Tweet
জামাত-ই-ইসলামী দলের বক্তব্য “এই সরকার অবৈধ।”
তো প্রশ্নঃ বৈধ বা অবৈধ করার মালিককে।
উত্তরঃ ক) জাতিসংঘ খ) বাংলাদেশের সংবিধান গ) কুরআন ও হাদিছ
উত্তর যদি বাংলাদেশের সংবিধান হয় তাহলে ইসলাম শব্দটা দলের নাম থেকে মুছে ফেলেন।
------------------------------------------------------------------------------------
উত্তর যদি কুরআন ও হাদিছ হয় তাহলে
প্রশ্নঃ কোন অায়াতের ও হাদিছের ইবারতে ভিত্তিতে অবৈধ?
উত্তরঃ
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মুসলিম শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা জায়েজ কি?
==============================
সহিহ মুসলিম :: বই ২০ :: কিতাবুল ইমারাহ (প্রশাসন ও নেতৃত্ব) অধ্যায় :: হাদিস ৪৫৪১
================================================== ===
জুনাদা ইবনে আবু উমাইয়া (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা উবাদা ইবনে সামিতের কাছে গেলাম। তিনি তখন রোগগ্রস্ত ছিলেন। আমরা বললাম, আল্লাহ আপনার স্বাস্থ্য ফিরিয়ে দিন! আমাদের একটি হাদীস বর্ণনা করুন যা আপনি রাসূলুল্লাহ্(সা) এর কাছে শুনেছেন এবং আল্লাহ তাআলা (আমাদের জন্য) তা উপকারী প্রমাণ করুন। তিনি বললেনঃ রাসূলুল্লাহ্(সা) আমাদের ডাকলে এবং আমরা তাঁর নিকট আনুগত্যের বাইআত করলাম। তিনি যেসব বিষয়ে আমাদের থেকে বাইআত নিয়েছেন তা হচ্ছেঃ সুখে-দুঃখে, দুর্দিনে-সুদিনে, দুর্ভিক্ষে প্রাচুর্যে, এমনকি কোন ব্যক্তিকে আমাদের ওপর প্রাধান্য দেয়াও হলে আমরা নেতার আনুগত্য করে যাব এবং (নেতার দৃষ্টিতে যদিও সে যোগ্য নয়) যোগ্য ব্যক্তিকে দায়িত্ব অর্পণ করা হলে আমরা তাতে বাধা দেব না। তিনি আরো বলেছেনঃ (যে কোন অবস্থায় তার আনুগত্য করতে হবে) কিন্তু তোমরা যদি তাকে প্রকাশ্য কুফরীতে লিপ্ত দেখ, যে সম্পর্কে তোমাদের নিকট আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রমাণ বর্তমান রয়েছে (তখন কোন আনুগত্য নেই))।
-------------------------------------------------------------------------------
লক্ষ করুন আল্লাহর রাসুল (সাঃ) কি বললেনঃ সুখে-দুঃখে, দুর্দিনে-সুদিনে, দুর্ভিক্ষে-প্রাচুর্যে, এমনকি কোন ব্যক্তিকে আমাদের ওপর প্রাধান্য দেয়াও হলে আমরা নেতার আনুগত্য করে যাব এবং (নেতার দৃষ্টিতে যদিও সে যোগ্য নয়) যোগ্য ব্যক্তিকে দায়িত্ব অর্পণ করা হলে আমরা তাতে বাধা দেব না। তিনি আরো বলেছেনঃ (যে কোন অবস্থায় তার আনুগত্য করতে হবে) ”
-------------------------------------------------------------------------------
শুধু কি চাল-ডালের, বিদ্যুৎ-পানির দাম বৃদ্ধি পেলেই সরকার অবৈধ
ধরুণ বর্তমানে জামাত-ই-ইসলামী দল ক্ষমতায়, (জামাত-ই-ইসলামীর দৃষ্টিতে যদিও সে যোগ্য নয়) যোগ্য ব্যক্তিকে দায়িত্ব অর্পণ করা হলে, বা চাল-ডালের, বিদ্যুৎ-পানির দাম বৃদ্ধি পেলেই জামাত-ই-ইসলামীকে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে ফেলব?
