“তানযিমুদ দাওলাহ” এর ব্যাপারে মুজাহিদ নের্তৃবৃন্ধ, আল-কায়েদা এবং সালাফী জিহাদী আন্দোলনের উলামা-মাশায়েখগনের বক্তব্যঃ-
(১) মুহাদ্দিস শায়খ সুলাইমান আল-উলওয়ান বলেনঃ দাওলাহর অধিকার নেই যে তারা কোনো এলাকায় অভিযান চালিয়ে তা দখল করবে। আর যারা বলেন, হয় তোমরা বের হও নতুবা হত্যা কর, হয় তোমরা বাইয়াহ দাও নতুবা লড়াই করবো... ইত্যাদি, এগুলো সঠিক নয়। কেননা দাওলার জন্যে বাইয়াতে আম(ব্যাপক) নয়। আম বাইয়াহের শর্ত হচ্ছে যে, তাদেরকে আহলে হাল ওয়াল আকদ নির্বাচন করবেন, আর আবু বকরকে আহলে হাল ওয়াল-আকদ নির্বাচন করেন নি। যদি এর নেতা নিজের কাজের ব্যাপারে সন্তুষ্ট না থাকেন, তাহলে তিনি কীভাবে অন্যের কাছে বাইয়াহের জন্যে আহবান করবেন? তিনি মুসলমানদের খলীফা নন, বরং তিনি একটি দলের প্রধানমাত্র। আর অন্যদের কাছ থেকে বাইয়াহ চওয়া, যদি তারা বাইয়াহ না দেওয়ার কারণে লড়াই করতে থাকে তাহলে এটা হবে বাগী(বিদ্রোহী)দের কাজ। উত্তম এবং কল্যাণপ্রত্যাশীদের এ কাজ হতে পারে না। [ইন্টারনেটে প্রকাশিত এক অডিও বার্তায়]
(২) শায়খ আবু মুহাম্মদ আল-মাকদিসি বলেনঃ- এবং এর উপর আমরা এখানে ঘোষণা করছি যে, ইসলামিক স্টেট ইন ইরাক এন্ড শাম নামের সংগঠন হচ্ছে, সত্য পথ থেকে বিচ্যুত একটি সংগঠন, মুজাহিদদ্রোহী এক দল, যারা অতিরঞ্জনের দিকে ধাবিত, তারা নিরপরাধ মানুষের রক্তপ্রবাহে লিপ্ত হয়েছে, তারা তাদের ওই সমস্ত মাল, সম্পদ, গনীমত এবং দখল করেছে যা মুজাহিদরা আসাদ বাহিনী থেকে স্বাধীন করেছিলেন। তারা জিহাদকে বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলে দিয়েছে এবং মুজাহিদদেরকে দল-উপদলে বিভক্ত করেছে। তারা বন্দুক মুরতাদ এবং যোদ্ধাদের বুক থেকে সরিয়ে মুজাহিদ এবং মুসলমানদের বুকের দিকে নিবদ্ধ করেছে। ... এগুলো ছাড়া তাদের আরো অনেক প্রমাণভিত্তিক ভ্রষ্টতা আছে। [আদ-দাওলাতুল ইসলামিয়্যাহ ইরাক ও শামের বিবরণ এবং এর দিকে আমাদের কর্তব্য- পৃষ্টা ৪/৫]
(৩) শায়খ আবু কাতাদাহ আল-ফিলিস্তিনি বলেনঃ- ... আরে দাওলাতুল ইসলামিয়্যাহ ইরাকের যে শাখা শামের ভূমিতে আছে, আমার কাছে তা পূর্ণভাবে প্রকাশিত হয়েছে, যার ব্যাপারে আমি কোনো ধরনের সন্দেহ করি না, যে এই দল তাদের সামরিক ও শরয়ী নেতৃত্ব দ্বারা প্রমাণিত করেছে, যে তারা জাহান্নামের কুকুর... তাদের মন্দ কাজ-কর্মের ফলে আমি এ ব্যাপারে কোনোরূপ দ্বিধায় ভুগি না। [আহলে জিহাদ এবং এর প্রিয় ভাইদের প্রতি বার্তা – পৃষ্টাঃ ২]
(৪) তানযীমে কায়েদার উচ্চনেতৃত্ব প্রকাশ করেছে, যার মধ্যে এসেছেঃ জামায়াতে কায়েদাতুল জিহাদ ঘোষণা করছে যে, তাদের কোনো সম্পর্ক দাওলাতুল ইসলামিয়্যাহ ইরাক ও শামের সাথে নেই। এটা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অবগত হয় নি, কোনো ধরনের নির্দেশ প্রদান করে নি, কোনো ধরনের পরামর্শ দেয় নি এবং এর উপর সন্তুষ্ট নয়। বরং তাদের কার্য বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে, এজন্য এটা জামায়াতে কায়েদাতুল জিহাদের কোনো শাখা নয়, এর সাথে কোনো সাংগঠনিক বন্ধনও নেই, আল-কায়েদা এর কার্যকলাপের জন্যে দায়ী নয়। [জামায়াতে কায়েদাতুল জিহাদের সাথে জামায়াতে দাওলাতুল ইসলামিয়্যাহ ইরাক ও শামের সাথে সম্পর্কে ব্যাপারে বিবৃতি, ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৩৫হিজরি]
(৫) তানযীমে কায়েদার প্রধান শায়খ আইমান আজ-জাওয়াহিরিকে “দা’য়েশ” থেকে আল-কায়েদার মুক্ত ঘোষণা করার কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, তখন তিনি বলেনঃ- এই মতপার্থক্য হচ্ছে দুই মানহাজের মধ্যে, আমাদের মানহাজ হচ্ছে রক্তপ্রবাহের ক্ষেত্রে সতর্কতা, বাজার, মসজিদ এবং আবাসিক এলাকাসমুহে এমন সব অপারেশন থেকে দূরে থাকা যার মধ্যে অন্যায় ভাবে রক্ত প্রবাহিত হয়, বরং জিহাদিদলসমুহের মধ্যে। এমনিভাবে আমাদের মানহাজ হচ্ছে উম্মাহকে এক করা এবং তাদেরকে তাওহীদের কালিমার ভিত্তিতে এক করার প্রবল আকাঙ্ক্ষা, আর খিলাফতে রাশেদাকে ফিরিয়ে আনা যা শূরা এবং মুসলমানদের সন্তুষ্টির ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হবে। [ আস-সাহাবের সপ্তম সাক্ষাৎকার – রজব ১৪৩৫হিজরি / আন-নুখবার সংস্করণ-পৃঃ ১১/১২]
(৬) এমনিভাবে তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেনঃ- অচিরেই এদের দৌহিত্র শামের ভূমিতে ব্যর্থ হবে*** আল্লাহ তোমাদের পথ-প্রদর্শক ও সাহায্যকারী হিসেবে যথেষ্ট। [ফিতনার ক্ষেত্রে শহীদ আবু খালিদ আস-সুরি সম্পর্কে শোকবার্তা – পৃঃ৩]
(৭) খুরাসানে তানযীমে কায়েদার বিশিষ্ট নেতা “আযযাম আমরিকি” আবু খালিদ আস-সুরির শোকবার্তায় তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেনঃ আমি এই ঘটনার দায়ভারের জন্যে আমার তর্জনী প্রদর্শন করছি তাদের দিকে যারা অতিরঞ্জন, সীমালংঘন, একগুয়েমি, স্বৈরাচার, অত্যাচার এবং এমন অবস্থা বেরিয়ে যাওয়ার জন্যে প্রসিদ্ধ হয়ে আছে; যার উপর সিরিয়ায় জিহাদি ও ইসলামিরা, আহলে ইলম, সম্মান এবং সারাবিশ্বের অগ্রগামী মুজাহিদরা আছেন। এমনিভাবে এই দল প্রসিদ্ধি লাভ করেছে তাদের ধুম্রজাল, কূটচাল, কৌশল, এক দিক থেকে অন্যদিকে মুখোমুখী হওয়া এবং দায়িত্ব গ্রহণ করা থেকে, তারা তাকিয়া, এবং ভেতরে এক বাহিরে আরেকের জন্যেও প্রসিদ্ধি লাভ করেছে। তারা হচ্ছে উগ্র তাকফিরি সম্প্রদায় তাদের পুর্বসুরি হারুরিয়্যীনদের বিপরীত যারা সত্যবাদিতা এবং মিথ্যা থেকে দূরত্বের জন্যে প্রসিদ্ধ ছিলো। [আবু খালিদ আস-সুরির শোকবার্তা]
(৮) খুরাসানে তানযীমে কায়েদার নেতা “উস্তাদ আহমদ ফারুক” দায়েশের অফিসিয়াল মুখপাত্র আদনানির কথার মন্তব্যে বলেন, কিন্তু আজ আমরা দেখছি তাদেরকে যারা ইসলামকে ও ইসলামী বন্ধুত্বের সুতিকাগারকে একটি সীমাবদ্ধ পরিসরে বন্দি করে ফেলেছে, এই উম্মতের সাথে নিজেদেরকে বড় ভেবে এদের উপর উপহাস করছে, এবং ওতপেতে বসে আছে যাতে কোনো ভুল নজরে পড়তেই তার উপর ঝাপিয়ে পড়ে, তাদের সাথে ঘৃণা করে যাদের সাথে মুজাহিদরা ভালবাসা এবং কোমলতার সাথে ব্যবহার করার প্রতি আহবান করেন, আমরা দেখি তারা বলে, আমরা কোন উম্মহের দিকে প্রত্যাবর্তন করবো? সৌদী ইসলামি উম্মাহের? না ইখওয়ানি? না সরুরী?.........
