগুতের বন্দনায় স্বাদ খুঁজে পাই। তাদের প্রতি আনুগত্যের প্রমাণস্বরূপ আমরাও নিজেদের প্রতিষ্ঠানগুলোতে জঙ্গিবাদবিরোধী কর্মশালার আয়োজন করি। তারা তো পুরো কিতালের চ্যাপ্টারটাকেই জঙ্গিবাদ মনে করে। আমরাও তাদের সঙ্গে সায় দিই, একাত্মতা পোষণ করি। আমাদের মনে উদ্দেশ্য যা-ই থাক, বাহ্যত আমাদের এসকল কাজের পুরোপুরি ফায়দাটা ভোগ করে বিশ্ব তাগুত গোষ্ঠী। নইলে মাওলানা ফরীদ মাসউদের কদরই বা রাতারাতি এত কেন বেড়ে গেল? হোয়াইট হাউজে পর্যন্ত তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়, জাতিসংঘে পর্যন্ত সে গমন করার সুযোগ পায়, পোপের অনুষ্ঠানেও সে-ই হয় আমন্ত্রিত অতিথি। অথচ ইলমের বিচারে তারচে হাজারগুণ বেশি জ্ঞানী-গুণী এ মাটিতে এখনো বিদ্যমান। এরপরও সর্বত্রই কেন তারই আস্ফালন!
আজকাল সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার জন্য এবং নিজেকে হিরোদের কাতারে নিয়ে যাওয়ার জন্য সহজ কয়েকটি পয়েন্ট হলো : জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরব হওয়া, জামাত-শিবির নিয়ে মাঠ কাঁপানো কিংবা আহলে হাদিস নিয়ে বয়ান-বক্তৃতা করা। অনেকটা কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার মতো। আজ কওমিদের দিয়ে জামাত-শিবিরকে দমন করা হচ্ছে, কাল ওলামালীগ দিয়ে কওমিদের দমন করা হবে; যারা বাকি থাকবে তাদের হয়তো মুভের পালিশ লাগানো হবে কিংবা ট্রস ট্রস করে মেরে ফেলা হবে। একপর্যায়ে পুরো অঙ্গনটা হবে তাদের।
বঙ্গদেশের মৌলবিরা এখন যেমন জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরব, এককালে বোখারা-সমরকন্দের মৌলবিরাও হুবহু এ কাজটাই করেছিল। একই কাজ করেছিল ওমর মুখতারের দেশের মৌলবিরাও। রোহিঙ্গাদের বর্তমান পরিস্থিতির কারণ খুঁজে বের করলে অতীতে এর নজিরই পাওয়া যাবে অসংখ্য পরিমাণে। দেশে দেশে মীর জাফরদের পরিণতি সামনে আসে। তবুও পিঠ বাঁচাতে দুর্বলমনারা সর্বদাই তাগুতের সঙ্গে আঁতাত করে।
রাসুলুল্লাহ সা. কি ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য তাগুতদের নেতা—আবু জাহিল গংদের সঙ্গে ঐক্য করেছিলেন? কেন, সুকৌশলে ক্ষমতার আসনে অধিষ্ঠিত হয়ে তিনি কি এজেন্ডা বাস্তবায়নের পথে নামতে পারতেন না? না, পারতেন না। কারণ, ইসলাম কখনো জাহিলিয়াতের সঙ্গে হাত মেলাতে পারে না। লা ইলাহা না থাকলে ইল্লাল্লাহ কখনো ভেতরে আসতে পারে না। আগে হবে কুফর বিত তাগুত, এরপর আসবে ইমান বিল্লাহ। নইলে যা হবে, বাবরি মসজিদ নিয়ে বড় বড় হুংকার ছাড়লেও লাল মসজিদ ইস্যু আসলে মিইয়ে যাবে পুরোদমে। কেউ উচ্চবাচ্য করলে তাকেও ঘাড় ধাক্কা দিয়ে দেবে দল থেকে বের করে।
ভাই আলী হাসান উসামা র টাইমলাইন থেকে.......
রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ইসলাম বিকৃতিপ্রাপ্ত হলেও আমাদের সরব হতে দেখা যায় না। পক্ষান্তরে আমাদের নিজস্ব অঙ্গনটা স্বীকৃতিপ্রাপ্ত হলে আমরা ঠিকই আনন্দে আহ্লাদিত হই, শোকরানা মিছিলেও শরিক হই।
সরকার আমাদের কওমির শিক্ষাব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করলে আমরা তা মেনে নিই না। প্রতিবাদমুখর হয়ে নিজেদের দাবি আদায় করে নিই। কিন্তু তারা ইসলামে হস্তক্ষেপ করলে এবং রাজনীতি, অর্থনীতি ও বিচারব্যবস্থায় ইসলামকে পরিবর্তন করে ফেললেও আমরা নীরব থাকি। হিকমাতের দোহাই দিয়ে সবকিছু দেখেও না দেখার ভান করি।
আলিয়া মাদরাসা স্বীকৃতিপ্রাপ্ত। তাই তারা তাদের পাঠ্যপুস্তক থেকে জিহাদ-কিতাল-খিলাফাতের অধ্যায়গুলোকে ঝেটিয়ে বিদায় করেছে। আমরা তো মা শা আল্লাহ আরও স্মার্ট। স্বীকৃতি পাওয়ার বহুকাল আগ থেকেই আমরা এগুলোর চর্চা ত্যাগ করেছি। এমনকি এসব বইপত্র মাদরাসায় রাখাকেও বহিষ্কারযোগ্য অপরাধ বলে চিহ্নিত করেছি। নাউজুবিল্লাহি মিন জালিকা। যার ফলে কোনো সমকামী কিংবা চোর ক্ষমা চেয়ে পার পেয়ে গেলেও পিঠ বাঁচানোর অজুহাতে কোনো জিহাদিকে রেহাই দেওয়া হয় না। তাকে বিদায় করে প্রতিষ্ঠানের সম্ভ্রম বাঁচানো হয়। দীনের চেয়ে অঙ্গনের মর্যাদা বেড়ে যাওয়ার ফলই বুঝি এগুলো।
আমরা স্বীকৃতি পেয়েছি। তাই এখন আমরা তাগুতের বন্দনায় স্বাদ খুঁজে পাই। তাদের প্রতি আনুগত্যের প্রমাণস্বরূপ আমরাও নিজেদের প্রতিষ্ঠানগুলোতে জঙ্গিবাদবিরোধী কর্মশালার আয়োজন করি। তারা তো পুরো কিতালের চ্যাপ্টারটাকেই জঙ্গিবাদ মনে করে। আমরাও তাদের সঙ্গে সায় দিই, একাত্মতা পোষণ করি। আমাদের মনে উদ্দেশ্য যা-ই থাক, বাহ্যত আমাদের এসকল কাজের পুরোপুরি ফায়দাটা ভোগ করে বিশ্ব তাগুত গোষ্ঠী। নইলে মাওলানা ফরীদ মাসউদের কদরই বা রাতারাতি এত কেন বেড়ে গেল? হোয়াইট হাউজে পর্যন্ত তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়, জাতিসংঘে পর্যন্ত সে গমন করার সুযোগ পায়, পোপের অনুষ্ঠানেও সে-ই হয় আমন্ত্রিত অতিথি। অথচ ইলমের বিচারে তারচে হাজারগুণ বেশি জ্ঞানী-গুণী এ মাটিতে এখনো বিদ্যমান। এরপরও সর্বত্রই কেন তারই আস্ফালন!
আজকাল সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার জন্য এবং নিজেকে হিরোদের কাতারে নিয়ে যাওয়ার জন্য সহজ কয়েকটি পয়েন্ট হলো : জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরব হওয়া, জামাত-শিবির নিয়ে মাঠ কাঁপানো কিংবা আহলে হাদিস নিয়ে বয়ান-বক্তৃতা করা। অনেকটা কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার মতো। আজ কওমিদের দিয়ে জামাত-শিবিরকে দমন করা হচ্ছে, কাল ওলামালীগ দিয়ে কওমিদের দমন করা হবে; যারা বাকি থাকবে তাদের হয়তো মুভের পালিশ লাগানো হবে কিংবা ট্রস ট্রস করে মেরে ফেলা হবে। একপর্যায়ে পুরো অঙ্গনটা হবে তাদের।
বঙ্গদেশের মৌলবিরা এখন যেমন জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরব, এককালে বোখারা-সমরকন্দের মৌলবিরাও হুবহু এ কাজটাই করেছিল। একই কাজ করেছিল ওমর মুখতারের দেশের মৌলবিরাও। রোহিঙ্গাদের বর্তমান পরিস্থিতির কারণ খুঁজে বের করলে অতীতে এর নজিরই পাওয়া যাবে অসংখ্য পরিমাণে। দেশে দেশে মীর জাফরদের পরিণতি সামনে আসে। তবুও পিঠ বাঁচাতে দুর্বলমনারা সর্বদাই তাগুতের সঙ্গে আঁতাত করে।
রাসুলুল্লাহ সা. কি ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য তাগুতদের নেতা—আবু জাহিল গংদের সঙ্গে ঐক্য করেছিলেন? কেন, সুকৌশলে ক্ষমতার আসনে অধিষ্ঠিত হয়ে তিনি কি এজেন্ডা বাস্তবায়নের পথে নামতে পারতেন না? না, পারতেন না। কারণ, ইসলাম কখনো জাহিলিয়াতের সঙ্গে হাত মেলাতে পারে না। লা ইলাহা না থাকলে ইল্লাল্লাহ কখনো ভেতরে আসতে পারে না। আগে হবে কুফর বিত তাগুত, এরপর আসবে ইমান বিল্লাহ। নইলে যা হবে, বাবরি মসজিদ নিয়ে বড় বড় হুংকার ছাড়লেও লাল মসজিদ ইস্যু আসলে মিইয়ে যাবে পুরোদমে। কেউ উচ্চবাচ্য করলে তাকেও ঘাড় ধাক্কা দিয়ে দেবে দল থেকে বের করে।
ভাই আলী হাসান উসামা র টাইমলাইন থেকে.......
Comment