-------------------------------------------------------------------------------
তাহলে কিহলে মুসলিম শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা জায়েজ? বা সরকার অবৈধ
-------------------------------------------------------------------------------
আল্লাহর রাসুল (সাঃ) আরোও বললেন যদি ইমাম বা শাসক প্রকাশ্য কুফরীতে লিপ্ত হয়, যা প্রত্যেক লোকের কাছে কুফরী বলে স্বীকৃত, তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা অনস্থার দাবী তোলা ওয়াজিব। তাহলেই বলব সরকার অবৈধ। অন্য হাদিছে আল্লাহর রাসূল (সাঃ) কুফরীর উদাহরণ দিলেন যতক্ষণ তারা স্বলাত কায়েম রাখে। স্বলাত কায়েম মানে আবার বুঝেনতো।
-----------------------------------------------------------------------------
অর্থাৎ কুফরী ব্যতীত শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা জায়েজ নেই।
----------------------------------------------------------------------------
এখন প্রশ্ন বর্তমান মুসলিম দেশের সরকারের বা শাসকের মধ্যে কি কোন কুফুরী বিদ্যমান?
যদি উত্তর হ্যা হয়।
============================================
তাহলে করণীয় কি? এবং তার পদ্ধতিটা কি?
--------------------------------------------------------------
উত্তর হলঃ মাওলানা আব্দুর রহিমের ভাষায় প্রচলিত রাজনীতি নয় জিহাদই কাম্য
গণতন্ত্র নয় পূর্ণাঙ্গ বিপ্লব
হে ইসলামী ছাত্র শিবিরের ভাইরা, মিছিলের জিহাদ আর কতকাল চলবে হে আমার ভাই?
সভা-সমিতির জিহাদ আর কতকাল চলবে হে আমার ভাই?
বিএনপির জন্য ভোট চাওয়ার জিহাদ আর কতকাল চলবে হে আমার ভাই?
ছেড়ে দিন ঐ কুফফার আবিস্কৃত মানবরচিত সকল পথ ও পদ্ধতি। কলমের জিহাদ সাথে সাথে আসুন তারবারীর জিহাদে।
অনুসরণ করুন আব্দুল্লাহ ইবনে জুবায়ের (রাঃ), হুসাইন (রাঃ), ইবনে তাইমিয়া (রঃ) সহ ইসলামের বীরপুরুষদের।
হারাম ও কুফরের পথ পরিহার করুন।
আসুন ইসলামী শরীয়াত বর্ণিত পথে।
আসুন মুক্তির আংগিনায়।
তো প্রশ্নঃ বৈধ বা অবৈধ করার মালিককে।
উত্তরঃ ক) জাতিসংঘ খ) বাংলাদেশের সংবিধান গ) কুরআন ও হাদিছ
উত্তর যদি বাংলাদেশের সংবিধান হয় তাহলে ইসলাম শব্দটা দলের নাম থেকে মুছে ফেলেন।
------------------------------------------------------------------------------------
উত্তর যদি কুরআন ও হাদিছ হয় তাহলে
প্রশ্নঃ কোন অায়াতের ও হাদিছের ইবারতে ভিত্তিতে অবৈধ?
উত্তরঃ
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মুসলিম শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা জায়েজ কি?
==============================
সহিহ মুসলিম :: বই ২০ :: কিতাবুল ইমারাহ (প্রশাসন ও নেতৃত্ব) অধ্যায় :: হাদিস ৪৫৪১
================================================== ===
জুনাদা ইবনে আবু উমাইয়া (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা উবাদা ইবনে সামিতের কাছে গেলাম। তিনি তখন রোগগ্রস্ত ছিলেন। আমরা বললাম, আল্লাহ আপনার স্বাস্থ্য ফিরিয়ে দিন! আমাদের একটি হাদীস বর্ণনা করুন যা আপনি রাসূলুল্লাহ্(সা) এর কাছে শুনেছেন এবং আল্লাহ তাআলা (আমাদের জন্য) তা উপকারী প্রমাণ করুন। তিনি বললেনঃ রাসূলুল্লাহ্(সা) আমাদের ডাকলে এবং আমরা তাঁর নিকট আনুগত্যের বাইআত করলাম। তিনি যেসব বিষয়ে আমাদের থেকে বাইআত নিয়েছেন তা হচ্ছেঃ সুখে-দুঃখে, দুর্দিনে-সুদিনে, দুর্ভিক্ষে প্রাচুর্যে, এমনকি কোন ব্যক্তিকে আমাদের ওপর প্রাধান্য দেয়াও হলে আমরা নেতার আনুগত্য করে যাব এবং (নেতার দৃষ্টিতে যদিও সে যোগ্য নয়) যোগ্য ব্যক্তিকে দায়িত্ব অর্পণ করা হলে আমরা তাতে বাধা দেব না। তিনি আরো বলেছেনঃ (যে কোন অবস্থায় তার আনুগত্য করতে হবে) কিন্তু তোমরা যদি তাকে প্রকাশ্য কুফরীতে লিপ্ত দেখ, যে সম্পর্কে তোমাদের নিকট আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রমাণ বর্তমান রয়েছে (তখন কোন আনুগত্য নেই))।