তাদের এই বক্র চিন্তার বিষয়ে আল্লাহই আমাদের জন্যে যথেষ্ট, তিনিই উত্তম রক্ষক! [আমরা যেনো মৌমাছির মতো হই – পৃঃ৪]
(৯) তানযীমে কায়েদার খুরাসানের নেতা আবু দুজানা দায়েশের খেলাফতকে উদ্দেশ্য করে বলেনঃ- আমরা খেলাফতে রাশেদাকে নবুওতের আদলে ফিরিয়ে আনতে চাই। বিকৃতি, মিথ্যা, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ এবং বাইয়াতের লুকোচুরির মানহাজে নয়। খিলাফাহ প্রতিষ্ঠিত হবে ন্যায়পরায়না, শূরা, সম্প্রীতি এবং একতার উপর। অত্যাচার, মুসলমানদেরকে তাকফীর করা, তাওহীদীদের হত্যা করা এবং মুজাহিদদের বিন্যাস ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করার মধ্যের উপর নয়।[এটা আমাদের বার্তা-পৃঃ১]
(১০) শামের ভূমিতে তানযীমে কায়েদার শীর্ষ শরীয়াহ বোর্ড দা’য়েশ সম্পর্ক বলেনঃ- পূর্বে যা অতিবাহিত হয়েছে এর ভিত্তিতে যে জামায়াতে দাওলাহকে গণ্য করা হচ্ছে একটি প্রভাবহীন আগ্রাসী দল হিসেবে যারা তাদের চরিত্র, গুণাগুণ এবং উগ্রতার দরুন খারেজি সম্প্রদায়ের সাথে সাদৃশ্য রাখে। খারেজিদের বৈশিষ্ট্যের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়ে তাদের মধ্যে আরো কিছু বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়, যেগুলো খারিজিদের মধ্যে নেই যেমন- তাকিয়্যা, মিথ্যা, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা, বিশ্বাসঘাতকতা, মিথ্যা কসম খাওয়া এবং পাপাচার, ........................... এই দল এখনপর্যন্ত আলোচনা এবং শরীয়াহ ফয়সালা গ্রহণ করতে অস্বীকার করে আসছে, তাই আমরা বলছি, এই দলে বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা জায়েয। [বিবৃতি “মানুষের কাছে তা প্রকাশ করো, লুকিও না” শামের্ব ভূমিতে তানযীমে কায়েদার কাযী আবু আব্দুল্লাহের আশ-শামীর কণ্ঠে – হার্ডকপি পৃঃ ৩৩]
(১১) আরব উপদ্বীপের তানযীমে কায়েদা একটি বার্তা প্রকাশ করেছে যার মধ্যে দায়েশের খিলাফাহ নিয়ে বলেছে, পুর্বে যা বলা হয়েছে এর ভিত্তিতে আমরা এই খিলাফাহের প্রতিষ্ঠাকে শুদ্ধ মনে করি না। এবং এটাকেও শুদ্ধ মনে করি না যার উপর তারা এর ভিত্তি করেছে। যারা তাদের কাছে এই বাইয়াহ দেই নি তাদেরকে আমরা গোনাহগার সাব্যস্ত করি না। ... এবং খিলাফাহের ঘোষণা মুজাহিদদের বিন্যাসের মধ্যে ফাটল ধরিয়েছে এবং তাদের একতাকে ছিন্ন করেছে বর্তমান এই স্পর্শকাতর মূহুর্তে। [শায়খ আবু বকর বাগদাদির কথা (যদিও কাফিররা অপছন্দ করে)য় যা এসেছে, এ সম্পর্কে বার্তা, শায়খ হারিস আন-নাজারির কন্ঠে]
(১২) আরব উপদ্বীপে আল-কায়েদার নেতা শায়খ আলী আল-আনিসী বলেনঃ- খিলাফাহকে অন্যান্য ভূমিতে সম্প্রসারণের ঘোষণা, এর কোনো বাস্তবতা নেই, এই ঘোষণা মুজাহিদদের বিন্যাসসমূহের মধ্যে ফাটল ধরাবে, এবং তাদের প্রাচীরকে ভুল শরয়ী দলীল দিয়ে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করবে। [১ম আন্তর্জাতিক সাংবাদিক সম্মেলন]
(১৩) ডক্টর আব্দুল্লাহ আল-মুহাইসিনি বলেন, এবং আল্লাহর কসম জিহাদের আলেমদেরকে এমন ভূমিতে দেখি নি, যে তারা শরীয়াহ অনুমোদনের বিষয়ের সমালোচনায় ও এর বিরোধিতায় একমত হয়েছেন যেমনিভাবে তারা শামে দাওলাহর অনুমোদনের ক্ষেত্রে একমত হয়েছেন,
আল্লাহ জানেন, আমি খিলাফতে ইসলামিয়্যাহের প্রতিষ্ঠার বিরোধী নয়, বরং এর জন্যেই আমরা আমাদের কলিজা এবং রক্ত ব্যয় করছি, কিন্তু এটা হতে হবে নবুওতের আদলে, মানুষের ঘৃণার মাধ্যমে, তাদেরকে নির্যাতন করা, জিহাদের বিন্যাসকে ফাটল ধরানো এবং আল্লাহর শরীয়তের ফয়সালার প্রচেষ্টাকে এমনসব অসার কারণ দেখিয়ে ত্যাগ করার মাধ্যমে যার পক্ষে আল্লাহ কোনো দলীল দেন নি।[বার্তাঃ আমি তো পৌছিয়েছি]
(১৪) শামের ভূমিতে তানযীমে কায়েদার শরয়ী বিভাগের প্রধান শায়খ সামী আল-উরাইদি খারিজি ও দায়েশের মধ্যে সাদৃশ্য দেখিয়ে দেওয়া বার্তার ভূমিকায় বলেন, আল্লাহর অনুগ্রহে ভাই আবুল হাসান আল-কুয়েতি –আল্লাহ তাকে তাওফীক দিন- যে, তিনি শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়ার কথা থেকে একত্রিত করেছেন এমন দলকে যাদের সীমালংঘন খারিজিদের এবং এদের থেকে সতর্ক করেছেন, এই গবেষণা হবে খারিজি সম্পর্কে শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়ার অবস্থানের প্রশস্ত মুকুল, আল্লাহর কাছে দুআ করি তিনি তাকে এ থেকে মুক্ত হওয়া এবং এর সংকলনের তাওফীক দিন। [ইবনে তাইমিয়ার দৃষ্টিতে খারেজি- পৃ ৪]
(১৫) শামের ভূমিতে তানযীমে কায়েদার সাবেক শরয়ী প্রধান আবু মারিয়া বলেন, শামবাসীদের উপর উকি দিচ্ছে এক নতুন কুৎসিত চেহারা, নতুন বিষাক্ত খঞ্জর যার অন্ধতা ক্রমান্বয়ে আসছে এবং এর ক্ষতি ব্যাপক হচ্ছে, এটা হচ্ছে যুগের খারিজি “তানযীমে জামায়াতে দাওলাহ”, হে যুগের খারিজিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে দ্বিধাদ্বন্দরত ব্যক্তি তুমি কি জানো না যে তাদের মূলোৎপাটনে কল্যাণ ও মঙ্গল রয়েছে, শুধু শামের মুসলমানদের জন্যে নয় বরং ইরাকের ইসলামিদের জন্যেও, যারা দীর্ঘ দিন ধরে তাদের আগুনে প্রজ্জলিত হচ্ছেন। [বার্তাঃ হে দ্বিধাদ্বন্দরত]
(১৬) শায়খ আবু সায়াফ মাজিদ আর-রাশিদ দায়েশে এবং খারিজিদের মিল বার্তার ভূমিকায় বলেছেন, মহান প্রজ্ঞাবান শায়খ আলী আল-উরজানি (আবুল হাসান কুয়েতি) আমাকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন উম্মতের গন্তব্যকে যারা জিহাদ ও ইলমের উপর এক হয়েছে, যারা উত্তম চরিত্র এবং মধ্যপন্থায় এক হয়েছে, যারা নিজের জান ও মালকে ত্যাগ করতে এক হয়েছে, যারা অস্ত্র ও কলমের যুদ্ধে এক হয়েছে, নুসাইরিদের সাথে তাদের ঘাটিতে লড়াই করেছে, যারা উগ্রপন্থীদের বিরুদ্ধে নিজেদের হস্ত এবং বাহু নিয়ে মুখোমুখী হয়েছে, আগ্রাসী শত্রু নুসাইরি ও উগ্রপন্থীদের প্রতিরোধের কঠিন মুহুর্ত। আজ ইবনে তাইমিয়া রাহমাতুল্লাহ আলাইহির কথা খারিজি সম্পর্কে সতর্কতা ও এবং দায়েশ সম্পর্কে আতঙ্কের কথা এক হয়েছে... আমি আমার ভাইদের তিনি যা লিখেছেন তা পড়ার জন্যে নসীহত করবো, এ অনুযায়ী আমল ও সঙ্কলকের জন্যে শাহাদত ও উত্তম সমাপ্তির দুয়ার।
(১৭) শায়খ মুহাম্মদ বিন সালেহ আল-মুহাজির –আরব উপদ্বীপে তানযীমে কায়েদার এক শায়খ- বাগদাদির খিলাফাহ অশুদ্ধতা নিয়ে একটি পুস্তিকা লিখেছেন, যার নাম দিয়েছেন ‘খিলাফাহ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা’।
(১৮) মিম্বর আত-তাওহীদ ওয়াল জিহাদের শরয়ী সংস্থার সদস্য শায়খ আবু মুনযির আশ-শানকীতি দায়েশের খিলাফাহ ঘোষণার সমালোচনায় একটি পূর্ণ পুস্তিকা লিখেছেন, এবং এর নাম দিয়েছেন, ‘শরয়ী মানদন্ডে খিলাফাহ ঘোষণা’।
(১৯) মিম্বর আত্তাওহীদ ওয়াল জিহাদের শরীয়াহ ফোরামের সদস্য শায়খ আব্দুল্লাহ হাসানি বাগদাদির খিলাফাহ ভঙ্গনের কারণ উল্লেখ করে একটি পূর্ণ পুস্তিকা লিখেন, এবং এর নাম দেন, ‘বাগদাদির খিলাফাহ ভঙ্গনের কারণে হোসাইনি সাহায্য’। ডাউনলোডলিঙ্ক- http://www.tawhed.ws/dl?i=04121401
(২০) মিম্বর আত্তাওহীদ ওয়াল জিহাদের শরীয়াহ ফোরামের সদস্য শায়খ আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাহমান শানক্বীতি বলেন, হে দাওলার নেতৃবৃন্দ! আমরা ধারণা করেছিলাম যে মুজাহিদদের বাক্য অচিরেই তোমাদের ঝান্ডাতলে একত্রিত হবে... কিন্তু তোমরা এগুলো প্রত্যেক স্থানে বিভাজন সৃষ্টি করেছো! তোমরা তা শামে বিভাজন তৈরি করেছো... তোমরা আরব উপদ্বীপে এর বিভাজন তৈরি করেছো... মাগরিবে এর বিভাজন তৈরি করেছো... তাহলে কি এভাবেই খিলাফতে রাশেদা প্রতিষ্ঠার পদ্ধতি হয়! বরং এটা হচ্ছে অভ্যুত্থানকারী যে কোনো পন্থায় ক্ষমতায় পৌছার সুযোগ সন্ধানীদের পন্থা ... এটা হচ্ছে স্বৈরাচারীদের পদ্ধতি এর দ্বারা রাষ্ট্র গঠিত হয় না এবং এর উপর উম্মাহ একমত হয় না... যদি তোমরা এই পদ্ধতির উপর চলতে থাকো এবং তোমাদের অনুসারীরা তা তোমাদের কাছ থেকে এভাবে গ্রহণ করতে থাকে, তাহলে একের পর এক ভাঙ্গন আসবে এবং মতানৈক্য অব্যাহত থাকবে... তোমাদের জন্যে সম্ভব ছিলো যদি তোমরা সব দলের একতা চাইতে এবং সবার মনোভিলাষ চাইতে... কিন্তু তোমরা ঝগড়ার উচ্ছ্বাসে জড়িয়ে পড়লে এবং একগুঁয়েমি ও পীড়াপীড়ির জাহাজে আরোহণ করলে, বড়দের মধ্যে যারা তোমাদের বিরোধিতা করলেন তাদের সীমালংঘনে বাড়াবাড়ি করলে... তোমরা ভূল করেছো সুতরাং তোমাদের ভূল শুধরে নাও... পাপ করেছো সুতরাং আল্লাহর দরবারে তওবাহ করো... তোমরা বিচ্যুত হয়েছো সুতরাং পূর্বের অবস্থায় ফিরে এসো... তোমরা হয়ো না এমন গাভীর মতো যে এক সিঁড়িতে আরোহণ করে অতঃপর অবতরণ করতে ভুলে যায়! জেনে রেখো তোমাদের বিজায়াভিযান তোমাদের বিচ্যুতিকে ঢাকতে পারবে না... দাওলাতে ইসলামিয়্যহা শরীয়াহর বলে বলীয়ান হবে, তরবারী বলে নয়।[খিলাফাহ বিভক্তির নাম নয়, পৃঃ ৭]
(২১) দুই শায়খ ডক্টর হানী আস-সিবায়ী ও ডক্টর তারেক আব্দুল হালীম তাঁদের বিবৃতিতে বলেন, যার মধ্যে এসেছেঃ আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি, এমন বিষয়ের সাক্ষ্য যার ব্যাপারে আমরা আল্লাহর সামনে জিজ্ঞেসিত হবো, ওইসব ব্যক্তিরা যারা এই সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত যা দাওলাতুল ইসলামিয়্যাহ নামে প্রসিদ্ধ, তাদের মানহাজ হচ্ছে খারেজিদের মানহাজ বিশেষকরে তাকফীরের মাসআলা এবং নিরপরাধ মানুষের রক্ত বৈধতার ক্ষেত্রে। [বার্তাঃ সংগঠনটির পরিচয় এবং প্রকৃত আকীদা]
(২২) দাগেস্তান প্রদেশের কাজী শায়খ আবু মুহাম্মদ গামিরায়েভ বলেন, বাগদাদি মুসলমানদের খলীফা নন, তাঁকে বাইয়াহ দেওয়াও জায়েজ হবে না, কেননা তাকে বাইয়াহ দেওয়া মুজাহিদদের বিন্যাসে বিভাজন তৈরি করেছে, যে তাকে বাইয়াহ দিবে সে হবে ফিতনাবাজ যে, মুসলমানদের রক্তপ্রবাহের পথে চলবে। [কথাঃ দাগেস্তানের মুজাহিদদের প্রতি, বিশেষকরে বাগদাদির বাইয়াতের ব্যাপারে]
(২৩) শায়খ নুরুদ্দীন নুফাইয়াহ –যাকে তাঁর সামরিক ও ইলমি বিষয়ে শক্ত হাত এবং পরামর্শের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা থাকার দরুন মুজাহিদদের শীর্ষনেতার মধ্যে সম্মান ও গুরুত্বের সাথে অনুসরণ করা হয়- তিনি মরক্কোর
কারাগার থেকে বলেন, দাওলাতুল ইসলামিয়্যাহের চরিত্র হচ্ছে এর বিপরীত, এখানে সবচেয়ে বড় প্রমাণ হচ্ছে মানুষের মধ্যে নবুওতের আদল ও সঠিক পথ থেকে অনেক দূরে... আমি এ বিষয়ে আমার নীরব অবস্থান ছিলো, কিন্তু যখন দেখলাম শামে আমাদের লোকদের উপর দাওলাতুল ইসলাম সংগঠনটি কর্তৃক অপরাধ চালানো হচ্ছে তখন নিজেকে তা থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে এই বার্তা প্রকাশের ইচ্ছা পোষণ করলাম।
(২৪) লুয়াই আস-সাকা –তিনি আবু মুসয়াব আজ-জারকাবীর প্রথম নায়েব এবং বর্তমানে তিনি তুরস্কে আজীবন জেলে আছেন- তিনি কারাগার থেকে বলেন, তেমনিভাবে সকল আত্মমর্যাদাশীল মুজাহিদসহ আমাকে এবং এখানে বন্দি মুজাহিদদেরকে ব্যথিত করেছে যা দাওলাহ কর্তৃক চালিত বিশৃংখলা, রক্ত-প্রবাহ, ফিতনাসমূহ শামে জিহাদ ও দাওয়াহের ক্ষতির ক্ষেত্রে যেসব বিকৃতি প্রকাশিত হয়েছে, জামায়াতে দাওলাহ উগ্রতা অন্যান্য মুজাহিদগ্রুপের তাকফীর, মুজাহিদদের রক্ত-প্রবাহ, কিডন্যাপ, মুজাহিদদের হত্যা, তাঁদের নেতাদের গুপ্তহত্যা এবং তাঁদের যাবতীয় বিকৃতি থেকে নিজেকে মুক্ত ঘোষণা করছি।
(২৫) দাওলাহর ঘোষণার সমালোচনায় শায়খ আবুল ওয়ালিদ আনসারি বলেন, দাওলাহর ঘোষণা সম্পর্কে আমাদের কাছে এখন পৌঁছেছে যে, তারা শামের আহলে হাল ওয়াল আকদ মুজাহিদদের উমারা ও উলামাদের পরামর্শ নেয় নি, নতুন ঘোষণা দেওয়া বিশেষকরে এই মুহুর্তে হচ্ছে ষড়যন্ত্রকারীদের তীরের বাস্তবায়ন মাত্র, একদিক শত্রুতা উত্তেজিত করা হচ্ছে, মুসলমানদের মধ্যে বিশৃংখলার অধ্যায় ও আহকামের উগ্রতার স্তম্ভ।
(২৬) শায়খ মাজিদ আব্দুল মাজিদ – আব্দুল্লাহ আযযাম ব্রিগেড লেবাননের আমীর- দাওলাহের ঘোষণা সম্পর্কে সতর্ক করে বলেন, বাগদাদির ইরাক ও শামে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ঘোষণা হচ্ছে, আমাদের প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী ও পরিস্থিতির সুসংহতির জন্যে, যদি এটা কার্যকর এবং বাস্তবায়িত হয়ে যায়, তাহলে এটা হবে শামে জিহাদের কোমর ভেঙ্গে দেওয়া, জিহাদীদলসমূহকে বিভাজন করা, শত্রুদের জিহাদী দলসমূহে অনুপ্রবেশের পথ খুলে দেওয়া, একে অপরের উপর আক্রমণ করবে এবং যুদ্ধে একদলের বিপরীতে অন্যদল ব্যবহৃত হবে। [শামে দাওলাতুল ইসলামের ঘোষণার ব্যাপারে পথ-প্রদর্শন – পৃঃ ৫]