-------------------------------------------------------------------------------
লক্ষ করুন আল্লাহর রাসুল (সাঃ) কি বললেনঃ সুখে-দুঃখে, দুর্দিনে-সুদিনে, দুর্ভিক্ষে-প্রাচুর্যে, এমনকি কোন ব্যক্তিকে আমাদের ওপর প্রাধান্য দেয়াও হলে আমরা নেতার আনুগত্য করে যাব এবং (নেতার দৃষ্টিতে যদিও সে যোগ্য নয়) যোগ্য ব্যক্তিকে দায়িত্ব অর্পণ করা হলে আমরা তাতে বাধা দেব না। তিনি আরো বলেছেনঃ (যে কোন অবস্থায় তার আনুগত্য করতে হবে) ”
-------------------------------------------------------------------------------
শুধু কি চাল-ডালের, বিদ্যুৎ-পানির দাম বৃদ্ধি পেলেই সরকার অবৈধ
ধরুণ বর্তমানে জামাত-ই-ইসলামী দল ক্ষমতায়, (জামাত-ই-ইসলামীর দৃষ্টিতে যদিও সে যোগ্য নয়) যোগ্য ব্যক্তিকে দায়িত্ব অর্পণ করা হলে, বা চাল-ডালের, বিদ্যুৎ-পানির দাম বৃদ্ধি পেলেই জামাত-ই-ইসলামীকে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে ফেলব?
-------------------------------------------------------------------------------
তাহলে কিহলে মুসলিম শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা জায়েজ? বা সরকার অবৈধ
-------------------------------------------------------------------------------
আল্লাহর রাসুল (সাঃ) আরোও বললেন যদি ইমাম বা শাসক প্রকাশ্য কুফরীতে লিপ্ত হয়, যা প্রত্যেক লোকের কাছে কুফরী বলে স্বীকৃত, তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা অনস্থার দাবী তোলা ওয়াজিব। তাহলেই বলব সরকার অবৈধ। অন্য হাদিছে আল্লাহর রাসূল (সাঃ) কুফরীর উদাহরণ দিলেন যতক্ষণ তারা স্বলাত কায়েম রাখে। স্বলাত কায়েম মানে আবার বুঝেনতো।
-----------------------------------------------------------------------------
অর্থাৎ কুফরী ব্যতীত শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা জায়েজ নেই।
----------------------------------------------------------------------------
এখন প্রশ্ন বর্তমান মুসলিম দেশের সরকারের বা শাসকের মধ্যে কি কোন কুফুরী বিদ্যমান?
যদি উত্তর হ্যা হয়।
============================================
তাহলে করণীয় কি? এবং তার পদ্ধতিটা কি?
--------------------------------------------------------------
উত্তর হলঃ মাওলানা আব্দুর রহিমের ভাষায় প্রচলিত রাজনীতি নয় জিহাদই কাম্য
গণতন্ত্র নয় পূর্ণাঙ্গ বিপ্লব
হে ইসলামী ছাত্র শিবিরের ভাইরা, মিছিলের জিহাদ আর কতকাল চলবে হে আমার ভাই?
সভা-সমিতির জিহাদ আর কতকাল চলবে হে আমার ভাই?
বিএনপির জন্য ভোট চাওয়ার জিহাদ আর কতকাল চলবে হে আমার ভাই?
ছেড়ে দিন ঐ কুফফার আবিস্কৃত মানবরচিত সকল পথ ও পদ্ধতি। কলমের জিহাদ সাথে সাথে আসুন তারবারীর জিহাদে।
অনুসরণ করুন আব্দুল্লাহ ইবনে জুবায়ের (রাঃ), হুসাইন (রাঃ), ইবনে তাইমিয়া (রঃ) সহ ইসলামের বীরপুরুষদের।
হারাম ও কুফরের পথ পরিহার করুন।
আসুন ইসলামী শরীয়াত বর্ণিত পথে।
আসুন মুক্তির আংগিনায়।
Comment