(২৭) শায়খ হামিদ বিন হামাদ আল-আলী বলেন, হে আবু বকর, আপনার জন্যে কি এটা সন্তুষ্টি বয়ে আনবে যে, সমস্ত কল্যাণী উলামা, সত্যবাদী মুজাহিদ, স্পষ্টভাষী দায়ী, সাধারণ এবং বিশেষ মুসলমান এক কাতারে দাড়াবে এবং আপনি এবং আপনার সাথী মুজাহিদ মুসলমানরা এঁদের বিপরীতে অন্য কাতারে দাঁড়াবেন। [শামের ভূমি আক্রান্ত ফিতনার ব্যাপারে]
(২৮) তিনি এমনিভাবে আরো বলেন, খিলাফাহ ঘোষণার ব্যাপারে জবাব হচ্ছে ওই জবাব যা দাওলাহ ঘোষণার ব্যাপারে অতিবাহিত হয়েছে অর্থাৎ, দাওলাহ সম্পর্কিত সব ঘোষণা অতঃপর ইরাক ও শামে দাওলাহ হচ্ছে বাতিল ঘোষণা।
(২৯) শায়খ উমর হাদ্দুশী বলেন, শামের স্বচ্ছ জিহাদকে দায়েশরা তাদের নির্বুদ্ধিতার কারণে রক্তাক্ত করেছে, আল-ওয়ালা ওয়াল বারাকে তাদের জমাট বুদ্ধির বিরোধিতার ব্যঙ্গচিত্রের মধ্যে জটিল করে দিয়েছে, তারা আন্দোলনের ক্ষেত্রে এমন মুসলিমের অনুসরণ করেছেন যারা প্রেক্ষাপেট অনুধাবন করতে পারেন না। [টুইটারে তাঁর অফিসিয়াল একাউন্ট/ ২৭ অক্টোবর ২০১৪]
(৩০) ডক্টর ইয়াদ আল-কুনাইবি বলেন, জামায়াতে দাওলাহের সর্বশেষ ভূল রাজনৈতিক কার্যকারিতার সাথে কোনো সম্পর্ক নেই, যেগুলো আমরা পুর্বে সমালোচনা করেছি। শামের ব্যাপারেও আমরা সমালোচনা করছি। শামে তাদের ভূল কার্যক্রমের ব্যাপারে আমার অবস্থানের পরিবর্তন ঘটাবে না, কেননা আমি বাস্তবতার আলোকেই সিদ্ধান্ত নেই কোনো একদলের দিকে ধাবিত হয় না। তাদের কার্যক্রমের ব্যাপারে আমি সিদ্ধান্ত দিচ্ছি যে, এগুলো হচ্ছে শরীয়াহ বহির্ভুত, আল্লাহর দ্বীনের বিরোধিতা, আমি এই অবস্থা আছি। [বার্তাঃ ইরাকের বিজয়সমূহের পর]
(৩১) শায়খ হাসান বিন আলী আল-কাত্তানি বলেন, তারা তাকে হত্যা করেছে, আল্লাহ তাদেরকে হত্যা করুন, হে অপরাধের দল ও যীল খুওয়াইসিরার সন্তানাদি! তোমরা মারাত্মক ঘৃণিত কাজ করেছো। হে আল্লাহ তুমি তাদেরকে পাকড়াও করো কেননা তারা তোমাকে ক্লান্ত করতে পারবে না, হে আবু খালিদ! আল্লাহ আপনাকে রহম করুন। সুসংবাদ গ্রহণ করো, এটাই হচ্ছে অপরাধের দলের শেষ পেরেক।[ ফেসবুক একাউন্ট/ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪]
(৩২) শায়খ আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ মনসুর বলেন, -জায়শুল মুজাহিদীন ইরাকের আমীর-ঃ আর মিথ্যা দাওলাহ ইরাকের বর্তমান নেতৃত্ব, আমার কাছে এতো কোনো সন্দেহ নেই যে, তারা তাকফীর এবং অন্যায়ভাবে রক্তপাতের ক্ষেত্রে তারা খারিজিদের মতো অনেক সীমালংঘনে লিপ্ত হয়েছে। তাদের বাস্তবকর্ম বিনা সন্দেহে এগুলোই প্রমাণিত করে, ইরাকে অবস্থিত প্রত্যেক নীতিবান তালেবে ইলম এই বাস্তবতাকে অনুধাবন করতে পারছে।[ দাওলাতুল ইসলামিয়্যাহ বাস্তবতা এবং ধারণার আলোকে, পৃঃ ৭]
(৩৩) ইরাকের আন্সারুল ইসলাম একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে যার মধ্যে তারা বলেছে,
আমরা জামায়াতে আন্সারুল ইসলামের নেতৃবৃন্দ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করছি, শরয়ী এবং ঐতিহাসিক ভিত্তিতেই বলছি যে, দাওলাতুল ইসলামিয়াহ ইরাকই আমাদেরকে তাদের সীমালংঘন প্রতিহত করতে অত্যাচার এবং তাদের মতো করে জবাব দিতে বাধ্য করেছে। আমরা কখনো বর্তমান পরিস্থিতি কামনা করি নি। আর আন্সারুল ইসলামের ইতিহাস হচ্ছে যে, তারা জিহাদি গ্রুপ সমূহের সাথে সর্বদা সহযোগিতা এবং ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে এসেছে। আর দাওলাতুল ইসলামিয়্যাহ ইরাকের বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ হচ্ছে শরয়ী দৃষ্টিতে বৈধ, ন্যায়সংগত, জুলুমের প্রতিরোধ যা আমাদের উপর কয়েক বছর ধরে চলে আসছে এবং জামায়াতে দাওলাতুল ইরাক আল ইসলামিয়্যাহের পক্ষ থেকে অব্যাহত রয়েছে। তাদের নির্যাতন থেকে আত্মরক্ষার্থেই আমাদের লড়াই, তারা আমাদের উপর বিদ্রোহী হয়েছে, আমরা জালিম নয়। আমরা জুলুমের সূচনা করি নি। অনেকে ধারণা করেন আমরা চুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছি এবং আমাদের ব্যাপারে এই প্রপাগান্ডা প্রচার করেন।[গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতি – ১২ যী কা’দাহ ১৪৩৪]
(৩৪) শায়খ আবু খালিদ আস-সুরী দায়েশকে উপদেশ স্বরূপ বলেন, নিশ্চয় অন্যান্যগ্রুপের উপর কোনো প্রমাণ ও ভিত্তি ছাড়া তাদেরকে রিদ্দা ও তাকফীরের হুকুম লাগিয়ে বলা যে তারা সাহাওয়াত এটা হচ্ছে কবীরা গোনাহ ও অপরাধ হিসেবে জঘন্য। তাহলে কী হবে ওইদলের অবস্থা যারা অন্যান্য দলের উপর ঢালাওভাবে এই হুকুম আরোপ করে অথচ তারা চায় আল্লাহর শরীয়াহ ও দ্বীনের প্রতিষ্ঠা, যেমনিভাবে তাদের ব্যাপারে জেনেছি এবং অবগত হয়েছি? আমি দাওলাতুল ইসলামিয়্যাহ ইরাক ও শামের উমারাদের আহবান করি আল্লাহর দিকে তাওবাহ করা, তাদের কর্ম ততপরতা থেকে ফিরে আসা এবং শরয়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রতি।[ বিবৃতি তারিখ- ১৭ জানুয়ারি ২০১৪]
(৩৫) শায়খ আবু আব্দুল্লাহ সাদেক আব্দুল্লাহ সুদানি বলেন, এই ধারণাপ্রসূত দাওলাহ এখন পর্যন্ত ইরাকেও আধিপত্য লাভ করতে পারেনি তারপর না অন্যদিকে সম্প্রসারণ করবে। এটা কখনো বোধসম্পন্ন ব্যক্তি গ্রহণ করবে না।[টুইটার একাউন্টঃ ৭মার্চ ২০১৪]
(৩৬) শায়খ আবুল ওফা তিউনিসি আন্সারুল বায়তিল মাকদিসের দায়েশকে বাইয়াহ দেওয়ার মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, ইরাক ও শামের সীমালংঘনকারীদের সাথে পার্থক্য হচ্ছে আকীদা ও মানহাজের পার্থক্য, অমুকের বাইয়াতে আর অমুকের ঘোষণায় বাস্তবতার মধ্যে কোনো পরিবর্তন করবে না। যে তাদের বিচ্যুতির ব্যাপারে জেনেও এরকম করবে সে তাদের মধ্য থেকে এবং যারা জানবে না তাদের করছি এবং নসীহত দিচ্ছি।[টুইটার একাউন্টঃ ১০ নভেম্বর ২০১৪]
(৩৭) সর্বশেষে তেহরীকে তালেবান শামের মুজাহিদদের ব্যাপারে নসীহা প্রেরণ করেছে, যার মধ্যে তারা বলেছে, মুসলমানদের জন্যে এমনিভাবে আবশ্যক হচ্ছে দ্বীনের ব্যাপারে বাড়বাড়ি করা থেকে ও অন্যের ব্যাপারে প্রমাণ ছাড়া হুকুম আরোপ করা থেকে বিরত থাকা। অন্যের ব্যাপারে খারাপ ধারণা না করা, অপবাদ এবং অসার কথা না শোনা, কেননা অনেক ধারণা গোনাহ। [তেহরীকে তালেবানের অফিসিয়াল সাইট – ১০ জুলাই ২০১৪]
(১) মুহাদ্দিস শায়খ সুলাইমান আল-উলওয়ান বলেনঃ দাওলাহর অধিকার নেই যে তারা কোনো এলাকায় অভিযান চালিয়ে তা দখল করবে। আর যারা বলেন, হয় তোমরা বের হও নতুবা হত্যা কর, হয় তোমরা বাইয়াহ দাও নতুবা লড়াই করবো... ইত্যাদি, এগুলো সঠিক নয়। কেননা দাওলার জন্যে বাইয়াতে আম(ব্যাপক) নয়। আম বাইয়াহের শর্ত হচ্ছে যে, তাদেরকে আহলে হাল ওয়াল আকদ নির্বাচন করবেন, আর আবু বকরকে আহলে হাল ওয়াল-আকদ নির্বাচন করেন নি। যদি এর নেতা নিজের কাজের ব্যাপারে সন্তুষ্ট না থাকেন, তাহলে তিনি কীভাবে অন্যের কাছে বাইয়াহের জন্যে আহবান করবেন? তিনি মুসলমানদের খলীফা নন, বরং তিনি একটি দলের প্রধানমাত্র। আর অন্যদের কাছ থেকে বাইয়াহ চওয়া, যদি তারা বাইয়াহ না দেওয়ার কারণে লড়াই করতে থাকে তাহলে এটা হবে বাগী(বিদ্রোহী)দের কাজ। উত্তম এবং কল্যাণপ্রত্যাশীদের এ কাজ হতে পারে না। [ইন্টারনেটে প্রকাশিত এক অডিও বার্তায়]
(২) শায়খ আবু মুহাম্মদ আল-মাকদিসি বলেনঃ- এবং এর উপর আমরা এখানে ঘোষণা করছি যে, ইসলামিক স্টেট ইন ইরাক এন্ড শাম নামের সংগঠন হচ্ছে, সত্য পথ থেকে বিচ্যুত একটি সংগঠন, মুজাহিদদ্রোহী এক দল, যারা অতিরঞ্জনের দিকে ধাবিত, তারা নিরপরাধ মানুষের রক্তপ্রবাহে লিপ্ত হয়েছে, তারা তাদের ওই সমস্ত মাল, সম্পদ, গনীমত এবং দখল করেছে যা মুজাহিদরা আসাদ বাহিনী থেকে স্বাধীন করেছিলেন। তারা জিহাদকে বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলে দিয়েছে এবং মুজাহিদদেরকে দল-উপদলে বিভক্ত করেছে। তারা বন্দুক মুরতাদ এবং যোদ্ধাদের বুক থেকে সরিয়ে মুজাহিদ এবং মুসলমানদের বুকের দিকে নিবদ্ধ করেছে। ... এগুলো ছাড়া তাদের আরো অনেক প্রমাণভিত্তিক ভ্রষ্টতা আছে। [আদ-দাওলাতুল ইসলামিয়্যাহ ইরাক ও শামের বিবরণ এবং এর দিকে আমাদের কর্তব্য- পৃষ্টা ৪/৫]
(৩) শায়খ আবু কাতাদাহ আল-ফিলিস্তিনি বলেনঃ- ... আরে দাওলাতুল ইসলামিয়্যাহ ইরাকের যে শাখা শামের ভূমিতে আছে, আমার কাছে তা পূর্ণভাবে প্রকাশিত হয়েছে, যার ব্যাপারে আমি কোনো ধরনের সন্দেহ করি না, যে এই দল তাদের সামরিক ও শরয়ী নেতৃত্ব দ্বারা প্রমাণিত করেছে, যে তারা জাহান্নামের কুকুর... তাদের মন্দ কাজ-কর্মের ফলে আমি এ ব্যাপারে কোনোরূপ দ্বিধায় ভুগি না। [আহলে জিহাদ এবং এর প্রিয় ভাইদের প্রতি বার্তা – পৃষ্টাঃ ২]
(৪) তানযীমে কায়েদার উচ্চনেতৃত্ব প্রকাশ করেছে, যার মধ্যে এসেছেঃ জামায়াতে কায়েদাতুল জিহাদ ঘোষণা করছে যে, তাদের কোনো সম্পর্ক দাওলাতুল ইসলামিয়্যাহ ইরাক ও শামের সাথে নেই। এটা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অবগত হয় নি, কোনো ধরনের নির্দেশ প্রদান করে নি, কোনো ধরনের পরামর্শ দেয় নি এবং এর উপর সন্তুষ্ট নয়। বরং তাদের কার্য বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে, এজন্য এটা জামায়াতে কায়েদাতুল জিহাদের কোনো শাখা নয়, এর সাথে কোনো সাংগঠনিক বন্ধনও নেই, আল-কায়েদা এর কার্যকলাপের জন্যে দায়ী নয়। [জামায়াতে কায়েদাতুল জিহাদের সাথে জামায়াতে দাওলাতুল ইসলামিয়্যাহ ইরাক ও শামের সাথে সম্পর্কে ব্যাপারে বিবৃতি, ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৩৫হিজরি]
(৫) তানযীমে কায়েদার প্রধান শায়খ আইমান আজ-জাওয়াহিরিকে “দা’য়েশ” থেকে আল-কায়েদার মুক্ত ঘোষণা করার কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, তখন তিনি বলেনঃ- এই মতপার্থক্য হচ্ছে দুই মানহাজের মধ্যে, আমাদের মানহাজ হচ্ছে রক্তপ্রবাহের ক্ষেত্রে সতর্কতা, বাজার, মসজিদ এবং আবাসিক এলাকাসমুহে এমন সব অপারেশন থেকে দূরে থাকা যার মধ্যে অন্যায় ভাবে রক্ত প্রবাহিত হয়, বরং জিহাদিদলসমুহের মধ্যে। এমনিভাবে আমাদের মানহাজ হচ্ছে উম্মাহকে এক করা এবং তাদেরকে তাওহীদের কালিমার ভিত্তিতে এক করার প্রবল আকাঙ্ক্ষা, আর খিলাফতে রাশেদাকে ফিরিয়ে আনা যা শূরা এবং মুসলমানদের সন্তুষ্টির ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হবে। [ আস-সাহাবের সপ্তম সাক্ষাৎকার – রজব ১৪৩৫হিজরি / আন-নুখবার সংস্করণ-পৃঃ ১১/১২]
(৬) এমনিভাবে তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেনঃ- অচিরেই এদের দৌহিত্র শামের ভূমিতে ব্যর্থ হবে*** আল্লাহ তোমাদের পথ-প্রদর্শক ও সাহায্যকারী হিসেবে যথেষ্ট। [ফিতনার ক্ষেত্রে শহীদ আবু খালিদ আস-সুরি সম্পর্কে শোকবার্তা – পৃঃ৩]
(৭) খুরাসানে তানযীমে কায়েদার বিশিষ্ট নেতা “আযযাম আমরিকি” আবু খালিদ আস-সুরির শোকবার্তায় তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেনঃ আমি এই ঘটনার দায়ভারের জন্যে আমার তর্জনী প্রদর্শন করছি তাদের দিকে যারা অতিরঞ্জন, সীমালংঘন, একগুয়েমি, স্বৈরাচার, অত্যাচার এবং এমন অবস্থা বেরিয়ে যাওয়ার জন্যে প্রসিদ্ধ হয়ে আছে; যার উপর সিরিয়ায় জিহাদি ও ইসলামিরা, আহলে ইলম, সম্মান এবং সারাবিশ্বের অগ্রগামী মুজাহিদরা আছেন। এমনিভাবে এই দল প্রসিদ্ধি লাভ করেছে তাদের ধুম্রজাল, কূটচাল, কৌশল, এক দিক থেকে অন্যদিকে মুখোমুখী হওয়া এবং দায়িত্ব গ্রহণ করা থেকে, তারা তাকিয়া, এবং ভেতরে এক বাহিরে আরেকের জন্যেও প্রসিদ্ধি লাভ করেছে। তারা হচ্ছে উগ্র তাকফিরি সম্প্রদায় তাদের পুর্বসুরি হারুরিয়্যীনদের বিপরীত যারা সত্যবাদিতা এবং মিথ্যা থেকে দূরত্বের জন্যে প্রসিদ্ধ ছিলো। [আবু খালিদ আস-সুরির শোকবার্তা]
(৮) খুরাসানে তানযীমে কায়েদার নেতা “উস্তাদ আহমদ ফারুক” দায়েশের অফিসিয়াল মুখপাত্র আদনানির কথার মন্তব্যে বলেন, কিন্তু আজ আমরা দেখছি তাদেরকে যারা ইসলামকে ও ইসলামী বন্ধুত্বের সুতিকাগারকে একটি সীমাবদ্ধ পরিসরে বন্দি করে ফেলেছে, এই উম্মতের সাথে নিজেদেরকে বড় ভেবে এদের উপর উপহাস করছে, এবং ওতপেতে বসে আছে যাতে কোনো ভুল নজরে পড়তেই তার উপর ঝাপিয়ে পড়ে, তাদের সাথে ঘৃণা করে যাদের সাথে মুজাহিদরা ভালবাসা এবং কোমলতার সাথে ব্যবহার করার প্রতি আহবান করেন, আমরা দেখি তারা বলে, আমরা কোন উম্মহের দিকে প্রত্যাবর্তন করবো? সৌদী ইসলামি উম্মাহের? না ইখওয়ানি? না সরুরী?.........
তাদের এই বক্র চিন্তার বিষয়ে আল্লাহই আমাদের জন্যে যথেষ্ট, তিনিই উত্তম রক্ষক! [আমরা যেনো মৌমাছির মতো হই – পৃঃ৪]
(৯) তানযীমে কায়েদার খুরাসানের নেতা আবু দুজানা দায়েশের খেলাফতকে উদ্দেশ্য করে বলেনঃ- আমরা খেলাফতে রাশেদাকে নবুওতের আদলে ফিরিয়ে আনতে চাই। বিকৃতি, মিথ্যা, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ এবং বাইয়াতের লুকোচুরির মানহাজে নয়। খিলাফাহ প্রতিষ্ঠিত হবে ন্যায়পরায়না, শূরা, সম্প্রীতি এবং একতার উপর। অত্যাচার, মুসলমানদেরকে তাকফীর করা, তাওহীদীদের হত্যা করা এবং মুজাহিদদের বিন্যাস ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করার মধ্যের উপর নয়।[এটা আমাদের বার্তা-পৃঃ১]
(১০) শামের ভূমিতে তানযীমে কায়েদার শীর্ষ শরীয়াহ বোর্ড দা’য়েশ সম্পর্ক বলেনঃ- পূর্বে যা অতিবাহিত হয়েছে এর ভিত্তিতে যে জামায়াতে দাওলাহকে গণ্য করা হচ্ছে একটি প্রভাবহীন আগ্রাসী দল হিসেবে যারা তাদের চরিত্র, গুণাগুণ এবং উগ্রতার দরুন খারেজি সম্প্রদায়ের সাথে সাদৃশ্য রাখে। খারেজিদের বৈশিষ্ট্যের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়ে তাদের মধ্যে আরো কিছু বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়, যেগুলো খারিজিদের মধ্যে নেই যেমন- তাকিয়্যা, মিথ্যা, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা, বিশ্বাসঘাতকতা, মিথ্যা কসম খাওয়া এবং পাপাচার, ........................... এই দল এখনপর্যন্ত আলোচনা এবং শরীয়াহ ফয়সালা গ্রহণ করতে অস্বীকার করে আসছে, তাই আমরা বলছি, এই দলে বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা জায়েয। [বিবৃতি “মানুষের কাছে তা প্রকাশ করো, লুকিও না” শামের্ব ভূমিতে তানযীমে কায়েদার কাযী আবু আব্দুল্লাহের আশ-শামীর কণ্ঠে – হার্ডকপি পৃঃ ৩৩]
(১১) আরব উপদ্বীপের তানযীমে কায়েদা একটি বার্তা প্রকাশ করেছে যার মধ্যে দায়েশের খিলাফাহ নিয়ে বলেছে, পুর্বে যা বলা হয়েছে এর ভিত্তিতে আমরা এই খিলাফাহের প্রতিষ্ঠাকে শুদ্ধ মনে করি না। এবং এটাকেও শুদ্ধ মনে করি না যার উপর তারা এর ভিত্তি করেছে। যারা তাদের কাছে এই বাইয়াহ দেই নি তাদেরকে আমরা গোনাহগার সাব্যস্ত করি না। ... এবং খিলাফাহের ঘোষণা মুজাহিদদের বিন্যাসের মধ্যে ফাটল ধরিয়েছে এবং তাদের একতাকে ছিন্ন করেছে বর্তমান এই স্পর্শকাতর মূহুর্তে। [শায়খ আবু বকর বাগদাদির কথা (যদিও কাফিররা অপছন্দ করে)য় যা এসেছে, এ সম্পর্কে বার্তা, শায়খ হারিস আন-নাজারির কন্ঠে]
(১২) আরব উপদ্বীপে আল-কায়েদার নেতা শায়খ আলী আল-আনিসী বলেনঃ- খিলাফাহকে অন্যান্য ভূমিতে সম্প্রসারণের ঘোষণা, এর কোনো বাস্তবতা নেই, এই ঘোষণা মুজাহিদদের বিন্যাসসমূহের মধ্যে ফাটল ধরাবে, এবং তাদের প্রাচীরকে ভুল শরয়ী দলীল দিয়ে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করবে। [১ম আন্তর্জাতিক সাংবাদিক সম্মেলন]
(১৩) ডক্টর আব্দুল্লাহ আল-মুহাইসিনি বলেন, এবং আল্লাহর কসম জিহাদের আলেমদেরকে এমন ভূমিতে দেখি নি, যে তারা শরীয়াহ অনুমোদনের বিষয়ের সমালোচনায় ও এর বিরোধিতায় একমত হয়েছেন যেমনিভাবে তারা শামে দাওলাহর অনুমোদনের ক্ষেত্রে একমত হয়েছেন,
আল্লাহ জানেন, আমি খিলাফতে ইসলামিয়্যাহের প্রতিষ্ঠার বিরোধী নয়, বরং এর জন্যেই আমরা আমাদের কলিজা এবং রক্ত ব্যয় করছি, কিন্তু এটা হতে হবে নবুওতের আদলে, মানুষের ঘৃণার মাধ্যমে, তাদেরকে নির্যাতন করা, জিহাদের বিন্যাসকে ফাটল ধরানো এবং আল্লাহর শরীয়তের ফয়সালার প্রচেষ্টাকে এমনসব অসার কারণ দেখিয়ে ত্যাগ করার মাধ্যমে যার পক্ষে আল্লাহ কোনো দলীল দেন নি।[বার্তাঃ আমি তো পৌছিয়েছি]
(১৪) শামের ভূমিতে তানযীমে কায়েদার শরয়ী বিভাগের প্রধান শায়খ সামী আল-উরাইদি খারিজি ও দায়েশের মধ্যে সাদৃশ্য দেখিয়ে দেওয়া বার্তার ভূমিকায় বলেন, আল্লাহর অনুগ্রহে ভাই আবুল হাসান আল-কুয়েতি –আল্লাহ তাকে তাওফীক দিন- যে, তিনি শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়ার কথা থেকে একত্রিত করেছেন এমন দলকে যাদের সীমালংঘন খারিজিদের এবং এদের থেকে সতর্ক করেছেন, এই গবেষণা হবে খারিজি সম্পর্কে শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়ার অবস্থানের প্রশস্ত মুকুল, আল্লাহর কাছে দুআ করি তিনি তাকে এ থেকে মুক্ত হওয়া এবং এর সংকলনের তাওফীক দিন। [ইবনে তাইমিয়ার দৃষ্টিতে খারেজি- পৃ ৪]
(১৫) শামের ভূমিতে তানযীমে কায়েদার সাবেক শরয়ী প্রধান আবু মারিয়া বলেন, শামবাসীদের উপর উকি দিচ্ছে এক নতুন কুৎসিত চেহারা, নতুন বিষাক্ত খঞ্জর যার অন্ধতা ক্রমান্বয়ে আসছে এবং এর ক্ষতি ব্যাপক হচ্ছে, এটা হচ্ছে যুগের খারিজি “তানযীমে জামায়াতে দাওলাহ”, হে যুগের খারিজিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে দ্বিধাদ্বন্দরত ব্যক্তি তুমি কি জানো না যে তাদের মূলোৎপাটনে কল্যাণ ও মঙ্গল রয়েছে, শুধু শামের মুসলমানদের জন্যে নয় বরং ইরাকের ইসলামিদের জন্যেও, যারা দীর্ঘ দিন ধরে তাদের আগুনে প্রজ্জলিত হচ্ছেন। [বার্তাঃ হে দ্বিধাদ্বন্দরত]
(১৬) শায়খ আবু সায়াফ মাজিদ আর-রাশিদ দায়েশে এবং খারিজিদের মিল বার্তার ভূমিকায় বলেছেন, মহান প্রজ্ঞাবান শায়খ আলী আল-উরজানি (আবুল হাসান কুয়েতি) আমাকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন উম্মতের গন্তব্যকে যারা জিহাদ ও ইলমের উপর এক হয়েছে, যারা উত্তম চরিত্র এবং মধ্যপন্থায় এক হয়েছে, যারা নিজের জান ও মালকে ত্যাগ করতে এক হয়েছে, যারা অস্ত্র ও কলমের যুদ্ধে এক হয়েছে, নুসাইরিদের সাথে তাদের ঘাটিতে লড়াই করেছে, যারা উগ্রপন্থীদের বিরুদ্ধে নিজেদের হস্ত এবং বাহু নিয়ে মুখোমুখী হয়েছে, আগ্রাসী শত্রু নুসাইরি ও উগ্রপন্থীদের প্রতিরোধের কঠিন মুহুর্ত। আজ ইবনে তাইমিয়া রাহমাতুল্লাহ আলাইহির কথা খারিজি সম্পর্কে সতর্কতা ও এবং দায়েশ সম্পর্কে আতঙ্কের কথা এক হয়েছে... আমি আমার ভাইদের তিনি যা লিখেছেন তা পড়ার জন্যে নসীহত করবো, এ অনুযায়ী আমল ও সঙ্কলকের জন্যে শাহাদত ও উত্তম সমাপ্তির দুয়ার।
(১৭) শায়খ মুহাম্মদ বিন সালেহ আল-মুহাজির –আরব উপদ্বীপে তানযীমে কায়েদার এক শায়খ- বাগদাদির খিলাফাহ অশুদ্ধতা নিয়ে একটি পুস্তিকা লিখেছেন, যার নাম দিয়েছেন ‘খিলাফাহ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা’।
(১৮) মিম্বর আত-তাওহীদ ওয়াল জিহাদের শরয়ী সংস্থার সদস্য শায়খ আবু মুনযির আশ-শানকীতি দায়েশের খিলাফাহ ঘোষণার সমালোচনায় একটি পূর্ণ পুস্তিকা লিখেছেন, এবং এর নাম দিয়েছেন, ‘শরয়ী মানদন্ডে খিলাফাহ ঘোষণা’।
(১৯) মিম্বর আত্তাওহীদ ওয়াল জিহাদের শরীয়াহ ফোরামের সদস্য শায়খ আব্দুল্লাহ হাসানি বাগদাদির খিলাফাহ ভঙ্গনের কারণ উল্লেখ করে একটি পূর্ণ পুস্তিকা লিখেন, এবং এর নাম দেন, ‘বাগদাদির খিলাফাহ ভঙ্গনের কারণে হোসাইনি সাহায্য’। ডাউনলোডলিঙ্ক- http://www.tawhed.ws/dl?i=04121401
(২০) মিম্বর আত্তাওহীদ ওয়াল জিহাদের শরীয়াহ ফোরামের সদস্য শায়খ আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাহমান শানক্বীতি বলেন, হে দাওলার নেতৃবৃন্দ! আমরা ধারণা করেছিলাম যে মুজাহিদদের বাক্য অচিরেই তোমাদের ঝান্ডাতলে একত্রিত হবে... কিন্তু তোমরা এগুলো প্রত্যেক স্থানে বিভাজন সৃষ্টি করেছো! তোমরা তা শামে বিভাজন তৈরি করেছো... তোমরা আরব উপদ্বীপে এর বিভাজন তৈরি করেছো... মাগরিবে এর বিভাজন তৈরি করেছো... তাহলে কি এভাবেই খিলাফতে রাশেদা প্রতিষ্ঠার পদ্ধতি হয়! বরং এটা হচ্ছে অভ্যুত্থানকারী যে কোনো পন্থায় ক্ষমতায় পৌছার সুযোগ সন্ধানীদের পন্থা ... এটা হচ্ছে স্বৈরাচারীদের পদ্ধতি এর দ্বারা রাষ্ট্র গঠিত হয় না এবং এর উপর উম্মাহ একমত হয় না... যদি তোমরা এই পদ্ধতির উপর চলতে থাকো এবং তোমাদের অনুসারীরা তা তোমাদের কাছ থেকে এভাবে গ্রহণ করতে থাকে, তাহলে একের পর এক ভাঙ্গন আসবে এবং মতানৈক্য অব্যাহত থাকবে... তোমাদের জন্যে সম্ভব ছিলো যদি তোমরা সব দলের একতা চাইতে এবং সবার মনোভিলাষ চাইতে... কিন্তু তোমরা ঝগড়ার উচ্ছ্বাসে জড়িয়ে পড়লে এবং একগুঁয়েমি ও পীড়াপীড়ির জাহাজে আরোহণ করলে, বড়দের মধ্যে যারা তোমাদের বিরোধিতা করলেন তাদের সীমালংঘনে বাড়াবাড়ি করলে... তোমরা ভূল করেছো সুতরাং তোমাদের ভূল শুধরে নাও... পাপ করেছো সুতরাং আল্লাহর দরবারে তওবাহ করো... তোমরা বিচ্যুত হয়েছো সুতরাং পূর্বের অবস্থায় ফিরে এসো... তোমরা হয়ো না এমন গাভীর মতো যে এক সিঁড়িতে আরোহণ করে অতঃপর অবতরণ করতে ভুলে যায়! জেনে রেখো তোমাদের বিজায়াভিযান তোমাদের বিচ্যুতিকে ঢাকতে পারবে না... দাওলাতে ইসলামিয়্যহা শরীয়াহর বলে বলীয়ান হবে, তরবারী বলে নয়।[খিলাফাহ বিভক্তির নাম নয়, পৃঃ ৭]
(২১) দুই শায়খ ডক্টর হানী আস-সিবায়ী ও ডক্টর তারেক আব্দুল হালীম তাঁদের বিবৃতিতে বলেন, যার মধ্যে এসেছেঃ আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি, এমন বিষয়ের সাক্ষ্য যার ব্যাপারে আমরা আল্লাহর সামনে জিজ্ঞেসিত হবো, ওইসব ব্যক্তিরা যারা এই সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত যা দাওলাতুল ইসলামিয়্যাহ নামে প্রসিদ্ধ, তাদের মানহাজ হচ্ছে খারেজিদের মানহাজ বিশেষকরে তাকফীরের মাসআলা এবং নিরপরাধ মানুষের রক্ত বৈধতার ক্ষেত্রে। [বার্তাঃ সংগঠনটির পরিচয় এবং প্রকৃত আকীদা]
(২২) দাগেস্তান প্রদেশের কাজী শায়খ আবু মুহাম্মদ গামিরায়েভ বলেন, বাগদাদি মুসলমানদের খলীফা নন, তাঁকে বাইয়াহ দেওয়াও জায়েজ হবে না, কেননা তাকে বাইয়াহ দেওয়া মুজাহিদদের বিন্যাসে বিভাজন তৈরি করেছে, যে তাকে বাইয়াহ দিবে সে হবে ফিতনাবাজ যে, মুসলমানদের রক্তপ্রবাহের পথে চলবে। [কথাঃ দাগেস্তানের মুজাহিদদের প্রতি, বিশেষকরে বাগদাদির বাইয়াতের ব্যাপারে]
(২৩) শায়খ নুরুদ্দীন নুফাইয়াহ –যাকে তাঁর সামরিক ও ইলমি বিষয়ে শক্ত হাত এবং পরামর্শের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা থাকার দরুন মুজাহিদদের শীর্ষনেতার মধ্যে সম্মান ও গুরুত্বের সাথে অনুসরণ করা হয়- তিনি মরক্কোর
কারাগার থেকে বলেন, দাওলাতুল ইসলামিয়্যাহের চরিত্র হচ্ছে এর বিপরীত, এখানে সবচেয়ে বড় প্রমাণ হচ্ছে মানুষের মধ্যে নবুওতের আদল ও সঠিক পথ থেকে অনেক দূরে... আমি এ বিষয়ে আমার নীরব অবস্থান ছিলো, কিন্তু যখন দেখলাম শামে আমাদের লোকদের উপর দাওলাতুল ইসলাম সংগঠনটি কর্তৃক অপরাধ চালানো হচ্ছে তখন নিজেকে তা থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে এই বার্তা প্রকাশের ইচ্ছা পোষণ করলাম।
(২৪) লুয়াই আস-সাকা –তিনি আবু মুসয়াব আজ-জারকাবীর প্রথম নায়েব এবং বর্তমানে তিনি তুরস্কে আজীবন জেলে আছেন- তিনি কারাগার থেকে বলেন, তেমনিভাবে সকল আত্মমর্যাদাশীল মুজাহিদসহ আমাকে এবং এখানে বন্দি মুজাহিদদেরকে ব্যথিত করেছে যা দাওলাহ কর্তৃক চালিত বিশৃংখলা, রক্ত-প্রবাহ, ফিতনাসমূহ শামে জিহাদ ও দাওয়াহের ক্ষতির ক্ষেত্রে যেসব বিকৃতি প্রকাশিত হয়েছে, জামায়াতে দাওলাহ উগ্রতা অন্যান্য মুজাহিদগ্রুপের তাকফীর, মুজাহিদদের রক্ত-প্রবাহ, কিডন্যাপ, মুজাহিদদের হত্যা, তাঁদের নেতাদের গুপ্তহত্যা এবং তাঁদের যাবতীয় বিকৃতি থেকে নিজেকে মুক্ত ঘোষণা করছি।
(২৫) দাওলাহর ঘোষণার সমালোচনায় শায়খ আবুল ওয়ালিদ আনসারি বলেন, দাওলাহর ঘোষণা সম্পর্কে আমাদের কাছে এখন পৌঁছেছে যে, তারা শামের আহলে হাল ওয়াল আকদ মুজাহিদদের উমারা ও উলামাদের পরামর্শ নেয় নি, নতুন ঘোষণা দেওয়া বিশেষকরে এই মুহুর্তে হচ্ছে ষড়যন্ত্রকারীদের তীরের বাস্তবায়ন মাত্র, একদিক শত্রুতা উত্তেজিত করা হচ্ছে, মুসলমানদের মধ্যে বিশৃংখলার অধ্যায় ও আহকামের উগ্রতার স্তম্ভ।
(২৬) শায়খ মাজিদ আব্দুল মাজিদ – আব্দুল্লাহ আযযাম ব্রিগেড লেবাননের আমীর- দাওলাহের ঘোষণা সম্পর্কে সতর্ক করে বলেন, বাগদাদির ইরাক ও শামে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ঘোষণা হচ্ছে, আমাদের প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী ও পরিস্থিতির সুসংহতির জন্যে, যদি এটা কার্যকর এবং বাস্তবায়িত হয়ে যায়, তাহলে এটা হবে শামে জিহাদের কোমর ভেঙ্গে দেওয়া, জিহাদীদলসমূহকে বিভাজন করা, শত্রুদের জিহাদী দলসমূহে অনুপ্রবেশের পথ খুলে দেওয়া, একে অপরের উপর আক্রমণ করবে এবং যুদ্ধে একদলের বিপরীতে অন্যদল ব্যবহৃত হবে। [শামে দাওলাতুল ইসলামের ঘোষণার ব্যাপারে পথ-প্রদর্শন – পৃঃ ৫]
(২৭) শায়খ হামিদ বিন হামাদ আল-আলী বলেন, হে আবু বকর, আপনার জন্যে কি এটা সন্তুষ্টি বয়ে আনবে যে, সমস্ত কল্যাণী উলামা, সত্যবাদী মুজাহিদ, স্পষ্টভাষী দায়ী, সাধারণ এবং বিশেষ মুসলমান এক কাতারে দাড়াবে এবং আপনি এবং আপনার সাথী মুজাহিদ মুসলমানরা এঁদের বিপরীতে অন্য কাতারে দাঁড়াবেন। [শামের ভূমি আক্রান্ত ফিতনার ব্যাপারে]
(২৮) তিনি এমনিভাবে আরো বলেন, খিলাফাহ ঘোষণার ব্যাপারে জবাব হচ্ছে ওই জবাব যা দাওলাহ ঘোষণার ব্যাপারে অতিবাহিত হয়েছে অর্থাৎ, দাওলাহ সম্পর্কিত সব ঘোষণা অতঃপর ইরাক ও শামে দাওলাহ হচ্ছে বাতিল ঘোষণা।
(২৯) শায়খ উমর হাদ্দুশী বলেন, শামের স্বচ্ছ জিহাদকে দায়েশরা তাদের নির্বুদ্ধিতার কারণে রক্তাক্ত করেছে, আল-ওয়ালা ওয়াল বারাকে তাদের জমাট বুদ্ধির বিরোধিতার ব্যঙ্গচিত্রের মধ্যে জটিল করে দিয়েছে, তারা আন্দোলনের ক্ষেত্রে এমন মুসলিমের অনুসরণ করেছেন যারা প্রেক্ষাপেট অনুধাবন করতে পারেন না। [টুইটারে তাঁর অফিসিয়াল একাউন্ট/ ২৭ অক্টোবর ২০১৪]
(৩০) ডক্টর ইয়াদ আল-কুনাইবি বলেন, জামায়াতে দাওলাহের সর্বশেষ ভূল রাজনৈতিক কার্যকারিতার সাথে কোনো সম্পর্ক নেই, যেগুলো আমরা পুর্বে সমালোচনা করেছি। শামের ব্যাপারেও আমরা সমালোচনা করছি। শামে তাদের ভূল কার্যক্রমের ব্যাপারে আমার অবস্থানের পরিবর্তন ঘটাবে না, কেননা আমি বাস্তবতার আলোকেই সিদ্ধান্ত নেই কোনো একদলের দিকে ধাবিত হয় না। তাদের কার্যক্রমের ব্যাপারে আমি সিদ্ধান্ত দিচ্ছি যে, এগুলো হচ্ছে শরীয়াহ বহির্ভুত, আল্লাহর দ্বীনের বিরোধিতা, আমি এই অবস্থা আছি। [বার্তাঃ ইরাকের বিজয়সমূহের পর]
(৩১) শায়খ হাসান বিন আলী আল-কাত্তানি বলেন, তারা তাকে হত্যা করেছে, আল্লাহ তাদেরকে হত্যা করুন, হে অপরাধের দল ও যীল খুওয়াইসিরার সন্তানাদি! তোমরা মারাত্মক ঘৃণিত কাজ করেছো। হে আল্লাহ তুমি তাদেরকে পাকড়াও করো কেননা তারা তোমাকে ক্লান্ত করতে পারবে না, হে আবু খালিদ! আল্লাহ আপনাকে রহম করুন। সুসংবাদ গ্রহণ করো, এটাই হচ্ছে অপরাধের দলের শেষ পেরেক।[ ফেসবুক একাউন্ট/ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪]
(৩২) শায়খ আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ মনসুর বলেন, -জায়শুল মুজাহিদীন ইরাকের আমীর-ঃ আর মিথ্যা দাওলাহ ইরাকের বর্তমান নেতৃত্ব, আমার কাছে এতো কোনো সন্দেহ নেই যে, তারা তাকফীর এবং অন্যায়ভাবে রক্তপাতের ক্ষেত্রে তারা খারিজিদের মতো অনেক সীমালংঘনে লিপ্ত হয়েছে। তাদের বাস্তবকর্ম বিনা সন্দেহে এগুলোই প্রমাণিত করে, ইরাকে অবস্থিত প্রত্যেক নীতিবান তালেবে ইলম এই বাস্তবতাকে অনুধাবন করতে পারছে।[ দাওলাতুল ইসলামিয়্যাহ বাস্তবতা এবং ধারণার আলোকে, পৃঃ ৭]
(৩৩) ইরাকের আন্সারুল ইসলাম একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে যার মধ্যে তারা বলেছে,
আমরা জামায়াতে আন্সারুল ইসলামের নেতৃবৃন্দ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করছি, শরয়ী এবং ঐতিহাসিক ভিত্তিতেই বলছি যে, দাওলাতুল ইসলামিয়াহ ইরাকই আমাদেরকে তাদের সীমালংঘন প্রতিহত করতে অত্যাচার এবং তাদের মতো করে জবাব দিতে বাধ্য করেছে। আমরা কখনো বর্তমান পরিস্থিতি কামনা করি নি। আর আন্সারুল ইসলামের ইতিহাস হচ্ছে যে, তারা জিহাদি গ্রুপ সমূহের সাথে সর্বদা সহযোগিতা এবং ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে এসেছে। আর দাওলাতুল ইসলামিয়্যাহ ইরাকের বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ হচ্ছে শরয়ী দৃষ্টিতে বৈধ, ন্যায়সংগত, জুলুমের প্রতিরোধ যা আমাদের উপর কয়েক বছর ধরে চলে আসছে এবং জামায়াতে দাওলাতুল ইরাক আল ইসলামিয়্যাহের পক্ষ থেকে অব্যাহত রয়েছে। তাদের নির্যাতন থেকে আত্মরক্ষার্থেই আমাদের লড়াই, তারা আমাদের উপর বিদ্রোহী হয়েছে, আমরা জালিম নয়। আমরা জুলুমের সূচনা করি নি। অনেকে ধারণা করেন আমরা চুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছি এবং আমাদের ব্যাপারে এই প্রপাগান্ডা প্রচার করেন।[গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতি – ১২ যী কা’দাহ ১৪৩৪]
(৩৪) শায়খ আবু খালিদ আস-সুরী দায়েশকে উপদেশ স্বরূপ বলেন, নিশ্চয় অন্যান্যগ্রুপের উপর কোনো প্রমাণ ও ভিত্তি ছাড়া তাদেরকে রিদ্দা ও তাকফীরের হুকুম লাগিয়ে বলা যে তারা সাহাওয়াত এটা হচ্ছে কবীরা গোনাহ ও অপরাধ হিসেবে জঘন্য। তাহলে কী হবে ওইদলের অবস্থা যারা অন্যান্য দলের উপর ঢালাওভাবে এই হুকুম আরোপ করে অথচ তারা চায় আল্লাহর শরীয়াহ ও দ্বীনের প্রতিষ্ঠা, যেমনিভাবে তাদের ব্যাপারে জেনেছি এবং অবগত হয়েছি? আমি দাওলাতুল ইসলামিয়্যাহ ইরাক ও শামের উমারাদের আহবান করি আল্লাহর দিকে তাওবাহ করা, তাদের কর্ম ততপরতা থেকে ফিরে আসা এবং শরয়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রতি।[ বিবৃতি তারিখ- ১৭ জানুয়ারি ২০১৪]
(৩৫) শায়খ আবু আব্দুল্লাহ সাদেক আব্দুল্লাহ সুদানি বলেন, এই ধারণাপ্রসূত দাওলাহ এখন পর্যন্ত ইরাকেও আধিপত্য লাভ করতে পারেনি তারপর না অন্যদিকে সম্প্রসারণ করবে। এটা কখনো বোধসম্পন্ন ব্যক্তি গ্রহণ করবে না।[টুইটার একাউন্টঃ ৭মার্চ ২০১৪]
(৩৬) শায়খ আবুল ওফা তিউনিসি আন্সারুল বায়তিল মাকদিসের দায়েশকে বাইয়াহ দেওয়ার মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, ইরাক ও শামের সীমালংঘনকারীদের সাথে পার্থক্য হচ্ছে আকীদা ও মানহাজের পার্থক্য, অমুকের বাইয়াতে আর অমুকের ঘোষণায় বাস্তবতার মধ্যে কোনো পরিবর্তন করবে না। যে তাদের বিচ্যুতির ব্যাপারে জেনেও এরকম করবে সে তাদের মধ্য থেকে এবং যারা জানবে না তাদের করছি এবং নসীহত দিচ্ছি।[টুইটার একাউন্টঃ ১০ নভেম্বর ২০১৪]
(৩৭) সর্বশেষে তেহরীকে তালেবান শামের মুজাহিদদের ব্যাপারে নসীহা প্রেরণ করেছে, যার মধ্যে তারা বলেছে, মুসলমানদের জন্যে এমনিভাবে আবশ্যক হচ্ছে দ্বীনের ব্যাপারে বাড়বাড়ি করা থেকে ও অন্যের ব্যাপারে প্রমাণ ছাড়া হুকুম আরোপ করা থেকে বিরত থাকা। অন্যের ব্যাপারে খারাপ ধারণা না করা, অপবাদ এবং অসার কথা না শোনা, কেননা অনেক ধারণা গোনাহ। [তেহরীকে তালেবানের অফিসিয়াল সাইট – ১০ জুলাই ২০১৪]
Comment